সিলেট প্রতিনিধি
দেশের বড় দুই রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপির বড় কোনো কর্মসূচি না থাকায় দীর্ঘদিন ধরে সিলেটের রাজপথ ছিল শান্ত। বিভিন্ন দিবসে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের শোভাযাত্রা আর বিএনপি ছিল রেজিস্টারি মাঠে সমাবেশ, হোটেলের হলরুমে আলোচনা সভার মধ্যে সীমাবদ্ধ।
কিন্তু হঠাৎ করেই সিলেটের রাজপথ নিজেদের দখলে নিতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতা-কর্মীরা। তাই দলীয় কর্মসূচি পালনের নামে পাল্টাপাল্টি মহড়া করছে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি। শুধু পাল্টাপাল্টি মহড়াই নয়, রাজপথে একে অপরকে মোকাবিলার চ্যালেঞ্জও দিয়েছেন উভয় দলের নেতারা। এ যেন রাজপথ দখলের চ্যালেঞ্জ।
এদিকে গতকাল বৃহস্পতিবারও গ্যাসসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছে মহানগর বিএনপি। বিকেল সাড়ে তিনটায় রেজিস্টারি মাঠ থেকে মিছিল শুরু করে নগরীর গুরুত্বপূর্ণ এলাকা প্রদক্ষিণ করা হয়। এ সময় নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য হ্রাস করার দাবি জানিয়ে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন বিএনপির নেতা-কর্মীরা।
এর আগে গত ৩০ মে সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে নগরীতে বিশাল শোক শোভাযাত্রা করে জেলা ও মহানগর বিএনপি। তখন দলের একাধিক সূত্র জানায়, শোভাযাত্রায় সরকারদলীয় নেতা-কর্মী কিংবা প্রশাসন বাধা দিলে তা প্রতিহত করার প্রস্তুতি নিয়েই ওই দিন শোভাযাত্রা বের করে বিএনপি। তবে কড়া পুলিশি নিরাপত্তার কারণে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই শেষ হয় শোভাযাত্রা।
এর আগে গত ২৩ মে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদকের কটূক্তির প্রতিবাদে সিলেট নগরীর কোর্ট পয়েন্ট থেকে বিশাল মিছিল বের করে জেলা ও মহানগর ছাত্রলীগ। মিছিল থেকে ফেরার পথে চৌহাট্টায় ছাত্রদল নেতা-কর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষ হয় ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের। এর দুই দিন পর ছাত্রদল, যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দল নগরীতে বিশাল মিছিল করে।
এদিকে গত ৪ জুন ‘শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকি ও বিএনপির দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের’ প্রতিবাদে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে সিলেটে বিশাল মহড়া করে জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ। বৃষ্টি উপেক্ষা করে জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ রেজিস্টারি মাঠ থেকে পৃথক মিছিল বের করে। পরে সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গিয়ে সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়। মিছিলে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের হাজারো নেতা-কর্মী অংশ নেন। মিছিল পরবর্তী সমাবেশ থেকে সিলেটের রাজপথে বিএনপিকে প্রতিহত করার ঘোষণা দেন আওয়ামী লীগ নেতারা।
গতকাল মিছিল শেষ করে সিলেট মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মিফতাহ সিদ্দিকী বলেন, ‘সিলেটের রাজপথ বর্তমানে বিএনপির দখলে আছে। বর্তমান সরকারের অধীনে বিএনপি কোনো নির্বাচনে যাবে না। নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন আদায় করতেই বিএনপি রাজপথে আছে। রাজপথের আন্দোলনকে টার্গেট করে মহানগরীর প্রতিটি ওয়ার্ড কমিটি করা হচ্ছে। ভবিষ্যতে আন্দোলন আরও জোরদার করা হবে। রাজপথে বিএনপির কর্মসূচিতে কোনো ধরনের বাধা এলে তা প্রতিহত করার প্রস্তুতিও আমাদের রয়েছে।’
সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমদ বলেন, ‘আমরা আওয়ামী লীগ সব সময়ই রাজপথের দল। আমরা সব কেন্দ্রীয় কর্মসূচি যথাযথভাবে পালন করছি। এখন বিএনপি কেন বা কাদের ইন্ধনে হঠাৎ আবার সহিংসতার পথে এগোচ্ছে সে বিষয়ে তদন্ত করা উচিত। কারণ সামনে পদ্মা সেতু উদ্বোধনের মাধ্যমে আমাদের নেত্রী দেশকে বিশ্ব দরবারে এক অনন্য জায়গায় নিয়ে যাবেন। এই মুহূর্তে বিএনপি কোনো সহিংসতার পথ বেছে নিলে ছাড় দেওয়া হবে না।’
দেশের বড় দুই রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপির বড় কোনো কর্মসূচি না থাকায় দীর্ঘদিন ধরে সিলেটের রাজপথ ছিল শান্ত। বিভিন্ন দিবসে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের শোভাযাত্রা আর বিএনপি ছিল রেজিস্টারি মাঠে সমাবেশ, হোটেলের হলরুমে আলোচনা সভার মধ্যে সীমাবদ্ধ।
কিন্তু হঠাৎ করেই সিলেটের রাজপথ নিজেদের দখলে নিতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতা-কর্মীরা। তাই দলীয় কর্মসূচি পালনের নামে পাল্টাপাল্টি মহড়া করছে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি। শুধু পাল্টাপাল্টি মহড়াই নয়, রাজপথে একে অপরকে মোকাবিলার চ্যালেঞ্জও দিয়েছেন উভয় দলের নেতারা। এ যেন রাজপথ দখলের চ্যালেঞ্জ।
এদিকে গতকাল বৃহস্পতিবারও গ্যাসসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছে মহানগর বিএনপি। বিকেল সাড়ে তিনটায় রেজিস্টারি মাঠ থেকে মিছিল শুরু করে নগরীর গুরুত্বপূর্ণ এলাকা প্রদক্ষিণ করা হয়। এ সময় নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য হ্রাস করার দাবি জানিয়ে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন বিএনপির নেতা-কর্মীরা।
এর আগে গত ৩০ মে সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে নগরীতে বিশাল শোক শোভাযাত্রা করে জেলা ও মহানগর বিএনপি। তখন দলের একাধিক সূত্র জানায়, শোভাযাত্রায় সরকারদলীয় নেতা-কর্মী কিংবা প্রশাসন বাধা দিলে তা প্রতিহত করার প্রস্তুতি নিয়েই ওই দিন শোভাযাত্রা বের করে বিএনপি। তবে কড়া পুলিশি নিরাপত্তার কারণে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই শেষ হয় শোভাযাত্রা।
এর আগে গত ২৩ মে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদকের কটূক্তির প্রতিবাদে সিলেট নগরীর কোর্ট পয়েন্ট থেকে বিশাল মিছিল বের করে জেলা ও মহানগর ছাত্রলীগ। মিছিল থেকে ফেরার পথে চৌহাট্টায় ছাত্রদল নেতা-কর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষ হয় ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের। এর দুই দিন পর ছাত্রদল, যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দল নগরীতে বিশাল মিছিল করে।
এদিকে গত ৪ জুন ‘শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকি ও বিএনপির দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের’ প্রতিবাদে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে সিলেটে বিশাল মহড়া করে জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ। বৃষ্টি উপেক্ষা করে জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ রেজিস্টারি মাঠ থেকে পৃথক মিছিল বের করে। পরে সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গিয়ে সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়। মিছিলে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের হাজারো নেতা-কর্মী অংশ নেন। মিছিল পরবর্তী সমাবেশ থেকে সিলেটের রাজপথে বিএনপিকে প্রতিহত করার ঘোষণা দেন আওয়ামী লীগ নেতারা।
গতকাল মিছিল শেষ করে সিলেট মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মিফতাহ সিদ্দিকী বলেন, ‘সিলেটের রাজপথ বর্তমানে বিএনপির দখলে আছে। বর্তমান সরকারের অধীনে বিএনপি কোনো নির্বাচনে যাবে না। নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন আদায় করতেই বিএনপি রাজপথে আছে। রাজপথের আন্দোলনকে টার্গেট করে মহানগরীর প্রতিটি ওয়ার্ড কমিটি করা হচ্ছে। ভবিষ্যতে আন্দোলন আরও জোরদার করা হবে। রাজপথে বিএনপির কর্মসূচিতে কোনো ধরনের বাধা এলে তা প্রতিহত করার প্রস্তুতিও আমাদের রয়েছে।’
সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমদ বলেন, ‘আমরা আওয়ামী লীগ সব সময়ই রাজপথের দল। আমরা সব কেন্দ্রীয় কর্মসূচি যথাযথভাবে পালন করছি। এখন বিএনপি কেন বা কাদের ইন্ধনে হঠাৎ আবার সহিংসতার পথে এগোচ্ছে সে বিষয়ে তদন্ত করা উচিত। কারণ সামনে পদ্মা সেতু উদ্বোধনের মাধ্যমে আমাদের নেত্রী দেশকে বিশ্ব দরবারে এক অনন্য জায়গায় নিয়ে যাবেন। এই মুহূর্তে বিএনপি কোনো সহিংসতার পথ বেছে নিলে ছাড় দেওয়া হবে না।’
সৈয়দ মুজতবা আলীর ‘দেশে বিদেশে’ বইয়ের হরফুন মৌলা বা সকল কাজের কাজী আবদুর রহমানের বলা একটি বাক্য—‘ইনহাস্ত ওয়াতানাম’—‘এই আমার জন্মভূমি’। সে কথা বলার সময় আফগানি আবদুর রহমানের চোখেমুখে যে অম্লান দ্যুতি ছড়িয়ে পড়েছিল, সে কথা দিব্যি অনুভব করে নেওয়া যায়...
২ ঘণ্টা আগেবিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৭ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪