মৃত্যুঞ্জয় রায়
এবার রিমালের থাবা থেকেও আমাদের বাঁচিয়ে দিয়েছে সুন্দরবন। না হলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আরও বাড়ত। একইভাবে ২০০৭ সালের সিডর এবং ২০০৯ সালের আইলার মতো বড় বড় ঘূর্ণিঝড়েও সুন্দরবন প্রাকৃতিক ঢাল হয়ে আমাদের অনেক জীবন ও সম্পদ বাঁচিয়ে দিয়েছে। সুন্দরবন থাকায় সে সময় আইলার বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ৪০ কিলোমিটার এবং জলোচ্ছ্বাসের উচ্চতা ৪ ফুট কমে গিয়েছিল। সিডরের কারণে তখন সুন্দরবনের প্রায় ২১ শতাংশ এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। অনেকেই মনে করেছিলেন, সুন্দরবনের এই ক্ষতি সহজে পূরণ হবে না। কিন্তু সুন্দরবনকে সুন্দরবনের মতো থাকতে দেওয়ায় শিগগিরই সেই ক্ষতি কাটিয়ে সুন্দরবন আবার আগের রূপে ফিরে আসতে পেরেছিল।
এটাই প্রকৃতির শক্তি। বরং ঝড়ে সুন্দরবনের উপকারই হয়েছিল। এক প্রতিবেদনে তখন বলা হয়েছিল, ঝড়ের পর সুন্দরবনে চারা গজানো এবং তা থেকে পরিণত বৃক্ষে রূপান্তরিত হওয়ার সম্ভাবনা আরও বেড়ে যায়। এর কারণ হিসেবে বলা হয়েছিল, সিডর ও আইলার আঘাতে অনেক পুরোনো ও বড় বড় গাছ ভেঙে গিয়েছিল। এতে আলো-বাতাস পেয়ে ছোট ছোট নতুন গাছের দ্রুত বেড়ে ওঠার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছিল। ভাঙা গাছপালা কেটে না সরানোর ফলে সেগুলো পচে মাটিতে পুষ্টি যোগ করেছিল। তা ছাড়া সেগুলো কেটে সরাতে গেলে মানুষের পদচারণায় ছোট ছোট চারা ও সেখানকার প্রাকৃতিক পরিবেশের যে ব্যাঘাত ঘটত, তা হয়নি। ফলে সুন্দরবনের পুনরুজ্জীবন আশাতীতভাবে অল্প সময়ের মধ্যেই সম্ভব হয়েছিল। এখান থেকে আমাদের শিক্ষণীয় অনেক বিষয় রয়েছে। সুন্দরবনের যা ক্ষতি করার তার অধিকাংশই মানুষ করছে, প্রকৃতি সেসব ক্ষতিপূরণের চেষ্টা নিজেরাই করছে, মানুষদের যাতে ক্ষতি না হয় সে জন্য। উপকূলীয় অঞ্চলে বসবাসরত প্রায় ২ কোটি মানুষ নানাভাবে সুন্দরবনের কাছে ঋণী। সুন্দরবন নিজে ক্ষতবিক্ষত হয়ে যুগ যুগ ধরে আমাদের প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে নানাভাবে সাহায্য করে আসছে। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, প্রাকৃতিক কারণের চেয়ে মনুষ্যসৃষ্ট কারণেই সুন্দরবন তথা ম্যানগ্রোভের বেশি ক্ষতি হচ্ছে।
দিনে দিনে সুন্দরবনের আয়তন কমছে। শুধু যে বনের আয়তন কমছে তা নয়, বনের ভেতরে থাকা গাছের ঘনত্বও কমছে। এক প্রতিবেদনে দেখা যায়, ১৯৫৯ সালে যেখানে সুন্দরবনে প্রতি হেক্টরে গাছের ঘনত্ব ছিল ২৬০টি, সেখানে ১৯৯৬ সালে হয়েছে ১৪৪টি। গাছের ঘনত্ব হ্রাসের পাশাপাশি লম্বা গাছের পরিমাণও কমছে। সুন্দরীগাছ এগুলোর মধ্যে একটি। কিন্তু লবণাক্ততা বৃদ্ধিসহ নানা কারণে দীর্ঘদেহী গাছ কমে যাচ্ছে, গাছে রোগ দেখা দেওয়ায় বয়স্ক গাছ মরে যাচ্ছে। ম্যানগ্রোভ বন হ্রাসের কারণগুলোর মধ্যে গবেষকেরা কয়েকটি কারণকে প্রধান বলে চিহ্নিত করেছেন। এগুলো হলো—সুন্দরবনের জমি কৃষিজমিতে রূপান্তরিত হওয়া, বিশেষ করে ফসল চাষ, চিংড়ি চাষ, মানুষের ঘরবাড়ি ও রাস্তার জন্য বনের জমি চলে যাওয়া, সুন্দরবন থেকে নানা প্রয়োজনে গাছপালা কাটা, গবাদিপশু চারণ করা, মাছ ধরা ইত্যাদি। মনুষ্যসৃষ্ট এসব কর্মকাণ্ড আগের তুলনায় বর্তমানে বেড়ে গেছে। এ ছাড়া পরিবেশদূষণ বেড়েছে, স্বাদু পানির লভ্যতা কমেছে, ঝড়-জলোচ্ছ্বাস বেড়েছে, পলি সঞ্চয়ন কমেছে, উপকূলীয় ভূমিক্ষয় বেড়েছে।
এসব কারণের মধ্যে সুন্দরবনের সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হচ্ছে স্বাদু পানির প্রাপ্যতা কমে যাওয়া এবং পলি মাটি কম জমা হওয়া। ১৯৭৫ সালে ভারতে পদ্মা নদীর উজানে ফারাক্কা বাঁধ দেওয়ার কারণে এ ঘটনা শুরু হয়েছে। ফলে নদীতে স্বাদু পানির প্রবাহ বা প্রাপ্যতা কমে যাওয়ায় লবণাক্ততা বাড়ছে। বর্তমানে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি একটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ। প্রতিবছর গড়ে ১ শতাংশ হারে সুন্দরবনের আয়তন কমছে। বিজ্ঞানীরা আশঙ্কা করছেন, যেভাবে এবং যে হারে সুন্দরবন কমছে বা ছোট হচ্ছে, সেই ধারা ও হ্রাসের হার অব্যাহত থাকলে আগামী ১০০ বছর পর সুন্দরবন হয়তো নিঃশেষ হয়ে যাবে।
ম্যানগ্রোভ বন আমাদের পরিবেশ রক্ষা, সেবা ও দরকারি বনজ সম্পদ সরবরাহে সব সময় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে। উদাহরণস্বরূপ, বিশ্বের সমগ্র ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চল মিলে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডল থেকে বছরে প্রায় ২৬ মিলিয়ন টন কার্বন পরিশোষণ করে, যা আমাদের পরিবেশকে ভালো রাখতে সাহায্য করে। সাধারণ বনের চেয়ে ম্যানগ্রোভ বনের কার্বন পরিশোষণের হার প্রায় পাঁচ গুণ বেশি। শুধু বায়ু শোধন নয়, পানি শোধনেও ম্যানগ্রোভ উদ্ভিদ ভূমিকা রাখে। মানুষের ক্রিয়াকর্মের দ্বারা ইতিমধ্যে আমরা বিশ্বের প্রায় ৫০ শতাংশ ম্যানগ্রোভ উদ্ভিদ হারিয়ে ফেলেছি।
সুন্দরবনের মতো একটি বনের সৃষ্টি কোনো মানুষ করতে পারে না, একমাত্র প্রকৃতিই তা করতে পারে। তাই সুন্দরবন ধ্বংস হয় বা সুন্দরবনের ক্ষতি হয় এরূপ কোনো কাজ মানুষের আদৌ করা উচিত নয়। জলবায়ুর পরিবর্তনে সুন্দরবনের উদ্ভিদ ও জীববৈচিত্র্যেরও পরিবর্তন ঘটছে। সুন্দরবনকে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের হাত থেকে রক্ষা করা দুরূহ। তবে মনুষ্যসৃষ্ট কারণে সুন্দরবনের যে বিনাশ ঘটছে, তা আমরা প্রতিহত করতে পারি। তথাকথিত উন্নয়নের নামে অযথা সুন্দরবনের গাছ কাটা বন্ধ করতে পারি, হেক্টরপ্রতি প্রজাতি ও গাছের ঘনত্ব ঠিক রাখতে পুনর্বনায়ন করতে পারি, খাল ও নদীর পাড়ে গাছের সঙ্গে নৌকা বাঁধা বন্ধ করে সেই সব গাছের ক্ষতি রোধ করতে পারি। সরকারের বন বিভাগ প্রতি দুই বছর পরপর ম্যানগ্রোভ বনে গাছের ঘনত্ব জরিপ করে এবং স্থানীয় অধিবাসীদের উদ্বুদ্ধকরণের মাধ্যমে ম্যানগ্রোভ গাছ লাগিয়ে ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চল বাড়াতে পারে। আমরা সুন্দরবনে পর্যটকদের গমন সীমিত করতে পারি, মাত্র একটি রুটকে পর্যটনের জন্য উন্মুক্ত রেখে বাকি সব রুটে মানুষের চলাচল বন্ধ করে দিতে পারি। বাংলাদেশ সরকার সুন্দরবন রক্ষার জন্য প্রতিবছর জুন থেকে আগস্ট—এই তিন মাস পর্যটক ও জেলেদের সুন্দরবনে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করে। বনজীবীদের বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে এই নিষেধাজ্ঞা চিরকালের জন্য জারি করলে বরং তা সুন্দরবনের জন্য বেশি মঙ্গলজনক হবে।
সুন্দরবনে মানুষের চলাচল ও পর্যটনের কারণে যেসব দূষণ ও জীববৈচিত্র্যের ক্ষতি হচ্ছে, সে ব্যাপারে বনজীবী ও পর্যটকদের সুন্দরবনে প্রবেশের আগে অবশ্য পালনীয় ও করণীয় বিষয় সম্পর্কে নিয়মিতভাবে স্বল্প সময়ের জন্য হলেও সচেতনতামূলক প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা যেতে পারে। এ ব্যাপারে আইন প্রয়োগের ব্যবস্থা রাখা দরকার। পাশাপাশি স্বেচ্ছাসেবীদের প্রশিক্ষিত করে তাদের দ্বারা স্থানীয় জনসাধারণকে সুন্দরবন রক্ষায় সচেতন করা দরকার। বনগামী ও বাদাবনের ওপর নির্ভরশীল প্রায় ৭৫ হাজার জীবিকা অন্বেষণকারীদের বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করলে গাছ কাটা অনেক বন্ধ হবে। অবাধে সুন্দরবনে লোক চলাচলের কারণে অনেক ছোট ছোট চারা মারা পড়ছে, এমনকি অগ্নিকাণ্ডের মতো ঘটনাও ঘটছে। গত দুই দশকে সুন্দরবনে অন্তত ২৫ বার আগুন লেগেছে। এসব অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটিগুলোর রিপোর্টে কারণ হিসেবে উঠেছে সুন্দরবনে যাওয়া মানুষের মাছ শিকারের জন্য জায়গা তৈরি, নাশকতা, মৌয়ালদের অসচেতনতায় ফেলে রাখা আগুন, বনজীবীদের বিড়ি-সিগারেটের আগুন ইত্যাদি বিষয়। সুন্দরবনকে বাঁচাতে হলে বন বিভাগের একশ্রেণির অসাধু ব্যক্তিদের লোভ-লালসাও বন্ধ করতে হবে।
লেখক: কৃষিবিদ ও প্রকৃতিবিষয়ক লেখক
এবার রিমালের থাবা থেকেও আমাদের বাঁচিয়ে দিয়েছে সুন্দরবন। না হলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আরও বাড়ত। একইভাবে ২০০৭ সালের সিডর এবং ২০০৯ সালের আইলার মতো বড় বড় ঘূর্ণিঝড়েও সুন্দরবন প্রাকৃতিক ঢাল হয়ে আমাদের অনেক জীবন ও সম্পদ বাঁচিয়ে দিয়েছে। সুন্দরবন থাকায় সে সময় আইলার বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ৪০ কিলোমিটার এবং জলোচ্ছ্বাসের উচ্চতা ৪ ফুট কমে গিয়েছিল। সিডরের কারণে তখন সুন্দরবনের প্রায় ২১ শতাংশ এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। অনেকেই মনে করেছিলেন, সুন্দরবনের এই ক্ষতি সহজে পূরণ হবে না। কিন্তু সুন্দরবনকে সুন্দরবনের মতো থাকতে দেওয়ায় শিগগিরই সেই ক্ষতি কাটিয়ে সুন্দরবন আবার আগের রূপে ফিরে আসতে পেরেছিল।
এটাই প্রকৃতির শক্তি। বরং ঝড়ে সুন্দরবনের উপকারই হয়েছিল। এক প্রতিবেদনে তখন বলা হয়েছিল, ঝড়ের পর সুন্দরবনে চারা গজানো এবং তা থেকে পরিণত বৃক্ষে রূপান্তরিত হওয়ার সম্ভাবনা আরও বেড়ে যায়। এর কারণ হিসেবে বলা হয়েছিল, সিডর ও আইলার আঘাতে অনেক পুরোনো ও বড় বড় গাছ ভেঙে গিয়েছিল। এতে আলো-বাতাস পেয়ে ছোট ছোট নতুন গাছের দ্রুত বেড়ে ওঠার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছিল। ভাঙা গাছপালা কেটে না সরানোর ফলে সেগুলো পচে মাটিতে পুষ্টি যোগ করেছিল। তা ছাড়া সেগুলো কেটে সরাতে গেলে মানুষের পদচারণায় ছোট ছোট চারা ও সেখানকার প্রাকৃতিক পরিবেশের যে ব্যাঘাত ঘটত, তা হয়নি। ফলে সুন্দরবনের পুনরুজ্জীবন আশাতীতভাবে অল্প সময়ের মধ্যেই সম্ভব হয়েছিল। এখান থেকে আমাদের শিক্ষণীয় অনেক বিষয় রয়েছে। সুন্দরবনের যা ক্ষতি করার তার অধিকাংশই মানুষ করছে, প্রকৃতি সেসব ক্ষতিপূরণের চেষ্টা নিজেরাই করছে, মানুষদের যাতে ক্ষতি না হয় সে জন্য। উপকূলীয় অঞ্চলে বসবাসরত প্রায় ২ কোটি মানুষ নানাভাবে সুন্দরবনের কাছে ঋণী। সুন্দরবন নিজে ক্ষতবিক্ষত হয়ে যুগ যুগ ধরে আমাদের প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে নানাভাবে সাহায্য করে আসছে। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, প্রাকৃতিক কারণের চেয়ে মনুষ্যসৃষ্ট কারণেই সুন্দরবন তথা ম্যানগ্রোভের বেশি ক্ষতি হচ্ছে।
দিনে দিনে সুন্দরবনের আয়তন কমছে। শুধু যে বনের আয়তন কমছে তা নয়, বনের ভেতরে থাকা গাছের ঘনত্বও কমছে। এক প্রতিবেদনে দেখা যায়, ১৯৫৯ সালে যেখানে সুন্দরবনে প্রতি হেক্টরে গাছের ঘনত্ব ছিল ২৬০টি, সেখানে ১৯৯৬ সালে হয়েছে ১৪৪টি। গাছের ঘনত্ব হ্রাসের পাশাপাশি লম্বা গাছের পরিমাণও কমছে। সুন্দরীগাছ এগুলোর মধ্যে একটি। কিন্তু লবণাক্ততা বৃদ্ধিসহ নানা কারণে দীর্ঘদেহী গাছ কমে যাচ্ছে, গাছে রোগ দেখা দেওয়ায় বয়স্ক গাছ মরে যাচ্ছে। ম্যানগ্রোভ বন হ্রাসের কারণগুলোর মধ্যে গবেষকেরা কয়েকটি কারণকে প্রধান বলে চিহ্নিত করেছেন। এগুলো হলো—সুন্দরবনের জমি কৃষিজমিতে রূপান্তরিত হওয়া, বিশেষ করে ফসল চাষ, চিংড়ি চাষ, মানুষের ঘরবাড়ি ও রাস্তার জন্য বনের জমি চলে যাওয়া, সুন্দরবন থেকে নানা প্রয়োজনে গাছপালা কাটা, গবাদিপশু চারণ করা, মাছ ধরা ইত্যাদি। মনুষ্যসৃষ্ট এসব কর্মকাণ্ড আগের তুলনায় বর্তমানে বেড়ে গেছে। এ ছাড়া পরিবেশদূষণ বেড়েছে, স্বাদু পানির লভ্যতা কমেছে, ঝড়-জলোচ্ছ্বাস বেড়েছে, পলি সঞ্চয়ন কমেছে, উপকূলীয় ভূমিক্ষয় বেড়েছে।
এসব কারণের মধ্যে সুন্দরবনের সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হচ্ছে স্বাদু পানির প্রাপ্যতা কমে যাওয়া এবং পলি মাটি কম জমা হওয়া। ১৯৭৫ সালে ভারতে পদ্মা নদীর উজানে ফারাক্কা বাঁধ দেওয়ার কারণে এ ঘটনা শুরু হয়েছে। ফলে নদীতে স্বাদু পানির প্রবাহ বা প্রাপ্যতা কমে যাওয়ায় লবণাক্ততা বাড়ছে। বর্তমানে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি একটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ। প্রতিবছর গড়ে ১ শতাংশ হারে সুন্দরবনের আয়তন কমছে। বিজ্ঞানীরা আশঙ্কা করছেন, যেভাবে এবং যে হারে সুন্দরবন কমছে বা ছোট হচ্ছে, সেই ধারা ও হ্রাসের হার অব্যাহত থাকলে আগামী ১০০ বছর পর সুন্দরবন হয়তো নিঃশেষ হয়ে যাবে।
ম্যানগ্রোভ বন আমাদের পরিবেশ রক্ষা, সেবা ও দরকারি বনজ সম্পদ সরবরাহে সব সময় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে। উদাহরণস্বরূপ, বিশ্বের সমগ্র ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চল মিলে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডল থেকে বছরে প্রায় ২৬ মিলিয়ন টন কার্বন পরিশোষণ করে, যা আমাদের পরিবেশকে ভালো রাখতে সাহায্য করে। সাধারণ বনের চেয়ে ম্যানগ্রোভ বনের কার্বন পরিশোষণের হার প্রায় পাঁচ গুণ বেশি। শুধু বায়ু শোধন নয়, পানি শোধনেও ম্যানগ্রোভ উদ্ভিদ ভূমিকা রাখে। মানুষের ক্রিয়াকর্মের দ্বারা ইতিমধ্যে আমরা বিশ্বের প্রায় ৫০ শতাংশ ম্যানগ্রোভ উদ্ভিদ হারিয়ে ফেলেছি।
সুন্দরবনের মতো একটি বনের সৃষ্টি কোনো মানুষ করতে পারে না, একমাত্র প্রকৃতিই তা করতে পারে। তাই সুন্দরবন ধ্বংস হয় বা সুন্দরবনের ক্ষতি হয় এরূপ কোনো কাজ মানুষের আদৌ করা উচিত নয়। জলবায়ুর পরিবর্তনে সুন্দরবনের উদ্ভিদ ও জীববৈচিত্র্যেরও পরিবর্তন ঘটছে। সুন্দরবনকে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের হাত থেকে রক্ষা করা দুরূহ। তবে মনুষ্যসৃষ্ট কারণে সুন্দরবনের যে বিনাশ ঘটছে, তা আমরা প্রতিহত করতে পারি। তথাকথিত উন্নয়নের নামে অযথা সুন্দরবনের গাছ কাটা বন্ধ করতে পারি, হেক্টরপ্রতি প্রজাতি ও গাছের ঘনত্ব ঠিক রাখতে পুনর্বনায়ন করতে পারি, খাল ও নদীর পাড়ে গাছের সঙ্গে নৌকা বাঁধা বন্ধ করে সেই সব গাছের ক্ষতি রোধ করতে পারি। সরকারের বন বিভাগ প্রতি দুই বছর পরপর ম্যানগ্রোভ বনে গাছের ঘনত্ব জরিপ করে এবং স্থানীয় অধিবাসীদের উদ্বুদ্ধকরণের মাধ্যমে ম্যানগ্রোভ গাছ লাগিয়ে ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চল বাড়াতে পারে। আমরা সুন্দরবনে পর্যটকদের গমন সীমিত করতে পারি, মাত্র একটি রুটকে পর্যটনের জন্য উন্মুক্ত রেখে বাকি সব রুটে মানুষের চলাচল বন্ধ করে দিতে পারি। বাংলাদেশ সরকার সুন্দরবন রক্ষার জন্য প্রতিবছর জুন থেকে আগস্ট—এই তিন মাস পর্যটক ও জেলেদের সুন্দরবনে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করে। বনজীবীদের বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে এই নিষেধাজ্ঞা চিরকালের জন্য জারি করলে বরং তা সুন্দরবনের জন্য বেশি মঙ্গলজনক হবে।
সুন্দরবনে মানুষের চলাচল ও পর্যটনের কারণে যেসব দূষণ ও জীববৈচিত্র্যের ক্ষতি হচ্ছে, সে ব্যাপারে বনজীবী ও পর্যটকদের সুন্দরবনে প্রবেশের আগে অবশ্য পালনীয় ও করণীয় বিষয় সম্পর্কে নিয়মিতভাবে স্বল্প সময়ের জন্য হলেও সচেতনতামূলক প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা যেতে পারে। এ ব্যাপারে আইন প্রয়োগের ব্যবস্থা রাখা দরকার। পাশাপাশি স্বেচ্ছাসেবীদের প্রশিক্ষিত করে তাদের দ্বারা স্থানীয় জনসাধারণকে সুন্দরবন রক্ষায় সচেতন করা দরকার। বনগামী ও বাদাবনের ওপর নির্ভরশীল প্রায় ৭৫ হাজার জীবিকা অন্বেষণকারীদের বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করলে গাছ কাটা অনেক বন্ধ হবে। অবাধে সুন্দরবনে লোক চলাচলের কারণে অনেক ছোট ছোট চারা মারা পড়ছে, এমনকি অগ্নিকাণ্ডের মতো ঘটনাও ঘটছে। গত দুই দশকে সুন্দরবনে অন্তত ২৫ বার আগুন লেগেছে। এসব অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটিগুলোর রিপোর্টে কারণ হিসেবে উঠেছে সুন্দরবনে যাওয়া মানুষের মাছ শিকারের জন্য জায়গা তৈরি, নাশকতা, মৌয়ালদের অসচেতনতায় ফেলে রাখা আগুন, বনজীবীদের বিড়ি-সিগারেটের আগুন ইত্যাদি বিষয়। সুন্দরবনকে বাঁচাতে হলে বন বিভাগের একশ্রেণির অসাধু ব্যক্তিদের লোভ-লালসাও বন্ধ করতে হবে।
লেখক: কৃষিবিদ ও প্রকৃতিবিষয়ক লেখক
গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে সর্বশেষ (৫৪ তম) সাক্ষীর জেরা শুরু হয়েছে। এই মামলাটির বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ।
১৬ দিন আগে‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫বাসস, ঢাকা
গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে সর্বশেষ (৫৪ তম) সাক্ষীর জেরা শুরু হয়েছে। এই মামলাটির বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ।
আজ সোমবার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-১-এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা (আইও) মো. আলমগীরের জেরা শুরু করেন রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী আমীর হোসেন। আইনজীবী আমীর হোসেন পলাতক আসামি শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের পক্ষে শুনানি করছেন। এর আগে গত মঙ্গলবার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. আলমগীরের সাক্ষ্য গ্রহণ সম্পন্ন হয়।
এই মামলার শুনানিতে এর আগে গণ-অভ্যুত্থানের অন্যতম প্রতীক শহীদ আবু সাঈদের বাবাসহ স্বজনহারা পরিবারের একাধিক সদস্য সাক্ষ্য দিয়েছেন। এ ছাড়া মামলার গুরুত্বপূর্ণ ‘স্টার উইটনেস’ হিসেবে সাক্ষ্য দেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক এবং জুলাই আন্দোলনের অন্যতম নেতৃত্বদানকারী নাহিদ ইসলাম এবং দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক ড. মাহমুদুর রহমান।
গত বছরের জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমনে আওয়ামী লীগ সরকার, তাদের দলীয় ক্যাডার ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একটি অংশ গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত করে বলে অভিযোগ ওঠে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে শেখ হাসিনা, তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং তৎকালীন আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের বিরুদ্ধে গত ১০ জুলাই অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল-১।
পরবর্তীকালে, এই মামলার অন্যতম আসামি সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন দোষ স্বীকার করে ঘটনার সত্যতা উদ্ঘাটনে রাজসাক্ষী (অ্যাপ্রোভার) হওয়ার জন্য ট্রাইব্যুনালে আবেদন করেন। ট্রাইব্যুনাল তাঁর আবেদন মঞ্জুর করলে তিনি রাজসাক্ষী হিসেবে এই মামলায় সাক্ষ্য দেন।
মামলার প্রসিকিউশন পক্ষে শুনানি করছেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম এবং গাজী এসএইচ তামিম। শুনানিতে তাঁদের সঙ্গে অপর প্রসিকিউটররাও উপস্থিত ছিলেন।
অন্যদিকে, এই মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে রাজসাক্ষী হওয়া সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের পক্ষে আছেন আইনজীবী যায়েদ বিন আমজাদ।
মানবতাবিরোধী অপরাধের এই মামলা ছাড়াও ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আরও দুটি মামলা বিচারাধীন। এর মধ্যে একটি মামলায় আওয়ামী লীগের সাড়ে ১৫ বছরের শাসনামলে সংঘটিত গুম-খুনের ঘটনায় তাঁকে আসামি করা হয়েছে। অন্য মামলাটি হলো রাজধানীর মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশে হত্যাকাণ্ড নিয়ে। এই তিনটি মামলার বিচারকাজই বর্তমানে দুটি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে চলমান।
গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে সর্বশেষ (৫৪ তম) সাক্ষীর জেরা শুরু হয়েছে। এই মামলাটির বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ।
আজ সোমবার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-১-এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা (আইও) মো. আলমগীরের জেরা শুরু করেন রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী আমীর হোসেন। আইনজীবী আমীর হোসেন পলাতক আসামি শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের পক্ষে শুনানি করছেন। এর আগে গত মঙ্গলবার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. আলমগীরের সাক্ষ্য গ্রহণ সম্পন্ন হয়।
এই মামলার শুনানিতে এর আগে গণ-অভ্যুত্থানের অন্যতম প্রতীক শহীদ আবু সাঈদের বাবাসহ স্বজনহারা পরিবারের একাধিক সদস্য সাক্ষ্য দিয়েছেন। এ ছাড়া মামলার গুরুত্বপূর্ণ ‘স্টার উইটনেস’ হিসেবে সাক্ষ্য দেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক এবং জুলাই আন্দোলনের অন্যতম নেতৃত্বদানকারী নাহিদ ইসলাম এবং দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক ড. মাহমুদুর রহমান।
গত বছরের জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমনে আওয়ামী লীগ সরকার, তাদের দলীয় ক্যাডার ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একটি অংশ গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত করে বলে অভিযোগ ওঠে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে শেখ হাসিনা, তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং তৎকালীন আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের বিরুদ্ধে গত ১০ জুলাই অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল-১।
পরবর্তীকালে, এই মামলার অন্যতম আসামি সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন দোষ স্বীকার করে ঘটনার সত্যতা উদ্ঘাটনে রাজসাক্ষী (অ্যাপ্রোভার) হওয়ার জন্য ট্রাইব্যুনালে আবেদন করেন। ট্রাইব্যুনাল তাঁর আবেদন মঞ্জুর করলে তিনি রাজসাক্ষী হিসেবে এই মামলায় সাক্ষ্য দেন।
মামলার প্রসিকিউশন পক্ষে শুনানি করছেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম এবং গাজী এসএইচ তামিম। শুনানিতে তাঁদের সঙ্গে অপর প্রসিকিউটররাও উপস্থিত ছিলেন।
অন্যদিকে, এই মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে রাজসাক্ষী হওয়া সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের পক্ষে আছেন আইনজীবী যায়েদ বিন আমজাদ।
মানবতাবিরোধী অপরাধের এই মামলা ছাড়াও ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আরও দুটি মামলা বিচারাধীন। এর মধ্যে একটি মামলায় আওয়ামী লীগের সাড়ে ১৫ বছরের শাসনামলে সংঘটিত গুম-খুনের ঘটনায় তাঁকে আসামি করা হয়েছে। অন্য মামলাটি হলো রাজধানীর মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশে হত্যাকাণ্ড নিয়ে। এই তিনটি মামলার বিচারকাজই বর্তমানে দুটি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে চলমান।
এবার রিমালের থাবা থেকেও আমাদের বাঁচিয়ে দিয়েছে সুন্দরবন। না হলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আরও বাড়ত। একইভাবে ২০০৭ সালের সিডর এবং ২০০৯ সালের আইলার মতো বড় বড় ঘূর্ণিঝড়েও সুন্দরবন প্রাকৃতিক ঢাল হয়ে আমাদের অনেক জীবন ও সম্পদ বাঁচিয়ে দিয়েছে। সুন্দরবন থাকায় সে সময় আইলার বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ৪০ কিলোমিটার এবং জলোচ্ছ্ব
২৬ জুলাই ২০২৪‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর সঙ্গে।
মাছের সুষ্ঠু প্রজনন, উৎপাদন, মৎস্যসম্পদ সংরক্ষণ ও টেকসই মৎস্য আহরণের জন্য সমুদ্রে সব ধরনের মাছ শিকার ৫৮ দিনের নিষেধাজ্ঞা গতকাল বুধবার দিবাগত মধ্যরাতে শেষ হয়েছে। তাই গতকাল দিনভর ছিল উপকূলের জেলেপল্লিগুলোতে ব্যস্ততা। অনেকে দেখে নিচ্ছিলেন ট্রলার ঠিকঠাক আছে কি না, কেউ জালের ছেঁড়া অংশ সেলাই করছিলেন, কেউ আবার প্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রীসহ অন্য সরঞ্জাম গুছিয়ে নিচ্ছিলেন।
বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র এবং ফকিরহাট উপ-মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের ঘাটে গতকাল শত শত ট্রলার নোঙর করে রাখা ছিল। জেলেদের উপস্থিতিতে ঘাট এলাকা সরগরম হয়ে ওঠে। ফকিরহাটের মুদি-মনিহারি দোকানগুলোতে জেলেরা কেনাকাটা করতে ভিড় জমান। ফকিরহাট এলাকার বিসমিল্লাহ ট্রলারের মাঝি রহিম মিয়া বলেন, ‘সাগরে মাছ শিকারে যেতে সকল প্রস্তুতি নিয়েছি। নিষেধাজ্ঞার সময় শেষ হওয়ামাত্রই সাগরে নামব।’
জেলে নুরসাইদ ও ফোরকান মিয়া বলেন, ‘নিষেধাজ্ঞার সময় পরিবার-পরিজন নিয়ে বেশ কষ্টে কেটেছে। ওই সময়ে বেশ টাকা ঋণ করেছি। এখন সাগরে যাব। দেখি আল্লাহ ঋণ পরিশোধ করতে দেন কি না।’
নোয়াখালীর হাতিয়ার সূর্যমুখী, বাংলাবাজার, কাজিরবাজার, পাইতান মার্কেট চেয়ারম্যান ঘাটসহ বেশ কয়েকটি ঘাটে গতকাল জেলেদের ব্যস্ত সময় পার করতে দেখা গেছে। অনেকে নৌকায় জাল তুলছিলেন, আবার অনেকে জ্বালানি তেল মজুতসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী ট্রলারে নিয়ে যান। সূর্যমুখী ঘাটের এমভি মায়ের দোয়া ট্রলারের মাঝি জাফর উল্যা বলেন, ‘সাগরে ৮-১০ দিন থাকার প্রস্তুতি নিচ্ছি। সন্ধ্যায় সাগরের উদ্দেশে রওনা দেব।’
সূর্যমুখী ঘাট জেলে সমিতির সভাপতি জবিয়ল হক বলেন, ‘সাগরে নামতে প্রস্তুত নোয়াখালীর হাতিয়ার ২০টি ঘাটের লক্ষাধিক জেলে। এসব ঘাটে প্রায় ১০ হাজার ছোট-বড় ফিশিং ট্রলার রয়েছে। প্রতি ট্রলারে ১০ জন হলেও লক্ষাধিক জেলে এই মাছ ধরার সঙ্গে জড়িত। তাঁদের সবাই গত ৫৮ দিন তীরে বেকার ছিলেন।’
পিরোজপুরের ইন্দুরকানি উপজেলার পাড়েরহাট মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের পার্শ্ববর্তী এলাকার জেলেরা গতকাল দিনভর সাগরে যাওয়ার প্রস্তুতি নেন। এ ছাড়া মঠবাড়িয়া উপজেলার সাপলেজা, খেতাচিড়া, বড়মাছুয়া, ছোটমাছুয়া, ভান্ডারিয়া উপজেলার চরখালী, হেতালিয়া, কাউখালী উপজেলার সোনাকুর এলাকার জেলেরা, সদর উপজেলা এবং নেছারাবাদ উপজেলার বিভিন্ন এলাকার জেলেরা প্রস্তুতি শেষে গত রাতে বঙ্গোপসাগরে রওনা হন।
কয়েক দিন ধরে কক্সবাজার উপকূলের জেলেপল্লিগুলোতে নৌকা, জাল মেরামতসহ বিভিন্ন প্রস্তুতি সেরেছেন জেলেরা। গতকাল মেরিন ড্রাইভের টেকনাফের খুরেরমুখ, সাবরাং ও বাহারছড়া এলাকায় দেখা গেছে, সড়কে দাঁড় করিয়ে রাখা সারি সারি ট্রলারে জাল ও রসদ তোলেন জেলেরা।
একটি ট্রলারের মাঝি আবু তাহের জানান, এবার ভারতের সঙ্গে মিল রেখে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ায় কেউ সাগরে মাছ শিকারে নামেনি। এতে উপকূলের কাছাকাছি সাগরে জাল ফেললেই ইলিশসহ অন্য মাছ পাওয়া যাবে বলে আশাবাদী তিনি।
কক্সবাজার শহরের ফিশারি ঘাটের মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির পরিচালক জুলফিকার আলী জানান, কক্সবাজার উপকূলে ছোট-বড় ৭ হাজারের মতো যান্ত্রিক ট্রলার রয়েছে। এসব ট্রলারে প্রায় এক লাখ জেলে ও শ্রমিক নিয়োজিত রয়েছেন। অধিকাংশ ট্রলার নিষেধাজ্ঞা ওঠার সঙ্গে সঙ্গে সাগরে রওনা হবে।
[প্রতিবেদন তৈরিতে তথ্য দিয়ে সহায়তা করেছেন বরগুনা ও আমতলী, পিরোজপুর, কক্সবাজার এবং হাতিয়া প্রতিনিধি]
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর সঙ্গে।
মাছের সুষ্ঠু প্রজনন, উৎপাদন, মৎস্যসম্পদ সংরক্ষণ ও টেকসই মৎস্য আহরণের জন্য সমুদ্রে সব ধরনের মাছ শিকার ৫৮ দিনের নিষেধাজ্ঞা গতকাল বুধবার দিবাগত মধ্যরাতে শেষ হয়েছে। তাই গতকাল দিনভর ছিল উপকূলের জেলেপল্লিগুলোতে ব্যস্ততা। অনেকে দেখে নিচ্ছিলেন ট্রলার ঠিকঠাক আছে কি না, কেউ জালের ছেঁড়া অংশ সেলাই করছিলেন, কেউ আবার প্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রীসহ অন্য সরঞ্জাম গুছিয়ে নিচ্ছিলেন।
বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র এবং ফকিরহাট উপ-মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের ঘাটে গতকাল শত শত ট্রলার নোঙর করে রাখা ছিল। জেলেদের উপস্থিতিতে ঘাট এলাকা সরগরম হয়ে ওঠে। ফকিরহাটের মুদি-মনিহারি দোকানগুলোতে জেলেরা কেনাকাটা করতে ভিড় জমান। ফকিরহাট এলাকার বিসমিল্লাহ ট্রলারের মাঝি রহিম মিয়া বলেন, ‘সাগরে মাছ শিকারে যেতে সকল প্রস্তুতি নিয়েছি। নিষেধাজ্ঞার সময় শেষ হওয়ামাত্রই সাগরে নামব।’
জেলে নুরসাইদ ও ফোরকান মিয়া বলেন, ‘নিষেধাজ্ঞার সময় পরিবার-পরিজন নিয়ে বেশ কষ্টে কেটেছে। ওই সময়ে বেশ টাকা ঋণ করেছি। এখন সাগরে যাব। দেখি আল্লাহ ঋণ পরিশোধ করতে দেন কি না।’
নোয়াখালীর হাতিয়ার সূর্যমুখী, বাংলাবাজার, কাজিরবাজার, পাইতান মার্কেট চেয়ারম্যান ঘাটসহ বেশ কয়েকটি ঘাটে গতকাল জেলেদের ব্যস্ত সময় পার করতে দেখা গেছে। অনেকে নৌকায় জাল তুলছিলেন, আবার অনেকে জ্বালানি তেল মজুতসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী ট্রলারে নিয়ে যান। সূর্যমুখী ঘাটের এমভি মায়ের দোয়া ট্রলারের মাঝি জাফর উল্যা বলেন, ‘সাগরে ৮-১০ দিন থাকার প্রস্তুতি নিচ্ছি। সন্ধ্যায় সাগরের উদ্দেশে রওনা দেব।’
সূর্যমুখী ঘাট জেলে সমিতির সভাপতি জবিয়ল হক বলেন, ‘সাগরে নামতে প্রস্তুত নোয়াখালীর হাতিয়ার ২০টি ঘাটের লক্ষাধিক জেলে। এসব ঘাটে প্রায় ১০ হাজার ছোট-বড় ফিশিং ট্রলার রয়েছে। প্রতি ট্রলারে ১০ জন হলেও লক্ষাধিক জেলে এই মাছ ধরার সঙ্গে জড়িত। তাঁদের সবাই গত ৫৮ দিন তীরে বেকার ছিলেন।’
পিরোজপুরের ইন্দুরকানি উপজেলার পাড়েরহাট মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের পার্শ্ববর্তী এলাকার জেলেরা গতকাল দিনভর সাগরে যাওয়ার প্রস্তুতি নেন। এ ছাড়া মঠবাড়িয়া উপজেলার সাপলেজা, খেতাচিড়া, বড়মাছুয়া, ছোটমাছুয়া, ভান্ডারিয়া উপজেলার চরখালী, হেতালিয়া, কাউখালী উপজেলার সোনাকুর এলাকার জেলেরা, সদর উপজেলা এবং নেছারাবাদ উপজেলার বিভিন্ন এলাকার জেলেরা প্রস্তুতি শেষে গত রাতে বঙ্গোপসাগরে রওনা হন।
কয়েক দিন ধরে কক্সবাজার উপকূলের জেলেপল্লিগুলোতে নৌকা, জাল মেরামতসহ বিভিন্ন প্রস্তুতি সেরেছেন জেলেরা। গতকাল মেরিন ড্রাইভের টেকনাফের খুরেরমুখ, সাবরাং ও বাহারছড়া এলাকায় দেখা গেছে, সড়কে দাঁড় করিয়ে রাখা সারি সারি ট্রলারে জাল ও রসদ তোলেন জেলেরা।
একটি ট্রলারের মাঝি আবু তাহের জানান, এবার ভারতের সঙ্গে মিল রেখে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ায় কেউ সাগরে মাছ শিকারে নামেনি। এতে উপকূলের কাছাকাছি সাগরে জাল ফেললেই ইলিশসহ অন্য মাছ পাওয়া যাবে বলে আশাবাদী তিনি।
কক্সবাজার শহরের ফিশারি ঘাটের মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির পরিচালক জুলফিকার আলী জানান, কক্সবাজার উপকূলে ছোট-বড় ৭ হাজারের মতো যান্ত্রিক ট্রলার রয়েছে। এসব ট্রলারে প্রায় এক লাখ জেলে ও শ্রমিক নিয়োজিত রয়েছেন। অধিকাংশ ট্রলার নিষেধাজ্ঞা ওঠার সঙ্গে সঙ্গে সাগরে রওনা হবে।
[প্রতিবেদন তৈরিতে তথ্য দিয়ে সহায়তা করেছেন বরগুনা ও আমতলী, পিরোজপুর, কক্সবাজার এবং হাতিয়া প্রতিনিধি]
এবার রিমালের থাবা থেকেও আমাদের বাঁচিয়ে দিয়েছে সুন্দরবন। না হলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আরও বাড়ত। একইভাবে ২০০৭ সালের সিডর এবং ২০০৯ সালের আইলার মতো বড় বড় ঘূর্ণিঝড়েও সুন্দরবন প্রাকৃতিক ঢাল হয়ে আমাদের অনেক জীবন ও সম্পদ বাঁচিয়ে দিয়েছে। সুন্দরবন থাকায় সে সময় আইলার বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ৪০ কিলোমিটার এবং জলোচ্ছ্ব
২৬ জুলাই ২০২৪গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে সর্বশেষ (৫৪ তম) সাক্ষীর জেরা শুরু হয়েছে। এই মামলাটির বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ।
১৬ দিন আগেভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
ভারতের নিষেধাজ্ঞার এক দিন পরই গত রোববার লালমনিরহাটের বুড়িমারী ও যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দরসহ বিভিন্ন বন্দরে পণ্যের ট্রাক আটকে দেয় ভারত। সংশ্লিষ্টদের সূত্রে জানা যায়, রোববার ভারতের আমদানি বিধিনিষেধের কারণে বুড়িমারী সীমান্তে প্রাণের ১৭ ট্রাক খাদ্যপণ্য আটকে যায়। এ ছাড়া বেনাপোলে ৩৬টি পোশাক বোঝাই ট্রাকসহ অন্যান্য পণ্যের শতাধিক ট্রাক ঢুকতে পারেনি।
গতকাল সোমবার পর্যন্ত বুড়িমারী থেকে প্রাণের পণ্যবোঝাই ট্রাকগুলোর অর্ধেকের বেশি ফেরত নিয়ে আসে প্রতিষ্ঠানটি। এ ছাড়া বেনাপোলে পোর্টের ভেতরে ২৪টি ট্রাক ছাড়া বাকিগুলো ফেরত চলে যায়।
বেনাপোল বন্দর সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. সাজেদুর রহমান গতকাল সোমবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, গতকাল পোর্টের ভেতর ও বাইরে শতাধিক ট্রাক দাঁড়িয়ে ছিল। আজ পোর্টের ভেতরের ২৪টি ছাড়া বাকিগুলো ফেরত নিয়ে গেছেন মালিকেরা। এখন পর্যন্ত মনে হচ্ছে, পোর্টের ভেতরের ট্রাকগুলোও ফেরত নিতে হবে।
জানতে চাইলে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের পরিচালক (বিপণন) কামরুজ্জামান কামাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের হাতে ৬ মিলিয়ন ডলারের ক্রয় আদেশ রয়েছে। তার মধ্য থেকে রোববার বুড়িমারী দিয়ে ১৭ ট্রাকবোঝাই পণ্য পাঠিয়েছিলাম। কিন্তু সেগুলো ঢুকতে পারেনি। ট্রাকগুলো ফেরত আনা হচ্ছে। নতুন করে কাগজপত্র তৈরি করে অন্য পথ দিয়ে পণ্য পাঠাতে হবে।’
বেনাপোল স্থলবন্দর সূত্রে জানা যায়, ওই ২৪টি ট্রাক পোর্টের ভেতরে থাকায় এখনো তারা ভারতে প্রবেশের অপেক্ষায় রয়েছে। তাদের আশা, যেহেতু নিষেধাজ্ঞার আগে এই পণ্যগুলোর এলসি করা হয়েছিল, তাই এগুলো প্রবেশে অনুমতি পাবে। তবে এটি নির্ভর করবে বাংলাদেশ সরকারের আলোচনার ওপর।
এমন পরিস্থিতিতে সরকারের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রয়েছেন ব্যবসায়ীরা। ইতিমধ্যে অনেক রপ্তানিকারক রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সঙ্গে আলোচনা করে সরকারের সহযোগিতা চেয়েছে।
স্থলবন্দরের মাধ্যমে পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জসমূহ এবং আশু করণীয় নির্ধারণে বাণিজ্যসচিবের সভাপতিত্বে আজ মঙ্গলবার আন্তমন্ত্রণালয়ের সভা ডেকেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, স্থলবন্দরের মাধ্যমে পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জসমূহ এবং আশু করণীয় নির্ধারণে বাণিজ্যসচিবের সভাপতিত্বে বিকেল ৪টায় আন্তমন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এই সভা অনুষ্ঠিত হবে।
সভায় নৌপরিবহন ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো, জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের প্রতিনিধিদের উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া ব্যবসায়ী প্রতিনিধি হিসেবে এফবিসিসিআই, বিজিএমইএ, ভারত-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির প্রতিনিধিদের উপস্থিতির জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
ভারতের শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় গত শনিবার হঠাৎ এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক আমদানি নিষিদ্ধ করে। শুধু ভারতের নবসেবা ও কলকাতা সমুদ্রবন্দর ব্যবহার করে দেশটির আমদানিকারকেরা বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক আমদানি করতে পারবেন বলে ওই বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। এ ছাড়া বাংলাদেশ থেকে ভারতের আসাম, মেঘালয়, ত্রিপুরা ও মিজোরাম, পশ্চিমবঙ্গের চ্যাংড়াবান্দা ও ফুলবাড়ী শুল্ক স্টেশন দিয়ে ফল, ফলের স্বাদযুক্ত পানীয়, কোমল পানীয়, প্রক্রিয়াজাত খাদ্য, প্লাস্টিক পণ্য, সুতা, সুতার উপজাত, আসবাব রপ্তানিও নিষিদ্ধ করা হয় ওই বিজ্ঞপ্তিতে।
আমদানি ও রপ্তানিসংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা জানান, দেশের ২৪টি বন্দরের মধ্যে ১৬টি বন্দর দিয়ে ভারতের সঙ্গে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য হয়ে থাকে। তবে যোগাযোগব্যবস্থা সহজ হওয়ায় বেনাপোল ও ভারতের পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে সবচেয়ে বেশি আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য হয়। এর পরিমাণ ৮০ শতাংশ। বেনাপোল বন্দর দিয়ে প্রতিদিন ভারতে ২৫০ থেকে ৩০০ ট্রাকে বিভিন্ন ধরনের পণ্য রপ্তানি হয়। এর মধ্যে শতাধিক ট্রাক পণ্য থাকে তৈরি পোশাক।
এর আগে গত ৮ এপ্রিল বাংলাদেশের জন্য ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করে ভারত। ফলে ভারতের বিমানবন্দর ব্যবহার করে তৃতীয় কোনো দেশে তৈরি পোশাক রপ্তানি করতে পারছে না বাংলাদেশ। অন্যদিকে প্রায় এক মাস আগে ভারত থেকে বেনাপোল, ভোমরা, সোনামসজিদ, বাংলাবান্ধা, বুড়িমারী স্থলবন্দর দিয়ে সুতা আমদানির সুযোগ বন্ধ করে দেয় বাংলাদেশের জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশেষ ফেলো মোস্তাফিজুর রহমানের মতে, এই পাল্টাপাল্টি পদক্ষেপে তুলনামূলকভাবে বেশি নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বাংলাদেশের ওপর। তাই ভারতের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ঘাটতি কমানোর চেষ্টা অব্যাহত রাখাই সরকারের উচিত বলে মনে করছেন তিনি।
মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আলোচনার মাধ্যমে বাংলাদেশ এবং ভারতের বিরোধপূর্ণ বিষয়সমূহ মিটিয়ে ফেলতে হবে এবং দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য সম্পর্কের ক্ষেত্রে ভারসাম্য প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এটাই হবে উভয় দেশের জন্য কল্যাণকর।
ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
ভারতের নিষেধাজ্ঞার এক দিন পরই গত রোববার লালমনিরহাটের বুড়িমারী ও যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দরসহ বিভিন্ন বন্দরে পণ্যের ট্রাক আটকে দেয় ভারত। সংশ্লিষ্টদের সূত্রে জানা যায়, রোববার ভারতের আমদানি বিধিনিষেধের কারণে বুড়িমারী সীমান্তে প্রাণের ১৭ ট্রাক খাদ্যপণ্য আটকে যায়। এ ছাড়া বেনাপোলে ৩৬টি পোশাক বোঝাই ট্রাকসহ অন্যান্য পণ্যের শতাধিক ট্রাক ঢুকতে পারেনি।
গতকাল সোমবার পর্যন্ত বুড়িমারী থেকে প্রাণের পণ্যবোঝাই ট্রাকগুলোর অর্ধেকের বেশি ফেরত নিয়ে আসে প্রতিষ্ঠানটি। এ ছাড়া বেনাপোলে পোর্টের ভেতরে ২৪টি ট্রাক ছাড়া বাকিগুলো ফেরত চলে যায়।
বেনাপোল বন্দর সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. সাজেদুর রহমান গতকাল সোমবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, গতকাল পোর্টের ভেতর ও বাইরে শতাধিক ট্রাক দাঁড়িয়ে ছিল। আজ পোর্টের ভেতরের ২৪টি ছাড়া বাকিগুলো ফেরত নিয়ে গেছেন মালিকেরা। এখন পর্যন্ত মনে হচ্ছে, পোর্টের ভেতরের ট্রাকগুলোও ফেরত নিতে হবে।
জানতে চাইলে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের পরিচালক (বিপণন) কামরুজ্জামান কামাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের হাতে ৬ মিলিয়ন ডলারের ক্রয় আদেশ রয়েছে। তার মধ্য থেকে রোববার বুড়িমারী দিয়ে ১৭ ট্রাকবোঝাই পণ্য পাঠিয়েছিলাম। কিন্তু সেগুলো ঢুকতে পারেনি। ট্রাকগুলো ফেরত আনা হচ্ছে। নতুন করে কাগজপত্র তৈরি করে অন্য পথ দিয়ে পণ্য পাঠাতে হবে।’
বেনাপোল স্থলবন্দর সূত্রে জানা যায়, ওই ২৪টি ট্রাক পোর্টের ভেতরে থাকায় এখনো তারা ভারতে প্রবেশের অপেক্ষায় রয়েছে। তাদের আশা, যেহেতু নিষেধাজ্ঞার আগে এই পণ্যগুলোর এলসি করা হয়েছিল, তাই এগুলো প্রবেশে অনুমতি পাবে। তবে এটি নির্ভর করবে বাংলাদেশ সরকারের আলোচনার ওপর।
এমন পরিস্থিতিতে সরকারের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রয়েছেন ব্যবসায়ীরা। ইতিমধ্যে অনেক রপ্তানিকারক রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সঙ্গে আলোচনা করে সরকারের সহযোগিতা চেয়েছে।
স্থলবন্দরের মাধ্যমে পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জসমূহ এবং আশু করণীয় নির্ধারণে বাণিজ্যসচিবের সভাপতিত্বে আজ মঙ্গলবার আন্তমন্ত্রণালয়ের সভা ডেকেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, স্থলবন্দরের মাধ্যমে পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জসমূহ এবং আশু করণীয় নির্ধারণে বাণিজ্যসচিবের সভাপতিত্বে বিকেল ৪টায় আন্তমন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এই সভা অনুষ্ঠিত হবে।
সভায় নৌপরিবহন ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো, জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের প্রতিনিধিদের উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া ব্যবসায়ী প্রতিনিধি হিসেবে এফবিসিসিআই, বিজিএমইএ, ভারত-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির প্রতিনিধিদের উপস্থিতির জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
ভারতের শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় গত শনিবার হঠাৎ এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক আমদানি নিষিদ্ধ করে। শুধু ভারতের নবসেবা ও কলকাতা সমুদ্রবন্দর ব্যবহার করে দেশটির আমদানিকারকেরা বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক আমদানি করতে পারবেন বলে ওই বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। এ ছাড়া বাংলাদেশ থেকে ভারতের আসাম, মেঘালয়, ত্রিপুরা ও মিজোরাম, পশ্চিমবঙ্গের চ্যাংড়াবান্দা ও ফুলবাড়ী শুল্ক স্টেশন দিয়ে ফল, ফলের স্বাদযুক্ত পানীয়, কোমল পানীয়, প্রক্রিয়াজাত খাদ্য, প্লাস্টিক পণ্য, সুতা, সুতার উপজাত, আসবাব রপ্তানিও নিষিদ্ধ করা হয় ওই বিজ্ঞপ্তিতে।
আমদানি ও রপ্তানিসংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা জানান, দেশের ২৪টি বন্দরের মধ্যে ১৬টি বন্দর দিয়ে ভারতের সঙ্গে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য হয়ে থাকে। তবে যোগাযোগব্যবস্থা সহজ হওয়ায় বেনাপোল ও ভারতের পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে সবচেয়ে বেশি আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য হয়। এর পরিমাণ ৮০ শতাংশ। বেনাপোল বন্দর দিয়ে প্রতিদিন ভারতে ২৫০ থেকে ৩০০ ট্রাকে বিভিন্ন ধরনের পণ্য রপ্তানি হয়। এর মধ্যে শতাধিক ট্রাক পণ্য থাকে তৈরি পোশাক।
এর আগে গত ৮ এপ্রিল বাংলাদেশের জন্য ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করে ভারত। ফলে ভারতের বিমানবন্দর ব্যবহার করে তৃতীয় কোনো দেশে তৈরি পোশাক রপ্তানি করতে পারছে না বাংলাদেশ। অন্যদিকে প্রায় এক মাস আগে ভারত থেকে বেনাপোল, ভোমরা, সোনামসজিদ, বাংলাবান্ধা, বুড়িমারী স্থলবন্দর দিয়ে সুতা আমদানির সুযোগ বন্ধ করে দেয় বাংলাদেশের জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশেষ ফেলো মোস্তাফিজুর রহমানের মতে, এই পাল্টাপাল্টি পদক্ষেপে তুলনামূলকভাবে বেশি নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বাংলাদেশের ওপর। তাই ভারতের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ঘাটতি কমানোর চেষ্টা অব্যাহত রাখাই সরকারের উচিত বলে মনে করছেন তিনি।
মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আলোচনার মাধ্যমে বাংলাদেশ এবং ভারতের বিরোধপূর্ণ বিষয়সমূহ মিটিয়ে ফেলতে হবে এবং দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য সম্পর্কের ক্ষেত্রে ভারসাম্য প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এটাই হবে উভয় দেশের জন্য কল্যাণকর।
এবার রিমালের থাবা থেকেও আমাদের বাঁচিয়ে দিয়েছে সুন্দরবন। না হলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আরও বাড়ত। একইভাবে ২০০৭ সালের সিডর এবং ২০০৯ সালের আইলার মতো বড় বড় ঘূর্ণিঝড়েও সুন্দরবন প্রাকৃতিক ঢাল হয়ে আমাদের অনেক জীবন ও সম্পদ বাঁচিয়ে দিয়েছে। সুন্দরবন থাকায় সে সময় আইলার বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ৪০ কিলোমিটার এবং জলোচ্ছ্ব
২৬ জুলাই ২০২৪গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে সর্বশেষ (৫৪ তম) সাক্ষীর জেরা শুরু হয়েছে। এই মামলাটির বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ।
১৬ দিন আগে‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
১৮৯৮ সালে ভারতের উত্তর প্রদেশের একটি ধূলিধূসর টিলা খুঁড়ে পাওয়া মূল্যবান এই রত্নগুলো এক শতাব্দীর বেশি সময় ধরে একটি বেসরকারি ব্রিটিশ সংগ্রহাগারে প্রায় দৃষ্টিচক্ষুর আড়ালে ছিল। এখন যেহেতু রত্নগুলোর হাতবদলের সময় এসেছে, তাই নতুন সংগ্রাহকেরা আগ্রহ নিয়ে এগুলো সংগ্রহের জন্য অপেক্ষা করছেন। কিন্তু এখানে একটা অস্বস্তিও তৈরি হয়েছে।
গৌতম বুদ্ধের জন্মস্থান লুম্বিনীর কাছাকাছি, বর্তমানে ভারতের উত্তর প্রদেশে একটি ইটের ঘরের ভেতর থেকে প্রায় ১ হাজার ৮০০টি মুক্তা, রুবি, টোপাজ, নীলা ও নকশা করা সোনার পাত সংগ্রহ করা হয়েছিল। তবে এই রত্নগুলোর সঙ্গে সঙ্গে একটি খোদাই করা পাত্রে হাড়ের টুকরাও পাওয়া যায়, যেগুলোকে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষ বলে শনাক্ত করা হয়। এই আবিষ্কার তখন প্রত্নতত্ত্বের জগতে ব্যাপক আলোড়ন তোলে।
সাদাবি’স এশিয়ার চেয়ারম্যান নিকোলাস চাউ মনে করেন, স্মরণকালের বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর মাঝে এই রত্নসম্ভার অন্যতম। তবে এগুলো নিলামে তোলার কারণে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। আর তা হচ্ছে—ভারতের ইতিহাসের সঙ্গে গভীরভাবে জড়িয়ে থাকা এবং বৌদ্ধদের কাছে পবিত্র এই সম্পদ বিক্রি করা কি নৈতিকভাবে গ্রহণযোগ্য?
১৮৯৮ সালে ব্রিটিশ এস্টেট ম্যানেজার উইলিয়াম ক্ল্যাক্সটন পেপ্পে লুম্বিনির ঠিক দক্ষিণে পিপ্রাওয়ায় অবস্থিত একটি ঢিবি খনন করেন। সেখান থেকেই প্রায় ২ হাজার বছর আগের ওই নির্দশনগুলো খুঁজে পাওয়া যায়।
ইতিহাসবিদদের মতে, প্রাপ্ত রত্নসম্ভার ও দেহাবশেষ, যা তখনো পর্যন্ত অক্ষত ছিল, সেগুলো গৌতম বুদ্ধের শাক্য বংশের এবং বিশ্বব্যাপী বৌদ্ধদের ঐতিহ্য। হাড়ের নিদর্শনগুলো থাইল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা ও মিয়ানমারের মতো দেশগুলোতে বিতরণ করা হয়েছে। এসব দেশে এখনো সেগুলোর পূজা করা হয়।
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
১৮৯৮ সালে ভারতের উত্তর প্রদেশের একটি ধূলিধূসর টিলা খুঁড়ে পাওয়া মূল্যবান এই রত্নগুলো এক শতাব্দীর বেশি সময় ধরে একটি বেসরকারি ব্রিটিশ সংগ্রহাগারে প্রায় দৃষ্টিচক্ষুর আড়ালে ছিল। এখন যেহেতু রত্নগুলোর হাতবদলের সময় এসেছে, তাই নতুন সংগ্রাহকেরা আগ্রহ নিয়ে এগুলো সংগ্রহের জন্য অপেক্ষা করছেন। কিন্তু এখানে একটা অস্বস্তিও তৈরি হয়েছে।
গৌতম বুদ্ধের জন্মস্থান লুম্বিনীর কাছাকাছি, বর্তমানে ভারতের উত্তর প্রদেশে একটি ইটের ঘরের ভেতর থেকে প্রায় ১ হাজার ৮০০টি মুক্তা, রুবি, টোপাজ, নীলা ও নকশা করা সোনার পাত সংগ্রহ করা হয়েছিল। তবে এই রত্নগুলোর সঙ্গে সঙ্গে একটি খোদাই করা পাত্রে হাড়ের টুকরাও পাওয়া যায়, যেগুলোকে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষ বলে শনাক্ত করা হয়। এই আবিষ্কার তখন প্রত্নতত্ত্বের জগতে ব্যাপক আলোড়ন তোলে।
সাদাবি’স এশিয়ার চেয়ারম্যান নিকোলাস চাউ মনে করেন, স্মরণকালের বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর মাঝে এই রত্নসম্ভার অন্যতম। তবে এগুলো নিলামে তোলার কারণে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। আর তা হচ্ছে—ভারতের ইতিহাসের সঙ্গে গভীরভাবে জড়িয়ে থাকা এবং বৌদ্ধদের কাছে পবিত্র এই সম্পদ বিক্রি করা কি নৈতিকভাবে গ্রহণযোগ্য?
১৮৯৮ সালে ব্রিটিশ এস্টেট ম্যানেজার উইলিয়াম ক্ল্যাক্সটন পেপ্পে লুম্বিনির ঠিক দক্ষিণে পিপ্রাওয়ায় অবস্থিত একটি ঢিবি খনন করেন। সেখান থেকেই প্রায় ২ হাজার বছর আগের ওই নির্দশনগুলো খুঁজে পাওয়া যায়।
ইতিহাসবিদদের মতে, প্রাপ্ত রত্নসম্ভার ও দেহাবশেষ, যা তখনো পর্যন্ত অক্ষত ছিল, সেগুলো গৌতম বুদ্ধের শাক্য বংশের এবং বিশ্বব্যাপী বৌদ্ধদের ঐতিহ্য। হাড়ের নিদর্শনগুলো থাইল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা ও মিয়ানমারের মতো দেশগুলোতে বিতরণ করা হয়েছে। এসব দেশে এখনো সেগুলোর পূজা করা হয়।
এবার রিমালের থাবা থেকেও আমাদের বাঁচিয়ে দিয়েছে সুন্দরবন। না হলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আরও বাড়ত। একইভাবে ২০০৭ সালের সিডর এবং ২০০৯ সালের আইলার মতো বড় বড় ঘূর্ণিঝড়েও সুন্দরবন প্রাকৃতিক ঢাল হয়ে আমাদের অনেক জীবন ও সম্পদ বাঁচিয়ে দিয়েছে। সুন্দরবন থাকায় সে সময় আইলার বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ৪০ কিলোমিটার এবং জলোচ্ছ্ব
২৬ জুলাই ২০২৪গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে সর্বশেষ (৫৪ তম) সাক্ষীর জেরা শুরু হয়েছে। এই মামলাটির বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ।
১৬ দিন আগে‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫