Ajker Patrika

ঢাকা ঘুরে গেলেন উলফা নেতা অনুপ চেটিয়া

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
ঢাকা ঘুরে গেলেন উলফা নেতা অনুপ চেটিয়া

নীরবে বাংলাদেশ ঘুরে গেলেন ভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন ইউনাইটেড লিবারেশন ফ্রন্ট অব আসামের (উলফা) সাধারণ সম্পাদক অনুপ চেটিয়া ওরফে গোলাপ বড়ুয়া। চার দিনের সফর শেষে ১২ ফেব্রুয়ারি তিনি ঢাকা ছাড়েন।

ঢাকা ছাড়ার পর টেলিফোনে অনুপ চেটিয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এটা ছিল আমার পারিবারিক সফর। আমার বেয়াই একজন নীরব মানুষ। তিনি কোনো রাজনীতি করেন না। আমি তাঁকে বিব্রত করতে চাইনি। সে কারণে বন্ধুবান্ধব, শুভাকাঙ্ক্ষী কারও সঙ্গেই ঘটা করে দেখা করা হয়নি।’

জানা গেছে, বাংলাদেশের কারাগারে বন্দী থাকার সময় অনুপ চেটিয়ার পরিবার পরিচয় গোপন করে ঢাকায় থাকত। সে সময় তাঁর মেয়ে বন্যা বড়ুয়া ঢাকার মাস্টারমাইন্ড ইন্টারন্যাশনাল স্কুলে পড়তেন। সেখানেই তাঁর সঙ্গে পরিচয় হয় বাংলাদেশি তরুণ অনির্বাণ চৌধুরীর সঙ্গে। এরপর তাঁদের প্রেম হয়। ধানমন্ডির বাসিন্দা অনির্বাণ এখন অস্ট্রেলিয়ায় থাকেন। গত বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর আসামের গুয়াহাটিতে তাঁদের বিয়ে হয়। সম্প্রতি বন্যা ও অনির্বাণ ঢাকায় আসেন। সেই উপলক্ষে অনুপ চেটিয়ার পরিবারকেও ঢাকায় দাওয়াত দেন তাঁর বেয়াই। পারিবারিক এই নিমন্ত্রণেই চেটিয়া ঢাকায় আসেন।

অনুপ চেটিয়া বলেন, ৯ ফেব্রুয়ারি তিনি আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ঢাকায় আসেন। চার দিনের সফরে পদ্মা সেতুসহ ঢাকার বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান ঘুরে দেখেন। তিনি টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর মাজারে শ্রদ্ধা নিবেদনও করেন। ১২ ফেব্রুয়ারি তিনি হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়ে দেশে ফিরে যান। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের উন্নয়ন দেখে অবাক হয়েছি। পদ্মা সেতু আমার কাছে বিস্ময়কর লেগেছে।’

উলফার প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক অনুপ চেটিয়াকে ১৯৯৭ সালের ২১ ডিসেম্বর ঢাকার মোহাম্মদপুর এলাকার একটি বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর তাঁর বিরুদ্ধে অবৈধভাবে বাংলাদেশে অবস্থান এবং বিদেশি মুদ্রা সঙ্গে রাখা ও একটি স্যাটেলাইট ফোন রাখার অভিযোগে তিনটি মামলা হয়। তিনটি মামলায় যথাক্রমে তিন, চার ও সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ড হয় তাঁর। ২০০৪ সালে তাঁর সাজার মেয়াদ শেষ হলেও তিনি কারাগারে ছিলেন। ২০১৫ সালে সরকার তাঁকে ভারতের কাছে হস্তান্তর করে। দেশে ফিরে তিনি আসামের স্বাধীনতার দাবিতে সশস্ত্র সংগ্রামের পথ থেকে সরে এসে ভারত সরকারের সঙ্গে শান্তি আলোচনায় যোগদান করেন। এ আলোচনা অব্যাহত আছে। এই অবস্থায় তাঁর চলাচলে কোনো বিধিনিষেধ নেই।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত