নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
ব্যাংকিং খাতে সুশাসনের ঘাটতির সুযোগ নিয়ে ১৭টি ব্যাংক আমানত ও ঋণের ভারসাম্যপূর্ণ শৃঙ্খলা ভেঙে সীমার অতিরিক্ত ঋণ বিতরণ করেছে। বিশেষ করে শরিয়াহ ধারার তালিকাভুক্ত কয়েকটি ব্যাংক কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তারল্য সহায়তা নেওয়ার পরও অ্যাডভান্স ডিপোজিট রেশিও (এডিআর) বা আমানত-ঋণ অনুপাত সংরক্ষণ করতে পারছে না। এভাবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বেঁধে দেওয়া সীমা অতিক্রম করায় সংশ্লিষ্ট ব্যাংকগুলোর আমানতকারীদের জন্য ঝুঁকি সৃষ্টি হয়েছে।
পাশাপাশি চরম তারল্যসংকট থেকে বেরোতে পারছে না সংশ্লিষ্ট ব্যাংকগুলো। বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, জানুয়ারি মাসে প্রচলিত ধারার ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেডের এডিআর ৯৮ দশমিক ২৩ শতাংশ, এবি ব্যাংকের ৯৬ দশমিক ৬৪ (ব্যাংকটির শরিয়াহ উইন্ডোর ১০৩ দশমিক ৪৫ শতাংশ), রাষ্ট্রায়ত্ত বেসিক ব্যাংকের ৯১ দশমিক ১৭ শতাংশ এবং ওয়ান ব্যাংকের ৮৯ দশমিক শূন্য শতাংশ।
বিদেশি খাতের ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তানের এডিআর ৮৭ দশমিক ৫২ শতাংশ। পাশাপাশি কমিউনিটি ব্যাংকের এডিআর ৮৮ দশমিক ২৮ শতাংশ, এনআরবি ব্যাংকের ৮৮ দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ এবং আইএফআইসি ব্যাংকের এডিআর ৮৭ দশমিক ৪৮ শতাংশ।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. মেজবাউল হক বলেন, ‘আমানতের বিপরীতে কত টাকা ঋণ দিতে পারবে, এর একটি সীমা নির্ধারণ করে দেওয়া আছে। তবে ব্যাংকগুলোর এ অনুপাত বিভিন্ন সময় ওঠানামা করে। কারণ, কোনো ব্যাংকের যদি বড় একটি আমানত আসে, তাহলে তাদের ঋণ দেওয়ার ক্ষমতা বেড়ে যায়। একইভাবে হঠাৎ করে কোনো গ্রাহক আমানত তুলে নিলে তখন ঋণ দেওয়ার ক্ষমতা কমে যায়। তখন ব্যাংক তার এডিআর সীমার বাইরে চলে যায়। এ ছাড়া ঋণ আদায়ে বিশেষ ছাড় দিলেও এটা হতে পারে। তবে দীর্ঘদিন ধরে কোনো ব্যাংক এডিআর সীমার বাইরে থাকলে সে ব্যাংককে অবশ্যই চিঠি দিয়ে সতর্ক করা হবে। অস্বাভাবিক কিছু ঘটলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থাও নেওয়া হবে।’
শরিয়াহ ধারায় এডিআরে শীর্ষে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদনমতে, নানা অনিয়মের মাধ্যমে আগ্রাসী বিনিয়োগ করায় শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংকগুলোর মধ্যে তারল্য সংকটের ফলে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের এডিআর দাঁড়িয়েছে ১০৪ দশমিক ৫৪ শতাংশে। এ ছাড়া গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংকের ১০২ দশমিক ২৭ শতাংশ, ইউনিয়ন ব্যাংকের ১০০ দশমিক ৪১ শতাংশ, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের ৯৬ দশমিক ৮১ শতাংশ এবং ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের ৯৩ দশমিক শূন্য ১ শতাংশ।
এ প্রসঙ্গে ইউনিয়ন ব্যাংক লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ বি এম মোকাম্মেল হক বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক ঋণ দেওয়ার যে সীমা বেঁধে দিয়েছে, তা নিঃসন্দেহে অনেক হিসাব-নিকাশ করে দিয়েছে এবং তা যথেষ্ট বৈশ্বিক মানের। সে সীমা অতিক্রম করা ব্যাংক খাতে আমানতকারীদের জন্য ঝুঁকি সৃষ্টি করবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, সীমার অতিরিক্ত বিনিয়োগ করায় এক্সিম ব্যাংক লিমিটেডের এডিআর দাঁড়িয়েছে ১০০ দশমিক ২৮ শতাংশ, স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের ৯৬ দশমিক ২৮ শতাংশ, প্রিমিয়ার ব্যাংকের ইসলামিক উইন্ডোর ১৫৫ দশমিক শূন্য ৯ শতাংশ এবং বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংকের ইসলামিক উইন্ডোর এডিআর ১০৩ দশমিক ৪৫ শতাংশ।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিয়ম অনুযায়ী, ব্যাংকিং খাতের প্রচলিত ধারার ব্যাংক ১০০ টাকার মধ্যে ৮৭ এবং ইসলামি ধারার ব্যাংক ৯২ টাকা ঋণ দিতে পারবে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হস্তক্ষেপ দরকার
এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমানতের বিপরীতে সীমার বাইরে ঋণ দিলে ঋণশৃঙ্খলা বিঘ্নিত হয়। আর এসব ব্যাংকের ঋণ আদায়ের চিত্রও খুব একটা সন্তোষজনক নয়। এমতাবস্থায় অতিরিক্ত ঋণ দিয়ে যদি খেলাপি ঋণ আরও বেড়ে যায়, তাহলে ব্যাংকের পাশাপাশি আমানতকারীদেরও ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার শঙ্কা রয়েছে। তাই কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হস্তক্ষেপ দরকার।’
আরও খবর পড়ুন:
ব্যাংকিং খাতে সুশাসনের ঘাটতির সুযোগ নিয়ে ১৭টি ব্যাংক আমানত ও ঋণের ভারসাম্যপূর্ণ শৃঙ্খলা ভেঙে সীমার অতিরিক্ত ঋণ বিতরণ করেছে। বিশেষ করে শরিয়াহ ধারার তালিকাভুক্ত কয়েকটি ব্যাংক কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তারল্য সহায়তা নেওয়ার পরও অ্যাডভান্স ডিপোজিট রেশিও (এডিআর) বা আমানত-ঋণ অনুপাত সংরক্ষণ করতে পারছে না। এভাবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বেঁধে দেওয়া সীমা অতিক্রম করায় সংশ্লিষ্ট ব্যাংকগুলোর আমানতকারীদের জন্য ঝুঁকি সৃষ্টি হয়েছে।
পাশাপাশি চরম তারল্যসংকট থেকে বেরোতে পারছে না সংশ্লিষ্ট ব্যাংকগুলো। বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, জানুয়ারি মাসে প্রচলিত ধারার ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেডের এডিআর ৯৮ দশমিক ২৩ শতাংশ, এবি ব্যাংকের ৯৬ দশমিক ৬৪ (ব্যাংকটির শরিয়াহ উইন্ডোর ১০৩ দশমিক ৪৫ শতাংশ), রাষ্ট্রায়ত্ত বেসিক ব্যাংকের ৯১ দশমিক ১৭ শতাংশ এবং ওয়ান ব্যাংকের ৮৯ দশমিক শূন্য শতাংশ।
বিদেশি খাতের ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তানের এডিআর ৮৭ দশমিক ৫২ শতাংশ। পাশাপাশি কমিউনিটি ব্যাংকের এডিআর ৮৮ দশমিক ২৮ শতাংশ, এনআরবি ব্যাংকের ৮৮ দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ এবং আইএফআইসি ব্যাংকের এডিআর ৮৭ দশমিক ৪৮ শতাংশ।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. মেজবাউল হক বলেন, ‘আমানতের বিপরীতে কত টাকা ঋণ দিতে পারবে, এর একটি সীমা নির্ধারণ করে দেওয়া আছে। তবে ব্যাংকগুলোর এ অনুপাত বিভিন্ন সময় ওঠানামা করে। কারণ, কোনো ব্যাংকের যদি বড় একটি আমানত আসে, তাহলে তাদের ঋণ দেওয়ার ক্ষমতা বেড়ে যায়। একইভাবে হঠাৎ করে কোনো গ্রাহক আমানত তুলে নিলে তখন ঋণ দেওয়ার ক্ষমতা কমে যায়। তখন ব্যাংক তার এডিআর সীমার বাইরে চলে যায়। এ ছাড়া ঋণ আদায়ে বিশেষ ছাড় দিলেও এটা হতে পারে। তবে দীর্ঘদিন ধরে কোনো ব্যাংক এডিআর সীমার বাইরে থাকলে সে ব্যাংককে অবশ্যই চিঠি দিয়ে সতর্ক করা হবে। অস্বাভাবিক কিছু ঘটলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থাও নেওয়া হবে।’
শরিয়াহ ধারায় এডিআরে শীর্ষে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদনমতে, নানা অনিয়মের মাধ্যমে আগ্রাসী বিনিয়োগ করায় শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংকগুলোর মধ্যে তারল্য সংকটের ফলে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের এডিআর দাঁড়িয়েছে ১০৪ দশমিক ৫৪ শতাংশে। এ ছাড়া গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংকের ১০২ দশমিক ২৭ শতাংশ, ইউনিয়ন ব্যাংকের ১০০ দশমিক ৪১ শতাংশ, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের ৯৬ দশমিক ৮১ শতাংশ এবং ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের ৯৩ দশমিক শূন্য ১ শতাংশ।
এ প্রসঙ্গে ইউনিয়ন ব্যাংক লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ বি এম মোকাম্মেল হক বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক ঋণ দেওয়ার যে সীমা বেঁধে দিয়েছে, তা নিঃসন্দেহে অনেক হিসাব-নিকাশ করে দিয়েছে এবং তা যথেষ্ট বৈশ্বিক মানের। সে সীমা অতিক্রম করা ব্যাংক খাতে আমানতকারীদের জন্য ঝুঁকি সৃষ্টি করবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, সীমার অতিরিক্ত বিনিয়োগ করায় এক্সিম ব্যাংক লিমিটেডের এডিআর দাঁড়িয়েছে ১০০ দশমিক ২৮ শতাংশ, স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের ৯৬ দশমিক ২৮ শতাংশ, প্রিমিয়ার ব্যাংকের ইসলামিক উইন্ডোর ১৫৫ দশমিক শূন্য ৯ শতাংশ এবং বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংকের ইসলামিক উইন্ডোর এডিআর ১০৩ দশমিক ৪৫ শতাংশ।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিয়ম অনুযায়ী, ব্যাংকিং খাতের প্রচলিত ধারার ব্যাংক ১০০ টাকার মধ্যে ৮৭ এবং ইসলামি ধারার ব্যাংক ৯২ টাকা ঋণ দিতে পারবে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হস্তক্ষেপ দরকার
এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমানতের বিপরীতে সীমার বাইরে ঋণ দিলে ঋণশৃঙ্খলা বিঘ্নিত হয়। আর এসব ব্যাংকের ঋণ আদায়ের চিত্রও খুব একটা সন্তোষজনক নয়। এমতাবস্থায় অতিরিক্ত ঋণ দিয়ে যদি খেলাপি ঋণ আরও বেড়ে যায়, তাহলে ব্যাংকের পাশাপাশি আমানতকারীদেরও ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার শঙ্কা রয়েছে। তাই কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হস্তক্ষেপ দরকার।’
আরও খবর পড়ুন:
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪