Ajker Patrika

বালুঘাট দখল নিয়ে রণক্ষেত্র

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি
আপডেট : ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১৫: ০৫
বালুঘাট দখল নিয়ে রণক্ষেত্র

ভূঞাপুরে বালুর ঘাট দখল নেওয়াকে কেন্দ্র করে সাবেক ও বর্তমান চেয়ারম্যান সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। এ সময় গুলি ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনাও ঘটে। এ সময় পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সাতটি কাঁদান গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করে। এ ঘটনায় এলাকায় থমথমে পরিবেশ বিরাজ করছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।

গতকাল বুধবার দুপুরে উপজেলার নিকরাইল ইউনিয়নের বাগানবাড়ি এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় বাসিন্দা সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার নিকরাইলে প্রায় ২০টি অবৈধ বালুর ঘাট রয়েছে। এসব ঘাটের বালু ট্রাকযোগে জেলা ও জেলার বাইরে বিভিন্ন প্রান্তে যায়। শুষ্ক মৌসুমে যমুনা নদী শুকিয়ে চর জেগে উঠলে শুরু হয় নদীর পাড় কেটে বিক্রি করা হয়।

বুধবার দুপুরে উপজেলার নিকরাইল ইউনিয়নের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাসুদুল হক মাসুদ এবং সাবেক চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল মতিন সরকারের লোকজন ভিট বালু ঘাটের রাস্তা নির্মাণ ও দখলকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এতে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। এ সময় ককটেল বিস্ফোরণ ও গুলির ছোড়া হয়। এতে দুপক্ষের ১৫ জন আহত হন। পরে পুলিশ গিয়ে দুপক্ষকে ছত্রভঙ্গ করতে সাত রাউন্ড টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে।

এ বিষয়ে নিকরাইল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল মতিন সরকার বলেন, ‘আমরা এই জায়গায় ২০০৯ সাল থেকে বালুর ব্যবসা করে আসছি। এই ঘাটে কাজ করার সময় চেয়ারম্যান মাসুদুল হক মাসুদ ও নুহু মেম্বারের লোকজন বালুর ঘাট দখল করে মাটি তোলার যন্ত্র (ভেকু) ও ক্যাশ কাউন্টার ভাঙচুর করে লুটপাট চালায়। এ সময় তাঁরা ককটেল ও গুলি ছুড়ে।

এই ঘটনায় শহীদ মিয়া নামে আমার একজন সমর্থক হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এ ছাড়া আরও ৮ থেকে ১০ জন আহত হয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।’ 
নিকরাইল ইউনিয়ন পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান মাসুদুল হক মাসুদ জানান, ‘ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতির লোকজন অন্যদের জমি দখল করে ঘাট তৈরি করছিল। এ সময় বাঁধা দিতে গেলে আমাদের ওপর আক্রমণ করা হয়। এতে আমার ১০ জন সমর্থক আহত হয়েছেন। আমি প্রশাসনের কাছে এর সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল মতিন সরকার ও তাঁর লোকদের বিচার দাবি করছি।’

ভূঞাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আব্দুল ওহাব জানান, বালুর ঘাট দখলে নেওয়াকে কেন্দ্র করে সাবেক চেয়ারম্যান ও নবনির্বাচিত চেয়ারম্যানের লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। এ সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সাত রাউন্ড টিয়ারশেল নিক্ষেপ করা হয়। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। এ নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। নাশকতা এড়াতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

এ নিয়ে ভূঞাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ইশরাত জাহান বলেন, এলাকায় উত্তেজনা থাকায় সেখানে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এ ছাড়া বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...