Ajker Patrika

২০ বছর ধরে খুঁটির বদলে গাছে বিদ্যুতের তার

দোয়ারাবাজার (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি
আপডেট : ০১ ডিসেম্বর ২০২১, ১৬: ১৮
Thumbnail image

কোথাও বাঁশ। কোথাও মরা গাছ। কোথাওবা গাছে টাঙানো হয়েছে বিদ্যুতের সংযোগ লাইন। বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) কর্তৃপক্ষের উদাসীনতায় সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার সুরমা ইউনিয়নের গিরিশনগর গ্রামে এভাবে ঝুঁকি নিয়ে বিদ্যুতের সংযোগ দেওয়া হয়েছে। গত ২১ বছর ধরে এভাবেই বিদ্যুতের তার টাঙানো রয়েছে। এতে যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা রয়েছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার গিরিশনগর গ্রামের ফায়জুর রহমানের বাড়ির পাশ থেকে শুরু করে এখলাস ফরাজির বাড়ির পুকুর পর্যন্ত আশপাশের প্রতিটি বাড়িতে বাঁশ, নড়বড়ে খুঁটি ও গাছে তার টাঙিয়ে টু-টোয়েন্টি বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হয়েছে। অনেক জায়গায় বিদ্যুতের তার গেছে মাথার উপর দিয়ে।

এতে স্থানীয় গ্রাহকেরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তাঁরা জানান, গ্রামের এখলাস ফরাজি ও ফায়জুর রহমানের বাড়ির আশপাশে প্রায় ৫০টি বৈধ মিটারধারী গ্রাহক রয়েছেন। তাঁরা নিয়মিত বিদ্যুৎ বিল, সরকারি ভ্যাটসহ সব চার্জ পরিশোধ করে আসছেন তবু বিদ্যুৎ অফিস থেকে পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছেন না। দীর্ঘদিন ধরে বিদ্যুৎ অফিসে খুঁটির দাবি জানিয়ে এলেও দায়সারা আশ্বাস ছাড়া আর কোনো কাজ হয়নি। অনেকে নিজস্ব অর্থায়নে স্থানীয়ভাবে খুঁটি নির্মাণ করে বাড়িতে বিদ্যুৎ সংযোগ নিয়েছেন। আর্থিক সংকুলান না হওয়ায় অনেকে ঝুঁকিপূর্ণ বাঁশ ও জীবন্ত গাছে তার টাঙিয়ে বিদ্যুৎ সংযোগ নিতে বাধ্য হয়েছেন।

গিরিশনগর গ্রামের বাসিন্দা গ্রাহক ফায়জুর রহমান বলেন, ‘বিদ্যুৎ অফিসে টাকা ছাড়া কোনো কাজ হয় না। গ্রামের ফোর ফোরটি বিদ্যুৎ লাইন এনেছি নিজেদের টাকায়। এরপরও আমাদের কপালে বিদ্যুতের খুঁটি জোটেনি। বাঁশ গাছ দিয়ে বিদ্যুৎ ব্যবহার করছি বছরের পর বছর ধরে।’

একই গ্রামের বাসিন্দা গ্রাহক এখলাস ফরাজী বলেন, ‘বিদ্যুৎ অফিসের সঙ্গে যোগাযোগ করতে করতে আমরা হয়রান। কেউ নিজের টাকায় পিলার বানিয়ে, কেউ বাঁশ দিয়ে আবার কেউ গাছে তার টানিয়ে বিদ্যুৎ নিয়েছি। প্রায় ২০ বছর ধরে আমরা এই অবস্থায় আছি। আমাদের এই দুরবস্থায় বিদ্যুৎ অফিসের কোনো মাথাব্যথা নেই।’

বিপিডিবির স্থানীয় লাইনম্যান ঈসমাইল মিয়া বলেন, ‘আমি লাইনম্যান হিসেবে যোগদানের আগে থেকেই এসব বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হয়েছে।’

এ বিষয়ে বিদ্যুৎ বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ ছাতকের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন সর্দার বলেন, ‘আমাদের অফিস থেকে লোক পাঠিয়ে এ ব্যাপারে খোঁজ নেওয়া হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত