সেলিম হায়দার, তালা (সাতক্ষীরা)
সাতক্ষীরার তালা উপজেলার পাখিমারা বিলের জোয়ারধার (টিআরএম) প্রকল্পের আওতায় থাকা পেরিফেরাল বাঁধ কেটে চাষাবাদ শুরু করেছেন কৃষকেরা। গত নয় বছর ধরে জমি অধিগ্রহণের টাকা (হারি) না পেয়ে এমনটা করছেন বলে দাবি স্থানীয় কৃষকদের। একদিকে হারির টাকা না পেয়ে যেমন জমির মালিকেরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। অন্যদিকে প্রকল্পের কার্যক্রম বাস্তবায়ন না হলে পুনরায় কপোতাক্ষ নদ ভরাট হয়ে এসব অঞ্চলে জলাবদ্ধতার আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা। এর ফলে মারাত্মক ক্ষতির মুখে পড়বেন এসব অঞ্চলের চাষিরা।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ২০১১-১২ সালে কপোতাক্ষ প্রকল্পের আওতায় সাতক্ষীরার তালা উপজেলার পাখিমারা বিলের জোয়ারধার (টিআরএম) তৈরির উদ্যোগ নেয় সরকার। এ জন্য উপজেলার জালালপুর, খাশরা, মাগুরা ইউনিয়নের ইউনিয়নের কৃষকদের জমি অধিগ্রহণ করা হয়। অধিগ্রহণের পর প্রথম দুবছর (২০১১ ও ২০১২ সালে) জমির মালিকদের হারি (ইজারার টাকা) দেওয়া হয়। সরকারি হিসেব অনুযায়ী এসব এলাকার ৮৪ শতাংশ কৃষক এই হারি পান। এর পরে হঠাৎ করেই হারি দেওয়া বন্ধ হয়ে যায়। গত নয় বছর ধরে হারি পাননি জমির মালিকেরা। এ কারণে এসব এলাকার কৃষক ও চাষিরা বাঁধ কেটে দুবছর ধরে চাষাবাদ শুরু করেছেন। ২০১৯ সাল থেকে জমিতে ফসল ফলিয়ে আসছেন কৃষকেরা।
উপজেলার দোহার গ্রামের গোলাম মোস্তফা বলেন, ‘টিআরএম প্রকল্পের মধ্যে আমাদের চার ভাইয়ের ৪০ বিঘা জমি রয়েছে। দুবছর হারি পাওয়ার পরে নয় বছর হয়ে গেল আমরা এ জমি বাবদ কোনো টাকা পাই না। এতে করে আমাদের অর্থনৈতিক সমস্যা দেখা দিলে আমরা বাধ্য হয়ে আবার ধান লাগাতে শুরু করেছি।’
একই গ্রামের আ. বারি সরদার (৪৮) বলেন, ‘টিআরএম আবারও হোক সেটা আমরাও চাই। তবে আমাদের এই নয় বছরের হারির টাকা দিতে হবে। অর্থের অভাবে আমার ছেলের লেখাপড়া পর্যন্ত বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। আমাদের অন্য কোনো উপায় নেই।’
তালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রশান্ত কুমার বিশ্বাস বলেন, ‘ওই এলাকার পরিস্থিতি সম্পর্কে পানি উন্নয়ন বোর্ডকে (পাউবো) জানিয়েছি। সরেজমিনে পরিস্থিতির ওপর রিপোর্ট জমা দিতে বলেছে পাউবো।’
যশোর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. তহিদুল ইসলাম বলেন, ‘অনেকের জমির কাগজপত্র ঠিক না থাকায় তাদের হারি পেতে বিলম্ব হচ্ছে।
সাতক্ষীরার তালা উপজেলার পাখিমারা বিলের জোয়ারধার (টিআরএম) প্রকল্পের আওতায় থাকা পেরিফেরাল বাঁধ কেটে চাষাবাদ শুরু করেছেন কৃষকেরা। গত নয় বছর ধরে জমি অধিগ্রহণের টাকা (হারি) না পেয়ে এমনটা করছেন বলে দাবি স্থানীয় কৃষকদের। একদিকে হারির টাকা না পেয়ে যেমন জমির মালিকেরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। অন্যদিকে প্রকল্পের কার্যক্রম বাস্তবায়ন না হলে পুনরায় কপোতাক্ষ নদ ভরাট হয়ে এসব অঞ্চলে জলাবদ্ধতার আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা। এর ফলে মারাত্মক ক্ষতির মুখে পড়বেন এসব অঞ্চলের চাষিরা।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ২০১১-১২ সালে কপোতাক্ষ প্রকল্পের আওতায় সাতক্ষীরার তালা উপজেলার পাখিমারা বিলের জোয়ারধার (টিআরএম) তৈরির উদ্যোগ নেয় সরকার। এ জন্য উপজেলার জালালপুর, খাশরা, মাগুরা ইউনিয়নের ইউনিয়নের কৃষকদের জমি অধিগ্রহণ করা হয়। অধিগ্রহণের পর প্রথম দুবছর (২০১১ ও ২০১২ সালে) জমির মালিকদের হারি (ইজারার টাকা) দেওয়া হয়। সরকারি হিসেব অনুযায়ী এসব এলাকার ৮৪ শতাংশ কৃষক এই হারি পান। এর পরে হঠাৎ করেই হারি দেওয়া বন্ধ হয়ে যায়। গত নয় বছর ধরে হারি পাননি জমির মালিকেরা। এ কারণে এসব এলাকার কৃষক ও চাষিরা বাঁধ কেটে দুবছর ধরে চাষাবাদ শুরু করেছেন। ২০১৯ সাল থেকে জমিতে ফসল ফলিয়ে আসছেন কৃষকেরা।
উপজেলার দোহার গ্রামের গোলাম মোস্তফা বলেন, ‘টিআরএম প্রকল্পের মধ্যে আমাদের চার ভাইয়ের ৪০ বিঘা জমি রয়েছে। দুবছর হারি পাওয়ার পরে নয় বছর হয়ে গেল আমরা এ জমি বাবদ কোনো টাকা পাই না। এতে করে আমাদের অর্থনৈতিক সমস্যা দেখা দিলে আমরা বাধ্য হয়ে আবার ধান লাগাতে শুরু করেছি।’
একই গ্রামের আ. বারি সরদার (৪৮) বলেন, ‘টিআরএম আবারও হোক সেটা আমরাও চাই। তবে আমাদের এই নয় বছরের হারির টাকা দিতে হবে। অর্থের অভাবে আমার ছেলের লেখাপড়া পর্যন্ত বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। আমাদের অন্য কোনো উপায় নেই।’
তালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রশান্ত কুমার বিশ্বাস বলেন, ‘ওই এলাকার পরিস্থিতি সম্পর্কে পানি উন্নয়ন বোর্ডকে (পাউবো) জানিয়েছি। সরেজমিনে পরিস্থিতির ওপর রিপোর্ট জমা দিতে বলেছে পাউবো।’
যশোর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. তহিদুল ইসলাম বলেন, ‘অনেকের জমির কাগজপত্র ঠিক না থাকায় তাদের হারি পেতে বিলম্ব হচ্ছে।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
৫ দিন আগেবিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪