Ajker Patrika

২৬ জনের বাসাভাড়া বকেয়া ১২ লাখ টাকা

রৌমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি
২৬ জনের বাসাভাড়া বকেয়া ১২ লাখ টাকা

কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলা পরিষদের আবাসিক ভবনে ভাড়া না দিয়ে বছরের পর বছর ধরে থাকার অভিযোগ উঠেছে ২৬ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে। এতে বকেয়া পড়েছে ১২ লাখ ৯ হাজার টাকা। ভাড়া তোলার দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তাদের অবহেলায় এমন ঘটনা ঘটেছে।

জানা গেছে, উপজেলা পরিষদের সরকারি ফ্যামিলি কোয়ার্টার ও ডরমিটরির কয়েকটি বাসায় বসবাস করে আসছেন সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের ২৬ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী। আট বছরে তাঁদের বাসাভাড়া বকেয়া পড়েছে মোট ১২ লাখ ৯ হাজার টাকা। তাঁদের মধ্যে কেউ কেউ বাসাভাড়া না দিয়ে বদলি হয়ে অন্যত্র চলে গেছেন। এ নিয়ে ২৮ সেপ্টেম্বর উপজেলা পরিষদের মাসিক উন্নয়ন সমন্বয় সভায় অভিযোগ আকারে তুলে ধরেন উপজেলা বাসা বরাদ্দ কমিটির সদস্যসচিব ও উপজেলা প্রকৌশলী যুবায়েত হোসেন।

এর আগে চলতি বছরের ২৩ মে বকেয়া বাসাভাড়া আদায়ের জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য একটি চিঠি দেন উপজেলা বাসা বরাদ্দ কমিটির সদস্যসচিব ও প্রকৌশলী যুবায়েত হোসেন। ওই চিঠিতে বলা হয়, এর আগে বকেয়া বাসাভাড়া আদায়ের জন্য কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নামে ভিন্ন ভিন্ন স্মারকে ২০২১ সালের ডিসেম্বরে চিঠি দেওয়া হয়।

এতে তাঁরা সাড়া না দিলে তাঁদের দপ্তর প্রধানকে ভাড়া আদায়ের জন্য অনুরোধ করা হয়। তাতেও ভাড়া আদায় না হওয়ায় বেতন-ভাতা থেকে ভাড়ার টাকা কেটে রাখার জন্য চলতি বছরের মার্চ মাসে হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তাকে চিঠি দেওয়া হয়। ইউএনওকে দেওয়া ওই চিঠিতে আরও বলা হয়, বিভিন্ন মেয়াদে বিভিন্ন অঙ্কের বাসাভাড়া বকেয়া থাকায় মোটা অঙ্কের রাজস্ব বঞ্চিত হচ্ছে সরকার।

ভাড়া না দেওয়া ২৬ কর্মকর্তার মধ্যে একজন হলেন উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা বাবুল আক্তার। তিনি ২০১৫ সাল থেকে রৌমারী উপজেলা পরিষদের ফ্যামিলি কোয়ার্টারের ৭ (গ)-এ ভাড়া থাকেন। আট বছরে তাঁর বাসাভাড়া বকেয়া পড়েছে ৪৩ হাজার ৫০০ টাকা।

অভিযোগের বিষয়ে বাবুল আক্তার বলেন, ‘ভাড়া আদায়ের দায়িত্বশীল ব্যক্তিরা আমাদের কাছে নিয়মিত ভাড়া না নেওয়ায় এমন জটিলতার সৃষ্টি হয়েছে। তবে আমার টাকা পরিশোধ করেছি।’

রৌমারী উপজেলা হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা জাহিদ বিন হক বলেন, অনলাইনে বেতন-ভাতা হওয়ায় হিসাবরক্ষণ অফিস বকেয়া বাসাভাড়া কেটে রাখতে পারেন না। তাই বাসাভাড়ার টাকা কেটে রেখে সংশ্লিষ্ট অফিস প্রধান কর্মচারীদের বেতন ছাড় দিলে এ সমস্যা হবে না।

রৌমারী উপজেলা বাসা বরাদ্দ কমিটির সদস্যসচিব ও প্রকৌশলী যুবায়েত হোসেন বলেন, ভাড়া আদায়ে কর্মচারী ও অফিস প্রধানদের ওপর চাপ প্রয়োগ করা হয়েছে। আদায় কার্যক্রম চলমান রয়েছে। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত