আবির হাকিম, ঢাকা
মাঘে সারা দেশে শীত বাড়লেও ঢাকায় তুলনামূলক কম। তবে যেসব মানুষের কোনো ঘর নেই, এই অল্প শীতও তাদের কাছে আতঙ্কের। কেননা, ঘরহীন এসব মানুষ গরম কাপড় ছাড়াই রাস্তার পাশে, ফুটপাতে, ফুটওভার ব্রিজে, রেলস্টেশনে ঘুমায়।
রাতে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, মোটা কাপড় না পেয়ে কেউ ছেঁড়া চাদর-কাঁথা, কেউবা পরনের পাতলা জামা মুড়িয়ে উষ্ণতা খোঁজার চেষ্টা করেন। আর কেউবা কাগজে আগুন জ্বালিয়ে গরম করেন শরীর। আবার কেউ পলিথিন বিছিয়ে, খবরের কাগজ বিছিয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। অনেকে আবার সারা রাত কাটিয়ে দেন না ঘুমিয়েই। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত দুইটার দিকে সাত-আট বছরের মেয়ে ও স্ত্রীকে নিয়ে হাইকোর্ট মাজারের সামনে রাস্তার কাগজ জমিয়ে আগুন পোহাচ্ছিলেন খবির হোসেন। এত রাতেও না ঘুমানোর কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘রাতে শীতে ঘুম আসে না, রোদ উঠলে ঘুমাতে যাই।’
এ ছাড়া কমলাপুর রেলস্টেশন, রায়েরবাজার, ফার্মগেট, মহাখালীতেও দেখা গেছে ছিন্নমূল মানুষ গরম কাপড়ের অভাবে কুঁজো হয়ে শুয়ে আছে। কমলাপুর স্টেশনে একজন বলেন, ‘আমাদের তো বাড়িঘর নেই, জায়গা জমি নেই। তাই সন্তানদের নিয়ে এখানেই ঘুমাই।’
ছিন্নমূল মানুষদের নিয়ে কাজ করা বেসরকারি সংস্থা সাজিদা ফাউন্ডেশনের তথ্যমতে, ঢাকা শহরে ঘরহীন মানুষের সংখ্যা প্রায় এক লাখ। তাদের সবাই ফুটপাত, রেলস্টেশন কিংবা ফুটওভার ব্রিজেই রাত পার করেন। সংস্থাটির চিফ অপারেটিং অফিসার শিব নারায়ণ কৈরী জানান, সাজিদা ফাউন্ডেশন ‘আমরা মানুষ’ নামে একটা প্রকল্প পরিচালনা করে। কিন্তু বেসরকারিভাবে এত মানুষকে মূলধারায় নিয়ে আসা কঠিন। সিটি করপোরেশনের মতো সেবা দেওয়া সংস্থাগুলো চাইলে খুব সহজেই এদের জন্য আবাসনের ব্যবস্থা করতে পারে।
এদিকে শীতে কষ্ট পাওয়া এসব মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছেন কিছু সুহৃদ। ঘর কিংবা ঘুমানোর জায়গা দিতে না পারলেও কম্বল বা শীতের পোশাক পৌঁছে দিচ্ছেন তাদের কাছে। তবে তা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই কম। কারওয়ান বাজার রেললাইনের পাশে রাত কাটানো আমেনা বেগম বলেন, ‘প্রতিদিনই কিছু মানুষ কম্বল আর গরম কাপড় নিয়ে আসেন। যারা পায় তারাই প্রতিদিন পায়। আমরা যারা দুর্বল, আমাদের কাছে আসতে আসতে কম্বল শেষ হয়ে যায়।’
পরিবাগ এলাকায় রাস্তার পাশে ঘুমানো শীতার্তদের মধ্যে গত বৃহস্পতিবার রাতে কম্বল বিতরণ করেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ২১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আসাদুজ্জামান আসাদ। তিনি বলেন, ‘আমার সামর্থ্য অনুযায়ী প্রতিদিন বিশ-ত্রিশটি কম্বল বিতরণ করি। সবাইকে তো আর দিতে পারি না।’ তিনি বলেন, বিত্তশালীরা শীতার্তদের পাশে একটু উষ্ণতা নিয়ে দাঁড়াতে পারেন। নতুন কাপড় কিনে দিতে না পারলেও পুরোনো কিংবা অপ্রয়োজনীয় কাপড় দিয়ে তাদের সাহায্যে এগিয়ে আসতে পারেন।
মাঘে সারা দেশে শীত বাড়লেও ঢাকায় তুলনামূলক কম। তবে যেসব মানুষের কোনো ঘর নেই, এই অল্প শীতও তাদের কাছে আতঙ্কের। কেননা, ঘরহীন এসব মানুষ গরম কাপড় ছাড়াই রাস্তার পাশে, ফুটপাতে, ফুটওভার ব্রিজে, রেলস্টেশনে ঘুমায়।
রাতে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, মোটা কাপড় না পেয়ে কেউ ছেঁড়া চাদর-কাঁথা, কেউবা পরনের পাতলা জামা মুড়িয়ে উষ্ণতা খোঁজার চেষ্টা করেন। আর কেউবা কাগজে আগুন জ্বালিয়ে গরম করেন শরীর। আবার কেউ পলিথিন বিছিয়ে, খবরের কাগজ বিছিয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। অনেকে আবার সারা রাত কাটিয়ে দেন না ঘুমিয়েই। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত দুইটার দিকে সাত-আট বছরের মেয়ে ও স্ত্রীকে নিয়ে হাইকোর্ট মাজারের সামনে রাস্তার কাগজ জমিয়ে আগুন পোহাচ্ছিলেন খবির হোসেন। এত রাতেও না ঘুমানোর কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘রাতে শীতে ঘুম আসে না, রোদ উঠলে ঘুমাতে যাই।’
এ ছাড়া কমলাপুর রেলস্টেশন, রায়েরবাজার, ফার্মগেট, মহাখালীতেও দেখা গেছে ছিন্নমূল মানুষ গরম কাপড়ের অভাবে কুঁজো হয়ে শুয়ে আছে। কমলাপুর স্টেশনে একজন বলেন, ‘আমাদের তো বাড়িঘর নেই, জায়গা জমি নেই। তাই সন্তানদের নিয়ে এখানেই ঘুমাই।’
ছিন্নমূল মানুষদের নিয়ে কাজ করা বেসরকারি সংস্থা সাজিদা ফাউন্ডেশনের তথ্যমতে, ঢাকা শহরে ঘরহীন মানুষের সংখ্যা প্রায় এক লাখ। তাদের সবাই ফুটপাত, রেলস্টেশন কিংবা ফুটওভার ব্রিজেই রাত পার করেন। সংস্থাটির চিফ অপারেটিং অফিসার শিব নারায়ণ কৈরী জানান, সাজিদা ফাউন্ডেশন ‘আমরা মানুষ’ নামে একটা প্রকল্প পরিচালনা করে। কিন্তু বেসরকারিভাবে এত মানুষকে মূলধারায় নিয়ে আসা কঠিন। সিটি করপোরেশনের মতো সেবা দেওয়া সংস্থাগুলো চাইলে খুব সহজেই এদের জন্য আবাসনের ব্যবস্থা করতে পারে।
এদিকে শীতে কষ্ট পাওয়া এসব মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছেন কিছু সুহৃদ। ঘর কিংবা ঘুমানোর জায়গা দিতে না পারলেও কম্বল বা শীতের পোশাক পৌঁছে দিচ্ছেন তাদের কাছে। তবে তা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই কম। কারওয়ান বাজার রেললাইনের পাশে রাত কাটানো আমেনা বেগম বলেন, ‘প্রতিদিনই কিছু মানুষ কম্বল আর গরম কাপড় নিয়ে আসেন। যারা পায় তারাই প্রতিদিন পায়। আমরা যারা দুর্বল, আমাদের কাছে আসতে আসতে কম্বল শেষ হয়ে যায়।’
পরিবাগ এলাকায় রাস্তার পাশে ঘুমানো শীতার্তদের মধ্যে গত বৃহস্পতিবার রাতে কম্বল বিতরণ করেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ২১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আসাদুজ্জামান আসাদ। তিনি বলেন, ‘আমার সামর্থ্য অনুযায়ী প্রতিদিন বিশ-ত্রিশটি কম্বল বিতরণ করি। সবাইকে তো আর দিতে পারি না।’ তিনি বলেন, বিত্তশালীরা শীতার্তদের পাশে একটু উষ্ণতা নিয়ে দাঁড়াতে পারেন। নতুন কাপড় কিনে দিতে না পারলেও পুরোনো কিংবা অপ্রয়োজনীয় কাপড় দিয়ে তাদের সাহায্যে এগিয়ে আসতে পারেন।
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫