বদরুল ইসলাম মাসুদ, বান্দরবান
পার্বত্য চট্টগ্রামের অন্যতম উৎসব বোমাং রাজপুণ্যাহ এবারও হচ্ছে না। এতে কিছুটা ম্লান হয়ে পড়েছে পাহাড়ের আনন্দ। করোনার ঝুঁকি থাকায় বোমাং রাজপরিবারের পক্ষ থেকে এই উৎসব আয়োজন না করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
এ আগে ২০২০ সালে করোনা পরিস্থিতির কারণে বোমাং সার্কেলে রাজপুণ্যাহ আয়োজন করা হয়নি। চলতি বছর বোমাং সার্কেলের ১৪৪তম রাজপুণ্যাহ উৎসব হওয়ার কথা ছিল। করোনার একই পরিস্থিতির শঙ্কা থাকায় রাজপরিবার এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
রাজপুণ্যাহ উপলক্ষে লাখো মানুষের সমাবেশ ঘটে। বিভিন্ন পণ্যের দোকান বসে, বিভিন্ন খেলাধুলা-সার্কাসের আয়োজন করা হয়। কয়েক বছর ধরে রাজপুণ্যাহ উৎসবে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক বিদেশি অতিথি ও পর্যটকের উপস্থিতি দেখা গেছে। জনসমাগমের কারণে করোনার ঝুঁকি রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
বান্দরবানের প্রধানতম উৎসব ও মিলনমেলা রাজপুণ্যাহ। উৎপাদিত ফসল (জুম) কর ও জমির কর (খাজনা) আদায় উপলক্ষে জেলা সদরে রাজবাড়ির সামনে এ উপলক্ষে মেলা, লোকজ-কৃষিজ পণ্যের সমাহার বসে। সারা বছরে উৎপাদিত ফসলের খাজনা এবং জমির খাজনা প্রদানের জন্য খ্রিষ্ট বছরের ডিসেম্বর বা জানুয়ারি মাসে বান্দরবান সদরে রাজবাড়ির সামনে রাজপুণ্যাহ উৎসব হয়।
জানা গেছে, ব্রিটিশ সরকার পার্বত্য চট্টগ্রামকে তিনটি সার্কেলে ভাগ করেছিল। ১৮৬৭ সালে কর্ণফুলী নদীর দক্ষিণ অঞ্চলে মারমা জনগোষ্ঠী অধ্যুষিত (বর্তমান বান্দরবান) এলাকাকে বোমাং সার্কেল, ১৮৭০ সালে রামগড় ও মাইনি উপত্যকা এলাকা নিয়ে (বর্তমান খাগড়াছড়ি) মং সার্কেল গঠন করা হয়। এর আগে ১৮৬৬ সাল পর্যন্ত চাকমা রাজা পার্বত্য চট্টগ্রাম শাসন করতেন।
বান্দরবানে ১১টি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী (উপজাতি) মানুষের বসবাস। রাজপ্রথা অনুযায়ী বোমাং সার্কেল এলাকায় জমি ও ফসলের বার্ষিক কর বা খাজনা সার্কেল চিফ বা বোমাং রাজাকে দেওয়া হয়। এই খাজনা আদায়ী অনুষ্ঠানই রাজপ্রথা। রাজার অধীনে মৌজাপ্রধান হেডম্যান, পাড়াপ্রধান কার্বারি প্রশাসনিকভাবে খাজনা আদায় করেন। তাঁরাই বছরে একবার রাজপুণ্যাহ অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে রাজাকে খাজনা প্রদান করেন। আদায়কৃত খাজনা বর্তমানে সরকারের পক্ষে তিনি (রাজা) আদায় করে মোটা অর্থের ১০ আনা রাজা, হেডম্যান ও কার্বারি রাখেন, অবশিষ্ট ৬ আনা সরকারি কোষাগারে জমা দেন। রাজার অধীনে পাইক-পেয়াদা রয়েছে।
রাজবাড়ি সূত্রে জানা গেছে, প্রতিবছর রাজপুণ্যাহ উপলক্ষে আয়োজিত মেলায় পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর পাশাপাশি পাহাড়ে বাস করা বাঙালি ও দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকেও লোকজন মেলায় আসেন। এ উপলক্ষে রাজার পক্ষ থেকে রাজবাড়িতে রাজভোগ (নৈশভোজ), যাত্রাপালার আয়োজন করা হয়। এ ছাড়া হেডম্যান ও কার্বারিদের সঙ্গে রাজার মতবিনিময় হয়, আগামী বছরের নানা দিকনির্দেশনা দেন রাজা।
বোমাং রাজবাড়ি সূত্রে জানা গেছে, প্রায় ১ হাজার ৭৬৪ বর্গমাইল এলাকা নিয়ে বোমাং সার্কেল গঠিত। বান্দরবান জেলার ৯৫টি মৌজা এবং রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলার ৯টি ও রাজস্থলী উপজেলার ৫টিসহ মোট ১০৯টি মৌজা বোমাং সার্কেলের অন্তর্ভুক্ত। প্রায় ২০০ বছর ধরে বোমাং রাজপ্রথা চলে আসছে। তবে প্রথম দিকে রাজপুণ্যাহ আনুষ্ঠানিকভাবে হতো না। সে হিসাবে চলতি বছরের রাজপুণ্যাহ ছিল ১৪৪তম রাজপুণ্যাহ।
এর আগে ২০১৯ সালে অজ্ঞাত কারণে বোমাং রাজপরিবার রাজপুণ্যাহ আয়োজন করা থেকে বিরত ছিল। তবে গত বছর করোনার কারণে রাজপুণ্যাহ হয়নি। এবারও রাজপুণ্যাহ আয়োজন না করার পেছনে করোনার কারণ দেখানো হচ্ছে।
বোমাং সার্কেলের ১৭তম রাজা প্রকৌশলী উ চ প্রু চৌধুরী। ২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব গ্রহণ করে এখনো তা পালন করে যাচ্ছেন। বর্তমান বোমাং রাজার সহকারী অং ছাই খ্যায়াং সাংবাদিকদের জানান, করোনা ও দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে চলতি বছর রাজপুণ্যাহ উৎসব আয়োজন না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বোমাং রাজা।
পার্বত্য চট্টগ্রামের অন্যতম উৎসব বোমাং রাজপুণ্যাহ এবারও হচ্ছে না। এতে কিছুটা ম্লান হয়ে পড়েছে পাহাড়ের আনন্দ। করোনার ঝুঁকি থাকায় বোমাং রাজপরিবারের পক্ষ থেকে এই উৎসব আয়োজন না করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
এ আগে ২০২০ সালে করোনা পরিস্থিতির কারণে বোমাং সার্কেলে রাজপুণ্যাহ আয়োজন করা হয়নি। চলতি বছর বোমাং সার্কেলের ১৪৪তম রাজপুণ্যাহ উৎসব হওয়ার কথা ছিল। করোনার একই পরিস্থিতির শঙ্কা থাকায় রাজপরিবার এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
রাজপুণ্যাহ উপলক্ষে লাখো মানুষের সমাবেশ ঘটে। বিভিন্ন পণ্যের দোকান বসে, বিভিন্ন খেলাধুলা-সার্কাসের আয়োজন করা হয়। কয়েক বছর ধরে রাজপুণ্যাহ উৎসবে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক বিদেশি অতিথি ও পর্যটকের উপস্থিতি দেখা গেছে। জনসমাগমের কারণে করোনার ঝুঁকি রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
বান্দরবানের প্রধানতম উৎসব ও মিলনমেলা রাজপুণ্যাহ। উৎপাদিত ফসল (জুম) কর ও জমির কর (খাজনা) আদায় উপলক্ষে জেলা সদরে রাজবাড়ির সামনে এ উপলক্ষে মেলা, লোকজ-কৃষিজ পণ্যের সমাহার বসে। সারা বছরে উৎপাদিত ফসলের খাজনা এবং জমির খাজনা প্রদানের জন্য খ্রিষ্ট বছরের ডিসেম্বর বা জানুয়ারি মাসে বান্দরবান সদরে রাজবাড়ির সামনে রাজপুণ্যাহ উৎসব হয়।
জানা গেছে, ব্রিটিশ সরকার পার্বত্য চট্টগ্রামকে তিনটি সার্কেলে ভাগ করেছিল। ১৮৬৭ সালে কর্ণফুলী নদীর দক্ষিণ অঞ্চলে মারমা জনগোষ্ঠী অধ্যুষিত (বর্তমান বান্দরবান) এলাকাকে বোমাং সার্কেল, ১৮৭০ সালে রামগড় ও মাইনি উপত্যকা এলাকা নিয়ে (বর্তমান খাগড়াছড়ি) মং সার্কেল গঠন করা হয়। এর আগে ১৮৬৬ সাল পর্যন্ত চাকমা রাজা পার্বত্য চট্টগ্রাম শাসন করতেন।
বান্দরবানে ১১টি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী (উপজাতি) মানুষের বসবাস। রাজপ্রথা অনুযায়ী বোমাং সার্কেল এলাকায় জমি ও ফসলের বার্ষিক কর বা খাজনা সার্কেল চিফ বা বোমাং রাজাকে দেওয়া হয়। এই খাজনা আদায়ী অনুষ্ঠানই রাজপ্রথা। রাজার অধীনে মৌজাপ্রধান হেডম্যান, পাড়াপ্রধান কার্বারি প্রশাসনিকভাবে খাজনা আদায় করেন। তাঁরাই বছরে একবার রাজপুণ্যাহ অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে রাজাকে খাজনা প্রদান করেন। আদায়কৃত খাজনা বর্তমানে সরকারের পক্ষে তিনি (রাজা) আদায় করে মোটা অর্থের ১০ আনা রাজা, হেডম্যান ও কার্বারি রাখেন, অবশিষ্ট ৬ আনা সরকারি কোষাগারে জমা দেন। রাজার অধীনে পাইক-পেয়াদা রয়েছে।
রাজবাড়ি সূত্রে জানা গেছে, প্রতিবছর রাজপুণ্যাহ উপলক্ষে আয়োজিত মেলায় পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর পাশাপাশি পাহাড়ে বাস করা বাঙালি ও দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকেও লোকজন মেলায় আসেন। এ উপলক্ষে রাজার পক্ষ থেকে রাজবাড়িতে রাজভোগ (নৈশভোজ), যাত্রাপালার আয়োজন করা হয়। এ ছাড়া হেডম্যান ও কার্বারিদের সঙ্গে রাজার মতবিনিময় হয়, আগামী বছরের নানা দিকনির্দেশনা দেন রাজা।
বোমাং রাজবাড়ি সূত্রে জানা গেছে, প্রায় ১ হাজার ৭৬৪ বর্গমাইল এলাকা নিয়ে বোমাং সার্কেল গঠিত। বান্দরবান জেলার ৯৫টি মৌজা এবং রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলার ৯টি ও রাজস্থলী উপজেলার ৫টিসহ মোট ১০৯টি মৌজা বোমাং সার্কেলের অন্তর্ভুক্ত। প্রায় ২০০ বছর ধরে বোমাং রাজপ্রথা চলে আসছে। তবে প্রথম দিকে রাজপুণ্যাহ আনুষ্ঠানিকভাবে হতো না। সে হিসাবে চলতি বছরের রাজপুণ্যাহ ছিল ১৪৪তম রাজপুণ্যাহ।
এর আগে ২০১৯ সালে অজ্ঞাত কারণে বোমাং রাজপরিবার রাজপুণ্যাহ আয়োজন করা থেকে বিরত ছিল। তবে গত বছর করোনার কারণে রাজপুণ্যাহ হয়নি। এবারও রাজপুণ্যাহ আয়োজন না করার পেছনে করোনার কারণ দেখানো হচ্ছে।
বোমাং সার্কেলের ১৭তম রাজা প্রকৌশলী উ চ প্রু চৌধুরী। ২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব গ্রহণ করে এখনো তা পালন করে যাচ্ছেন। বর্তমান বোমাং রাজার সহকারী অং ছাই খ্যায়াং সাংবাদিকদের জানান, করোনা ও দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে চলতি বছর রাজপুণ্যাহ উৎসব আয়োজন না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বোমাং রাজা।
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
২০ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪