আজকের পত্রিকা ডেস্ক
গত সপ্তাহে স্কটল্যান্ডের গ্লাসগোয় বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলনের আলোচনায় জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় হঠাৎই এক যৌথ ঘোষণা জারি করে সবাইকে অবাক করেছে প্রতিযোগী দুই পরাশক্তি চীন ও যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু তাইওয়ান ইস্যুতে দেশ দুটির সামরিক সংঘর্ষের ক্রমবর্ধমান উদ্বেগ তাদের মতপার্থক্যকে নিয়ে গেছে তীব্র অস্বস্তির জায়গায়। এমন পরিস্থিতির মধ্যেই পারস্পরিক তিক্ততা দূর করতে বৈঠকে বসছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং।
সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জো বাইডেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর এই প্রথম তাঁর সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে বসছেন সি। চীনের স্থানীয় সময় আজ মঙ্গলবার সকালে এবং যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় গতকাল সন্ধ্যায় ভার্চুয়ালি এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা।
দুই বিশ্বনেতার মধ্যকার এ বৈঠকে সাইবার নিরাপত্তা, বাণিজ্য এবং পরমাণু নিরস্ত্রীকরণের মতো বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনা হবে বলে মার্কিন বিভিন্ন গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে জানিয়েছে বিবিসি।
গত শুক্রবার প্রকাশিত এক বিবৃতিতে হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, দুই নেতা যুক্তরাষ্ট্র এবং চীনের মধ্যে ‘সুস্থ প্রতিযোগিতা’ পরিচালনার পাশাপাশি পারস্পরিক স্বার্থে একসঙ্গে কাজ করার বিভিন্ন উপায় নিয়ে আলোচনা করবেন।
গত সপ্তাহে মার্কিন-চীন সম্পর্কবিষয়ক ন্যাশনাল কমিটির কাছে লেখা এক চিঠিতে সি চিনপিং বলেন, দুই দেশের মধ্যে সুসম্পর্ক ফেরাতে তাঁর দেশ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত। এ ক্ষেত্রে পারস্পরিক সহযোগিতাই সমাধানের একমাত্র উপায় বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
বাইডেন কী চান
বিবিসি বলছে, প্রত্যাশা কম থাকলেও সি-বাইডেনের মধ্যে বৈঠকটি যে হতে যাচ্ছে, সেটিই একটি বড় বিষয়। কারণ, দুই পক্ষই যুক্তরাষ্ট্র-চীনের মধ্যকার সম্পর্ক মেরামত করতে আগ্রহী, যা গত কয়েক বছরের প্রেক্ষাপট বিবেচনায় ইতিবাচক।
অন্য সব বিষয় ছাপিয়ে দুই দেশের মধ্যে আলোচনার কেন্দ্রে উঠে থাকতে পারে তাইওয়ান ইস্যু। বাইডেনের চাওয়া, তাইওয়ান প্রণালিজুড়ে শান্তি বজায় রাখার অঙ্গীকার করবেন সি চিনপিং। কারণ, সম্প্রতি দ্বীপটিতে সামরিক চাপ জোরদার করার কথা জানিয়েছে বেইজিং, প্রত্যক্ষ-পরোক্ষভাবে যার বিরোধিতা করে আসছে ওয়াশিংটন। তবে এর বিনিময়ে তাইওয়ানের সার্বভৌমত্ব নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র কোনো অবস্থান নেবে না বলে চীনকে আশ্বস্ত করতে হবে বাইডেনের।
এ ছাড়া চীনকে নিয়ে মার্কিন প্রশাসনের কৌশল যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের জন্য একটি স্থিতিশীল কাঠামো হতে পারে, সেটি সি চিন পিংকে বোঝানোর জন্য এই বৈঠক হতে পারে বাইডেনের বড় সুযোগ।
কী চান সি চিনপিং
চীনের পূর্ব উপকূলে অবস্থিত দ্বীপ তাইওয়ানে গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট থাকলেও এশিয়ার বাইরের অনেকের কাছেই বিষয়টি অস্পষ্ট। কিন্তু তাইওয়ান নিজেকে একটি স্বাধীন দেশ বলে মনে করলও চীন তাদের দেখে নিজেদের একটি বিদ্রোহী প্রদেশ হিসেবে। এমনকি তাইওয়ানকে চীনের ‘মূলভূমির’ সঙ্গে পুনরায় যুক্ত করতে শক্তি প্রয়োগের সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেয়নি বেইজিং। আর এ জন্যই বাইডেনের সঙ্গে বৈঠকে এ বিষয়টিকে আলোচনার টেবিলে ‘অনিবার্য’ হিসেবে দেখছেন সি চিনপিং।
সম্প্রতি চীনের আক্রমণ থেকে তাইওয়ানকে রক্ষা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন জো বাইডেন। দুই পক্ষের বৈঠকে তাই স্বাভাবিকভাবেই এর ব্যাখ্যা চাইবেন সি চিন পিং। তবে গত সেপ্টেম্বরে বাইডেন ও সি-র ফোনালাপের পর কোনো প্রতিযোগিতাই যেন শত্রুতায় রূপ না নেয়, সে বিষয়ে গুরুত্বারোপ করে বেইজিং।
আলোচনার মাধ্যমে চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার সব বৈরিতার সমাধান আসবে কি না, সেটিই এখন দেখার বিষয়।
গত সপ্তাহে স্কটল্যান্ডের গ্লাসগোয় বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলনের আলোচনায় জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় হঠাৎই এক যৌথ ঘোষণা জারি করে সবাইকে অবাক করেছে প্রতিযোগী দুই পরাশক্তি চীন ও যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু তাইওয়ান ইস্যুতে দেশ দুটির সামরিক সংঘর্ষের ক্রমবর্ধমান উদ্বেগ তাদের মতপার্থক্যকে নিয়ে গেছে তীব্র অস্বস্তির জায়গায়। এমন পরিস্থিতির মধ্যেই পারস্পরিক তিক্ততা দূর করতে বৈঠকে বসছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং।
সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জো বাইডেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর এই প্রথম তাঁর সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে বসছেন সি। চীনের স্থানীয় সময় আজ মঙ্গলবার সকালে এবং যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় গতকাল সন্ধ্যায় ভার্চুয়ালি এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা।
দুই বিশ্বনেতার মধ্যকার এ বৈঠকে সাইবার নিরাপত্তা, বাণিজ্য এবং পরমাণু নিরস্ত্রীকরণের মতো বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনা হবে বলে মার্কিন বিভিন্ন গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে জানিয়েছে বিবিসি।
গত শুক্রবার প্রকাশিত এক বিবৃতিতে হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, দুই নেতা যুক্তরাষ্ট্র এবং চীনের মধ্যে ‘সুস্থ প্রতিযোগিতা’ পরিচালনার পাশাপাশি পারস্পরিক স্বার্থে একসঙ্গে কাজ করার বিভিন্ন উপায় নিয়ে আলোচনা করবেন।
গত সপ্তাহে মার্কিন-চীন সম্পর্কবিষয়ক ন্যাশনাল কমিটির কাছে লেখা এক চিঠিতে সি চিনপিং বলেন, দুই দেশের মধ্যে সুসম্পর্ক ফেরাতে তাঁর দেশ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত। এ ক্ষেত্রে পারস্পরিক সহযোগিতাই সমাধানের একমাত্র উপায় বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
বাইডেন কী চান
বিবিসি বলছে, প্রত্যাশা কম থাকলেও সি-বাইডেনের মধ্যে বৈঠকটি যে হতে যাচ্ছে, সেটিই একটি বড় বিষয়। কারণ, দুই পক্ষই যুক্তরাষ্ট্র-চীনের মধ্যকার সম্পর্ক মেরামত করতে আগ্রহী, যা গত কয়েক বছরের প্রেক্ষাপট বিবেচনায় ইতিবাচক।
অন্য সব বিষয় ছাপিয়ে দুই দেশের মধ্যে আলোচনার কেন্দ্রে উঠে থাকতে পারে তাইওয়ান ইস্যু। বাইডেনের চাওয়া, তাইওয়ান প্রণালিজুড়ে শান্তি বজায় রাখার অঙ্গীকার করবেন সি চিনপিং। কারণ, সম্প্রতি দ্বীপটিতে সামরিক চাপ জোরদার করার কথা জানিয়েছে বেইজিং, প্রত্যক্ষ-পরোক্ষভাবে যার বিরোধিতা করে আসছে ওয়াশিংটন। তবে এর বিনিময়ে তাইওয়ানের সার্বভৌমত্ব নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র কোনো অবস্থান নেবে না বলে চীনকে আশ্বস্ত করতে হবে বাইডেনের।
এ ছাড়া চীনকে নিয়ে মার্কিন প্রশাসনের কৌশল যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের জন্য একটি স্থিতিশীল কাঠামো হতে পারে, সেটি সি চিন পিংকে বোঝানোর জন্য এই বৈঠক হতে পারে বাইডেনের বড় সুযোগ।
কী চান সি চিনপিং
চীনের পূর্ব উপকূলে অবস্থিত দ্বীপ তাইওয়ানে গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট থাকলেও এশিয়ার বাইরের অনেকের কাছেই বিষয়টি অস্পষ্ট। কিন্তু তাইওয়ান নিজেকে একটি স্বাধীন দেশ বলে মনে করলও চীন তাদের দেখে নিজেদের একটি বিদ্রোহী প্রদেশ হিসেবে। এমনকি তাইওয়ানকে চীনের ‘মূলভূমির’ সঙ্গে পুনরায় যুক্ত করতে শক্তি প্রয়োগের সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেয়নি বেইজিং। আর এ জন্যই বাইডেনের সঙ্গে বৈঠকে এ বিষয়টিকে আলোচনার টেবিলে ‘অনিবার্য’ হিসেবে দেখছেন সি চিনপিং।
সম্প্রতি চীনের আক্রমণ থেকে তাইওয়ানকে রক্ষা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন জো বাইডেন। দুই পক্ষের বৈঠকে তাই স্বাভাবিকভাবেই এর ব্যাখ্যা চাইবেন সি চিন পিং। তবে গত সেপ্টেম্বরে বাইডেন ও সি-র ফোনালাপের পর কোনো প্রতিযোগিতাই যেন শত্রুতায় রূপ না নেয়, সে বিষয়ে গুরুত্বারোপ করে বেইজিং।
আলোচনার মাধ্যমে চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার সব বৈরিতার সমাধান আসবে কি না, সেটিই এখন দেখার বিষয়।
ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
২৩ দিন আগেআধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলা নিয়ে দুই চিরবৈরী প্রতিবেশীর মধ্যে উত্তেজনার পারদ ক্রমেই চড়ছিল। তা তুঙ্গে উঠল এবার পাকিস্তানের ভূখণ্ডে ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামের ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান হামলা দিয়ে। পাশাপাশি সীমান্তেও দুই দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলি হয়েছে...
০৮ মে ২০২৫