Ajker Patrika

দুই শিশুসন্তান জানে না মা-বাবা বেঁচে নেই

ফয়েজ আহম্মদ, মদন (নেত্রকোনা)
আপডেট : ১৭ অক্টোবর ২০২১, ১০: ৩১
দুই শিশুসন্তান জানে না মা-বাবা বেঁচে নেই

অবুঝ দুটি শিশু। একটি ছেলে ও একটি মেয়ে। ছেলেটির বয়স সাত বছর আর মেয়েটির পাঁচ। মা-বাবার মৃতদেহ গত বুধবার রাতে দাফন করেছে পুলিশ। মা-বাবা যে আর কোনো দিন ফিরে আসবে না। তাদেরকে আর আদর কবে না। সে বিষয়টি এখনো বোঝে না কোমলমতি শিশু দুটি।

শোকে স্তব্ধ বাড়ি ভর্তি মানুষের মধ্যেও দিব্যি ছোটাছুটি করছে শিশু দুটি। খেলনা নিয়ে করছে খেলাধুলা। নেত্রকোনার মদন উপজেলার তিয়শ্রী ইউনিয়নের বালালী গ্রামের সদ্য মা-বাবা হারায় শিশু অপূর্ব ও জ্যোতি আক্তার। এই শিশু দুটি বালালী গ্রামের নিহত নান্দু মীর ও হিমা আক্তার দম্পতির সন্তান। বর্তমানে শিশু সন্তান দুটি মামা আব্দুল্লাহ আল মামুনের কাছে রয়েছে।

জানা গেছে, গত মঙ্গলবার বসতঘরের মেঝেতে রক্তাক্ত অবস্থায় হিমা আক্তারের (৪৫) মৃতদেহ এবং একই ঘরের আঁড়ার সঙ্গে নান্দু মীরের (৫৫) ঝুলন্ত মৃতদেহ পুলিশ উদ্ধার করে। পরে লাশ দুটি নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায় পুলিশ। ময়নাতদন্ত শেষে ওই দম্পতির লাশ গত বুধবার রাতে বালালী গ্রামের কবর স্থানে দাফন করা হয়। তবে এখনো পর্যন্ত থানায় কোনো মামলা হয়নি।

শিশু দুটির মামা আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, ঘটনার দিন সকালে অবুঝ শিশু দুটি প্রথমে ঘরের দরজা খুলে দেয়।

এ সময় তার মা-বাবা কোথায় জিজ্ঞেস করলে তারা লোকজনকে জানায়, ‘তাদের মা শুয়ে আছে! আর বাবা দাঁড়িয়ে আছে! অথচ দুজনই তখন মৃত। ঘটনার সংবাদ পেয়ে পুলিশসহ এলাকার লোকজন এসে বাড়িতে ভিড় জমায়। এলাকা শোকে স্তব্ধ হয়ে যায়। গত বুধবার রাতে দুজনের লাশ দাফন করা হয়েছে।

কিন্তু এখন পর্যন্ত শিশু অপূর্ব ও জ্যোতি বুঝেইনি যে তাদের মা-বাবা মারা গেছেন। তারা বাড়িজুড়ে ছোটাছুটি করছে। ঘরে বসে খেলাধুলা করছে। এই অসহায় ও অবুঝ দুই শিশুকে লালন পালনের দায়িত্ব এখন থেকে আমিই পালন করব।

মদন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফেরদৌস আলম বলেন, নান্দু মীর ও হিমা আক্তারের লাশ ময়নাতদন্ত শেষে বালালী গ্রামের কবরস্থানে গত বুধবার রাতে দাফন করা হয়েছে। তবে এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি।

নেত্রকোনা পুলিশ সুপার (এসপি) মো. আকবর আলী মুনসী জানান, আমি তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। তদন্তের সুবিধার্থে পিবিআই ও সিআইডির দল ঘটনাস্থল ঘেরাও করে রেখে আলামত সংগ্রহ করেছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে শাবল দিয়ে নান্দু মীর স্ত্রীকে হত্যা করে নিজে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার পথ বেঁচে নিয়েছে।

পুলিশ ও সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার নায়েকপুর ইউনিয়নের আলমশ্রী গ্রামের মৃত শামছু মীরের ছেলে নান্দু মীরের সঙ্গে একই উপজেলার তিয়শ্রী ইউনিয়নের বালালী গ্রামের আব্দুল মন্নাফের মেয়ে হিমা আক্তারের বিয়ে হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বিএনপি আমলের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মিলনকে বিমানবন্দর থেকে ফিরিয়ে দিল ইমিগ্রেশন পুলিশ

মনগড়া সংস্কার প্রস্তাব জাতির জীবনে দীর্ঘ মেয়াদে অকল্যাণ ডেকে নিয়ে আসতে পারে, বিএনপির হুঁশিয়ারি

রাজধানীতে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় যশোরের বিএনপি নেতা নিহত

‘বিএনপি ক্ষমতায় এলে আ.লীগ কর্মীরা নিরাপদে থাকবে’

সোনার দাম আরও কমে দুই লাখের ঘরে

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ