Ajker Patrika

চা-দোকানে কর্মসংস্থান খুশি পা হারানো মানিক

ঘিওর (মানিকগঞ্জ) প্রতিনিধি
আপডেট : ১১ জুন ২০২২, ১০: ১৯
চা-দোকানে কর্মসংস্থান খুশি পা হারানো মানিক

মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার সদর ইউনিয়নের রাধাকান্তপুর গ্রামের বাসিন্দা মো. মানিক মিয়া (৩৫)। অনেক আগে স্থানীয় মাঠে ফুটবল খেলার সময় পায়ের আঙুলে বিঁধে পুরোনো লোহা। প্রথমে বিষয়টি তেমন গুরুত্ব দেননি। পরে ক্ষতের তৈরি হয়। একপর্যায়ে কেটে ফেলা হয় আঙুল। পরে সংক্রমণ আরও ছড়িয়ে পড়লে একটি পা কেটে ফেলতে হয়। চিকিৎসার ব্যয়ভার মেটাতে গিয়ে নিঃস্ব হয়ে পড়েন। বিক্রি করতে হয় ভিটে মাটি, সহায় সম্বল। পরে মাথা গোঁজার ঠাঁই হয় সরকারি আশ্রয়ণ প্রকল্পে। মানুষের কাছে হাত পেতে চলত স্ত্রী, দুই সন্তানসহ চারজনের সংসার। সেই মানিকের কর্মসংস্থানে এগিয়ে এসেছেন ঘিওর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান অহিদুল ইসলাম টুটুল। ইউপির নিজস্ব তহবিল ও চেয়ারম্যানের ব্যক্তিগত অর্থায়নে মানিক মিয়াকে করে দেওয়া হয়েছে একটি চায়ের দোকান। নতুন কর্মসংস্থানে উৎফুল্ল পা হারানো মানিক মিয়া।

গত বুধবার দোকানের জন্য গ্যাসের চুলা, সিলিন্ডার, কেটলি, কাপ-পিরিচ, চেয়ার, বেঞ্চসহ প্রয়োজনীয় মালামাল কিনে দেওয়া হয়। ঘিওর ইউপি কার্যালয়ে চেয়ারম্যান অহিদুল ইসলাম টুটুল এসব সামগ্রী মানিকের হাতে তুলে দেন। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা যুবলীগের সভাপতি বাবুল বেপারী, ইউপি সদস্য সাইদুর রহমান, শফি, সেলিনা আক্তার, ইউপি সচিব পলাশ কুমার সাহা প্রমুখ।

গতকাল শুক্রবার বিকেলে উপজেলার চার রাস্তার মোড়ে চায়ের দোকানে কথা হয় মানিকের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘একসময় সবই ছিল। নিয়তির ফেরে সবকিছু শেষ হয়ে গেছে। পায়ের চিকিৎসা করাতে গিয়ে হারিয়েছি সহায় সম্বল।’ এমন পরিস্থিতে চায়ের দোকানের ব্যবস্থা করে দেওয়ায় ইউপি চেয়ারম্যান, সদস্য ও সংশ্লিষ্টদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান মানিক মিয়া।

এ বিষয়ে ঘিওর ইউপি চেয়ারম্যান অহিদুল ইসলাম টুটুল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে মানিক মিয়াকে উপজেলার চার রাস্তার মোড়ে একটি চায়ের দোকান করে দেওয়া হয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত