Ajker Patrika

ময়মনসিংহ অঞ্চলে বিদ্যুৎ ঘাটতি ৫০০ মেগাওয়াট

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি
আপডেট : ৩০ জুলাই ২০২২, ১২: ৩৮
ময়মনসিংহ অঞ্চলে বিদ্যুৎ ঘাটতি ৫০০ মেগাওয়াট

ময়মনসিংহ বিভাগসহ বৃহত্তর ময়মনসিংহের ৬ জেলায় এখনো ৫০০ থেকে ৬০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ ঘাটতি রয়েছে। ময়মনসিংহ জোনের ময়মনসিংহ, টাঙ্গাইল, জামালপুর, কিশোরগঞ্জ, নেত্রকোনা ও শেরপুর জেলায় বিদ্যুতের চাহিদা রয়েছে ১ হাজার ২০০ মেগাওয়াট। বর্তমানে এই অঞ্চলের বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের ৩৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ এবং জেলার বাইরে থেকে পাওয়া ৩৫০ থেকে ৪০০ মেগাওয়াট সরবরাহ করা হচ্ছে।

বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী (দক্ষিণ) ইন্দ্রজিৎ দেবনাথ বলেন, ময়মনসিংহ জোনের ছয় জেলায় বিদ্যুতের চাহিদা রয়েছে ১ হাজার ২০০ মেগাওয়াট। শম্ভুগঞ্জ রুরাল পাওয়ার কোম্পানির (আরপিসিএল) ২১০ মেগাওয়াট উৎপাদনক্ষমতাসম্পন্ন হলেও একটি প্ল্যান্ট বন্ধ রয়েছে গ্যাস স্বল্পতার কারণে। ফলে ১০০ থেকে ১১০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে। 
 জালামপুর ইউনাইটেড পাওয়ার কোম্পানির ৩০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনক্ষমতা হলেও একটি প্ল্যান্ট বন্ধ থাকায় ২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে। জামালপুরের আরেকটি সিকদার গ্রুপের ১০০ মেগাওয়াট উৎপাদিত পাওয়ার কোম্পানি দীর্ঘদিন বন্ধ থাকায় সেখান থেকে বিদ্যুৎ পাওয়া যাচ্ছে না। দিনের বেলায় সুতিয়াখালি ৫০ মেগাওয়াট সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র থেকে 
৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎসহ বর্তমানে জেলায় সাড়ে ৩০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাওয়া যাচ্ছে।

  চাহিদা পূরণের জন্য আশুগঞ্জ এবং গাজীপুর থেকে ৩৫০ থেকে ৪০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আসছে। সব মিলিয়ে ৬০০ থেকে ৭০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাওয়া যাচ্ছে। ময়মনসিংহ জেলায় ২৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুতের চাহিদা থাকলেও দিনের বেলায় পাওয়া যাচ্ছে ১২০ মেগাওয়াট এবং রাতের বেলায় ১৩৫ মেগাওয়াট।

বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ) নির্বাহী প্রকৌশলী (উত্তর) আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘আমার এলাকায় ৭৬ হাজার গ্রাহক রয়েছেন। চাহিদা ৩৮ মেগাওয়াট থাকলেও গড়ে পাওয়া যাচ্ছে ২৭ থেকে ২৮ মেগাওয়াট। শিডিউল মোতাবেক এলাকাভিত্তিক লোডশেডিং দেওয়া হচ্ছে। লোডশেডিং এখন জাতীয় সমস্যা। সেপ্টেম্বর অক্টোবরের দিকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে পারে। বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে আমরা মানুষকে অতিরিক্ত এসি ব্যবহার না করা এবং দোকানপাট রাত আটটার মধ্যে বন্ধে অভিযান অব্যাহত রেখেছি। ঈদের আগে অবৈধভাবে বিদ্যুৎ ব্যবহার বন্ধে অভিযানে প্রায় আড়াই লাখ টাকার মতো জরিমানা করেছি।’

এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ এনামুল হক বলেন, ‘বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তা, ব্যবসায়ী ও সাংবাদিকসহ নানা শ্রেণি পেশার মানুষের সঙ্গে আলোচনা করেছি। নির্ধারিত সময়ে ব্যবসায়ীদের দোকানপাট বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়। অন্যথায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সরকারের নির্দেশনা বাস্তবায়নে সবাইকে বিদ্যুৎ ব্যবহারে সচেতন ও সাশ্রয়ী হতে হবে।’

ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের মেয়র ইকরামূল হক টিটু বলেন, ‘সিটি করপোরেশনের সকল বিভাগকে বিদ্যুৎ ব্যবহারে সাশ্রয়ী হতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। নগরীর মধ্যে সিটি করপোরেশনের যত লাইট রয়েছে তা সীমিত পরিসরে জ্বালানো হচ্ছে। অবৈধ বিদ্যুৎ ব্যবহারকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে অভিযানও অব্যাহত রয়েছে।’ 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত