আনোয়ার সাদাৎ, মধুপুর
সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগ থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের নোটিশ পাওয়ার পরেও রাতের আঁধারে মধুপুরের বংশাই নদ দখলে মেতেছেন প্রভাবশালীরা। দিনের বেলা সরঞ্জাম এনে প্রস্তুত রাখা হয়। আর রাত এলেই শুরু হয় কর্মযজ্ঞ। মধুপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে রাস্তার দক্ষিণে একাধিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের পেছনেই ঘটছে এমন ঘটনা।
জানা গেছে, ১৮০৫ সালে ভূমিকম্পে উৎপত্তি হওয়া সর্পিল আকৃতির বংশাই নদটির দৈর্ঘ্য ২৩৮ কিলোমিটার হলেও টাঙ্গাইলের অংশ ৭৬ কিলোমিটার। এর গড় প্রস্থ ৪৯ মিটার। পাঁচটি জেলার ১১টি উপজেলার ৩২১টি মৌজার ওপর দিয়ে প্রবাহিত দীর্ঘ নদের দুধারে গড়ে উঠেছে হাট-বাজার, শহর-নগর, নানা সভ্যতা। মধুপুর শহরও গড়ে উঠেছে এ বংশাই নদের দুই তীরে। নদের পাড় ঘেঁষে যেসব এলাকায় শহর গড়ে উঠেছে সেসব এলাকাতেই নদটি দখল কার্যক্রম বেড়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, মধুপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ১০০ শয্যায় উন্নীত হওয়া এবং একটু দূরেই মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট ট্রেনিং স্কুল গড়ে ওঠায় ওই এলাকাগুলোর জায়গার কদর বেড়েছে। অনেকেই উচ্চমূল্যে ঘর ভাড়া নিয়ে ওষুধ ও চিকিৎসা ব্যবসা গড়ে তুলছেন। এ সুযোগে কেউ কেউ সড়ক বিভাগের জায়গা দখলে মেতে উঠেছেন।
সড়ক ও জনপথ বিভাগ সূত্র জানায়, মধুপুর-জামালপুর সড়কটি জাতীয় মহাসড়কের অন্তর্ভুক্ত করে উন্নয়ন কার্যক্রম বাস্তবায়নের কাজ এগিয়ে চলছে। ওই কার্যক্রম অগ্রগতির সময় মধুপুর বাসস্ট্যান্ড থেকে কাইতকাই পর্যন্ত এবং নল্লাবাজার এলাকা অবৈধ দখলদারদের বিস্তার দেখা গেছে। কেউ কেউ অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করে ব্যবসা চালাচ্ছেন। আবার অনেকে ভাড়া দিয়ে মাসিক হারে উপার্জন করছেন। ইতিমধ্যেই সড়ক বিভাগের নির্মাণকাজের প্রয়োজনে রাস্তার জায়গা পরিমাপ করা হয়েছে। খুব শিগগির মধুপুর-জামালপুর মহাসড়কটি এন-৪ এর আওতায় নির্মাণকাজ শুরু হবে।
সড়ক ও জনপথ বিভাগের হিসাবরক্ষক মো. আবদুস সালাম বলেন, ‘মধুপুরের আনারস চত্বর থেকে কাইতকাই পর্যন্ত এবং নল্লা বাজার এলাকায় বিশের অধিক দখলদারকে স্থাপনা উচ্ছেদের নোটিশ দেওয়া হয়েছে। উপবিভাগীয় প্রকৌশলী (চলতি দায়িত্ব) মো. অহিদুজ্জামান স্বাক্ষরিত উচ্ছেদ নোটিশ ১৫ ফেব্রুয়ারি জারি করা হয়েছে।’
অনুসন্ধানে জানা যায়, স্থাপনা উচ্ছেদ করে নিয়ে যাওয়ার নোটিশ পাওয়ার পর কতিপয় ব্যক্তি নদী দখলে মেতে উঠেছেন। কেউ রাস্তার জন্য প্রয়োজনীয় জায়গার বাইরে স্থাপনার প্রস্তুতি নিয়েছেন। কেউ স্থাপনার পেছনে বংশাই নদ দখল করে পিলার নির্মাণ করে বহুতল ভবন গড়ে চলছেন। ১০০ শয্যাবিশিষ্ট মধুপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে মধুপুর-জামালপুর মহাসড়কের দক্ষিণ পাশের কতিপয় ব্যবসায়ী নদ দখলে মেতে উঠেছেন।’
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক ব্যক্তি জানান, দিনের বেলায় খোয়া, বালি, রড, সিমেন্টসহ প্রয়োজনীয় উপকরণ ও রাজমিস্ত্রি প্রস্তুত রাখা হয়। সূর্যাস্তের পর থেকে শুরু হয় কাজের প্রস্তুতি। আর এশার নামাজের পর শুরু হয় নির্মাণের কর্মযজ্ঞ। রাস্তার পাশের জায়গা দখল থেকে বিরত রাখার জন্য মধুপুরের সহকারী কমিশনার (ভূমি) দপ্তরের সংশ্লিষ্টরা দখলদারদের সতর্ক করার পাশাপাশি লাল পতাকা উড়িয়ে দিয়ে এসেছেন। এরপরই শুরু হয়েছে ভবনগুলোর পেছনে স্থাপনা নির্মাণ।
গত বুধবার ওই এলাকা ঘুরে দেখা যায়, দুটি ভবনের পেছনে পিলার ঢালাই কারর জন্য রড দাঁড় করানো হয়েছে। একটি ভবনের পেছনে বাঁশ দিয়ে নির্মাণ কার্যক্রম চলমান রাখা হয়েছে। কিছু জায়গায় ময়লা আবর্জনা ফেলে ভরাট করা হয়েছে। দিনে ওই স্থানে কর্মচঞ্চলতা না থাকলেও রাতে কর্মযজ্ঞে মেতে থাকেন শ্রমিকেরা।
দখলদার একাধিক ব্যক্তির সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি।
তবে মধুপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট মো. আব্দুস সালাম দাবি করেন, তিনি দেড় শতাংশ জায়গা কিনেছেন। ওই জমির মধ্যেই আছেন। রাতে স্থাপনা নির্মাণের বিষয়ে বলতেই তিনি বলেন, ‘আমি ১২ ফুট বাই ৮০ ফুট ভবন করেছি অনেক আগেই। এখন পেছনের দিকে ১২ ফুট বাই আট ফুট বৃদ্ধি করছি।’
মধুপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শামীমা ইয়াসমিন বলেন, ‘বংশাই নদ দখল করে রাতের বেলায় ভবন সম্প্রসারণের অভিযোগ শুনেছি। ভূমি অফিস থেকে নায়েব পাঠিয়ে দখলদারদের সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তারপরও কাজ করলে তাঁদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগ থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের নোটিশ পাওয়ার পরেও রাতের আঁধারে মধুপুরের বংশাই নদ দখলে মেতেছেন প্রভাবশালীরা। দিনের বেলা সরঞ্জাম এনে প্রস্তুত রাখা হয়। আর রাত এলেই শুরু হয় কর্মযজ্ঞ। মধুপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে রাস্তার দক্ষিণে একাধিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের পেছনেই ঘটছে এমন ঘটনা।
জানা গেছে, ১৮০৫ সালে ভূমিকম্পে উৎপত্তি হওয়া সর্পিল আকৃতির বংশাই নদটির দৈর্ঘ্য ২৩৮ কিলোমিটার হলেও টাঙ্গাইলের অংশ ৭৬ কিলোমিটার। এর গড় প্রস্থ ৪৯ মিটার। পাঁচটি জেলার ১১টি উপজেলার ৩২১টি মৌজার ওপর দিয়ে প্রবাহিত দীর্ঘ নদের দুধারে গড়ে উঠেছে হাট-বাজার, শহর-নগর, নানা সভ্যতা। মধুপুর শহরও গড়ে উঠেছে এ বংশাই নদের দুই তীরে। নদের পাড় ঘেঁষে যেসব এলাকায় শহর গড়ে উঠেছে সেসব এলাকাতেই নদটি দখল কার্যক্রম বেড়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, মধুপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ১০০ শয্যায় উন্নীত হওয়া এবং একটু দূরেই মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট ট্রেনিং স্কুল গড়ে ওঠায় ওই এলাকাগুলোর জায়গার কদর বেড়েছে। অনেকেই উচ্চমূল্যে ঘর ভাড়া নিয়ে ওষুধ ও চিকিৎসা ব্যবসা গড়ে তুলছেন। এ সুযোগে কেউ কেউ সড়ক বিভাগের জায়গা দখলে মেতে উঠেছেন।
সড়ক ও জনপথ বিভাগ সূত্র জানায়, মধুপুর-জামালপুর সড়কটি জাতীয় মহাসড়কের অন্তর্ভুক্ত করে উন্নয়ন কার্যক্রম বাস্তবায়নের কাজ এগিয়ে চলছে। ওই কার্যক্রম অগ্রগতির সময় মধুপুর বাসস্ট্যান্ড থেকে কাইতকাই পর্যন্ত এবং নল্লাবাজার এলাকা অবৈধ দখলদারদের বিস্তার দেখা গেছে। কেউ কেউ অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করে ব্যবসা চালাচ্ছেন। আবার অনেকে ভাড়া দিয়ে মাসিক হারে উপার্জন করছেন। ইতিমধ্যেই সড়ক বিভাগের নির্মাণকাজের প্রয়োজনে রাস্তার জায়গা পরিমাপ করা হয়েছে। খুব শিগগির মধুপুর-জামালপুর মহাসড়কটি এন-৪ এর আওতায় নির্মাণকাজ শুরু হবে।
সড়ক ও জনপথ বিভাগের হিসাবরক্ষক মো. আবদুস সালাম বলেন, ‘মধুপুরের আনারস চত্বর থেকে কাইতকাই পর্যন্ত এবং নল্লা বাজার এলাকায় বিশের অধিক দখলদারকে স্থাপনা উচ্ছেদের নোটিশ দেওয়া হয়েছে। উপবিভাগীয় প্রকৌশলী (চলতি দায়িত্ব) মো. অহিদুজ্জামান স্বাক্ষরিত উচ্ছেদ নোটিশ ১৫ ফেব্রুয়ারি জারি করা হয়েছে।’
অনুসন্ধানে জানা যায়, স্থাপনা উচ্ছেদ করে নিয়ে যাওয়ার নোটিশ পাওয়ার পর কতিপয় ব্যক্তি নদী দখলে মেতে উঠেছেন। কেউ রাস্তার জন্য প্রয়োজনীয় জায়গার বাইরে স্থাপনার প্রস্তুতি নিয়েছেন। কেউ স্থাপনার পেছনে বংশাই নদ দখল করে পিলার নির্মাণ করে বহুতল ভবন গড়ে চলছেন। ১০০ শয্যাবিশিষ্ট মধুপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে মধুপুর-জামালপুর মহাসড়কের দক্ষিণ পাশের কতিপয় ব্যবসায়ী নদ দখলে মেতে উঠেছেন।’
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক ব্যক্তি জানান, দিনের বেলায় খোয়া, বালি, রড, সিমেন্টসহ প্রয়োজনীয় উপকরণ ও রাজমিস্ত্রি প্রস্তুত রাখা হয়। সূর্যাস্তের পর থেকে শুরু হয় কাজের প্রস্তুতি। আর এশার নামাজের পর শুরু হয় নির্মাণের কর্মযজ্ঞ। রাস্তার পাশের জায়গা দখল থেকে বিরত রাখার জন্য মধুপুরের সহকারী কমিশনার (ভূমি) দপ্তরের সংশ্লিষ্টরা দখলদারদের সতর্ক করার পাশাপাশি লাল পতাকা উড়িয়ে দিয়ে এসেছেন। এরপরই শুরু হয়েছে ভবনগুলোর পেছনে স্থাপনা নির্মাণ।
গত বুধবার ওই এলাকা ঘুরে দেখা যায়, দুটি ভবনের পেছনে পিলার ঢালাই কারর জন্য রড দাঁড় করানো হয়েছে। একটি ভবনের পেছনে বাঁশ দিয়ে নির্মাণ কার্যক্রম চলমান রাখা হয়েছে। কিছু জায়গায় ময়লা আবর্জনা ফেলে ভরাট করা হয়েছে। দিনে ওই স্থানে কর্মচঞ্চলতা না থাকলেও রাতে কর্মযজ্ঞে মেতে থাকেন শ্রমিকেরা।
দখলদার একাধিক ব্যক্তির সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি।
তবে মধুপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট মো. আব্দুস সালাম দাবি করেন, তিনি দেড় শতাংশ জায়গা কিনেছেন। ওই জমির মধ্যেই আছেন। রাতে স্থাপনা নির্মাণের বিষয়ে বলতেই তিনি বলেন, ‘আমি ১২ ফুট বাই ৮০ ফুট ভবন করেছি অনেক আগেই। এখন পেছনের দিকে ১২ ফুট বাই আট ফুট বৃদ্ধি করছি।’
মধুপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শামীমা ইয়াসমিন বলেন, ‘বংশাই নদ দখল করে রাতের বেলায় ভবন সম্প্রসারণের অভিযোগ শুনেছি। ভূমি অফিস থেকে নায়েব পাঠিয়ে দখলদারদের সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তারপরও কাজ করলে তাঁদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
৫ দিন আগেবিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪