মাহিদুল ইসলাম, মৌলভীবাজার
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানে বন্যপ্রাণীদের পানি ও খাবারের সংকট দেখা দিয়েছে। উদ্যানের ভেতর দিয়ে বয়ে চলা ছড়া ও খাল শুকিয়ে যাওয়া এবং বনের গাছ ও বাঁশ উজাড় হওয়ায় এ সংকট তৈরি হয়েছে বলে জানা গেছে। বন বিভাগ জানিয়েছে সংকট মোকাবিলায় লাউয়াছড়া উদ্যানে কৃত্রিম পানির জলাধার তৈরির পরিকল্পনা করা হচ্ছে। এরই অংশ হিসেবে ইতিমধ্যে সুফল প্রজেক্ট থেকে লাউয়াছড়া ও সাতছড়ি উদ্যানে জলাধার তৈরির প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শুষ্ক মৌসুম এলেই লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানের ভেতর দিয়ে বয়ে চলা ছোট ছোট ছড়া ও খাল শুকিয়ে যায়। এসব ছড়া ও খালের পানি এবং খাবার খেয়েই বেঁচে থাকে বিলুপ্তপ্রায় উল্লুক, বানর, বুনো শূকরসহ বনের বিভিন্ন প্রাণী।
এ ছাড়া গত দুই দশকে লাউয়াছড়া বনের মূল্যবান গাছ উজাড় হওয়ায় ঘনত্ব অনেকটা কমে আসছে। আগের মতো দিনের বেলা এখন আর বনে অন্ধকার দেখা যায় না। নিয়মিত বিভিন্ন গাছ, বাঁশ ও বেত চুরি হওয়ায় বন ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে। খাল, ছড়া শুকিয়ে যাওয়ায় বন্যপ্রাণী খাওয়ার পানি সংকটে পড়ছে। খাবার ও পানির খুঁজে বন্যপ্রাণী অনেক সময় লোকালয়ে চলে আসে। উদ্যানের আশপাশের এলাকার অনেক কৃষকের ফসল খেয়ে নষ্ট করছে বন্যপ্রাণী। ফসল রক্ষা করার জন্য অনেকেই রাত জেগে পাহারা দিচ্ছেন। বনে পর্যাপ্ত খাবার পেলে প্রাণীরা লোকালয়ে বেরিয়ে আসত না।
এ ছাড়া দর্শনার্থীর বিচরণ, লতাপাতা জ্বালানোর নামে বনে আগুন লাগিয়ে দেওয়া, বেদখল বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণ, টিলা ভূমিতে পর্যটন কেন্দ্র নির্মাণ, মাগুরছড়া গ্যাস কূপ দুর্ঘটনা, অবাধে গাছ পাচার, বনের ভেতর দিয়ে রেল ও সড়ক পথ যাওয়ার কারণে প্রতিনিয়ত হুমকির মুখে এ বন।
জীববৈচিত্র্য রক্ষা কমিটি কমলগঞ্জের সাধারণ সম্পাদক মো. আহাদ মিয়া বলেন, শীত মৌসুমে বনে পানি না থাকার কারণে প্রাণীরা লোকালয়ের পুকুরে চলে যায়। লোকালয়ে বেরিয়ে পড়ার কারণে অনেক সময় প্রাণীরা শিকারির হাতে ধরা পরে আবার মানুষের নির্যাতনেরও শিকার হয়। বন্য প্রাণীদের জন্য স্থায়ীভাবে পানির সমস্যা সমাধান করা হোক। কৃত্রিম ভাবে স্থায়ী পানির ব্যবস্থা করলে কিছুটা সংকট কাটতে পারে।
বন্যপ্রাণীর খাবার ও পানি সংকটের বিষয়ে লাউয়াছড়া বনরেঞ্জ কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম বলেন, খাবার ও পানির সংকট থাকার কারণে অনেক সময় বিভিন্ন প্রাণী খাবারের খুঁজে লোকালয়ে বেরিয়ে পড়ে রাতে। খাবার শেষে ভোর হওয়ার আগে আবার বনে চলে আসে। বর্ষা মৌসুমে খাবার ও পানির সংকট হয় না। শুষ্ক মৌসুমের দুই থেকে তিন মাস লাউয়াছড়া সংরক্ষিত বনের ছড়া ও খালে পানির সংকট কিছুটা দেখা দেয়।
বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের সিলেট বিভাগীয় বন কর্মকর্তা রেজাউল করিম চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, দ্রুত সময়ের মধ্যে বনের ভেতরে পানির সংকট সমাধান করা হবে। এর আগেও পানি সংকটের কারণে কৃত্রিম ভাবে জলধারা তৈরি করা হয়েছে। পাহাড়ি ঢলে অতিরিক্ত বালু আসার কারণে শুষ্ক মৌসুমে ছড়া গুলো ভরাট হয়ে যায়। নতুন করে জলধারা তৈরির জন্য প্রস্তাব করা হয়েছে। প্রাণীরা গাছের লতাপাতা খেয়ে পানির অভাব পূরণ করতে পারে বলে তিনি জানান।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশের বিখ্যাত বনগুলোর মধ্যে অন্যতম লাউয়াছড়া। পরিচিতির দিক থেকে সুন্দরবনের পরেই এ বনের অবস্থান। ১৯৯৬ সালে লাউয়াছড়াকে ‘জাতীয় উদ্যান’ হিসেবে ঘোষণা করা হয়।
লাউয়াছড়ার জাতীয় উদ্যানে ৪৬০ প্রজাতির দুর্লভ উদ্ভিদ ও প্রাণী রয়েছে। এর মধ্যে ১৬৭ প্রজাতির উদ্ভিদ, ৪ প্রজাতির উভচর, ৬ প্রজাতির সরীসৃপ, ২৪৬ প্রজাতির পাখি এবং ২০ প্রজাতির স্তন্যপায়ী প্রাণী দেখা যায়। বিলুপ্তপ্রায় উল্লুকের জন্য এ বন এখনো বিখ্যাত।
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানে বন্যপ্রাণীদের পানি ও খাবারের সংকট দেখা দিয়েছে। উদ্যানের ভেতর দিয়ে বয়ে চলা ছড়া ও খাল শুকিয়ে যাওয়া এবং বনের গাছ ও বাঁশ উজাড় হওয়ায় এ সংকট তৈরি হয়েছে বলে জানা গেছে। বন বিভাগ জানিয়েছে সংকট মোকাবিলায় লাউয়াছড়া উদ্যানে কৃত্রিম পানির জলাধার তৈরির পরিকল্পনা করা হচ্ছে। এরই অংশ হিসেবে ইতিমধ্যে সুফল প্রজেক্ট থেকে লাউয়াছড়া ও সাতছড়ি উদ্যানে জলাধার তৈরির প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শুষ্ক মৌসুম এলেই লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানের ভেতর দিয়ে বয়ে চলা ছোট ছোট ছড়া ও খাল শুকিয়ে যায়। এসব ছড়া ও খালের পানি এবং খাবার খেয়েই বেঁচে থাকে বিলুপ্তপ্রায় উল্লুক, বানর, বুনো শূকরসহ বনের বিভিন্ন প্রাণী।
এ ছাড়া গত দুই দশকে লাউয়াছড়া বনের মূল্যবান গাছ উজাড় হওয়ায় ঘনত্ব অনেকটা কমে আসছে। আগের মতো দিনের বেলা এখন আর বনে অন্ধকার দেখা যায় না। নিয়মিত বিভিন্ন গাছ, বাঁশ ও বেত চুরি হওয়ায় বন ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে। খাল, ছড়া শুকিয়ে যাওয়ায় বন্যপ্রাণী খাওয়ার পানি সংকটে পড়ছে। খাবার ও পানির খুঁজে বন্যপ্রাণী অনেক সময় লোকালয়ে চলে আসে। উদ্যানের আশপাশের এলাকার অনেক কৃষকের ফসল খেয়ে নষ্ট করছে বন্যপ্রাণী। ফসল রক্ষা করার জন্য অনেকেই রাত জেগে পাহারা দিচ্ছেন। বনে পর্যাপ্ত খাবার পেলে প্রাণীরা লোকালয়ে বেরিয়ে আসত না।
এ ছাড়া দর্শনার্থীর বিচরণ, লতাপাতা জ্বালানোর নামে বনে আগুন লাগিয়ে দেওয়া, বেদখল বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণ, টিলা ভূমিতে পর্যটন কেন্দ্র নির্মাণ, মাগুরছড়া গ্যাস কূপ দুর্ঘটনা, অবাধে গাছ পাচার, বনের ভেতর দিয়ে রেল ও সড়ক পথ যাওয়ার কারণে প্রতিনিয়ত হুমকির মুখে এ বন।
জীববৈচিত্র্য রক্ষা কমিটি কমলগঞ্জের সাধারণ সম্পাদক মো. আহাদ মিয়া বলেন, শীত মৌসুমে বনে পানি না থাকার কারণে প্রাণীরা লোকালয়ের পুকুরে চলে যায়। লোকালয়ে বেরিয়ে পড়ার কারণে অনেক সময় প্রাণীরা শিকারির হাতে ধরা পরে আবার মানুষের নির্যাতনেরও শিকার হয়। বন্য প্রাণীদের জন্য স্থায়ীভাবে পানির সমস্যা সমাধান করা হোক। কৃত্রিম ভাবে স্থায়ী পানির ব্যবস্থা করলে কিছুটা সংকট কাটতে পারে।
বন্যপ্রাণীর খাবার ও পানি সংকটের বিষয়ে লাউয়াছড়া বনরেঞ্জ কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম বলেন, খাবার ও পানির সংকট থাকার কারণে অনেক সময় বিভিন্ন প্রাণী খাবারের খুঁজে লোকালয়ে বেরিয়ে পড়ে রাতে। খাবার শেষে ভোর হওয়ার আগে আবার বনে চলে আসে। বর্ষা মৌসুমে খাবার ও পানির সংকট হয় না। শুষ্ক মৌসুমের দুই থেকে তিন মাস লাউয়াছড়া সংরক্ষিত বনের ছড়া ও খালে পানির সংকট কিছুটা দেখা দেয়।
বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের সিলেট বিভাগীয় বন কর্মকর্তা রেজাউল করিম চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, দ্রুত সময়ের মধ্যে বনের ভেতরে পানির সংকট সমাধান করা হবে। এর আগেও পানি সংকটের কারণে কৃত্রিম ভাবে জলধারা তৈরি করা হয়েছে। পাহাড়ি ঢলে অতিরিক্ত বালু আসার কারণে শুষ্ক মৌসুমে ছড়া গুলো ভরাট হয়ে যায়। নতুন করে জলধারা তৈরির জন্য প্রস্তাব করা হয়েছে। প্রাণীরা গাছের লতাপাতা খেয়ে পানির অভাব পূরণ করতে পারে বলে তিনি জানান।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশের বিখ্যাত বনগুলোর মধ্যে অন্যতম লাউয়াছড়া। পরিচিতির দিক থেকে সুন্দরবনের পরেই এ বনের অবস্থান। ১৯৯৬ সালে লাউয়াছড়াকে ‘জাতীয় উদ্যান’ হিসেবে ঘোষণা করা হয়।
লাউয়াছড়ার জাতীয় উদ্যানে ৪৬০ প্রজাতির দুর্লভ উদ্ভিদ ও প্রাণী রয়েছে। এর মধ্যে ১৬৭ প্রজাতির উদ্ভিদ, ৪ প্রজাতির উভচর, ৬ প্রজাতির সরীসৃপ, ২৪৬ প্রজাতির পাখি এবং ২০ প্রজাতির স্তন্যপায়ী প্রাণী দেখা যায়। বিলুপ্তপ্রায় উল্লুকের জন্য এ বন এখনো বিখ্যাত।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
৯ দিন আগেবিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪