Ajker Patrika

সেপটিক ট্যাংকের লাশ লিপির খুন হয়েছেন পাঁচ মাস আগে

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
আপডেট : ১৪ জুন ২০২২, ১৩: ৫২
Thumbnail image

চট্টগ্রামের পাঁচলাইশে দুই মাস আগে একটি সেপটিক ট্যাংকে অজ্ঞাতপরিচয় নারীর গলিত মরদেহের রহস্য উদ্‌ঘাটন করেছে গোয়েন্দা পুলিশ।

গোয়েন্দা পুলিশ জানায়, লিপি আক্তার (৪০) নামের ওই নারীকে পাঁচ মাস আগে হত্যা করে তাঁর স্বামী সেপটিক ট্যাংকের ভেতরে মরদেহ ফেলে রাখেন। এ ঘটনায় তাঁর স্বামী শওকত আলীকে (৬৫) গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে নগর গোয়েন্দা পুলিশের উপকমিশনার (উত্তর) মুহাম্মদ আলী হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, নিহত নারীর নাম লিপি আক্তার। তাঁর বাড়ি বরিশালে। পারিবারিক বিরোধে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল সোমবার হত্যায় অভিযুক্ত তাঁর স্বামীকে খুলশী থানা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

ভুক্তভোগী নারীর আংশিক পরিচয় পাওয়া গেলেও বিস্তারিত পরিচয় শনাক্তের জন্য তদন্ত কার্যক্রম অব্যাহত আছে বলে জানান আলী হোসেন।

গত ৭ এপ্রিল পাঁচলাইশ থানার নাসিরাবাদ হাউজিং সোসাইটি ৩ নম্বর রোডের ৬ নম্বর বাসার সেপটিক ট্যাংক পরিষ্কার করা হয়। এ সময় সেপটিক ট্যাংকে মরদেহটি দেখতে পায় পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা। এ ঘটনায় পাঁচলাইশ থানায় একটি মামলা করা হয়।

উপকমিশনার বলেন, গ্রেপ্তার শওকত আলী এমজিএইচ গ্রুপ নামের একটি প্রতিষ্ঠানের নাসিরাবাদ শাখার ক্লিনার হিসাবে কর্মরত রয়েছেন।

নিহত লিপি আক্তার (৪০) ছিলেন তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রী। ২০১৩ সালে তাঁদের মধ্যে ছাড়াছাড়ি হয়। কয়েক বছর হয় পুনরায় তাঁরা একত্রে বসবাস করতে থাকেন।

গত বছরের ৯ নভেম্বর পারিবারিক কলহের জেরে শওকত আলী তাঁর স্ত্রী লিপি আক্তারকে খুলশী থানার ডিজেল কলোনির ভাড়া বাসায় শ্বাসরোধে হত্যা করেন। পরে লাশটি গুমের উদ্দেশ্যে সিএনজিচালিত অটোরিকশাযোগে পাঁচলাইশে নাসিরাবাদ হাউজিং সোসাইটির অফিসের সামনে সেপটিক ট্যাংকে ফেলে আসেন।

মুহাম্মদ আলী হোসেন বলেন, এর আগে গত ২৯ মে মামলাটির তদন্তভার গোয়েন্দা পুলিশের হাতে আসে। মৃতদেহটি বিকৃত, গলিত ও দেহ হতে মস্তক বিচ্ছিন্ন হওয়ার কারণে প্রথমে পরিচয় শনাক্ত করা সম্ভব হচ্ছিল না। আশপাশের সিসিটিভিতে দীর্ঘদিনের ফুটেজ সংরক্ষিত না থাকায় অপরাধীকেও চিহ্নিত করা সম্ভব হচ্ছিল না।

একপর্যায়ে ঘটনাস্থলের পাশে থাকা এমজিএইচ গ্রুপের অফিসের স্টাফদের ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তাঁদের ব্যক্তিগত ও পারিবারিক তথ্য সংগ্রহ ও কল লিস্ট যাচাই-বাছাই করা হয়। এ সময় শওকত আলীকে জিজ্ঞাসাবাদে এবং সিডিআর প্রাপ্ত তথ্যে গরমিল পাওয়ায় তাঁকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে তিনি হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি স্বীকার করেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত