Ajker Patrika

নিরাপদ আশ্রয়ের আশায় পরাজিত মৃত্যুর শঙ্কাও

আজকের পত্রিকা ডেস্ক
আপডেট : ০৫ জানুয়ারি ২০২২, ১০: ৪০
নিরাপদ আশ্রয়ের আশায় পরাজিত মৃত্যুর শঙ্কাও

বিভিন্ন দেশ থেকে স্পেনে প্রবেশ করতে গিয়ে ২০২১ সালে নৌকা ডুবে অন্তত ৪ হাজার ৪০০ শরণার্থীর মৃত্যু হয়েছে, যা আগের বছরের তুলনায় দ্বিগুণ। ‘ওয়াকিং বর্ডারস’ নামের একটি সংগঠন গত সোমবার এসব তথ্য জানিয়েছে।

নজরদারি ফাঁকি দিতে তুলনামূলক ভয়ংকর রাস্তা বেছে নেওয়া, ধারণক্ষমতার বেশি যাত্রী এবং আনফিট নৌকার ব্যবহারের কারণেই অধিকাংশ দুর্ঘটনা ঘটেছে। নৌ বা স্থলপথে গত বছর স্পেনে অনথিভুক্ত ৩৯ হাজার শরণার্থী প্রবেশ করেছে, যা আগের বছরের প্রায় সমান।

আটলান্টিক ও ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে স্পেনের ক্যানেরি দ্বীপপুঞ্জে প্রবেশের চেষ্টাকালে গত বছর নৌকাডুবির ঘটনা ঘটেছে ১২৪টি। এসব ঘটনায় নিহত ব্যক্তিদের প্রায় ৯০ শতাংশকে খুঁজে পাওয়া যায়নি।

নিজেদের হটলাইনের তথ্য এবং নিখোঁজ ব্যক্তিদের অনুসন্ধানকারী পরিবারের সদস্যদের তথ্যের ভিত্তিতে ওয়াকিং বর্ডারসের প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির প্রতিষ্ঠাতা হেলেনা ম্যালেনো তবে জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক শরণার্থী সংস্থার (আইওএম) তথ্যমতে, গত বছর ক্যানেরি দ্বীপপুঞ্জে পৌঁছাতে গিয়ে সাগরে প্রাণ হারিয়েছেন প্রায় ৯৫৫ জন। নিহত ব্যক্তিদের অধিকাংশ আফ্রিকা ও মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশের।

এদিকে ২০২১ সালে অন্তত ২৮ হাজার ৩৯৫ শরণার্থী ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিয়ে ফ্রান্স থেকে যুক্তরাজ্যে প্রবেশ করেছেন, যা আগের বছরের তুলনায় প্রায় তিনগুণ।

গত বছরের মধ্যে নভেম্বর মাসে ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিয়েছে সবচেয়ে বেশি। ওই মাসে ৬ হাজার ৮৬৯ শরণার্থী চ্যানেলটি পাড়ি দিয়েছেন, যাঁদের মধ্যে ১১ নভেম্বর এক দিনে পাড়ি দিয়েছেন ১ হাজার ১৮৫ জন। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় শীতে নৌপথে শরণার্থীদের পারাপারের ঘটনা বাড়ে। এসব শরণার্থীর অধিকাংশ মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকার।

চ্যানেলটি পাড়ি দিতে গিয়ে ২৪ নভেম্বর এক নৌকাডুবির ঘটনায় অন্তত ২৭ জনের মৃত্যু হয়েছে, যাঁদের অধিকাংশ ইরাকের কুর্দি জনগোষ্ঠীর লোক।

জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআরের সাম্প্রতিক তথ্যমতে, ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপে যাওয়ার পথে গত বছর অন্তত ১ হাজার ৬৪৫ জনের মৃত্যু হয়েছে।

শরণার্থীর চাপ এড়াতে নতুন আইনের কথা ভাবছে যুক্তরাজ্য। তা ছাড়া ইউরোপীয় ইউনিয়নেও নতুন আইনের দাবি জোরদার হচ্ছে। এসব আইনের খসড়ায় শরণার্থীদের উৎস দেশের আশপাশে আটকে রাখার সুপারিশ করা হচ্ছে।

সম্প্রতি গ্রিসের কোস্ট গার্ড প্রায় দেড় হাজার শরণার্থীকে তুরস্কে ফেরত পাঠিয়েছে বলে জানিয়েছে আল জাজিরা। ইইউর নতুন আইনের ফলে শরণার্থীদের ফেরত পাঠানো আরও বাড়বে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে গ্রিসভিত্তিক এনজিও এজিয়ান বোট রিপোর্ট নামের একটি এনজিও। তা ছাড়া এ ধরনের আইন ১৯৫১ সালের জেনেভা কনভেনশনের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হতে পারে বলেও শঙ্কা প্রকাশ করেছে সংস্থাটি। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত