Ajker Patrika

বারহাট্টায় বাড়ছে সূর্যমুখী ফুলের চাষ

বারহাট্টা (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি
আপডেট : ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১৭: ৩৫
Thumbnail image

নেত্রকোনার বারহাট্টা উপজেলায় সূর্যমুখী ফুলচাষে আগ্রহ বেড়েছে কৃষকের। উৎপাদন খরচ কম আর লাভ বেশি হওয়ায় অনেকেই আগ্রহী হন সূর্যমুখী ফুল চাষে। উপজেলা কৃষি অফিসও কৃষকদের সার্বিক সহযোগিতা করছে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বলছেন, সূর্যমুখী গুণগত মানের ভোজ্যতেল ফসল। মাঠে সূর্যমুখী অবস্থা খুবই ভালো। হেক্টর প্রতি প্রায় ২০০০ কেজি বীজ পাওয়া যাবে।

উপজেলা কৃষি অফিস থেকে জানা গেছে, ২০২১ সালে প্রথমবারের মত নেত্রকোনার বারহাট্টা উপজেলায় ৫ একর জমিতে সূর্যমুখী ফুলের চাষ হয়। এর বীজ থেকে ভোজ্যতেল এবং গাছ থেকে জ্বালানির চাহিদা মেটায় এ অঞ্চলের মানুষ। ২০২২ সালে ফুল চাষের পরিমাণ বেড়ে ১৪ একরে পৌঁছেছে। কৃষকেরা উপযুক্ত লাভ পেলে এই এলাকায় আরও অনেক বেশি জমিতে সূর্যমুখী ফুলের চাষ হবে। উপজেলার নিশ্চিন্তপুর, পিরিজপুর, বারঘর, সাহতার হাটশিরা, রায়পুরের কর্ণপুর এলাকায় কৃষকেরা সূর্যমুখী চাষ হয়।

বারহাট্টা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রকিবুল হাসান বলেন, সূর্যমুখী গুণগত মানের ভোজ্যতেল ফসল। বারহাট্টায় মাঠে সূর্যমুখী দ্বিতীয়বারের মতো আবাদ হয়েছে। এখন মাঠে সূর্যমুখী অবস্থা খুবই ভালো। হেক্টর প্রতি প্রায় ২০০০ কেজি বীজ পাওয়া যায়। সাধারণত ঘানিতে এই বীজ ভাঙে তেল তৈরি করা হয়। ইহার তেল খুবই পুষ্টিমান সম্পন্ন। বাজারে দামও অনেক বেশি। তাই এই ফসল চাষ করে সহজেই কৃষকেরা লাভবান হবে বলে আশা করছি। শুরুতে উৎপাদন ব্যবস্থাপনা, বাজার ব্যবস্থাপনায় একটু ইতস্তবোধ করলেও খুব দ্রুতই এর আবাদ বাড়ার সম্ভাবনা আছে। তা ছাড়া সৌন্দর্যময় এই ফুল মানুষের মনে প্রশান্তি এনে দেয়। তিনি আরও বলেন, কৃষিবান্ধব সরকারের কৃষি পুনর্বাসনের আওতায় সূর্যমুখী বীজ কৃষকদের মধ্যে সরবরাহ করা হয়েছে। ফসলের বৈচিত্র্য আনতে নতুন ফসল তথা সূর্যমুখী ইতিমধ্যে বারহাট্টা অঞ্চলের মানুষের মনে জায়গা নিয়েছে।

উপজেলার কর্ণপুরের কৃষক রমজান জানান, সূর্যমুখীর বীজ লাগানোর পর আমি দেখতে পাচ্ছি এটা খুব ভালো লাভজনক একটা ফসল। তেল বিক্রি করলে আমি সাত থেকে আট হাজার টাকার তেল বিক্রি করতে পারবো। আমাদের কৃষি অফিস থেকে ডেকে নিয়ে এক কেজি বীজ দিয়েছে। আমি ৯ শতাংশ জমিতে তার চাষ করেছি। যদি ভালো আবাদ হয় তবে পরবর্তীতে বেশি জমিতে চাষ করবো।’

এলাকার কৃষকেরা বলছেন, অন্য ফসলের চেয়ে কম খরচ আর লাভ বেশি হওয়ায় খুশি তারা। ভবিষ্যতে এই ফুল চাষে আগ্রহও প্রকাশ করছেন অনেক চাষি। দর্শনার্থীরা জানান, ‘ফুলটা দেখতে খুব সুন্দর।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত