Ajker Patrika

সদর হাসপাতালের কর্মকর্তা কারাগারে

খুলনা প্রতিনিধি
আপডেট : ১৩ ডিসেম্বর ২০২১, ১৫: ৩৮
সদর হাসপাতালের কর্মকর্তা কারাগারে

খুলনা ২৫০ শয্যা জেনারেল (সদর) হাসপাতালের বিদেশগামীদের করোনা নমুনা পরীক্ষার দুই কোটি ৫৭ লাখ টাকা আত্মসাতের মামলায় হাসপাতালের টেকনোলজিস্ট প্রকাশ কুমার দাসকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। গতকাল রোববার দুপুরে খুলনা মহানগর দায়রা জজ বিশেষ আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করলে বিচারক শহিদুল ইসলাম জামিন না-মঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এর আইনজীবী অ্যাডভোকেট খন্দকার মজিবর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। জানা যায়, ২০২০ সালের জুলাই থেকে চলতি বছরের জুলাই পর্যন্ত করোনা পরীক্ষার ইউজার ফি বাবদ মোট ৪ কোটি ২৪ লাখ ৯৩ হাজার টাকা আদায় হলেও সরকারি কোষাগারে জমা হয়েছে মাত্র ১ কোটি ৬৬ লাখ ৯৬ হাজার টাকা। ল্যাব টেকনোলজিস্ট ও ল্যাব ইনচার্জ প্রকাশ কুমার দাস বাকি ২ কোটি ৫৭ লাখ ৯৭ হাজার টাকা জমা দেননি।

ওই টাকা কেন সরকারি কোষাগারে জমা দেননি তার জবাব দেওয়ার জন্য ২০ সেপ্টেম্বর কৈফিয়ত তলব করা হয়। কিন্তু গত ২৩ সেপ্টেম্বর দুপুরের পর থেকে প্রকাশ কুমার দাস আত্মগোপনে ছিলেন। সম্প্রতি তিনি হাইকোর্টের জামিন নিয়ে কর্মস্থলে যোগ দেওয়ার চেষ্টা করেন।

আইনজীবী খন্দকার মজিবর রহমান জানান, দুদকের উপ-সহকারী পরিচালক খন্দকার কামরুজ্জামান বাদী হয়ে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে টেকনোলজিস্ট প্রকাশ কুমার দাসের বিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলা নম্বর-১০ / ২১। এই মামলায় হাইকোর্ট থেকে প্রকাশ কুমার ১৫ দিনের জামিন নিয়ে খুলনায় আসেন। জামিন শেষে আদালতে হাজির হয়ে আবারও জামিনের আবেদন করলে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠান।

এর আগে সিভিল সার্জনের কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, গত বছরের ডিসেম্বরে খুলনার সিভিল সার্জন হিসেবে যোগদান করেন চিকিৎসক নিয়াজ মোহাম্মদ। ওই হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়কও তিনি। যোগদান করার পর জানতে পারেন হাসপাতালে করোনা পরীক্ষার কাজে নিয়োজিত স্বেচ্ছাসেবকেরা সিভিল সার্জনের নাম করে সেবাগ্রহীতাদের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা আদায় করছেন।

গত এপ্রিলে ব্যাপারটি প্রমাণিত হওয়ার পর ওই হাসপাতাল থেকে কোভিড পরীক্ষার কাজ থেকে স্বেচ্ছাসেবকদের বাদ দেওয়া হয়। আর বিদেশগামীদের কোভিড পরীক্ষার মূল দায়িত্বে থাকা প্রকাশ কুমারের কাছে সব পরীক্ষার তথ্য ও হিসাব চাওয়া হয়। তবে হিসাব জমা দিতে গড়িমসি করছিলেন তিনি।

প্রতিদিনই কোভিড পরীক্ষার টাকা হিসাব শাখায় জমা দিতেন প্রকাশ কুমার। তবে তা যে সেবাগ্রহীতার চেয়ে কম, তা কেউ বুঝতে পারেননি। সর্বশেষ গত ২২ আগস্ট সিভিল সার্জনের কার্যালয় থেকে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। ১৬ সেপ্টেম্বর ওই কমিটি তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়। তাতে দেখা যায়, প্রকাশ কুমারের জমা দেওয়া টাকার সঙ্গে ২ কোটি ৫৮ লাখ টাকার অসংগতি রয়েছে। পরদিন প্রকাশ কুমারকে কারণ দর্শানোর নোটিশ ও ওই টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য চিঠি দেন সিভিল সার্জন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বাংলাদেশ শুল্কমুক্ত আমদানির ঘোষণা দিতেই ভারতে হু হু করে বাড়ছে চালের দাম

‘আমরা মরে গেলাম ঋণের দায়ে আর খাওয়ার অভাবে’, চিরকুটে লেখা

জ্যেষ্ঠ সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ তদন্তে উচ্চপদস্থ বোর্ড গঠন: আইএসপিআর

ফেসবুকে ছাত্রলীগ নেতার ‘হুমকি’, রাবিতে ১৫ আগস্টের কনসার্টে যাচ্ছে না আর্টসেল

পাবনায় প্রবাসীর স্ত্রীকে নিয়ে এএসআই উধাও, থানায় শ্বশুরের জিডি

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত