Ajker Patrika

ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চলছে কার্যক্রম

শাহীন আক্তার পলাশ, শৈলকুপা (ঝিনাইদহ) 
আপডেট : ০২ মার্চ ২০২২, ১৩: ৪৮
ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চলছে কার্যক্রম

ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলায় পরিত্যক্ত ও ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে দীর্ঘদিন ধরে চলছে ভূমি রেজিস্ট্রেশনের কাজ। ভবনের পলেস্তারা খসে পড়ে যেকোনো সময় ঘটতে পারে দুর্ঘটনা। ঝুঁকি নিয়েই পরিত্যক্ত ওই ভবনে কাজ করে যাচ্ছেন সংশ্লিষ্টরা।

সরেজমিন দেখা যায়, উপজেলা পরিষদ চত্বরের দক্ষিণপাশে নির্বাচন অফিসসংলগ্ন জরাজীর্ণ একতলা ভবনের দুটি কক্ষ নিয়ে উপজেলা সাবরেজিস্ট্রারের কার্যালয়। কক্ষ দুটির মধ্যে বিমের ও ছাদের একাধিক স্থানের পলেস্তারা খসে পড়ে রড বের হয়ে আছে। ওই রডগুলোয় মরিচা ধরেছে। এ ছাড়া দেয়ালের বিভিন্ন স্থানে ফাটল দেখা দিয়েছে। ঝুঁকি নিয়ে ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে চলছে ভূমি রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম। কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য অফিস সংলগ্ন শৌচাগার থাকলেও এখানে জনসাধারণের জন্য নেই কোনো শৌচাগার ও সুপেয় পানির ব্যবস্থা। অথচ জমি রেজিস্ট্রি করতে আসা শত শত লোকের যাতায়াত এ অফিসে।

জানা গেছে, কয়েক বছর আগে সাবরেজিস্ট্রি অফিসটি মেরামতের জন্য তৎকালীন সাবরেজিস্ট্রার স্বাক্ষরিত একটি আবেদন ঝিনাইদহ গণপূর্তের নির্বাহী প্রকৌশলী বরাবর পাঠানো হয়। এরপর ঝিনাইদহ গণপূর্ত বিভাগের কর্মকর্তারা উপজেলা সাবরেজিস্ট্রি অফিস পরিদর্শন করেন। তাঁরা মেরামতের অযোগ্য বলে জেলা রেজিস্ট্রার বরাবর পাঠানো পত্রে ভবনটি পরিত্যক্ত ঘোষণার সুপারিশ করেন। এরপর কেটে গেছে কয়েক বছর। তবে জমি অধিগ্রহণ করা হলেও দরপত্রসহ ভবন নির্মাণের কোনো কার্যক্রম শুরু হয়নি।

জমি রেজিস্ট্রি করতে আসা উপজেলার ধাওড়া গ্রামের মফিজুল ইসলাম বলেন, ‘সাবরেজিস্ট্রি অফিসটি একবারেই জরাজীর্ণ। অনেকটা ঝুঁকি নিয়ে জমি রেজিস্ট্রি করতে এসেছি। যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।’

উপজেলা দলিল লেখক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. আক্তারুজ্জামান মনীর বলেন, ‘অনেকটা ঝুঁকি নিয়ে পরিত্যক্ত ভবনেই জমি রেজিস্ট্রি কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। এ ছাড়া এখানে অনেক মূল্যবান কাগজপত্র সংরক্ষণ করা কঠিন হয়ে পড়ে। আশা করি স্বল্প সময়েই ভবন নির্মাণের কাজ শুরু হবে।’

এ বিষয়ে উপজেলা সাবরেজিস্ট্রার ইয়াসমিন শিকদার বলেন, ‘বেশ ঝুঁকির মধ্যে অফিস করছি। রুমে বাঁশের সঙ্গে ফ্যান ঝোলানো রয়েছে। রুমের পরিবেশ স্যাঁতসেঁতে। পলেস্তারা খসে পড়ছে। যেকোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।’ তবে ২ থেকে ৩ মাসের মধ্যে নতুন ভবনের দরপত্র হতে পারে বলে জানান ইয়াসমিন শিকদার।

সাবরেজিস্ট্রি অফিস সম্পর্কে কিছু জানেন না বলে জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কানিজ ফাতেমা লিজা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘ভারতে ঢুকে’ পাকিস্তানি সেনাদের গুলি, সীমান্তে সংঘাত গড়াল ষষ্ঠ দিনে

বিবাহিতদের পুলিশ ক্যাডারে সুপারিশ না করার প্রস্তাব

বন্ধুকে ছাত্রলীগ সাজিয়ে পুলিশে দিয়ে তাঁর প্রেমিকাকে ধর্ষণ করলেন ছাত্রদল নেতা

পেহেলগাম হামলা: ধরা খেয়ে গেল মোদির কাশ্মীর ন্যারেটিভ

পরিপাকতন্ত্রের ওষুধের পেছনেই মানুষের ব্যয় সাড়ে ৫ হাজার কোটি টাকা

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত