Ajker Patrika

যাঁরা দিতেন, সব হারিয়ে তাঁরাই হাত পাতছেন

নলডাঙ্গা (নাটোর) প্রতিনিধি
আপডেট : ২৫ মার্চ ২০২২, ১৩: ৫৪
Thumbnail image

নাটোরের নলডাঙ্গার মাধবপুর গ্রামের মকবুল হোসেনের পরিবারের এক সময় সব ছিল। অসহায় মানুষেরা সাহায্য চাইলে তা তাঁদের দিতে পারতেন। কিন্তু পরিবারটি এখন নিজেই নিঃস্ব। পড়নে কাপড় ছাড়া এখন আর কিছুই নেই তাঁদের। গত মঙ্গলবার গভীর রাতে আগুনে পুড়ে যায় বসতবাড়ির চারটি ঘরের সবকিছু। এখন পরিবারটি বাঁচার জন্য অন্যের কাছে হাত পাতছে। প্রতিবেশীর দেওয়া খাবার খেয়ে রাতে পরিবারের সদস্যরা খোলা আকাশের নিচে রাত্রি যাপন করেছেন।

গত বুধবার উপজেলা প্রশাসন থেকে খাদ্যসামগ্রী ও নলডাঙ্গা পৌরসভার পক্ষ থেকে নগদ কিছু অর্থ দিয়ে সহায়তা করা হয়। কিন্তু এ সহায়তা পরিবারটির জন্য অপ্রতুল।

জানা গেছে, গভীর রাতের আগুনে পুড়ে গেছে বসতবাড়ির ৪টি ঘরের ২০ বান্ডিল টিন, গচ্ছিত নগদ অর্থ, গবাদি পশুসহ ঘরের যাবতীয় আসবাব। পুড়ে যায় মকবুল হোসেনের নাতনি মেঘার স্কুলড্রেস, সব বই, খাতা ও কলম। এখন সেই মেঘার স্কুলে যাওয়া বন্ধ হয়ে গেছে। এ পরিস্থিতিতে দরিদ্র ওই পরিবারের ঘুরে দাঁড়ানোর মতো সামর্থ্য নেই। তাই মকবুল হোসেন পরিবারের পাঁচ সদস্য নিয়ে বাঁচার আকুতি জানিয়েছেন।

দরিদ্র কৃষক মকবুল হোসেন বলেন, ‘আগুনে পুড়ে সবকিছু হারিয়ে আমি এখন দিশেহারা। এখন আমি পরিবার নিয়ে খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছি। প্রশাসন থেকে সামান্য খাদ্যসামগ্রী ও পৌরসভার পক্ষ থেকে নগদ কিছু অর্থ পেয়েছি। তাই দিয়ে পরিবার নিয়ে কোনো মতে খেয়ে বেঁচে আছি। এখন নতুন ঘরবাড়ি নির্মাণ করতে প্রয়োজন দুই থেকে আড়াই লাখ টাকা। যা আমার পক্ষে জোগাড় করা অসম্ভব।’

নলডাঙ্গা পৌরসভার মেয়র মনিরুজ্জামান মনির বলেন, আগুনে পুড়ে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে অর্থ সহায়তা করা হয়েছে। পরবর্তীতে আরও কোনো সুযোগ-সুবিধা আসলে সেগুলো পরিবারটিকে দেওয়া হবে।

নলডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুখময় সরকার বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত ওই পরিবারের মধ্যে খাদ্যসামগ্রী দেওয়া হয়েছে। আর আশ্রয়ণ প্রকল্পের একটি বাড়ি দেওয়া যায় কিনা সে ব্যাপারে আরও খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত