Ajker Patrika

গর্তে ভরা আঞ্চলিক সড়কে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল

মুক্তাগাছা প্রতিনিধি
আপডেট : ২৯ ডিসেম্বর ২০২১, ১৫: ১০
গর্তে ভরা আঞ্চলিক সড়কে ঝুঁকি  নিয়ে চলাচল

ময়মনসিংহ-টাঙ্গাইল আঞ্চলিক মহাসড়ক দিয়ে উত্তরবঙ্গের মানুষ ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগে যাতায়াত করেন। কিন্তু মহাসড়কের অনেক স্থানে অসংখ্য খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। এতে প্রতিনিয়তই সৃষ্টি হচ্ছে দীর্ঘ যানজটের। সেই সঙ্গে নষ্ট হচ্ছে আঞ্চলিক মহাসড়কটি। এ রকম চিত্র ময়মনসিংহ-টাঙ্গাইল আঞ্চলিক মহাসড়কের মুক্তাগাছার কালীবাড়ি বাজার এলাকায়।

সড়কের এক পাশে মাছের আড়ত আর অন্যপাশে মাছের গাড়িতে পানি ভরার স্থাপনা থাকায় এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে জানা গেছে। দীর্ঘদিন ধরে সড়কের এই অংশে বেহাল দশার সৃষ্টি হলেও সংস্কারের উদ্যোগ নেয়নি সড়ক ও জনপথ বিভাগ। ভোগান্তি থেকে মুক্তি পেতে দ্রুত সড়কটি সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রতিদিন এই সড়ক দিয়ে শত শত যানবাহন চলাচল করে। আঞ্চলিক মহাসড়কটির এই অংশে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় প্রায় ১০০ মিটারজুড়ে বেহাল দশার সৃষ্টি হয়েছে। বর্ষাকাল না হলেও পানি জমে থাকায় সৃষ্টি হয়েছে বড় বড় গর্তের। এসব গর্তে হরহামেশায় আটকে পড়ছে যানবাহন। এতে প্রায়ই ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা। ফলে অনেকটা ঝুঁকি নিয়েই চলছে যানবাহন।

এ ছাড়া সড়কের পাশে জমে থাকে কাঁদা। ড্রেন না থাকায় পানি জমে বিটুমিন নষ্ট হয়ে কার্পেটিং উঠে যাচ্ছে। এর ফলে দিন দিন সড়কটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ছে। চলাচলের বিকল্প পথ না থাকায় প্রতিদিন আটকা পড়া যানবাহনের কারণে সৃষ্টি হচ্ছে দীর্ঘ যানজটের।

টাঙ্গাইলের কালিহাতীর বাসচালক কাদের মিয়া বলেন, ‘এই এলাকায় প্রতিদিনই ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানজটে আটকা পড়তে হচ্ছে। এতে যাত্রীরা পড়ছেন চরম দুর্ভোগে। অপরিকল্পিতভাবে মাছের আড়ত গড়ে ওঠা ও সড়ক সংস্কার না করায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।’

যানজটে আটকা পড়া অ্যাম্বুলেন্সচালক মফিজুল ইসলাম জানান, তিনি গুরুতর রোগী নিয়ে মধুপুর থেকে রওনা হন ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালে দিকে। কিন্তু যানজটের কারণে রোগী নিয়ে সড়কে আটকে পড়েছেন। অনেক চেষ্টার পরও তিনি যেতে পারছেন না।

ওই এলাকার ইউপি চেয়ারম্যান শরীফ আহামেদ বলেন, ‘ছোট ছোট গর্তের কারণে ঝাঁকুনিতে ট্রাক থেকে পানি পড়ে নানাভাবে সড়ক নষ্ট হয়ে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। এর কারণে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে। বাজারের অংশে আসলে বিটুমিনের রাস্তা দ্রুত ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তাই এখানে কংক্রিটের রাস্তা করা উচিত। আমি সংশ্লিষ্ট বিভাগে সড়কটি নিয়ে কথা বলব।’

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আব্দুল্লাহ আল মনসুর বলেন, ‘উন্নয়ন সমন্বয় সভায় রাস্তাটির বিষয়ে কথা বলা হয়েছে। চলমান সমস্যা সমাধানে খুব দ্রুতই সংস্কার কাজ শুরু হবে। সওজ বিভাগ প্রকল্পের মাধ্যমে রাস্তাটির সংস্কার কাজ করবে।’

ময়মনসিংহ সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী ওয়াহিদুজ্জামান বলেন, ‘ময়মনসিংহ-টাঙ্গাইল মহাসড়কের উন্নয়নের জন্য বৃহৎ প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। স্থায়ী সমাধানের জন্য বাজারের অংশে ঢালাই রাস্তা করা হবে। আশা করছি, খুব দ্রুতই সড়কটি সংস্কার করা হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত