জুবায়ের আহম্মেদ
মারজানা মোনেফা ২০১৮ সালে ঢাকার ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ব্যাচেলর অব ফার্মেসি সম্পন্ন করেন। বর্তমানে একজন সম্পূর্ণ অর্থায়িত বৃত্তিধারী এবং অটোয়া হার্ট ইনস্টিটিউট বিশ্ববিদ্যালয়ে বায়োকেমিস্ট্রিতে পিএইচডি করছেন। তিনি এর আগে ‘ইয়ং লিডার’স প্রোগ্রাম সিজন ফাইভে পুরস্কার জিতেছেন। এই বৃত্তি পাওয়ায় তাঁর বসবাসের খরচ, বিমানভাড়ার পাশাপাশি ভিসা প্রসেসিং ফি দিতে সাহায্য করেছিল। বাংলাদেশ থেকে যারা কানাডায় পিএইচডি করতে যেতে চান তাদের উদ্দেশ্যে আরও বিস্তারিত তথ্য জানিয়েছেন তিনি।
নিউফাউন্ডল্যান্ডের মেমোরিয়াল ইউনিভার্সিটিতে বায়োকেমিস্ট্রিতে মাস্টার্স সম্পন্ন করেছেন মারজানা মোনেফা। তিনি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সম্পূর্ণ অর্থায়িত বৃত্তি এবং টিউশন ফি কভার করার জন্য তাঁর তাৎক্ষণিক সুপারভাইজারের অনুদানও পেয়েছেন। তাঁর মাস্টার্সে মূল ফোকাস ছিল হৃদ্রোগের গবেষণা, যা বিশ্বের এক নম্বর ঘাতক রোগ। এ ছাড়া ‘তিন মিনিটের থিসিস’ সেগমেন্টে তিনটি পুরস্কার রয়েছে তাঁর ঝুলিতে।
নিখুঁত গবেষণার জন্য প্রয়োজন দক্ষ সুপারভাইজার
যেকোনো গবেষণা শিক্ষার্থীর অর্থাৎ যাঁরা ল্যাবে কাজ করবেন তাঁদের একজন সুপারভাইজার প্রয়োজন হবে। সুপারভাইজাররা সাধারণত স্নাতকোত্তর, পিএইচডি বা পোস্ট ডক্টরাল সহকর্মী শিক্ষার্থীদের খুঁজে থাকেন। সাধারণত সুপারভাইজাররা তাঁদের ল্যাব ওয়েবসাইটে বিজ্ঞাপন দেন। আপনি যদি নিখুঁত গবেষণাকর্ম করতে চান তাহলে আপনাকে একজন দক্ষ সুপারভাইজার খুঁজে বের করতে হবে। এরপর আপনাকে তাঁর অধীনে নেওয়ার জন্য রাজি করাতে হবে। আপনার যে বিষয়ে কাজ করার ইচ্ছা, সে বিষয়ের সুপারভাইজার আপনাকে রাজি করাতে হবে। পছন্দসই বিভাগের অনুষদের তালিকাসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাইটে ভিজিট করে প্রতিটি অধ্যাপকের প্রোফাইলে যান এবং তাঁদের গবেষণা পড়েন। তাঁদের কাছে প্রকাশনার তালিকা থাকবে, যা আপনাকে ল্যাবটি কতটা ভালো তার ধারণা দেবে। তাঁদের প্রোফাইলেই ই-মেইল অ্যাড্রেস দেওয়া থাকবে, যেখানে ই-মেইল করে আপনি তাঁদের ল্যাবে কাজ করার আগ্রহ দেখিয়ে তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন।
কীভাবে একজন অধ্যাপকের সঙ্গে যোগাযোগ করবেন?
প্রথমত, কানাডা থেকে প্রফেসররা সারা দিন হাজার হাজার ই-মেইল পান। তাঁরা শুধু পাঠদানের ক্লাসেই ব্যস্ত নন বরং অনুদানও লেখেন, যা তাঁদের গবেষণার অর্থ জোগায় এবং শিক্ষার্থীদের বৃত্তি প্রদান করতে সাহায্য করে। তাই, আপনার ই-মেইল সত্যিই স্ট্যান্ড আউট হওয়া প্রয়োজন। আমি চাইলেই এই লেখাতে ই-মেইলের নমুনা দিতে পারতাম কিন্তু সেটি খুব একটা অনন্য হবে না। তাই প্রথমে নিজেকে অধ্যয়ন করুন, নিজেকে জানুন, নিজেকে নিয়ে ভাবুন যে আপনি সত্যিই প্রফেসরকে কী দিতে পারেন যে তিনি আপনাকে ল্যাবে কাজ করার জন্য নিতে পারেন? আপনার গবেষণার অভিজ্ঞতাগুলো কী? আপনার অনুপ্রেরণা বা শক্তি কী? তা লিখুন। আপনি যদি অনার্স বা মাস্টার্স করেন এবং সেগুলোতে ল্যাবে কাজ থাকলে আপনার জন্য তা বোনাস হয়ে যাবে। আপনার গবেষণা নিবন্ধ, কাজের অভিজ্ঞতা যা আপনার ক্ষেত্রের সঙ্গে সম্পর্কিত, সিজিপিএ, সেমিনারের অভিজ্ঞতা, আইইএলটিএস স্কোর এবং পাঠ্যক্রমবহির্ভূত কার্যক্রমও অর্থাৎ স্বেচ্ছাসেবী কাজের প্রশংসা করে থাকেন তাই সেগুলো ই-মেইলে উল্লেখ করুন। এখন এই তথ্যগুলো সিভিতেও থাকে। তবে প্রফেসরের মনোযোগ আকর্ষণের জন্য তা ই-মেইলে লিখতে হবে।
বৃত্তির জন্য কখন কথা বলবেন
আমার বর্তমান পিএইচডি অধ্যাপক রিভার্সিং এথেরোস্ক্লেরোসিস নিয়ে কাজ করেন। আমি তাঁকে এমএসসিতে আমার গবেষণার অভিজ্ঞতা সম্পর্কে বলেছিলাম। কাজ এবং আমার বায়োইনফোমেটিক্স দক্ষতা সেট আছে, যা বর্তমান প্রকল্পের সঙ্গে সাহায্য করতে পারে। আমি আমার পুরস্কারগুলো সম্পর্কেও বলেছিলাম, যা আমাকে অনন্য করে তোলে এবং তাঁকে বলেছিলাম যে আমার যোগাযোগ এবং নেতৃত্বের দক্ষতা রয়েছে, যা ভবিষ্যতের স্বাধীন গবেষকদের জন্য প্রয়োজন। আমি আমার সিজিপিএ উল্লেখ করেছি। পরের দিন সকালে আমার অধ্যাপক আমার সিভি চেয়েছিলেন এবং একটি ইন্টারভিউ করার সিদ্ধান্ত নেন। এভাবেই আমি পিএইচডি গবেষণার জন্য মনোনীত হই। আপনার যদি স্ব-তহবিল থাকে, তবে ই-মেইলে উল্লেখ করুন, যদি না থাকে তবে বৃত্তির বিষয়ে এখনই কথা বলবেন না।
সাক্ষাৎকারে যা করবেন
আপনাকে যদি সাক্ষাৎকার বা ইন্টারভিউয়ের জন্য ডাকা হয় তবে ধরে নিন যে আপনি ইতিমধ্যেই আপনার সম্ভাব্য অধ্যাপকের হৃদয়ের ৫০ শতাংশ জয় করেছেন। তাঁরা এখন শুধু দেখতে চাইবে আপনি অরিজিনাল কি না, এবং আপনি কতটা ডায়নামিক। আমার টিপস হলো, আপনার সম্ভাব্য অধ্যাপকের অন্তত ১০টি রিসেন্ট রিসার্চ পেপার পড়ুন। ভালো পোশাক পরিধান করুন এবং বিশ্বাস করুন আপনি ইতিমধ্যে এটি পেয়েছেন। আপনি যাই বলুন না কেন, তাঁরা যাচাই করবে আপনি কতটা ডায়নামিক। তাই তাঁদের বলুন আপনি মানিয়ে নিতে পারেন। আপনার সব দক্ষতা দিয়ে কাজ করে যাবেন, সেটাও বলুন। শেষ পর্যন্ত তাঁরা জিজ্ঞেস করবে আপনার কোনো প্রশ্ন থাকলে, তাই কমপক্ষে তিনটি প্রশ্ন প্রস্তুত করুন। তাঁরা দেখতে চাইবে আপনি কতটা সিরিয়াস। আপনি তাঁদের রিসার্চের সঙ্গে সম্পর্কিত একটি প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করতে পারেন, ল্যাবে ফান্ডিং পরিস্থিতি কী, তা উল্লেখ করতে পারেন। আপনার অধ্যাপককে জিজ্ঞেস করুন যে তাঁরা আপনাকে অর্থায়ন করতে পারবে কি না।
কখনো হাল ছেড়ে দেবেন না
ইন্টারভিউ দেওয়ার পর যদি আপনার প্রফেসর আপনাকে নেন তাহলে আপনাকে ফিডব্যাক মেইল করবেন। সাধারণত যদি তাঁরা আপনাকে নিয়ে যান, তাহলে আপনারও বৃত্তি থাকবে। ইন্টারভিউতে স্ট্যান্ড আউট করার জন্য আপনাকে বিভিন্ন কথাবার্তা ও কার্যক্রমের মাধ্যমে নিজের ইমেজ তৈরি করতে হবে। বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করুন, স্বেচ্ছাসেবী কাজ করুন, প্রকাশনার জন্য রিসার্চ পেপার লিখুন, সব সময় আপনার বাংলাদেশি অধ্যাপকদের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক রাখুন এবং তাঁদের জানান যে আপনি তাঁদের সঙ্গে রিসার্চ পেপার লিখতে আগ্রহী। মনে রাখবেন তাঁরা আপনাকে একটি ভালো রেফারেন্সও দেবেন। যদিও সিজিপিএ একটি বোনাস কিন্তু এটি সবকিছু নয়। এমনকি আপনার কম সিজিপিএ থাকলেও আপনি ফুল ফান্ড পেতে পারেন। তাই নিজেকে বিশ্বাস করুন এবং একাধিক অধ্যাপককে ই-মেইল করা শুরু করুন। কখনো হাল ছেড়ে দেবেন না।
অনুলিখন: জুবায়ের আহম্মেদ
মারজানা মোনেফা ২০১৮ সালে ঢাকার ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ব্যাচেলর অব ফার্মেসি সম্পন্ন করেন। বর্তমানে একজন সম্পূর্ণ অর্থায়িত বৃত্তিধারী এবং অটোয়া হার্ট ইনস্টিটিউট বিশ্ববিদ্যালয়ে বায়োকেমিস্ট্রিতে পিএইচডি করছেন। তিনি এর আগে ‘ইয়ং লিডার’স প্রোগ্রাম সিজন ফাইভে পুরস্কার জিতেছেন। এই বৃত্তি পাওয়ায় তাঁর বসবাসের খরচ, বিমানভাড়ার পাশাপাশি ভিসা প্রসেসিং ফি দিতে সাহায্য করেছিল। বাংলাদেশ থেকে যারা কানাডায় পিএইচডি করতে যেতে চান তাদের উদ্দেশ্যে আরও বিস্তারিত তথ্য জানিয়েছেন তিনি।
নিউফাউন্ডল্যান্ডের মেমোরিয়াল ইউনিভার্সিটিতে বায়োকেমিস্ট্রিতে মাস্টার্স সম্পন্ন করেছেন মারজানা মোনেফা। তিনি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সম্পূর্ণ অর্থায়িত বৃত্তি এবং টিউশন ফি কভার করার জন্য তাঁর তাৎক্ষণিক সুপারভাইজারের অনুদানও পেয়েছেন। তাঁর মাস্টার্সে মূল ফোকাস ছিল হৃদ্রোগের গবেষণা, যা বিশ্বের এক নম্বর ঘাতক রোগ। এ ছাড়া ‘তিন মিনিটের থিসিস’ সেগমেন্টে তিনটি পুরস্কার রয়েছে তাঁর ঝুলিতে।
নিখুঁত গবেষণার জন্য প্রয়োজন দক্ষ সুপারভাইজার
যেকোনো গবেষণা শিক্ষার্থীর অর্থাৎ যাঁরা ল্যাবে কাজ করবেন তাঁদের একজন সুপারভাইজার প্রয়োজন হবে। সুপারভাইজাররা সাধারণত স্নাতকোত্তর, পিএইচডি বা পোস্ট ডক্টরাল সহকর্মী শিক্ষার্থীদের খুঁজে থাকেন। সাধারণত সুপারভাইজাররা তাঁদের ল্যাব ওয়েবসাইটে বিজ্ঞাপন দেন। আপনি যদি নিখুঁত গবেষণাকর্ম করতে চান তাহলে আপনাকে একজন দক্ষ সুপারভাইজার খুঁজে বের করতে হবে। এরপর আপনাকে তাঁর অধীনে নেওয়ার জন্য রাজি করাতে হবে। আপনার যে বিষয়ে কাজ করার ইচ্ছা, সে বিষয়ের সুপারভাইজার আপনাকে রাজি করাতে হবে। পছন্দসই বিভাগের অনুষদের তালিকাসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাইটে ভিজিট করে প্রতিটি অধ্যাপকের প্রোফাইলে যান এবং তাঁদের গবেষণা পড়েন। তাঁদের কাছে প্রকাশনার তালিকা থাকবে, যা আপনাকে ল্যাবটি কতটা ভালো তার ধারণা দেবে। তাঁদের প্রোফাইলেই ই-মেইল অ্যাড্রেস দেওয়া থাকবে, যেখানে ই-মেইল করে আপনি তাঁদের ল্যাবে কাজ করার আগ্রহ দেখিয়ে তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন।
কীভাবে একজন অধ্যাপকের সঙ্গে যোগাযোগ করবেন?
প্রথমত, কানাডা থেকে প্রফেসররা সারা দিন হাজার হাজার ই-মেইল পান। তাঁরা শুধু পাঠদানের ক্লাসেই ব্যস্ত নন বরং অনুদানও লেখেন, যা তাঁদের গবেষণার অর্থ জোগায় এবং শিক্ষার্থীদের বৃত্তি প্রদান করতে সাহায্য করে। তাই, আপনার ই-মেইল সত্যিই স্ট্যান্ড আউট হওয়া প্রয়োজন। আমি চাইলেই এই লেখাতে ই-মেইলের নমুনা দিতে পারতাম কিন্তু সেটি খুব একটা অনন্য হবে না। তাই প্রথমে নিজেকে অধ্যয়ন করুন, নিজেকে জানুন, নিজেকে নিয়ে ভাবুন যে আপনি সত্যিই প্রফেসরকে কী দিতে পারেন যে তিনি আপনাকে ল্যাবে কাজ করার জন্য নিতে পারেন? আপনার গবেষণার অভিজ্ঞতাগুলো কী? আপনার অনুপ্রেরণা বা শক্তি কী? তা লিখুন। আপনি যদি অনার্স বা মাস্টার্স করেন এবং সেগুলোতে ল্যাবে কাজ থাকলে আপনার জন্য তা বোনাস হয়ে যাবে। আপনার গবেষণা নিবন্ধ, কাজের অভিজ্ঞতা যা আপনার ক্ষেত্রের সঙ্গে সম্পর্কিত, সিজিপিএ, সেমিনারের অভিজ্ঞতা, আইইএলটিএস স্কোর এবং পাঠ্যক্রমবহির্ভূত কার্যক্রমও অর্থাৎ স্বেচ্ছাসেবী কাজের প্রশংসা করে থাকেন তাই সেগুলো ই-মেইলে উল্লেখ করুন। এখন এই তথ্যগুলো সিভিতেও থাকে। তবে প্রফেসরের মনোযোগ আকর্ষণের জন্য তা ই-মেইলে লিখতে হবে।
বৃত্তির জন্য কখন কথা বলবেন
আমার বর্তমান পিএইচডি অধ্যাপক রিভার্সিং এথেরোস্ক্লেরোসিস নিয়ে কাজ করেন। আমি তাঁকে এমএসসিতে আমার গবেষণার অভিজ্ঞতা সম্পর্কে বলেছিলাম। কাজ এবং আমার বায়োইনফোমেটিক্স দক্ষতা সেট আছে, যা বর্তমান প্রকল্পের সঙ্গে সাহায্য করতে পারে। আমি আমার পুরস্কারগুলো সম্পর্কেও বলেছিলাম, যা আমাকে অনন্য করে তোলে এবং তাঁকে বলেছিলাম যে আমার যোগাযোগ এবং নেতৃত্বের দক্ষতা রয়েছে, যা ভবিষ্যতের স্বাধীন গবেষকদের জন্য প্রয়োজন। আমি আমার সিজিপিএ উল্লেখ করেছি। পরের দিন সকালে আমার অধ্যাপক আমার সিভি চেয়েছিলেন এবং একটি ইন্টারভিউ করার সিদ্ধান্ত নেন। এভাবেই আমি পিএইচডি গবেষণার জন্য মনোনীত হই। আপনার যদি স্ব-তহবিল থাকে, তবে ই-মেইলে উল্লেখ করুন, যদি না থাকে তবে বৃত্তির বিষয়ে এখনই কথা বলবেন না।
সাক্ষাৎকারে যা করবেন
আপনাকে যদি সাক্ষাৎকার বা ইন্টারভিউয়ের জন্য ডাকা হয় তবে ধরে নিন যে আপনি ইতিমধ্যেই আপনার সম্ভাব্য অধ্যাপকের হৃদয়ের ৫০ শতাংশ জয় করেছেন। তাঁরা এখন শুধু দেখতে চাইবে আপনি অরিজিনাল কি না, এবং আপনি কতটা ডায়নামিক। আমার টিপস হলো, আপনার সম্ভাব্য অধ্যাপকের অন্তত ১০টি রিসেন্ট রিসার্চ পেপার পড়ুন। ভালো পোশাক পরিধান করুন এবং বিশ্বাস করুন আপনি ইতিমধ্যে এটি পেয়েছেন। আপনি যাই বলুন না কেন, তাঁরা যাচাই করবে আপনি কতটা ডায়নামিক। তাই তাঁদের বলুন আপনি মানিয়ে নিতে পারেন। আপনার সব দক্ষতা দিয়ে কাজ করে যাবেন, সেটাও বলুন। শেষ পর্যন্ত তাঁরা জিজ্ঞেস করবে আপনার কোনো প্রশ্ন থাকলে, তাই কমপক্ষে তিনটি প্রশ্ন প্রস্তুত করুন। তাঁরা দেখতে চাইবে আপনি কতটা সিরিয়াস। আপনি তাঁদের রিসার্চের সঙ্গে সম্পর্কিত একটি প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করতে পারেন, ল্যাবে ফান্ডিং পরিস্থিতি কী, তা উল্লেখ করতে পারেন। আপনার অধ্যাপককে জিজ্ঞেস করুন যে তাঁরা আপনাকে অর্থায়ন করতে পারবে কি না।
কখনো হাল ছেড়ে দেবেন না
ইন্টারভিউ দেওয়ার পর যদি আপনার প্রফেসর আপনাকে নেন তাহলে আপনাকে ফিডব্যাক মেইল করবেন। সাধারণত যদি তাঁরা আপনাকে নিয়ে যান, তাহলে আপনারও বৃত্তি থাকবে। ইন্টারভিউতে স্ট্যান্ড আউট করার জন্য আপনাকে বিভিন্ন কথাবার্তা ও কার্যক্রমের মাধ্যমে নিজের ইমেজ তৈরি করতে হবে। বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করুন, স্বেচ্ছাসেবী কাজ করুন, প্রকাশনার জন্য রিসার্চ পেপার লিখুন, সব সময় আপনার বাংলাদেশি অধ্যাপকদের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক রাখুন এবং তাঁদের জানান যে আপনি তাঁদের সঙ্গে রিসার্চ পেপার লিখতে আগ্রহী। মনে রাখবেন তাঁরা আপনাকে একটি ভালো রেফারেন্সও দেবেন। যদিও সিজিপিএ একটি বোনাস কিন্তু এটি সবকিছু নয়। এমনকি আপনার কম সিজিপিএ থাকলেও আপনি ফুল ফান্ড পেতে পারেন। তাই নিজেকে বিশ্বাস করুন এবং একাধিক অধ্যাপককে ই-মেইল করা শুরু করুন। কখনো হাল ছেড়ে দেবেন না।
অনুলিখন: জুবায়ের আহম্মেদ
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪