অরুণ কর্মকার

ক্যালেন্ডারের পাতায় কোনো কোনো দিন বিশেষ বিশেষ কারণে লাল-নীল-সবুজ রঙে চিহ্নিত হয়ে থাকে। সেই সব দিনের কথা মানুষ দীর্ঘকাল মনেও রাখে। ২৮ অক্টোবরও কি তেমন একটি দিন হতে যাচ্ছে? এই প্রশ্নের সঠিক জবাব এখনো আমাদের জানা নেই। ওই দিন সকালে যখন এই নিবন্ধ ছাপার অক্ষরে প্রকাশিত হবে, তখনো দিনটির মাহাত্ম্য পুরোপুরি নির্ধারিত হবে না। জনমনের ‘কী হবে কী হবে’ ভাবটা এবং সেই ভাব নিয়ে আলোচনা তখনো চলতে থাকবে। কৌতূহল তখন তুরীয় মার্গে পৌঁছাবে।
সুতরাং, বোঝাই যাচ্ছে যে ২৮ অক্টোবরের কড়চা এই নিবন্ধে সম্পূর্ণ করা সম্ভব নয়। তবে ওই দিন কী হতে পারে, কিংবা কী কী হতে পারে, তা এখন অনেকটাই স্পষ্ট হয়ে গেছে। সেই সম্ভাব্য বিকল্পগুলো আমরা খতিয়ে দেখতে পারি। তার মধ্য দিয়ে এমনকি প্রকৃতের সন্ধানও পাওয়া যেতে পারে। অতএব আমরা সেই পথেই হাঁটব।
বিকল্প-১: ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) নয়াপল্টনে মহাসমাবেশের অনুমতি না দেওয়া সত্ত্বেও বিএনপি সেখানেই সমাবেশ করার সিদ্ধান্তে অবিচল থাকতে পারে। দলের গুরুত্বপূর্ণ শীর্ষ নেতাদের অন্যতম গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেনও সে কথা। সে ক্ষেত্রে পুলিশ সমাবেশে বাধা দেবে। ফলে বিএনপির সমবেতদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ অনিবার্য। ওদিকে জামায়াতও ডিএমপির অনুমতির তোয়াক্কা না করে শাপলা চত্বরে সমাবেশের আয়োজন করতে পারে। ফলে ওই চত্বরকে কেন্দ্র করেও আলাদা একটি সংঘর্ষস্থল তৈরি হবে। এসব সংঘর্ষ বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে আওয়ামী লীগের সমাবেশে সমবেতদের মধ্যেও ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা প্রবল। সুতরাং, বড় দুই দলের নির্ধারিত দুটি সমাবেশের একটিও সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হবে না।
নগরীর অন্যান্য স্থানে বিএনপির সমমনা দলগুলোও সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়বে। সব মিলে আহত ও গ্রেপ্তার হবেন প্রচুর। এ ধরনের রাজনৈতিক কর্মসূচিতে কিছু উসকানিদাতার অংশগ্রহণ থাকে। তাঁদের উদ্দেশ্য থাকে পরিস্থিতি ঘোলাটে ও জটিলতর করা। তাঁদের উসকানিতে প্রাণহানিরও আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যায় না। এই অবস্থার মধ্যেই বিএনপি এক দফার অংশ হিসেবে সরকারপতনের চূড়ান্ত কর্মসূচি ঘোষণা করবে। তাদের সমমনা দলগুলোও একই কর্মসূচি ঘোষণা করবে। শেষ পর্যন্ত দুই পক্ষই ছত্রভঙ্গ হয়ে নগরীর সর্বত্র ছড়িয়ে পড়বে। কোনো কোনো এলাকায় তাদের মধ্যে সংঘাতও হতে পারে। ফলে পুলিশি ব্যবস্থাও নগরীর সর্বত্র সম্প্রসারিত হবে। বিএনপি ও তার সমমনা দলগুলোকে আর মাঠে নামতে না দেওয়ার পরিবেশ সৃষ্টি হতে পারে। পরবর্তী সময়ে সুষ্ঠুভাবে আর কোনো কর্মসূচি আয়োজন ও পালনের পরিবেশ না-ও থাকতে পারে। অন্যদিকে সরকারের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে নির্বাচনী প্রক্রিয়া শুরু হতে এবং চলতে পারে।
বিকল্প-২: ডিএমপির নির্ধারণ করে দেওয়া স্থানে বিএনপি মহাসমাবেশ করতে পারে। ব্যাপক জনসমাগমের কারণে যদি সেই স্থানে জায়গার সংকুলান না হয় এবং সমাবেশে অংশ নেওয়ার জন্য সমবেতরা যদি আশপাশের রাস্তাঘাটে অবস্থান করতে বাধ্য হয়, সে ক্ষেত্রেও পুলিশের কিছু বলার থাকবে না। বলতে আসবে বলেও মনে হয় না। সেই সমাবেশ থেকে বিএনপি কর্মসূচি ঘোষণা করতে পারে। সমমনা দলগুলোও ভিন্ন ভিন্ন সমাবেশস্থল থেকে যুগপৎ কর্মসূচি ঘোষণা করতে পারে। সেই কর্মসূচি হতে পারে সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত অবিরাম হরতাল, অবরোধ, ঘেরাও, অসহযোগ এবং আরও কিছু।
এই বিকল্পে মহাসমাবেশ সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হতে পারে। তার পরের চ্যালেঞ্জ হলো ঘোষিত কর্মসূচি বাস্তবায়ন। সে জন্য আবার আন্দোলনকারীদের মাঠে নামতে হবে। সর্বোপরি ওই কর্মসূচির সাফল্য নির্ভর করবে জনসমর্থনের ওপর। বিএনপি ও তার সমমনা দলগুলো মনে করে, সরকারের জনসমর্থন শূন্যের ঘরে। সুতরাং তারা ওই কর্মসূচি বাস্তবায়নের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী হবে বলেই ধারণা করা স্বাভাবিক। তবে ওই কর্মসূচি বাস্তবায়নের সময় সরকার ও সরকারি দলের সঙ্গে তাদের সংঘাত সৃষ্টি হতে পারে, যা তারা ব্যাপক জনসমর্থনের জোরে উপেক্ষা করতে সক্ষম হবে বলেও ধারণা করা যায়।
বিকল্প-৩: সংঘাতময় পরিস্থিতি সৃষ্টির আশঙ্কায় ডিএমপি আওয়ামী লীগ কিংবা বিএনপি কোনো দলকেই সমাবেশের অনুমতি না-ও দিতে পারে। দল দুটি তা মেনে নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করে নিজ নিজ দলের পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করতে পারে। পরবর্তী কর্মসূচি হিসেবে বিএনপি যদি পূর্বোক্ত হরতাল-অবরোধ প্রভৃতি কর্মসূচি ঘোষণা করে, তাহলে তা বাস্তবায়নের জন্য তাদের বিকল্প-২-এর অনুরূপ চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করতে হবে।
আর যদি ডিএমপির সিদ্ধান্ত না মেনে বিএনপি নয়াপল্টনে কিংবা অন্য কোথাও অননুমোদিত সমাবেশের আয়োজন
করে, তাহলে তাঁদের বিকল্প-১-এর অনুরূপ চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করতে হবে। বিএনপি ও সমমনা দলগুলোর নেতাদের কথাবার্তায় অবশ্য যেকোনো মূল্যে মহাসমাবেশ-সমাবেশ সফল করার প্রত্যয় ব্যক্ত হয়ে এসেছে। এর মধ্যে ঝোপ বুঝে কোপ মারতে ওস্তাদ জামায়াতে ইসলামীও শাপলা চত্বরে সমাবেশ আয়োজনের ঘোষণা দিয়ে কৌশলে জানান দিয়ে রেখেছে যে তারা বিএনপির আশপাশেই আছে এবং থাকবে। ফলে বিএনপি ডিএমপির অনুমতি ছাড়াই নয়াপল্টনে সমাবেশের আয়োজন করেও ফেলতে পারে।
বিকল্প-৪: আমাদের যে বিদেশি বন্ধুরা আগামী নির্বাচন নিয়ে মাঠ পর্যায়ে তৎপর রয়েছে, তাদের একটি চাওয়া হচ্ছে—বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুক। সমাবেশ-মহাসমাবেশ নিয়ে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে তারা বিএনপিকে নির্বাচনে অংশগ্রহণের পরামর্শ দিতে পারে। বিএনপি তাদের পরামর্শমতো ২৮ তারিখেই (মহাসমাবেশ হোক বা না হোক) নির্বাচনে অংশগ্রহণের ঘোষণা দিতে পারে। যদি তা-ই হয়, তাহলে চ্যালেঞ্জের মধ্যে পড়ে যাবে সরকার ও সরকারি দল। সে হবে বড় কঠিন চ্যালেঞ্জ। বিএনপির অংশগ্রহণে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের মতো বড় চ্যালেঞ্জ বর্তমান সরকারের জন্য আর কিছু নেই। বিএনপি তখন ফুরফুরে মেজাজে নির্বাচনী প্রক্রিয়া ও তৎপরতা শুরু করতে পারে। অবশ্য তারা যে এ ব্যাপারে একেবারে কিছুই করেনি বা করছে না, তেমন ভাবারও কোনো কারণ নেই।
বিকল্প-৫: উপরিউক্ত কোনো বিকল্পই কাজে লাগল না। বিএনপি নির্বাচনে গেল না, মহাসমাবেশ হলো বা না হলো, আন্দোলন করে সরকারকে হটাতে পারল না। সংবিধান অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অধীনেই নির্বাচনের আয়োজন হলো। বিএনপির পক্ষে সেই নির্বাচন ঠেকানো সম্ভব হবে না। সে ক্ষেত্রে তাদের চ্যালেঞ্জ হলো দল টিকিয়ে রাখা। রাজনীতিতে টিকে থাকা।
আমরা জানি না, কে কোন পথে হাঁটবে। অবশ্য আর মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই সবাই সব জেনে যাবেন। আর বেশি অপেক্ষার অবকাশ নেই।

ক্যালেন্ডারের পাতায় কোনো কোনো দিন বিশেষ বিশেষ কারণে লাল-নীল-সবুজ রঙে চিহ্নিত হয়ে থাকে। সেই সব দিনের কথা মানুষ দীর্ঘকাল মনেও রাখে। ২৮ অক্টোবরও কি তেমন একটি দিন হতে যাচ্ছে? এই প্রশ্নের সঠিক জবাব এখনো আমাদের জানা নেই। ওই দিন সকালে যখন এই নিবন্ধ ছাপার অক্ষরে প্রকাশিত হবে, তখনো দিনটির মাহাত্ম্য পুরোপুরি নির্ধারিত হবে না। জনমনের ‘কী হবে কী হবে’ ভাবটা এবং সেই ভাব নিয়ে আলোচনা তখনো চলতে থাকবে। কৌতূহল তখন তুরীয় মার্গে পৌঁছাবে।
সুতরাং, বোঝাই যাচ্ছে যে ২৮ অক্টোবরের কড়চা এই নিবন্ধে সম্পূর্ণ করা সম্ভব নয়। তবে ওই দিন কী হতে পারে, কিংবা কী কী হতে পারে, তা এখন অনেকটাই স্পষ্ট হয়ে গেছে। সেই সম্ভাব্য বিকল্পগুলো আমরা খতিয়ে দেখতে পারি। তার মধ্য দিয়ে এমনকি প্রকৃতের সন্ধানও পাওয়া যেতে পারে। অতএব আমরা সেই পথেই হাঁটব।
বিকল্প-১: ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) নয়াপল্টনে মহাসমাবেশের অনুমতি না দেওয়া সত্ত্বেও বিএনপি সেখানেই সমাবেশ করার সিদ্ধান্তে অবিচল থাকতে পারে। দলের গুরুত্বপূর্ণ শীর্ষ নেতাদের অন্যতম গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেনও সে কথা। সে ক্ষেত্রে পুলিশ সমাবেশে বাধা দেবে। ফলে বিএনপির সমবেতদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ অনিবার্য। ওদিকে জামায়াতও ডিএমপির অনুমতির তোয়াক্কা না করে শাপলা চত্বরে সমাবেশের আয়োজন করতে পারে। ফলে ওই চত্বরকে কেন্দ্র করেও আলাদা একটি সংঘর্ষস্থল তৈরি হবে। এসব সংঘর্ষ বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে আওয়ামী লীগের সমাবেশে সমবেতদের মধ্যেও ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা প্রবল। সুতরাং, বড় দুই দলের নির্ধারিত দুটি সমাবেশের একটিও সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হবে না।
নগরীর অন্যান্য স্থানে বিএনপির সমমনা দলগুলোও সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়বে। সব মিলে আহত ও গ্রেপ্তার হবেন প্রচুর। এ ধরনের রাজনৈতিক কর্মসূচিতে কিছু উসকানিদাতার অংশগ্রহণ থাকে। তাঁদের উদ্দেশ্য থাকে পরিস্থিতি ঘোলাটে ও জটিলতর করা। তাঁদের উসকানিতে প্রাণহানিরও আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যায় না। এই অবস্থার মধ্যেই বিএনপি এক দফার অংশ হিসেবে সরকারপতনের চূড়ান্ত কর্মসূচি ঘোষণা করবে। তাদের সমমনা দলগুলোও একই কর্মসূচি ঘোষণা করবে। শেষ পর্যন্ত দুই পক্ষই ছত্রভঙ্গ হয়ে নগরীর সর্বত্র ছড়িয়ে পড়বে। কোনো কোনো এলাকায় তাদের মধ্যে সংঘাতও হতে পারে। ফলে পুলিশি ব্যবস্থাও নগরীর সর্বত্র সম্প্রসারিত হবে। বিএনপি ও তার সমমনা দলগুলোকে আর মাঠে নামতে না দেওয়ার পরিবেশ সৃষ্টি হতে পারে। পরবর্তী সময়ে সুষ্ঠুভাবে আর কোনো কর্মসূচি আয়োজন ও পালনের পরিবেশ না-ও থাকতে পারে। অন্যদিকে সরকারের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে নির্বাচনী প্রক্রিয়া শুরু হতে এবং চলতে পারে।
বিকল্প-২: ডিএমপির নির্ধারণ করে দেওয়া স্থানে বিএনপি মহাসমাবেশ করতে পারে। ব্যাপক জনসমাগমের কারণে যদি সেই স্থানে জায়গার সংকুলান না হয় এবং সমাবেশে অংশ নেওয়ার জন্য সমবেতরা যদি আশপাশের রাস্তাঘাটে অবস্থান করতে বাধ্য হয়, সে ক্ষেত্রেও পুলিশের কিছু বলার থাকবে না। বলতে আসবে বলেও মনে হয় না। সেই সমাবেশ থেকে বিএনপি কর্মসূচি ঘোষণা করতে পারে। সমমনা দলগুলোও ভিন্ন ভিন্ন সমাবেশস্থল থেকে যুগপৎ কর্মসূচি ঘোষণা করতে পারে। সেই কর্মসূচি হতে পারে সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত অবিরাম হরতাল, অবরোধ, ঘেরাও, অসহযোগ এবং আরও কিছু।
এই বিকল্পে মহাসমাবেশ সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হতে পারে। তার পরের চ্যালেঞ্জ হলো ঘোষিত কর্মসূচি বাস্তবায়ন। সে জন্য আবার আন্দোলনকারীদের মাঠে নামতে হবে। সর্বোপরি ওই কর্মসূচির সাফল্য নির্ভর করবে জনসমর্থনের ওপর। বিএনপি ও তার সমমনা দলগুলো মনে করে, সরকারের জনসমর্থন শূন্যের ঘরে। সুতরাং তারা ওই কর্মসূচি বাস্তবায়নের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী হবে বলেই ধারণা করা স্বাভাবিক। তবে ওই কর্মসূচি বাস্তবায়নের সময় সরকার ও সরকারি দলের সঙ্গে তাদের সংঘাত সৃষ্টি হতে পারে, যা তারা ব্যাপক জনসমর্থনের জোরে উপেক্ষা করতে সক্ষম হবে বলেও ধারণা করা যায়।
বিকল্প-৩: সংঘাতময় পরিস্থিতি সৃষ্টির আশঙ্কায় ডিএমপি আওয়ামী লীগ কিংবা বিএনপি কোনো দলকেই সমাবেশের অনুমতি না-ও দিতে পারে। দল দুটি তা মেনে নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করে নিজ নিজ দলের পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করতে পারে। পরবর্তী কর্মসূচি হিসেবে বিএনপি যদি পূর্বোক্ত হরতাল-অবরোধ প্রভৃতি কর্মসূচি ঘোষণা করে, তাহলে তা বাস্তবায়নের জন্য তাদের বিকল্প-২-এর অনুরূপ চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করতে হবে।
আর যদি ডিএমপির সিদ্ধান্ত না মেনে বিএনপি নয়াপল্টনে কিংবা অন্য কোথাও অননুমোদিত সমাবেশের আয়োজন
করে, তাহলে তাঁদের বিকল্প-১-এর অনুরূপ চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করতে হবে। বিএনপি ও সমমনা দলগুলোর নেতাদের কথাবার্তায় অবশ্য যেকোনো মূল্যে মহাসমাবেশ-সমাবেশ সফল করার প্রত্যয় ব্যক্ত হয়ে এসেছে। এর মধ্যে ঝোপ বুঝে কোপ মারতে ওস্তাদ জামায়াতে ইসলামীও শাপলা চত্বরে সমাবেশ আয়োজনের ঘোষণা দিয়ে কৌশলে জানান দিয়ে রেখেছে যে তারা বিএনপির আশপাশেই আছে এবং থাকবে। ফলে বিএনপি ডিএমপির অনুমতি ছাড়াই নয়াপল্টনে সমাবেশের আয়োজন করেও ফেলতে পারে।
বিকল্প-৪: আমাদের যে বিদেশি বন্ধুরা আগামী নির্বাচন নিয়ে মাঠ পর্যায়ে তৎপর রয়েছে, তাদের একটি চাওয়া হচ্ছে—বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুক। সমাবেশ-মহাসমাবেশ নিয়ে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে তারা বিএনপিকে নির্বাচনে অংশগ্রহণের পরামর্শ দিতে পারে। বিএনপি তাদের পরামর্শমতো ২৮ তারিখেই (মহাসমাবেশ হোক বা না হোক) নির্বাচনে অংশগ্রহণের ঘোষণা দিতে পারে। যদি তা-ই হয়, তাহলে চ্যালেঞ্জের মধ্যে পড়ে যাবে সরকার ও সরকারি দল। সে হবে বড় কঠিন চ্যালেঞ্জ। বিএনপির অংশগ্রহণে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের মতো বড় চ্যালেঞ্জ বর্তমান সরকারের জন্য আর কিছু নেই। বিএনপি তখন ফুরফুরে মেজাজে নির্বাচনী প্রক্রিয়া ও তৎপরতা শুরু করতে পারে। অবশ্য তারা যে এ ব্যাপারে একেবারে কিছুই করেনি বা করছে না, তেমন ভাবারও কোনো কারণ নেই।
বিকল্প-৫: উপরিউক্ত কোনো বিকল্পই কাজে লাগল না। বিএনপি নির্বাচনে গেল না, মহাসমাবেশ হলো বা না হলো, আন্দোলন করে সরকারকে হটাতে পারল না। সংবিধান অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অধীনেই নির্বাচনের আয়োজন হলো। বিএনপির পক্ষে সেই নির্বাচন ঠেকানো সম্ভব হবে না। সে ক্ষেত্রে তাদের চ্যালেঞ্জ হলো দল টিকিয়ে রাখা। রাজনীতিতে টিকে থাকা।
আমরা জানি না, কে কোন পথে হাঁটবে। অবশ্য আর মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই সবাই সব জেনে যাবেন। আর বেশি অপেক্ষার অবকাশ নেই।
অরুণ কর্মকার

ক্যালেন্ডারের পাতায় কোনো কোনো দিন বিশেষ বিশেষ কারণে লাল-নীল-সবুজ রঙে চিহ্নিত হয়ে থাকে। সেই সব দিনের কথা মানুষ দীর্ঘকাল মনেও রাখে। ২৮ অক্টোবরও কি তেমন একটি দিন হতে যাচ্ছে? এই প্রশ্নের সঠিক জবাব এখনো আমাদের জানা নেই। ওই দিন সকালে যখন এই নিবন্ধ ছাপার অক্ষরে প্রকাশিত হবে, তখনো দিনটির মাহাত্ম্য পুরোপুরি নির্ধারিত হবে না। জনমনের ‘কী হবে কী হবে’ ভাবটা এবং সেই ভাব নিয়ে আলোচনা তখনো চলতে থাকবে। কৌতূহল তখন তুরীয় মার্গে পৌঁছাবে।
সুতরাং, বোঝাই যাচ্ছে যে ২৮ অক্টোবরের কড়চা এই নিবন্ধে সম্পূর্ণ করা সম্ভব নয়। তবে ওই দিন কী হতে পারে, কিংবা কী কী হতে পারে, তা এখন অনেকটাই স্পষ্ট হয়ে গেছে। সেই সম্ভাব্য বিকল্পগুলো আমরা খতিয়ে দেখতে পারি। তার মধ্য দিয়ে এমনকি প্রকৃতের সন্ধানও পাওয়া যেতে পারে। অতএব আমরা সেই পথেই হাঁটব।
বিকল্প-১: ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) নয়াপল্টনে মহাসমাবেশের অনুমতি না দেওয়া সত্ত্বেও বিএনপি সেখানেই সমাবেশ করার সিদ্ধান্তে অবিচল থাকতে পারে। দলের গুরুত্বপূর্ণ শীর্ষ নেতাদের অন্যতম গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেনও সে কথা। সে ক্ষেত্রে পুলিশ সমাবেশে বাধা দেবে। ফলে বিএনপির সমবেতদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ অনিবার্য। ওদিকে জামায়াতও ডিএমপির অনুমতির তোয়াক্কা না করে শাপলা চত্বরে সমাবেশের আয়োজন করতে পারে। ফলে ওই চত্বরকে কেন্দ্র করেও আলাদা একটি সংঘর্ষস্থল তৈরি হবে। এসব সংঘর্ষ বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে আওয়ামী লীগের সমাবেশে সমবেতদের মধ্যেও ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা প্রবল। সুতরাং, বড় দুই দলের নির্ধারিত দুটি সমাবেশের একটিও সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হবে না।
নগরীর অন্যান্য স্থানে বিএনপির সমমনা দলগুলোও সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়বে। সব মিলে আহত ও গ্রেপ্তার হবেন প্রচুর। এ ধরনের রাজনৈতিক কর্মসূচিতে কিছু উসকানিদাতার অংশগ্রহণ থাকে। তাঁদের উদ্দেশ্য থাকে পরিস্থিতি ঘোলাটে ও জটিলতর করা। তাঁদের উসকানিতে প্রাণহানিরও আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যায় না। এই অবস্থার মধ্যেই বিএনপি এক দফার অংশ হিসেবে সরকারপতনের চূড়ান্ত কর্মসূচি ঘোষণা করবে। তাদের সমমনা দলগুলোও একই কর্মসূচি ঘোষণা করবে। শেষ পর্যন্ত দুই পক্ষই ছত্রভঙ্গ হয়ে নগরীর সর্বত্র ছড়িয়ে পড়বে। কোনো কোনো এলাকায় তাদের মধ্যে সংঘাতও হতে পারে। ফলে পুলিশি ব্যবস্থাও নগরীর সর্বত্র সম্প্রসারিত হবে। বিএনপি ও তার সমমনা দলগুলোকে আর মাঠে নামতে না দেওয়ার পরিবেশ সৃষ্টি হতে পারে। পরবর্তী সময়ে সুষ্ঠুভাবে আর কোনো কর্মসূচি আয়োজন ও পালনের পরিবেশ না-ও থাকতে পারে। অন্যদিকে সরকারের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে নির্বাচনী প্রক্রিয়া শুরু হতে এবং চলতে পারে।
বিকল্প-২: ডিএমপির নির্ধারণ করে দেওয়া স্থানে বিএনপি মহাসমাবেশ করতে পারে। ব্যাপক জনসমাগমের কারণে যদি সেই স্থানে জায়গার সংকুলান না হয় এবং সমাবেশে অংশ নেওয়ার জন্য সমবেতরা যদি আশপাশের রাস্তাঘাটে অবস্থান করতে বাধ্য হয়, সে ক্ষেত্রেও পুলিশের কিছু বলার থাকবে না। বলতে আসবে বলেও মনে হয় না। সেই সমাবেশ থেকে বিএনপি কর্মসূচি ঘোষণা করতে পারে। সমমনা দলগুলোও ভিন্ন ভিন্ন সমাবেশস্থল থেকে যুগপৎ কর্মসূচি ঘোষণা করতে পারে। সেই কর্মসূচি হতে পারে সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত অবিরাম হরতাল, অবরোধ, ঘেরাও, অসহযোগ এবং আরও কিছু।
এই বিকল্পে মহাসমাবেশ সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হতে পারে। তার পরের চ্যালেঞ্জ হলো ঘোষিত কর্মসূচি বাস্তবায়ন। সে জন্য আবার আন্দোলনকারীদের মাঠে নামতে হবে। সর্বোপরি ওই কর্মসূচির সাফল্য নির্ভর করবে জনসমর্থনের ওপর। বিএনপি ও তার সমমনা দলগুলো মনে করে, সরকারের জনসমর্থন শূন্যের ঘরে। সুতরাং তারা ওই কর্মসূচি বাস্তবায়নের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী হবে বলেই ধারণা করা স্বাভাবিক। তবে ওই কর্মসূচি বাস্তবায়নের সময় সরকার ও সরকারি দলের সঙ্গে তাদের সংঘাত সৃষ্টি হতে পারে, যা তারা ব্যাপক জনসমর্থনের জোরে উপেক্ষা করতে সক্ষম হবে বলেও ধারণা করা যায়।
বিকল্প-৩: সংঘাতময় পরিস্থিতি সৃষ্টির আশঙ্কায় ডিএমপি আওয়ামী লীগ কিংবা বিএনপি কোনো দলকেই সমাবেশের অনুমতি না-ও দিতে পারে। দল দুটি তা মেনে নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করে নিজ নিজ দলের পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করতে পারে। পরবর্তী কর্মসূচি হিসেবে বিএনপি যদি পূর্বোক্ত হরতাল-অবরোধ প্রভৃতি কর্মসূচি ঘোষণা করে, তাহলে তা বাস্তবায়নের জন্য তাদের বিকল্প-২-এর অনুরূপ চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করতে হবে।
আর যদি ডিএমপির সিদ্ধান্ত না মেনে বিএনপি নয়াপল্টনে কিংবা অন্য কোথাও অননুমোদিত সমাবেশের আয়োজন
করে, তাহলে তাঁদের বিকল্প-১-এর অনুরূপ চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করতে হবে। বিএনপি ও সমমনা দলগুলোর নেতাদের কথাবার্তায় অবশ্য যেকোনো মূল্যে মহাসমাবেশ-সমাবেশ সফল করার প্রত্যয় ব্যক্ত হয়ে এসেছে। এর মধ্যে ঝোপ বুঝে কোপ মারতে ওস্তাদ জামায়াতে ইসলামীও শাপলা চত্বরে সমাবেশ আয়োজনের ঘোষণা দিয়ে কৌশলে জানান দিয়ে রেখেছে যে তারা বিএনপির আশপাশেই আছে এবং থাকবে। ফলে বিএনপি ডিএমপির অনুমতি ছাড়াই নয়াপল্টনে সমাবেশের আয়োজন করেও ফেলতে পারে।
বিকল্প-৪: আমাদের যে বিদেশি বন্ধুরা আগামী নির্বাচন নিয়ে মাঠ পর্যায়ে তৎপর রয়েছে, তাদের একটি চাওয়া হচ্ছে—বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুক। সমাবেশ-মহাসমাবেশ নিয়ে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে তারা বিএনপিকে নির্বাচনে অংশগ্রহণের পরামর্শ দিতে পারে। বিএনপি তাদের পরামর্শমতো ২৮ তারিখেই (মহাসমাবেশ হোক বা না হোক) নির্বাচনে অংশগ্রহণের ঘোষণা দিতে পারে। যদি তা-ই হয়, তাহলে চ্যালেঞ্জের মধ্যে পড়ে যাবে সরকার ও সরকারি দল। সে হবে বড় কঠিন চ্যালেঞ্জ। বিএনপির অংশগ্রহণে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের মতো বড় চ্যালেঞ্জ বর্তমান সরকারের জন্য আর কিছু নেই। বিএনপি তখন ফুরফুরে মেজাজে নির্বাচনী প্রক্রিয়া ও তৎপরতা শুরু করতে পারে। অবশ্য তারা যে এ ব্যাপারে একেবারে কিছুই করেনি বা করছে না, তেমন ভাবারও কোনো কারণ নেই।
বিকল্প-৫: উপরিউক্ত কোনো বিকল্পই কাজে লাগল না। বিএনপি নির্বাচনে গেল না, মহাসমাবেশ হলো বা না হলো, আন্দোলন করে সরকারকে হটাতে পারল না। সংবিধান অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অধীনেই নির্বাচনের আয়োজন হলো। বিএনপির পক্ষে সেই নির্বাচন ঠেকানো সম্ভব হবে না। সে ক্ষেত্রে তাদের চ্যালেঞ্জ হলো দল টিকিয়ে রাখা। রাজনীতিতে টিকে থাকা।
আমরা জানি না, কে কোন পথে হাঁটবে। অবশ্য আর মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই সবাই সব জেনে যাবেন। আর বেশি অপেক্ষার অবকাশ নেই।

ক্যালেন্ডারের পাতায় কোনো কোনো দিন বিশেষ বিশেষ কারণে লাল-নীল-সবুজ রঙে চিহ্নিত হয়ে থাকে। সেই সব দিনের কথা মানুষ দীর্ঘকাল মনেও রাখে। ২৮ অক্টোবরও কি তেমন একটি দিন হতে যাচ্ছে? এই প্রশ্নের সঠিক জবাব এখনো আমাদের জানা নেই। ওই দিন সকালে যখন এই নিবন্ধ ছাপার অক্ষরে প্রকাশিত হবে, তখনো দিনটির মাহাত্ম্য পুরোপুরি নির্ধারিত হবে না। জনমনের ‘কী হবে কী হবে’ ভাবটা এবং সেই ভাব নিয়ে আলোচনা তখনো চলতে থাকবে। কৌতূহল তখন তুরীয় মার্গে পৌঁছাবে।
সুতরাং, বোঝাই যাচ্ছে যে ২৮ অক্টোবরের কড়চা এই নিবন্ধে সম্পূর্ণ করা সম্ভব নয়। তবে ওই দিন কী হতে পারে, কিংবা কী কী হতে পারে, তা এখন অনেকটাই স্পষ্ট হয়ে গেছে। সেই সম্ভাব্য বিকল্পগুলো আমরা খতিয়ে দেখতে পারি। তার মধ্য দিয়ে এমনকি প্রকৃতের সন্ধানও পাওয়া যেতে পারে। অতএব আমরা সেই পথেই হাঁটব।
বিকল্প-১: ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) নয়াপল্টনে মহাসমাবেশের অনুমতি না দেওয়া সত্ত্বেও বিএনপি সেখানেই সমাবেশ করার সিদ্ধান্তে অবিচল থাকতে পারে। দলের গুরুত্বপূর্ণ শীর্ষ নেতাদের অন্যতম গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেনও সে কথা। সে ক্ষেত্রে পুলিশ সমাবেশে বাধা দেবে। ফলে বিএনপির সমবেতদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ অনিবার্য। ওদিকে জামায়াতও ডিএমপির অনুমতির তোয়াক্কা না করে শাপলা চত্বরে সমাবেশের আয়োজন করতে পারে। ফলে ওই চত্বরকে কেন্দ্র করেও আলাদা একটি সংঘর্ষস্থল তৈরি হবে। এসব সংঘর্ষ বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে আওয়ামী লীগের সমাবেশে সমবেতদের মধ্যেও ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা প্রবল। সুতরাং, বড় দুই দলের নির্ধারিত দুটি সমাবেশের একটিও সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হবে না।
নগরীর অন্যান্য স্থানে বিএনপির সমমনা দলগুলোও সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়বে। সব মিলে আহত ও গ্রেপ্তার হবেন প্রচুর। এ ধরনের রাজনৈতিক কর্মসূচিতে কিছু উসকানিদাতার অংশগ্রহণ থাকে। তাঁদের উদ্দেশ্য থাকে পরিস্থিতি ঘোলাটে ও জটিলতর করা। তাঁদের উসকানিতে প্রাণহানিরও আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যায় না। এই অবস্থার মধ্যেই বিএনপি এক দফার অংশ হিসেবে সরকারপতনের চূড়ান্ত কর্মসূচি ঘোষণা করবে। তাদের সমমনা দলগুলোও একই কর্মসূচি ঘোষণা করবে। শেষ পর্যন্ত দুই পক্ষই ছত্রভঙ্গ হয়ে নগরীর সর্বত্র ছড়িয়ে পড়বে। কোনো কোনো এলাকায় তাদের মধ্যে সংঘাতও হতে পারে। ফলে পুলিশি ব্যবস্থাও নগরীর সর্বত্র সম্প্রসারিত হবে। বিএনপি ও তার সমমনা দলগুলোকে আর মাঠে নামতে না দেওয়ার পরিবেশ সৃষ্টি হতে পারে। পরবর্তী সময়ে সুষ্ঠুভাবে আর কোনো কর্মসূচি আয়োজন ও পালনের পরিবেশ না-ও থাকতে পারে। অন্যদিকে সরকারের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে নির্বাচনী প্রক্রিয়া শুরু হতে এবং চলতে পারে।
বিকল্প-২: ডিএমপির নির্ধারণ করে দেওয়া স্থানে বিএনপি মহাসমাবেশ করতে পারে। ব্যাপক জনসমাগমের কারণে যদি সেই স্থানে জায়গার সংকুলান না হয় এবং সমাবেশে অংশ নেওয়ার জন্য সমবেতরা যদি আশপাশের রাস্তাঘাটে অবস্থান করতে বাধ্য হয়, সে ক্ষেত্রেও পুলিশের কিছু বলার থাকবে না। বলতে আসবে বলেও মনে হয় না। সেই সমাবেশ থেকে বিএনপি কর্মসূচি ঘোষণা করতে পারে। সমমনা দলগুলোও ভিন্ন ভিন্ন সমাবেশস্থল থেকে যুগপৎ কর্মসূচি ঘোষণা করতে পারে। সেই কর্মসূচি হতে পারে সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত অবিরাম হরতাল, অবরোধ, ঘেরাও, অসহযোগ এবং আরও কিছু।
এই বিকল্পে মহাসমাবেশ সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হতে পারে। তার পরের চ্যালেঞ্জ হলো ঘোষিত কর্মসূচি বাস্তবায়ন। সে জন্য আবার আন্দোলনকারীদের মাঠে নামতে হবে। সর্বোপরি ওই কর্মসূচির সাফল্য নির্ভর করবে জনসমর্থনের ওপর। বিএনপি ও তার সমমনা দলগুলো মনে করে, সরকারের জনসমর্থন শূন্যের ঘরে। সুতরাং তারা ওই কর্মসূচি বাস্তবায়নের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী হবে বলেই ধারণা করা স্বাভাবিক। তবে ওই কর্মসূচি বাস্তবায়নের সময় সরকার ও সরকারি দলের সঙ্গে তাদের সংঘাত সৃষ্টি হতে পারে, যা তারা ব্যাপক জনসমর্থনের জোরে উপেক্ষা করতে সক্ষম হবে বলেও ধারণা করা যায়।
বিকল্প-৩: সংঘাতময় পরিস্থিতি সৃষ্টির আশঙ্কায় ডিএমপি আওয়ামী লীগ কিংবা বিএনপি কোনো দলকেই সমাবেশের অনুমতি না-ও দিতে পারে। দল দুটি তা মেনে নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করে নিজ নিজ দলের পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করতে পারে। পরবর্তী কর্মসূচি হিসেবে বিএনপি যদি পূর্বোক্ত হরতাল-অবরোধ প্রভৃতি কর্মসূচি ঘোষণা করে, তাহলে তা বাস্তবায়নের জন্য তাদের বিকল্প-২-এর অনুরূপ চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করতে হবে।
আর যদি ডিএমপির সিদ্ধান্ত না মেনে বিএনপি নয়াপল্টনে কিংবা অন্য কোথাও অননুমোদিত সমাবেশের আয়োজন
করে, তাহলে তাঁদের বিকল্প-১-এর অনুরূপ চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করতে হবে। বিএনপি ও সমমনা দলগুলোর নেতাদের কথাবার্তায় অবশ্য যেকোনো মূল্যে মহাসমাবেশ-সমাবেশ সফল করার প্রত্যয় ব্যক্ত হয়ে এসেছে। এর মধ্যে ঝোপ বুঝে কোপ মারতে ওস্তাদ জামায়াতে ইসলামীও শাপলা চত্বরে সমাবেশ আয়োজনের ঘোষণা দিয়ে কৌশলে জানান দিয়ে রেখেছে যে তারা বিএনপির আশপাশেই আছে এবং থাকবে। ফলে বিএনপি ডিএমপির অনুমতি ছাড়াই নয়াপল্টনে সমাবেশের আয়োজন করেও ফেলতে পারে।
বিকল্প-৪: আমাদের যে বিদেশি বন্ধুরা আগামী নির্বাচন নিয়ে মাঠ পর্যায়ে তৎপর রয়েছে, তাদের একটি চাওয়া হচ্ছে—বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুক। সমাবেশ-মহাসমাবেশ নিয়ে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে তারা বিএনপিকে নির্বাচনে অংশগ্রহণের পরামর্শ দিতে পারে। বিএনপি তাদের পরামর্শমতো ২৮ তারিখেই (মহাসমাবেশ হোক বা না হোক) নির্বাচনে অংশগ্রহণের ঘোষণা দিতে পারে। যদি তা-ই হয়, তাহলে চ্যালেঞ্জের মধ্যে পড়ে যাবে সরকার ও সরকারি দল। সে হবে বড় কঠিন চ্যালেঞ্জ। বিএনপির অংশগ্রহণে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের মতো বড় চ্যালেঞ্জ বর্তমান সরকারের জন্য আর কিছু নেই। বিএনপি তখন ফুরফুরে মেজাজে নির্বাচনী প্রক্রিয়া ও তৎপরতা শুরু করতে পারে। অবশ্য তারা যে এ ব্যাপারে একেবারে কিছুই করেনি বা করছে না, তেমন ভাবারও কোনো কারণ নেই।
বিকল্প-৫: উপরিউক্ত কোনো বিকল্পই কাজে লাগল না। বিএনপি নির্বাচনে গেল না, মহাসমাবেশ হলো বা না হলো, আন্দোলন করে সরকারকে হটাতে পারল না। সংবিধান অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অধীনেই নির্বাচনের আয়োজন হলো। বিএনপির পক্ষে সেই নির্বাচন ঠেকানো সম্ভব হবে না। সে ক্ষেত্রে তাদের চ্যালেঞ্জ হলো দল টিকিয়ে রাখা। রাজনীতিতে টিকে থাকা।
আমরা জানি না, কে কোন পথে হাঁটবে। অবশ্য আর মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই সবাই সব জেনে যাবেন। আর বেশি অপেক্ষার অবকাশ নেই।

গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে সর্বশেষ (৫৪ তম) সাক্ষীর জেরা শুরু হয়েছে। এই মামলাটির বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ।
২৩ দিন আগে
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫
ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫বাসস, ঢাকা

গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে সর্বশেষ (৫৪ তম) সাক্ষীর জেরা শুরু হয়েছে। এই মামলাটির বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ।
আজ সোমবার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-১-এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা (আইও) মো. আলমগীরের জেরা শুরু করেন রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী আমীর হোসেন। আইনজীবী আমীর হোসেন পলাতক আসামি শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের পক্ষে শুনানি করছেন। এর আগে গত মঙ্গলবার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. আলমগীরের সাক্ষ্য গ্রহণ সম্পন্ন হয়।
এই মামলার শুনানিতে এর আগে গণ-অভ্যুত্থানের অন্যতম প্রতীক শহীদ আবু সাঈদের বাবাসহ স্বজনহারা পরিবারের একাধিক সদস্য সাক্ষ্য দিয়েছেন। এ ছাড়া মামলার গুরুত্বপূর্ণ ‘স্টার উইটনেস’ হিসেবে সাক্ষ্য দেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক এবং জুলাই আন্দোলনের অন্যতম নেতৃত্বদানকারী নাহিদ ইসলাম এবং দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক ড. মাহমুদুর রহমান।
গত বছরের জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমনে আওয়ামী লীগ সরকার, তাদের দলীয় ক্যাডার ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একটি অংশ গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত করে বলে অভিযোগ ওঠে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে শেখ হাসিনা, তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং তৎকালীন আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের বিরুদ্ধে গত ১০ জুলাই অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল-১।
পরবর্তীকালে, এই মামলার অন্যতম আসামি সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন দোষ স্বীকার করে ঘটনার সত্যতা উদ্ঘাটনে রাজসাক্ষী (অ্যাপ্রোভার) হওয়ার জন্য ট্রাইব্যুনালে আবেদন করেন। ট্রাইব্যুনাল তাঁর আবেদন মঞ্জুর করলে তিনি রাজসাক্ষী হিসেবে এই মামলায় সাক্ষ্য দেন।
মামলার প্রসিকিউশন পক্ষে শুনানি করছেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম এবং গাজী এসএইচ তামিম। শুনানিতে তাঁদের সঙ্গে অপর প্রসিকিউটররাও উপস্থিত ছিলেন।
অন্যদিকে, এই মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে রাজসাক্ষী হওয়া সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের পক্ষে আছেন আইনজীবী যায়েদ বিন আমজাদ।
মানবতাবিরোধী অপরাধের এই মামলা ছাড়াও ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আরও দুটি মামলা বিচারাধীন। এর মধ্যে একটি মামলায় আওয়ামী লীগের সাড়ে ১৫ বছরের শাসনামলে সংঘটিত গুম-খুনের ঘটনায় তাঁকে আসামি করা হয়েছে। অন্য মামলাটি হলো রাজধানীর মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশে হত্যাকাণ্ড নিয়ে। এই তিনটি মামলার বিচারকাজই বর্তমানে দুটি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে চলমান।

গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে সর্বশেষ (৫৪ তম) সাক্ষীর জেরা শুরু হয়েছে। এই মামলাটির বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ।
আজ সোমবার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-১-এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা (আইও) মো. আলমগীরের জেরা শুরু করেন রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী আমীর হোসেন। আইনজীবী আমীর হোসেন পলাতক আসামি শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের পক্ষে শুনানি করছেন। এর আগে গত মঙ্গলবার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. আলমগীরের সাক্ষ্য গ্রহণ সম্পন্ন হয়।
এই মামলার শুনানিতে এর আগে গণ-অভ্যুত্থানের অন্যতম প্রতীক শহীদ আবু সাঈদের বাবাসহ স্বজনহারা পরিবারের একাধিক সদস্য সাক্ষ্য দিয়েছেন। এ ছাড়া মামলার গুরুত্বপূর্ণ ‘স্টার উইটনেস’ হিসেবে সাক্ষ্য দেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক এবং জুলাই আন্দোলনের অন্যতম নেতৃত্বদানকারী নাহিদ ইসলাম এবং দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক ড. মাহমুদুর রহমান।
গত বছরের জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমনে আওয়ামী লীগ সরকার, তাদের দলীয় ক্যাডার ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একটি অংশ গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত করে বলে অভিযোগ ওঠে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে শেখ হাসিনা, তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং তৎকালীন আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের বিরুদ্ধে গত ১০ জুলাই অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল-১।
পরবর্তীকালে, এই মামলার অন্যতম আসামি সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন দোষ স্বীকার করে ঘটনার সত্যতা উদ্ঘাটনে রাজসাক্ষী (অ্যাপ্রোভার) হওয়ার জন্য ট্রাইব্যুনালে আবেদন করেন। ট্রাইব্যুনাল তাঁর আবেদন মঞ্জুর করলে তিনি রাজসাক্ষী হিসেবে এই মামলায় সাক্ষ্য দেন।
মামলার প্রসিকিউশন পক্ষে শুনানি করছেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম এবং গাজী এসএইচ তামিম। শুনানিতে তাঁদের সঙ্গে অপর প্রসিকিউটররাও উপস্থিত ছিলেন।
অন্যদিকে, এই মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে রাজসাক্ষী হওয়া সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের পক্ষে আছেন আইনজীবী যায়েদ বিন আমজাদ।
মানবতাবিরোধী অপরাধের এই মামলা ছাড়াও ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আরও দুটি মামলা বিচারাধীন। এর মধ্যে একটি মামলায় আওয়ামী লীগের সাড়ে ১৫ বছরের শাসনামলে সংঘটিত গুম-খুনের ঘটনায় তাঁকে আসামি করা হয়েছে। অন্য মামলাটি হলো রাজধানীর মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশে হত্যাকাণ্ড নিয়ে। এই তিনটি মামলার বিচারকাজই বর্তমানে দুটি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে চলমান।

ক্যালেন্ডারের পাতায় কোনো কোনো দিন বিশেষ বিশেষ কারণে লাল-নীল-সবুজ রঙে চিহ্নিত হয়ে থাকে। সেই সব দিনের কথা মানুষ দীর্ঘকাল মনেও রাখে। ২৮ অক্টোবরও কি তেমন একটি দিন হতে যাচ্ছে? এই প্রশ্নের সঠিক জবাব এখনো আমাদের জানা নেই।
২৮ অক্টোবর ২০২৩
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫
ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর সঙ্গে।
মাছের সুষ্ঠু প্রজনন, উৎপাদন, মৎস্যসম্পদ সংরক্ষণ ও টেকসই মৎস্য আহরণের জন্য সমুদ্রে সব ধরনের মাছ শিকার ৫৮ দিনের নিষেধাজ্ঞা গতকাল বুধবার দিবাগত মধ্যরাতে শেষ হয়েছে। তাই গতকাল দিনভর ছিল উপকূলের জেলেপল্লিগুলোতে ব্যস্ততা। অনেকে দেখে নিচ্ছিলেন ট্রলার ঠিকঠাক আছে কি না, কেউ জালের ছেঁড়া অংশ সেলাই করছিলেন, কেউ আবার প্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রীসহ অন্য সরঞ্জাম গুছিয়ে নিচ্ছিলেন।
বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র এবং ফকিরহাট উপ-মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের ঘাটে গতকাল শত শত ট্রলার নোঙর করে রাখা ছিল। জেলেদের উপস্থিতিতে ঘাট এলাকা সরগরম হয়ে ওঠে। ফকিরহাটের মুদি-মনিহারি দোকানগুলোতে জেলেরা কেনাকাটা করতে ভিড় জমান। ফকিরহাট এলাকার বিসমিল্লাহ ট্রলারের মাঝি রহিম মিয়া বলেন, ‘সাগরে মাছ শিকারে যেতে সকল প্রস্তুতি নিয়েছি। নিষেধাজ্ঞার সময় শেষ হওয়ামাত্রই সাগরে নামব।’
জেলে নুরসাইদ ও ফোরকান মিয়া বলেন, ‘নিষেধাজ্ঞার সময় পরিবার-পরিজন নিয়ে বেশ কষ্টে কেটেছে। ওই সময়ে বেশ টাকা ঋণ করেছি। এখন সাগরে যাব। দেখি আল্লাহ ঋণ পরিশোধ করতে দেন কি না।’
নোয়াখালীর হাতিয়ার সূর্যমুখী, বাংলাবাজার, কাজিরবাজার, পাইতান মার্কেট চেয়ারম্যান ঘাটসহ বেশ কয়েকটি ঘাটে গতকাল জেলেদের ব্যস্ত সময় পার করতে দেখা গেছে। অনেকে নৌকায় জাল তুলছিলেন, আবার অনেকে জ্বালানি তেল মজুতসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী ট্রলারে নিয়ে যান। সূর্যমুখী ঘাটের এমভি মায়ের দোয়া ট্রলারের মাঝি জাফর উল্যা বলেন, ‘সাগরে ৮-১০ দিন থাকার প্রস্তুতি নিচ্ছি। সন্ধ্যায় সাগরের উদ্দেশে রওনা দেব।’
সূর্যমুখী ঘাট জেলে সমিতির সভাপতি জবিয়ল হক বলেন, ‘সাগরে নামতে প্রস্তুত নোয়াখালীর হাতিয়ার ২০টি ঘাটের লক্ষাধিক জেলে। এসব ঘাটে প্রায় ১০ হাজার ছোট-বড় ফিশিং ট্রলার রয়েছে। প্রতি ট্রলারে ১০ জন হলেও লক্ষাধিক জেলে এই মাছ ধরার সঙ্গে জড়িত। তাঁদের সবাই গত ৫৮ দিন তীরে বেকার ছিলেন।’
পিরোজপুরের ইন্দুরকানি উপজেলার পাড়েরহাট মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের পার্শ্ববর্তী এলাকার জেলেরা গতকাল দিনভর সাগরে যাওয়ার প্রস্তুতি নেন। এ ছাড়া মঠবাড়িয়া উপজেলার সাপলেজা, খেতাচিড়া, বড়মাছুয়া, ছোটমাছুয়া, ভান্ডারিয়া উপজেলার চরখালী, হেতালিয়া, কাউখালী উপজেলার সোনাকুর এলাকার জেলেরা, সদর উপজেলা এবং নেছারাবাদ উপজেলার বিভিন্ন এলাকার জেলেরা প্রস্তুতি শেষে গত রাতে বঙ্গোপসাগরে রওনা হন।
কয়েক দিন ধরে কক্সবাজার উপকূলের জেলেপল্লিগুলোতে নৌকা, জাল মেরামতসহ বিভিন্ন প্রস্তুতি সেরেছেন জেলেরা। গতকাল মেরিন ড্রাইভের টেকনাফের খুরেরমুখ, সাবরাং ও বাহারছড়া এলাকায় দেখা গেছে, সড়কে দাঁড় করিয়ে রাখা সারি সারি ট্রলারে জাল ও রসদ তোলেন জেলেরা।
একটি ট্রলারের মাঝি আবু তাহের জানান, এবার ভারতের সঙ্গে মিল রেখে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ায় কেউ সাগরে মাছ শিকারে নামেনি। এতে উপকূলের কাছাকাছি সাগরে জাল ফেললেই ইলিশসহ অন্য মাছ পাওয়া যাবে বলে আশাবাদী তিনি।
কক্সবাজার শহরের ফিশারি ঘাটের মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির পরিচালক জুলফিকার আলী জানান, কক্সবাজার উপকূলে ছোট-বড় ৭ হাজারের মতো যান্ত্রিক ট্রলার রয়েছে। এসব ট্রলারে প্রায় এক লাখ জেলে ও শ্রমিক নিয়োজিত রয়েছেন। অধিকাংশ ট্রলার নিষেধাজ্ঞা ওঠার সঙ্গে সঙ্গে সাগরে রওনা হবে।
[প্রতিবেদন তৈরিতে তথ্য দিয়ে সহায়তা করেছেন বরগুনা ও আমতলী, পিরোজপুর, কক্সবাজার এবং হাতিয়া প্রতিনিধি]

‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর সঙ্গে।
মাছের সুষ্ঠু প্রজনন, উৎপাদন, মৎস্যসম্পদ সংরক্ষণ ও টেকসই মৎস্য আহরণের জন্য সমুদ্রে সব ধরনের মাছ শিকার ৫৮ দিনের নিষেধাজ্ঞা গতকাল বুধবার দিবাগত মধ্যরাতে শেষ হয়েছে। তাই গতকাল দিনভর ছিল উপকূলের জেলেপল্লিগুলোতে ব্যস্ততা। অনেকে দেখে নিচ্ছিলেন ট্রলার ঠিকঠাক আছে কি না, কেউ জালের ছেঁড়া অংশ সেলাই করছিলেন, কেউ আবার প্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রীসহ অন্য সরঞ্জাম গুছিয়ে নিচ্ছিলেন।
বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র এবং ফকিরহাট উপ-মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের ঘাটে গতকাল শত শত ট্রলার নোঙর করে রাখা ছিল। জেলেদের উপস্থিতিতে ঘাট এলাকা সরগরম হয়ে ওঠে। ফকিরহাটের মুদি-মনিহারি দোকানগুলোতে জেলেরা কেনাকাটা করতে ভিড় জমান। ফকিরহাট এলাকার বিসমিল্লাহ ট্রলারের মাঝি রহিম মিয়া বলেন, ‘সাগরে মাছ শিকারে যেতে সকল প্রস্তুতি নিয়েছি। নিষেধাজ্ঞার সময় শেষ হওয়ামাত্রই সাগরে নামব।’
জেলে নুরসাইদ ও ফোরকান মিয়া বলেন, ‘নিষেধাজ্ঞার সময় পরিবার-পরিজন নিয়ে বেশ কষ্টে কেটেছে। ওই সময়ে বেশ টাকা ঋণ করেছি। এখন সাগরে যাব। দেখি আল্লাহ ঋণ পরিশোধ করতে দেন কি না।’
নোয়াখালীর হাতিয়ার সূর্যমুখী, বাংলাবাজার, কাজিরবাজার, পাইতান মার্কেট চেয়ারম্যান ঘাটসহ বেশ কয়েকটি ঘাটে গতকাল জেলেদের ব্যস্ত সময় পার করতে দেখা গেছে। অনেকে নৌকায় জাল তুলছিলেন, আবার অনেকে জ্বালানি তেল মজুতসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী ট্রলারে নিয়ে যান। সূর্যমুখী ঘাটের এমভি মায়ের দোয়া ট্রলারের মাঝি জাফর উল্যা বলেন, ‘সাগরে ৮-১০ দিন থাকার প্রস্তুতি নিচ্ছি। সন্ধ্যায় সাগরের উদ্দেশে রওনা দেব।’
সূর্যমুখী ঘাট জেলে সমিতির সভাপতি জবিয়ল হক বলেন, ‘সাগরে নামতে প্রস্তুত নোয়াখালীর হাতিয়ার ২০টি ঘাটের লক্ষাধিক জেলে। এসব ঘাটে প্রায় ১০ হাজার ছোট-বড় ফিশিং ট্রলার রয়েছে। প্রতি ট্রলারে ১০ জন হলেও লক্ষাধিক জেলে এই মাছ ধরার সঙ্গে জড়িত। তাঁদের সবাই গত ৫৮ দিন তীরে বেকার ছিলেন।’
পিরোজপুরের ইন্দুরকানি উপজেলার পাড়েরহাট মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের পার্শ্ববর্তী এলাকার জেলেরা গতকাল দিনভর সাগরে যাওয়ার প্রস্তুতি নেন। এ ছাড়া মঠবাড়িয়া উপজেলার সাপলেজা, খেতাচিড়া, বড়মাছুয়া, ছোটমাছুয়া, ভান্ডারিয়া উপজেলার চরখালী, হেতালিয়া, কাউখালী উপজেলার সোনাকুর এলাকার জেলেরা, সদর উপজেলা এবং নেছারাবাদ উপজেলার বিভিন্ন এলাকার জেলেরা প্রস্তুতি শেষে গত রাতে বঙ্গোপসাগরে রওনা হন।
কয়েক দিন ধরে কক্সবাজার উপকূলের জেলেপল্লিগুলোতে নৌকা, জাল মেরামতসহ বিভিন্ন প্রস্তুতি সেরেছেন জেলেরা। গতকাল মেরিন ড্রাইভের টেকনাফের খুরেরমুখ, সাবরাং ও বাহারছড়া এলাকায় দেখা গেছে, সড়কে দাঁড় করিয়ে রাখা সারি সারি ট্রলারে জাল ও রসদ তোলেন জেলেরা।
একটি ট্রলারের মাঝি আবু তাহের জানান, এবার ভারতের সঙ্গে মিল রেখে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ায় কেউ সাগরে মাছ শিকারে নামেনি। এতে উপকূলের কাছাকাছি সাগরে জাল ফেললেই ইলিশসহ অন্য মাছ পাওয়া যাবে বলে আশাবাদী তিনি।
কক্সবাজার শহরের ফিশারি ঘাটের মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির পরিচালক জুলফিকার আলী জানান, কক্সবাজার উপকূলে ছোট-বড় ৭ হাজারের মতো যান্ত্রিক ট্রলার রয়েছে। এসব ট্রলারে প্রায় এক লাখ জেলে ও শ্রমিক নিয়োজিত রয়েছেন। অধিকাংশ ট্রলার নিষেধাজ্ঞা ওঠার সঙ্গে সঙ্গে সাগরে রওনা হবে।
[প্রতিবেদন তৈরিতে তথ্য দিয়ে সহায়তা করেছেন বরগুনা ও আমতলী, পিরোজপুর, কক্সবাজার এবং হাতিয়া প্রতিনিধি]

ক্যালেন্ডারের পাতায় কোনো কোনো দিন বিশেষ বিশেষ কারণে লাল-নীল-সবুজ রঙে চিহ্নিত হয়ে থাকে। সেই সব দিনের কথা মানুষ দীর্ঘকাল মনেও রাখে। ২৮ অক্টোবরও কি তেমন একটি দিন হতে যাচ্ছে? এই প্রশ্নের সঠিক জবাব এখনো আমাদের জানা নেই।
২৮ অক্টোবর ২০২৩
গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে সর্বশেষ (৫৪ তম) সাক্ষীর জেরা শুরু হয়েছে। এই মামলাটির বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ।
২৩ দিন আগে
ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
ভারতের নিষেধাজ্ঞার এক দিন পরই গত রোববার লালমনিরহাটের বুড়িমারী ও যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দরসহ বিভিন্ন বন্দরে পণ্যের ট্রাক আটকে দেয় ভারত। সংশ্লিষ্টদের সূত্রে জানা যায়, রোববার ভারতের আমদানি বিধিনিষেধের কারণে বুড়িমারী সীমান্তে প্রাণের ১৭ ট্রাক খাদ্যপণ্য আটকে যায়। এ ছাড়া বেনাপোলে ৩৬টি পোশাক বোঝাই ট্রাকসহ অন্যান্য পণ্যের শতাধিক ট্রাক ঢুকতে পারেনি।
গতকাল সোমবার পর্যন্ত বুড়িমারী থেকে প্রাণের পণ্যবোঝাই ট্রাকগুলোর অর্ধেকের বেশি ফেরত নিয়ে আসে প্রতিষ্ঠানটি। এ ছাড়া বেনাপোলে পোর্টের ভেতরে ২৪টি ট্রাক ছাড়া বাকিগুলো ফেরত চলে যায়।
বেনাপোল বন্দর সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. সাজেদুর রহমান গতকাল সোমবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, গতকাল পোর্টের ভেতর ও বাইরে শতাধিক ট্রাক দাঁড়িয়ে ছিল। আজ পোর্টের ভেতরের ২৪টি ছাড়া বাকিগুলো ফেরত নিয়ে গেছেন মালিকেরা। এখন পর্যন্ত মনে হচ্ছে, পোর্টের ভেতরের ট্রাকগুলোও ফেরত নিতে হবে।
জানতে চাইলে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের পরিচালক (বিপণন) কামরুজ্জামান কামাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের হাতে ৬ মিলিয়ন ডলারের ক্রয় আদেশ রয়েছে। তার মধ্য থেকে রোববার বুড়িমারী দিয়ে ১৭ ট্রাকবোঝাই পণ্য পাঠিয়েছিলাম। কিন্তু সেগুলো ঢুকতে পারেনি। ট্রাকগুলো ফেরত আনা হচ্ছে। নতুন করে কাগজপত্র তৈরি করে অন্য পথ দিয়ে পণ্য পাঠাতে হবে।’
বেনাপোল স্থলবন্দর সূত্রে জানা যায়, ওই ২৪টি ট্রাক পোর্টের ভেতরে থাকায় এখনো তারা ভারতে প্রবেশের অপেক্ষায় রয়েছে। তাদের আশা, যেহেতু নিষেধাজ্ঞার আগে এই পণ্যগুলোর এলসি করা হয়েছিল, তাই এগুলো প্রবেশে অনুমতি পাবে। তবে এটি নির্ভর করবে বাংলাদেশ সরকারের আলোচনার ওপর।
এমন পরিস্থিতিতে সরকারের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রয়েছেন ব্যবসায়ীরা। ইতিমধ্যে অনেক রপ্তানিকারক রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সঙ্গে আলোচনা করে সরকারের সহযোগিতা চেয়েছে।
স্থলবন্দরের মাধ্যমে পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জসমূহ এবং আশু করণীয় নির্ধারণে বাণিজ্যসচিবের সভাপতিত্বে আজ মঙ্গলবার আন্তমন্ত্রণালয়ের সভা ডেকেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, স্থলবন্দরের মাধ্যমে পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জসমূহ এবং আশু করণীয় নির্ধারণে বাণিজ্যসচিবের সভাপতিত্বে বিকেল ৪টায় আন্তমন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এই সভা অনুষ্ঠিত হবে।
সভায় নৌপরিবহন ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো, জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের প্রতিনিধিদের উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া ব্যবসায়ী প্রতিনিধি হিসেবে এফবিসিসিআই, বিজিএমইএ, ভারত-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির প্রতিনিধিদের উপস্থিতির জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
ভারতের শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় গত শনিবার হঠাৎ এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক আমদানি নিষিদ্ধ করে। শুধু ভারতের নবসেবা ও কলকাতা সমুদ্রবন্দর ব্যবহার করে দেশটির আমদানিকারকেরা বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক আমদানি করতে পারবেন বলে ওই বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। এ ছাড়া বাংলাদেশ থেকে ভারতের আসাম, মেঘালয়, ত্রিপুরা ও মিজোরাম, পশ্চিমবঙ্গের চ্যাংড়াবান্দা ও ফুলবাড়ী শুল্ক স্টেশন দিয়ে ফল, ফলের স্বাদযুক্ত পানীয়, কোমল পানীয়, প্রক্রিয়াজাত খাদ্য, প্লাস্টিক পণ্য, সুতা, সুতার উপজাত, আসবাব রপ্তানিও নিষিদ্ধ করা হয় ওই বিজ্ঞপ্তিতে।
আমদানি ও রপ্তানিসংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা জানান, দেশের ২৪টি বন্দরের মধ্যে ১৬টি বন্দর দিয়ে ভারতের সঙ্গে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য হয়ে থাকে। তবে যোগাযোগব্যবস্থা সহজ হওয়ায় বেনাপোল ও ভারতের পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে সবচেয়ে বেশি আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য হয়। এর পরিমাণ ৮০ শতাংশ। বেনাপোল বন্দর দিয়ে প্রতিদিন ভারতে ২৫০ থেকে ৩০০ ট্রাকে বিভিন্ন ধরনের পণ্য রপ্তানি হয়। এর মধ্যে শতাধিক ট্রাক পণ্য থাকে তৈরি পোশাক।
এর আগে গত ৮ এপ্রিল বাংলাদেশের জন্য ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করে ভারত। ফলে ভারতের বিমানবন্দর ব্যবহার করে তৃতীয় কোনো দেশে তৈরি পোশাক রপ্তানি করতে পারছে না বাংলাদেশ। অন্যদিকে প্রায় এক মাস আগে ভারত থেকে বেনাপোল, ভোমরা, সোনামসজিদ, বাংলাবান্ধা, বুড়িমারী স্থলবন্দর দিয়ে সুতা আমদানির সুযোগ বন্ধ করে দেয় বাংলাদেশের জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশেষ ফেলো মোস্তাফিজুর রহমানের মতে, এই পাল্টাপাল্টি পদক্ষেপে তুলনামূলকভাবে বেশি নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বাংলাদেশের ওপর। তাই ভারতের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ঘাটতি কমানোর চেষ্টা অব্যাহত রাখাই সরকারের উচিত বলে মনে করছেন তিনি।
মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আলোচনার মাধ্যমে বাংলাদেশ এবং ভারতের বিরোধপূর্ণ বিষয়সমূহ মিটিয়ে ফেলতে হবে এবং দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য সম্পর্কের ক্ষেত্রে ভারসাম্য প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এটাই হবে উভয় দেশের জন্য কল্যাণকর।

ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
ভারতের নিষেধাজ্ঞার এক দিন পরই গত রোববার লালমনিরহাটের বুড়িমারী ও যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দরসহ বিভিন্ন বন্দরে পণ্যের ট্রাক আটকে দেয় ভারত। সংশ্লিষ্টদের সূত্রে জানা যায়, রোববার ভারতের আমদানি বিধিনিষেধের কারণে বুড়িমারী সীমান্তে প্রাণের ১৭ ট্রাক খাদ্যপণ্য আটকে যায়। এ ছাড়া বেনাপোলে ৩৬টি পোশাক বোঝাই ট্রাকসহ অন্যান্য পণ্যের শতাধিক ট্রাক ঢুকতে পারেনি।
গতকাল সোমবার পর্যন্ত বুড়িমারী থেকে প্রাণের পণ্যবোঝাই ট্রাকগুলোর অর্ধেকের বেশি ফেরত নিয়ে আসে প্রতিষ্ঠানটি। এ ছাড়া বেনাপোলে পোর্টের ভেতরে ২৪টি ট্রাক ছাড়া বাকিগুলো ফেরত চলে যায়।
বেনাপোল বন্দর সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. সাজেদুর রহমান গতকাল সোমবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, গতকাল পোর্টের ভেতর ও বাইরে শতাধিক ট্রাক দাঁড়িয়ে ছিল। আজ পোর্টের ভেতরের ২৪টি ছাড়া বাকিগুলো ফেরত নিয়ে গেছেন মালিকেরা। এখন পর্যন্ত মনে হচ্ছে, পোর্টের ভেতরের ট্রাকগুলোও ফেরত নিতে হবে।
জানতে চাইলে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের পরিচালক (বিপণন) কামরুজ্জামান কামাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের হাতে ৬ মিলিয়ন ডলারের ক্রয় আদেশ রয়েছে। তার মধ্য থেকে রোববার বুড়িমারী দিয়ে ১৭ ট্রাকবোঝাই পণ্য পাঠিয়েছিলাম। কিন্তু সেগুলো ঢুকতে পারেনি। ট্রাকগুলো ফেরত আনা হচ্ছে। নতুন করে কাগজপত্র তৈরি করে অন্য পথ দিয়ে পণ্য পাঠাতে হবে।’
বেনাপোল স্থলবন্দর সূত্রে জানা যায়, ওই ২৪টি ট্রাক পোর্টের ভেতরে থাকায় এখনো তারা ভারতে প্রবেশের অপেক্ষায় রয়েছে। তাদের আশা, যেহেতু নিষেধাজ্ঞার আগে এই পণ্যগুলোর এলসি করা হয়েছিল, তাই এগুলো প্রবেশে অনুমতি পাবে। তবে এটি নির্ভর করবে বাংলাদেশ সরকারের আলোচনার ওপর।
এমন পরিস্থিতিতে সরকারের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রয়েছেন ব্যবসায়ীরা। ইতিমধ্যে অনেক রপ্তানিকারক রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সঙ্গে আলোচনা করে সরকারের সহযোগিতা চেয়েছে।
স্থলবন্দরের মাধ্যমে পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জসমূহ এবং আশু করণীয় নির্ধারণে বাণিজ্যসচিবের সভাপতিত্বে আজ মঙ্গলবার আন্তমন্ত্রণালয়ের সভা ডেকেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, স্থলবন্দরের মাধ্যমে পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জসমূহ এবং আশু করণীয় নির্ধারণে বাণিজ্যসচিবের সভাপতিত্বে বিকেল ৪টায় আন্তমন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এই সভা অনুষ্ঠিত হবে।
সভায় নৌপরিবহন ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো, জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের প্রতিনিধিদের উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া ব্যবসায়ী প্রতিনিধি হিসেবে এফবিসিসিআই, বিজিএমইএ, ভারত-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির প্রতিনিধিদের উপস্থিতির জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
ভারতের শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় গত শনিবার হঠাৎ এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক আমদানি নিষিদ্ধ করে। শুধু ভারতের নবসেবা ও কলকাতা সমুদ্রবন্দর ব্যবহার করে দেশটির আমদানিকারকেরা বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক আমদানি করতে পারবেন বলে ওই বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। এ ছাড়া বাংলাদেশ থেকে ভারতের আসাম, মেঘালয়, ত্রিপুরা ও মিজোরাম, পশ্চিমবঙ্গের চ্যাংড়াবান্দা ও ফুলবাড়ী শুল্ক স্টেশন দিয়ে ফল, ফলের স্বাদযুক্ত পানীয়, কোমল পানীয়, প্রক্রিয়াজাত খাদ্য, প্লাস্টিক পণ্য, সুতা, সুতার উপজাত, আসবাব রপ্তানিও নিষিদ্ধ করা হয় ওই বিজ্ঞপ্তিতে।
আমদানি ও রপ্তানিসংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা জানান, দেশের ২৪টি বন্দরের মধ্যে ১৬টি বন্দর দিয়ে ভারতের সঙ্গে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য হয়ে থাকে। তবে যোগাযোগব্যবস্থা সহজ হওয়ায় বেনাপোল ও ভারতের পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে সবচেয়ে বেশি আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য হয়। এর পরিমাণ ৮০ শতাংশ। বেনাপোল বন্দর দিয়ে প্রতিদিন ভারতে ২৫০ থেকে ৩০০ ট্রাকে বিভিন্ন ধরনের পণ্য রপ্তানি হয়। এর মধ্যে শতাধিক ট্রাক পণ্য থাকে তৈরি পোশাক।
এর আগে গত ৮ এপ্রিল বাংলাদেশের জন্য ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করে ভারত। ফলে ভারতের বিমানবন্দর ব্যবহার করে তৃতীয় কোনো দেশে তৈরি পোশাক রপ্তানি করতে পারছে না বাংলাদেশ। অন্যদিকে প্রায় এক মাস আগে ভারত থেকে বেনাপোল, ভোমরা, সোনামসজিদ, বাংলাবান্ধা, বুড়িমারী স্থলবন্দর দিয়ে সুতা আমদানির সুযোগ বন্ধ করে দেয় বাংলাদেশের জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশেষ ফেলো মোস্তাফিজুর রহমানের মতে, এই পাল্টাপাল্টি পদক্ষেপে তুলনামূলকভাবে বেশি নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বাংলাদেশের ওপর। তাই ভারতের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ঘাটতি কমানোর চেষ্টা অব্যাহত রাখাই সরকারের উচিত বলে মনে করছেন তিনি।
মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আলোচনার মাধ্যমে বাংলাদেশ এবং ভারতের বিরোধপূর্ণ বিষয়সমূহ মিটিয়ে ফেলতে হবে এবং দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য সম্পর্কের ক্ষেত্রে ভারসাম্য প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এটাই হবে উভয় দেশের জন্য কল্যাণকর।

ক্যালেন্ডারের পাতায় কোনো কোনো দিন বিশেষ বিশেষ কারণে লাল-নীল-সবুজ রঙে চিহ্নিত হয়ে থাকে। সেই সব দিনের কথা মানুষ দীর্ঘকাল মনেও রাখে। ২৮ অক্টোবরও কি তেমন একটি দিন হতে যাচ্ছে? এই প্রশ্নের সঠিক জবাব এখনো আমাদের জানা নেই।
২৮ অক্টোবর ২০২৩
গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে সর্বশেষ (৫৪ তম) সাক্ষীর জেরা শুরু হয়েছে। এই মামলাটির বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ।
২৩ দিন আগে
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
১৮৯৮ সালে ভারতের উত্তর প্রদেশের একটি ধূলিধূসর টিলা খুঁড়ে পাওয়া মূল্যবান এই রত্নগুলো এক শতাব্দীর বেশি সময় ধরে একটি বেসরকারি ব্রিটিশ সংগ্রহাগারে প্রায় দৃষ্টিচক্ষুর আড়ালে ছিল। এখন যেহেতু রত্নগুলোর হাতবদলের সময় এসেছে, তাই নতুন সংগ্রাহকেরা আগ্রহ নিয়ে এগুলো সংগ্রহের জন্য অপেক্ষা করছেন। কিন্তু এখানে একটা অস্বস্তিও তৈরি হয়েছে।
গৌতম বুদ্ধের জন্মস্থান লুম্বিনীর কাছাকাছি, বর্তমানে ভারতের উত্তর প্রদেশে একটি ইটের ঘরের ভেতর থেকে প্রায় ১ হাজার ৮০০টি মুক্তা, রুবি, টোপাজ, নীলা ও নকশা করা সোনার পাত সংগ্রহ করা হয়েছিল। তবে এই রত্নগুলোর সঙ্গে সঙ্গে একটি খোদাই করা পাত্রে হাড়ের টুকরাও পাওয়া যায়, যেগুলোকে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষ বলে শনাক্ত করা হয়। এই আবিষ্কার তখন প্রত্নতত্ত্বের জগতে ব্যাপক আলোড়ন তোলে।
সাদাবি’স এশিয়ার চেয়ারম্যান নিকোলাস চাউ মনে করেন, স্মরণকালের বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর মাঝে এই রত্নসম্ভার অন্যতম। তবে এগুলো নিলামে তোলার কারণে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। আর তা হচ্ছে—ভারতের ইতিহাসের সঙ্গে গভীরভাবে জড়িয়ে থাকা এবং বৌদ্ধদের কাছে পবিত্র এই সম্পদ বিক্রি করা কি নৈতিকভাবে গ্রহণযোগ্য?
১৮৯৮ সালে ব্রিটিশ এস্টেট ম্যানেজার উইলিয়াম ক্ল্যাক্সটন পেপ্পে লুম্বিনির ঠিক দক্ষিণে পিপ্রাওয়ায় অবস্থিত একটি ঢিবি খনন করেন। সেখান থেকেই প্রায় ২ হাজার বছর আগের ওই নির্দশনগুলো খুঁজে পাওয়া যায়।
ইতিহাসবিদদের মতে, প্রাপ্ত রত্নসম্ভার ও দেহাবশেষ, যা তখনো পর্যন্ত অক্ষত ছিল, সেগুলো গৌতম বুদ্ধের শাক্য বংশের এবং বিশ্বব্যাপী বৌদ্ধদের ঐতিহ্য। হাড়ের নিদর্শনগুলো থাইল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা ও মিয়ানমারের মতো দেশগুলোতে বিতরণ করা হয়েছে। এসব দেশে এখনো সেগুলোর পূজা করা হয়।

আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
১৮৯৮ সালে ভারতের উত্তর প্রদেশের একটি ধূলিধূসর টিলা খুঁড়ে পাওয়া মূল্যবান এই রত্নগুলো এক শতাব্দীর বেশি সময় ধরে একটি বেসরকারি ব্রিটিশ সংগ্রহাগারে প্রায় দৃষ্টিচক্ষুর আড়ালে ছিল। এখন যেহেতু রত্নগুলোর হাতবদলের সময় এসেছে, তাই নতুন সংগ্রাহকেরা আগ্রহ নিয়ে এগুলো সংগ্রহের জন্য অপেক্ষা করছেন। কিন্তু এখানে একটা অস্বস্তিও তৈরি হয়েছে।
গৌতম বুদ্ধের জন্মস্থান লুম্বিনীর কাছাকাছি, বর্তমানে ভারতের উত্তর প্রদেশে একটি ইটের ঘরের ভেতর থেকে প্রায় ১ হাজার ৮০০টি মুক্তা, রুবি, টোপাজ, নীলা ও নকশা করা সোনার পাত সংগ্রহ করা হয়েছিল। তবে এই রত্নগুলোর সঙ্গে সঙ্গে একটি খোদাই করা পাত্রে হাড়ের টুকরাও পাওয়া যায়, যেগুলোকে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষ বলে শনাক্ত করা হয়। এই আবিষ্কার তখন প্রত্নতত্ত্বের জগতে ব্যাপক আলোড়ন তোলে।
সাদাবি’স এশিয়ার চেয়ারম্যান নিকোলাস চাউ মনে করেন, স্মরণকালের বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর মাঝে এই রত্নসম্ভার অন্যতম। তবে এগুলো নিলামে তোলার কারণে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। আর তা হচ্ছে—ভারতের ইতিহাসের সঙ্গে গভীরভাবে জড়িয়ে থাকা এবং বৌদ্ধদের কাছে পবিত্র এই সম্পদ বিক্রি করা কি নৈতিকভাবে গ্রহণযোগ্য?
১৮৯৮ সালে ব্রিটিশ এস্টেট ম্যানেজার উইলিয়াম ক্ল্যাক্সটন পেপ্পে লুম্বিনির ঠিক দক্ষিণে পিপ্রাওয়ায় অবস্থিত একটি ঢিবি খনন করেন। সেখান থেকেই প্রায় ২ হাজার বছর আগের ওই নির্দশনগুলো খুঁজে পাওয়া যায়।
ইতিহাসবিদদের মতে, প্রাপ্ত রত্নসম্ভার ও দেহাবশেষ, যা তখনো পর্যন্ত অক্ষত ছিল, সেগুলো গৌতম বুদ্ধের শাক্য বংশের এবং বিশ্বব্যাপী বৌদ্ধদের ঐতিহ্য। হাড়ের নিদর্শনগুলো থাইল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা ও মিয়ানমারের মতো দেশগুলোতে বিতরণ করা হয়েছে। এসব দেশে এখনো সেগুলোর পূজা করা হয়।

ক্যালেন্ডারের পাতায় কোনো কোনো দিন বিশেষ বিশেষ কারণে লাল-নীল-সবুজ রঙে চিহ্নিত হয়ে থাকে। সেই সব দিনের কথা মানুষ দীর্ঘকাল মনেও রাখে। ২৮ অক্টোবরও কি তেমন একটি দিন হতে যাচ্ছে? এই প্রশ্নের সঠিক জবাব এখনো আমাদের জানা নেই।
২৮ অক্টোবর ২০২৩
গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে সর্বশেষ (৫৪ তম) সাক্ষীর জেরা শুরু হয়েছে। এই মামলাটির বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ।
২৩ দিন আগে
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫
ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫