হারুনুর রশিদ, রায়পুরা (নরসিংদী)
নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার চরমধুয়া ইউনিয়নে নির্মাণাধীন গ্রাম রক্ষা বাঁধে ভাঙন দেখা দিয়েছে।
গত মঙ্গলবার বেলা ১টার দিকে বীর চরমধুয়া গ্রামের ১০০ মিটার বাঁধ ভেঙে ঈদগাসহ ছয় বিঘা জমি মেঘনায় বিলীন হয়ে গেছে। হুমকিতে রয়েছে বাঁধসংলগ্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মাদ্রাসা, ঈদগা ও মসজিদসহ কয়েক শ বাড়িঘর। ভাঙনরোধে মঙ্গল ও গতকাল বুধবার সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে শ্রমিকেরা সেখানে জিও ব্যাগ ফেলছেন।
জানা গেছে, নদ-নদী পুর্নখনন প্রকল্পের আওতায় উপজেলার চরমধুয়া ইউনিয়নে গত বছর ১ হাজার ৭০০ মিটার গ্রাম রক্ষা বাঁধ নির্মাণকাজ শুরু হয়। এ প্রকল্পটি পানি উন্নয়ন বোর্ডের তত্ত্বাবধানে সেনাবাহিনীর ২৪ ইঞ্জিনিয়ার কন্সট্রাকশন ব্রিগেড বাস্তবায়ন করছে।
স্থানীয়রা জানান, গত মঙ্গলবার বেলা ১টার দিকে নির্মাণাধীন বাঁধের এক শ মিটারের নিচের অংশের জিও ব্যাগ ও ব্লক সরে গিয়ে বাঁধ ও একটি ঈদগার জমিসহ ছয় বিঘা জমি নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। বাঁধের দেড় শ ফুট দূরত্বে রয়েছে বীর চরমধুয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বীর চরমধুয়া হাফেজিয়া মাদ্রাসা, মসজিদ ও ঈদগা। পাশেই বসবাস করছে প্রায় কয়েক শ পরিবার। ভাঙনের কারণে হুমকিতে রয়েছে ওই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও পরিবারগুলো। ভাঙনরোধে সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে শ্রমিকেরা দুদিন ধরে জিও ব্যাগ ফেলছেন।
বীর চরমধুয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মকবুল হাসান বলেন, ‘স্কুলে শতাধিক শিক্ষার্থী রয়েছে। গতকালের ভাঙনে স্কুলটি ঝুঁকিতে আছে। ভাঙনরোধে সেনাবাহিনীর লোকেরা কাজ করছেন।’
বীর চরমধুয়া হাফেজিয়া মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল কেফায়াতুল্লাহ বলেন, ‘নির্মাণাধীন বাঁধ থেকে আমাদের মাদ্রাসার দূরত্ব মাত্র ৫০ ফুট। ফলে মারাত্মক ঝুঁকিতে আছে মাদ্রাসাটি।’
চরমধুয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আহসান শিকদার বলেন, সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে ১ হাজার ৭০০ মিটার বাঁধের কাজ শুরু হয়েছে। এর মধ্যে জিরো পয়েন্ট থেকে ৫১০ মিটার অংশে গত মঙ্গলবার বেলা ১টার দিকে হঠাৎ ৫ থেকে ৬ বিঘা জমি ভেঙে গেছে। এ ভাঙনের ফলে বাঁধসংলগ্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ঈদগা ও মসজিদসহ কয়েক শ পরিবার ঝুঁকিতে রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘ভাঙনরোধে গতকাল থেকে সেখানে সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে জিও ব্যাগ ডাম্পিং করা হচ্ছে। এ ব্যাপারে প্রকল্প পরিচালকের (পিডি) সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। ভাঙনের কারণ পর্যবেক্ষণ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।’
এ ব্যাপারে রায়পুরা উপজেলার বাসিন্দা ও নরসিংদী শহর আওয়ামী লীগের মহিলা-বিষয়ক সম্পাদক কাজী মেহেরুন্নেছা লাভলী বলেন, চরমধুয়া ইউনিয়নে আগেও নদীভাঙনে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তরা সরকারিভাবে যেসব সাহায্য-সহযোগিতা পাওয়ার কথা, তা পায়নি।
জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকৌশলী বিজয় চন্দ্র শংকর বলেন, ‘সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে এখানে কাজ চলছে। পানি বেড়ে যাওয়ায় ভাঙনরোধে আবারও কিছু অংশে জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছে। ইতিমধ্যে ঠিকাদার ও ডিজিকে বিষয়টি জানানো হয়েছে।
নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার চরমধুয়া ইউনিয়নে নির্মাণাধীন গ্রাম রক্ষা বাঁধে ভাঙন দেখা দিয়েছে।
গত মঙ্গলবার বেলা ১টার দিকে বীর চরমধুয়া গ্রামের ১০০ মিটার বাঁধ ভেঙে ঈদগাসহ ছয় বিঘা জমি মেঘনায় বিলীন হয়ে গেছে। হুমকিতে রয়েছে বাঁধসংলগ্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মাদ্রাসা, ঈদগা ও মসজিদসহ কয়েক শ বাড়িঘর। ভাঙনরোধে মঙ্গল ও গতকাল বুধবার সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে শ্রমিকেরা সেখানে জিও ব্যাগ ফেলছেন।
জানা গেছে, নদ-নদী পুর্নখনন প্রকল্পের আওতায় উপজেলার চরমধুয়া ইউনিয়নে গত বছর ১ হাজার ৭০০ মিটার গ্রাম রক্ষা বাঁধ নির্মাণকাজ শুরু হয়। এ প্রকল্পটি পানি উন্নয়ন বোর্ডের তত্ত্বাবধানে সেনাবাহিনীর ২৪ ইঞ্জিনিয়ার কন্সট্রাকশন ব্রিগেড বাস্তবায়ন করছে।
স্থানীয়রা জানান, গত মঙ্গলবার বেলা ১টার দিকে নির্মাণাধীন বাঁধের এক শ মিটারের নিচের অংশের জিও ব্যাগ ও ব্লক সরে গিয়ে বাঁধ ও একটি ঈদগার জমিসহ ছয় বিঘা জমি নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। বাঁধের দেড় শ ফুট দূরত্বে রয়েছে বীর চরমধুয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বীর চরমধুয়া হাফেজিয়া মাদ্রাসা, মসজিদ ও ঈদগা। পাশেই বসবাস করছে প্রায় কয়েক শ পরিবার। ভাঙনের কারণে হুমকিতে রয়েছে ওই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও পরিবারগুলো। ভাঙনরোধে সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে শ্রমিকেরা দুদিন ধরে জিও ব্যাগ ফেলছেন।
বীর চরমধুয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মকবুল হাসান বলেন, ‘স্কুলে শতাধিক শিক্ষার্থী রয়েছে। গতকালের ভাঙনে স্কুলটি ঝুঁকিতে আছে। ভাঙনরোধে সেনাবাহিনীর লোকেরা কাজ করছেন।’
বীর চরমধুয়া হাফেজিয়া মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল কেফায়াতুল্লাহ বলেন, ‘নির্মাণাধীন বাঁধ থেকে আমাদের মাদ্রাসার দূরত্ব মাত্র ৫০ ফুট। ফলে মারাত্মক ঝুঁকিতে আছে মাদ্রাসাটি।’
চরমধুয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আহসান শিকদার বলেন, সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে ১ হাজার ৭০০ মিটার বাঁধের কাজ শুরু হয়েছে। এর মধ্যে জিরো পয়েন্ট থেকে ৫১০ মিটার অংশে গত মঙ্গলবার বেলা ১টার দিকে হঠাৎ ৫ থেকে ৬ বিঘা জমি ভেঙে গেছে। এ ভাঙনের ফলে বাঁধসংলগ্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ঈদগা ও মসজিদসহ কয়েক শ পরিবার ঝুঁকিতে রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘ভাঙনরোধে গতকাল থেকে সেখানে সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে জিও ব্যাগ ডাম্পিং করা হচ্ছে। এ ব্যাপারে প্রকল্প পরিচালকের (পিডি) সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। ভাঙনের কারণ পর্যবেক্ষণ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।’
এ ব্যাপারে রায়পুরা উপজেলার বাসিন্দা ও নরসিংদী শহর আওয়ামী লীগের মহিলা-বিষয়ক সম্পাদক কাজী মেহেরুন্নেছা লাভলী বলেন, চরমধুয়া ইউনিয়নে আগেও নদীভাঙনে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তরা সরকারিভাবে যেসব সাহায্য-সহযোগিতা পাওয়ার কথা, তা পায়নি।
জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকৌশলী বিজয় চন্দ্র শংকর বলেন, ‘সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে এখানে কাজ চলছে। পানি বেড়ে যাওয়ায় ভাঙনরোধে আবারও কিছু অংশে জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছে। ইতিমধ্যে ঠিকাদার ও ডিজিকে বিষয়টি জানানো হয়েছে।
সৈয়দ মুজতবা আলীর ‘দেশে বিদেশে’ বইয়ের হরফুন মৌলা বা সকল কাজের কাজী আবদুর রহমানের বলা একটি বাক্য—‘ইনহাস্ত ওয়াতানাম’—‘এই আমার জন্মভূমি’। সে কথা বলার সময় আফগানি আবদুর রহমানের চোখেমুখে যে অম্লান দ্যুতি ছড়িয়ে পড়েছিল, সে কথা দিব্যি অনুভব করে নেওয়া যায়...
১২ ঘণ্টা আগেবিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৮ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪