Ajker Patrika

পুতিনের মনের খবর জানতে চায় পশ্চিমারা

আজকের পত্রিকা ডেস্ক
আপডেট : ২২ মার্চ ২০২২, ১৪: ১২
পুতিনের মনের খবর জানতে চায় পশ্চিমারা

ছেলেবেলায় ইঁদুর দেখলেই তাড়া করতেন। তাড়া খেয়ে ইঁদুর দৌড়ে পালাতে চাইত। একসময় কোনো এক কোনায় গিয়ে পালানোর কোনো পথ খুঁজে পেত না। অনেকটা কোণঠাসা হয়ে তখন নিজেকে রক্ষার জন্য উল্টো আক্রমণ করত। এরপর তাঁকেই সরে যেতে হতো। ইঁদুর তাড়া করার এই গল্পটি বলতে শোনা গেছে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে। ইঁদুরের মতো পুতিনও কি নিজেকে কোণঠাসা মনে করেন বা করে আসছেন?

জটিল এ প্রশ্নের উত্তর খুঁজে চলেছেন পশ্চিমারা। বছরের পর বছর ধরে পুতিনের মনের ভেতরে প্রবেশের চেষ্টা করছেন পশ্চিমা গুপ্তচরেরা। তাঁর উদ্দেশ্যগুলো ভালোভাবে বুঝতে চাইছেন। ইউক্রেনের বর্তমান পরিস্থিতিতে পুতিন কী কী করতে পারেন, চাপের মধ্যে তিনি কী ধরনের প্রতিক্রিয়া দেখাবেন—এসব জানা এখন প্রয়োজনীয় হয়ে উঠেছে। তাঁর মনের অবস্থা বুঝতে পারলেই কেবল সংকটকে আরও বিপজ্জনকের দিকে যাওয়া থেকে আটকানো যাবে। কিন্তু পুতিনের মন বোঝা কী এতই সহজ!

সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, পশ্চিমা গুপ্তচরেরা বিশ্বাস করেন, পুতিন তাঁর নিজের তৈরি একটি ‘বদ্ধ জগতে’ আটকা পড়েছেন। এটি নিয়ে তাঁরা বেশ উদ্বিগ্ন। কিছুদিন আগে খবর রটে গিয়েছিল, রুশ প্রেসিডেন্ট অসুস্থ। তবে অনেক বিশ্লেষক বলছেন, তিনি অসুস্থ না হলেও আসলে অনেকটাই বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছেন। এমনকি নিজের অনেক কাছের মানুষের থেকেও। ঠিক এ কারণেই হয়তো বিকল্প মতামতগুলো তাঁর কাছে গিয়ে পৌঁছায় না।

তিনি যখন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁর সঙ্গে বৈঠক করছিলেন তখন একটি লম্বা টেবিলের দুই প্রান্তে ছিলেন দুজন। যুদ্ধের আগে পুতিনের নিজস্ব জাতীয় নিরাপত্তা দলের সঙ্গে বৈঠকেও একই চিত্র।

এর কারণ হিসেবে পশ্চিমা গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের ব্যাখ্যা, একজন কেজিবি অফিসার যেভাবে পরিকল্পনা সাজান, পুতিন তাঁর প্রাথমিক সামরিক পরিকল্পনা ঠিক সেভাবেই সাজিয়েছেন। তাঁর মনে কী খেলা করে—তা কাছের মানুষেরাও জানে না। ইউক্রেন আক্রমণের সময়কার ছোট্ট এক ঘটনাই এর প্রমাণ। তখন রুশ সামরিক কমান্ডারদের অনেকেই অপ্রস্তুত ছিলেন। কী করছেন—তা না জেনেই সীমান্তে চলে যান সেনারা।

একসময় মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএয়ের রাশিয়া অপারেশন পরিচালক জন সিফার বলেন, ‘ক্রেমলিনের চাল বোঝার সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো, মস্কোতে পুতিনই একক সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী।’ ব্রিটিশ গোয়েন্দা সংস্থা এমআই সিক্স-এর সাবেক প্রধান স্যার জন সাওয়ারসের মতে, ‘নেতার (পুতিন) মাথার ভেতরে কী ঘটছে সে সম্পর্কে ভালো ধারণা থাকা রাশিয়ার মতো সুরক্ষিত সিস্টেমে অত্যন্ত কঠিন। বিশেষ করে যখন তাঁর নিজের অনেক লোক জানে না, কী ঘটছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত