গৌরনদী প্রতিনিধি
নিত্যপণ্যের লাগামছাড়া মূল্যবৃদ্ধিতে হিমশিম খাচ্ছেন গৌরনদী উপজেলার ৭টি ইউনিয়ন ও পৌর এলাকার নিম্ন আয়ের মানুষ। এদিকে এই পরিস্থিতিতে মধ্যবিত্তরাও ভিড় করছেন ওএমএস ও টিসিবির বিক্রয়কেন্দ্রগুলোতে। চাহিদার চেয়ে সরবরাহ কম থাকায় লাইনে দাঁড়িয়ে দিন শেষে অনেককেই ফিরতে হচ্ছে খালি হাতে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, নিত্যপণ্যের লাগামছাড়া মূল্য বৃদ্ধি প্রতিরোধে সরকারিভাবে গৌরনদী পৌর এলাকায় ওএমএসের ৪ জন ও উপজেলায় টিসিবির ৭ জন ডিলার নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এসব ডিলারের কাছে কম দামে পণ্য কিনতে প্রতিদিন হাজার হাজার নারী-পুরুষ ভিড় করেছেন। অনেকে আত্মসম্মানের ভয়ে মুখ ঢেকে লাইনে দাঁড়িয়ে পণ্য কিনছেন। কেউ পণ্য না পেয়ে হতাশ হয়ে ফিরে যাচ্ছেন।
ওএমএসের পণ্য কিনতে আসা কয়েকজন জানান, এখানে প্রতি কেজি চাল ৩০ টাকা ও আটা ১৮ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। বাইরে থেকে এসব পণ্য কিনতে দ্বিগুণের বেশি টাকার প্রয়োজন হয়। এ সময় অনেককেই দেখা গেছে কাপড়ে মুখ ঢেকে রেখেছেন। তাঁরা জানান, একটু সাশ্রয়ে পণ্য কেনার জন্য লাইনে দাঁড়িয়েছেন, কিন্তু চান না পরিচয় প্রকাশ পাক।
গত শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় দিকে গৌরনদী উপজেলার দক্ষিণ পালরদী ৪ নম্বর ওয়ার্ডে মাছবাজারের পাশে ওএমএসের ডিলার হানিফের বিক্রয়কেন্দ্রে পণ্যসামগ্রী কিনতে মানুষের উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে।
গয়নাঘাটা সেতুর ঢালে ওএমএসের পণ্য নিতে আশা লাইনে দাঁড়ানো একজন গৃহিণীর সঙ্গে কথা হয়। তাঁর স্বামী একটি কোম্পানিতে চাকরি করেন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, প্রতিদিন বাজারে গিয়ে দেখি পণ্যের দাম বাড়ছে। ৫০-৬০ টাকার নিচে তরকারি কেনা যায় না। বাজারে চাল সর্বনিম্ন ৫০-৫৫ টাকা আর আটা ৪০, এদিকে ওএমএসের চাল ৩০ টাকা আর আটা ১৮ টাকা।
চাল নিতে লাইনে দাঁড়ানো ফিরোজা জানান, আমার পরিবারে ৬ জন সদস্য। স্বামীর আয়ে মোটামুটি ভালোই চলছিলাম, কিন্তু জিনিসপত্রের দাম বাড়ায় পেরে উঠছি না। তাই বাধ্য হয়ে এখান থেকে চাল নিতে এসেছি।
আকলিমা, রানু, রাহিমা জানান, প্রতিদিন বাজারে সবকিছুর দাম বাড়ছে। তাই বাধ্য হয়ে ওএমএসের লাইনে দাঁড়িয়েছেন। প্রায় ৫ ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন। সরকারের কাছে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের জোর দাবি জানিয়েছেন তারা।
ওএমএস ডিলার হানিফ বলেন, ‘আমাদের জন্য যে পরিমাণ পণ্য বরাদ্দ ছিল যারা আসতেন তাতে মোটামুটি চলে যেত। কিন্তু জিনিসপত্রের দাম বাড়ায় এখন দরিদ্রদের পাশাপাশি মধ্যবিত্তরাও আসছেন পণ্য নিতে। এখন প্রতিনিয়ত উপচে পড়া ভিড় হচ্ছে। আমরা প্রতিদিনে বরাদ্দ থেকে ২০০ পরিবারকে ৫ কেজি চাল ও ৫ কেজি আটা দিতে পারি। কিন্তু পণ্য কিনতে মানুষ আসেন হাজারেরও বেশি। শেষ পর্যন্ত অনেককে খালি হাতে ফিরতে হয়। প্রতিদিন অর্ধেক পরিমাণ মানুষ পণ্য পান, বাকি অর্ধেকেরও বেশি খালি হাতে ফিরে যান।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বলেন, বাজার স্বাভাবিক রাখতে তদারকি, ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানসহ নানান কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। এ ছাড়া ডিলারদের বরাদ্দ বাড়ানোর জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। বরাদ্দ বৃদ্ধি করা হলে আর সমস্যা থাকবে না। রমজান সামনে রেখে বাজার নিয়ন্ত্রণে আমাদের কার্যক্রম চলমান রয়েছে।’
নিত্যপণ্যের লাগামছাড়া মূল্যবৃদ্ধিতে হিমশিম খাচ্ছেন গৌরনদী উপজেলার ৭টি ইউনিয়ন ও পৌর এলাকার নিম্ন আয়ের মানুষ। এদিকে এই পরিস্থিতিতে মধ্যবিত্তরাও ভিড় করছেন ওএমএস ও টিসিবির বিক্রয়কেন্দ্রগুলোতে। চাহিদার চেয়ে সরবরাহ কম থাকায় লাইনে দাঁড়িয়ে দিন শেষে অনেককেই ফিরতে হচ্ছে খালি হাতে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, নিত্যপণ্যের লাগামছাড়া মূল্য বৃদ্ধি প্রতিরোধে সরকারিভাবে গৌরনদী পৌর এলাকায় ওএমএসের ৪ জন ও উপজেলায় টিসিবির ৭ জন ডিলার নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এসব ডিলারের কাছে কম দামে পণ্য কিনতে প্রতিদিন হাজার হাজার নারী-পুরুষ ভিড় করেছেন। অনেকে আত্মসম্মানের ভয়ে মুখ ঢেকে লাইনে দাঁড়িয়ে পণ্য কিনছেন। কেউ পণ্য না পেয়ে হতাশ হয়ে ফিরে যাচ্ছেন।
ওএমএসের পণ্য কিনতে আসা কয়েকজন জানান, এখানে প্রতি কেজি চাল ৩০ টাকা ও আটা ১৮ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। বাইরে থেকে এসব পণ্য কিনতে দ্বিগুণের বেশি টাকার প্রয়োজন হয়। এ সময় অনেককেই দেখা গেছে কাপড়ে মুখ ঢেকে রেখেছেন। তাঁরা জানান, একটু সাশ্রয়ে পণ্য কেনার জন্য লাইনে দাঁড়িয়েছেন, কিন্তু চান না পরিচয় প্রকাশ পাক।
গত শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় দিকে গৌরনদী উপজেলার দক্ষিণ পালরদী ৪ নম্বর ওয়ার্ডে মাছবাজারের পাশে ওএমএসের ডিলার হানিফের বিক্রয়কেন্দ্রে পণ্যসামগ্রী কিনতে মানুষের উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে।
গয়নাঘাটা সেতুর ঢালে ওএমএসের পণ্য নিতে আশা লাইনে দাঁড়ানো একজন গৃহিণীর সঙ্গে কথা হয়। তাঁর স্বামী একটি কোম্পানিতে চাকরি করেন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, প্রতিদিন বাজারে গিয়ে দেখি পণ্যের দাম বাড়ছে। ৫০-৬০ টাকার নিচে তরকারি কেনা যায় না। বাজারে চাল সর্বনিম্ন ৫০-৫৫ টাকা আর আটা ৪০, এদিকে ওএমএসের চাল ৩০ টাকা আর আটা ১৮ টাকা।
চাল নিতে লাইনে দাঁড়ানো ফিরোজা জানান, আমার পরিবারে ৬ জন সদস্য। স্বামীর আয়ে মোটামুটি ভালোই চলছিলাম, কিন্তু জিনিসপত্রের দাম বাড়ায় পেরে উঠছি না। তাই বাধ্য হয়ে এখান থেকে চাল নিতে এসেছি।
আকলিমা, রানু, রাহিমা জানান, প্রতিদিন বাজারে সবকিছুর দাম বাড়ছে। তাই বাধ্য হয়ে ওএমএসের লাইনে দাঁড়িয়েছেন। প্রায় ৫ ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন। সরকারের কাছে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের জোর দাবি জানিয়েছেন তারা।
ওএমএস ডিলার হানিফ বলেন, ‘আমাদের জন্য যে পরিমাণ পণ্য বরাদ্দ ছিল যারা আসতেন তাতে মোটামুটি চলে যেত। কিন্তু জিনিসপত্রের দাম বাড়ায় এখন দরিদ্রদের পাশাপাশি মধ্যবিত্তরাও আসছেন পণ্য নিতে। এখন প্রতিনিয়ত উপচে পড়া ভিড় হচ্ছে। আমরা প্রতিদিনে বরাদ্দ থেকে ২০০ পরিবারকে ৫ কেজি চাল ও ৫ কেজি আটা দিতে পারি। কিন্তু পণ্য কিনতে মানুষ আসেন হাজারেরও বেশি। শেষ পর্যন্ত অনেককে খালি হাতে ফিরতে হয়। প্রতিদিন অর্ধেক পরিমাণ মানুষ পণ্য পান, বাকি অর্ধেকেরও বেশি খালি হাতে ফিরে যান।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বলেন, বাজার স্বাভাবিক রাখতে তদারকি, ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানসহ নানান কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। এ ছাড়া ডিলারদের বরাদ্দ বাড়ানোর জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। বরাদ্দ বৃদ্ধি করা হলে আর সমস্যা থাকবে না। রমজান সামনে রেখে বাজার নিয়ন্ত্রণে আমাদের কার্যক্রম চলমান রয়েছে।’
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
৭ দিন আগেপাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
৭ দিন আগেভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলা নিয়ে দুই চিরবৈরী প্রতিবেশীর মধ্যে উত্তেজনার পারদ ক্রমেই চড়ছিল। তা তুঙ্গে উঠল এবার পাকিস্তানের ভূখণ্ডে ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামের ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান হামলা দিয়ে। পাশাপাশি সীমান্তেও দুই দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলি হয়েছে...
৭ দিন আগেঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫