নেত্রকোনা প্রতিনিধি
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে ছয় সপ্তাহ বন্ধ থাকার পর গতকাল বুধবার পুনরায় খুলেছে প্রাথমিক বিদ্যালয়। স্কুল খোলার প্রথম দিন শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি ছিল কম। তবে যেসব শিশু প্রথম দিন স্কুল এসেছে তারা ছিল উৎফুল্ল। স্কুলে তারা ক্লাসের পাশাপাশি বন্ধুদের সঙ্গে আনন্দ করে দিন কাটিয়েছে।
জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা বলেছেন, করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব কমলেও শেষ হয়ে যায়নি। তাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার কোনো বিকল্প নেই। স্কুলে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার কথা স্কুল কর্তৃপক্ষকে বলা হয়েছে।
নেত্রকোনা পৌর এলাকার কয়েকটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা গেছে, স্কুলের বেঞ্চে ধুলা ময়লা পড়ে আছে। ছাত্রসংখ্যা কম। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে প্রধান শিক্ষকেরা স্কুলে আসেননি। তবে শহরের জ্ঞান দ্বীপ বেসরকারি স্কুলে গিয়ে ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা তুলনামূলকভাবে বেশি দেখা গেছে। করোনার প্রাদুর্ভাবের কারণে এ বছরের ২১ জানুয়ারি থেকে দেশের সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়। ২২ ফেব্রুয়ারি মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা হয়। গতকাল খোলা হয় প্রাথমিক বিদ্যালয়।
নেত্রকোনা পৌর এলাকার খতিব বলাইনগুড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, নাগড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, নাগড়া জ্ঞান দ্বীপ বিদ্যালয়, সাতপাই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ঘুরে দেখা গেছে, ছাত্র-ছাত্রীর উপস্থিতি কম। শিক্ষকেরাও সবাই উপস্থিত হননি। স্বাস্থ্যবিধি মেনে ক্লাস চালুর কোনো ব্যবস্থা দেখা যায়নি। জানতে চাইলে বলাইনগুড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একজন সহকারী শিক্ষক বলেন, প্রধান শিক্ষকের হৃদ্রোগে আক্রান্ত। তাই তিনি এখনো স্কুলে আসেননি। কিছুক্ষণের মধ্যেই চলে আসবেন।
নাগড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক হালিমা খাতুন বলেন, ‘স্কুল খুলেছে। অনেক ছাত্র-ছাত্রী জানেই না স্কুল খোলার খবরটি। খবর পেলে স্কুলে ছাত্র-ছাত্রী আগের মতোই আসবে।’ এই স্কুলে কিছু ছাত্র-ছাত্রীকে দেখা যায়। তবে তাদের বেশির ভাগের মুখেই মাস্ক ছিল না। স্কুল কর্তৃপক্ষেরও স্বাস্থ্যবিধি নিয়ে তেমন সচেতনতা দেখা যায়নি।
নাগড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র আসলাম মিয়ার কাছে জানতে চাইলে বলে, মাস্ক বাড়িতে রেখে এসেছি। স্কুলে আনতে মনে নেই। এ বিষয়ে হালিমা খাতুন বলেন, প্রধান শিক্ষক এলেই যারা মাস্ক আনেনি তাদের মাস্ক কিনে দেওয়া হবে।
তবে শহরের জ্ঞানদ্বীপ প্রাইভেট স্কুলে গিয়ে দেখা গেছে ভিন্ন চিত্র। এ স্কুলে সব ছাত্রই ইউনিফর্ম পড়ে ক্লাসে এসেছে। দুয়েক জন ছাড়া প্রায় সবার মুখেই মাস্ক পরিহিত ছিল। স্কুলের বেঞ্চ-টেবিলগুলোও পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন ছিল। ক্লাসে ক্লাসে শিক্ষকেরাও পাঠদানের প্রস্তুতি নেন। এ স্কুলে ছাত্রসংখ্যাও সরকারি স্কুলের তুলনায় বেশি।
সাতপাই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রথম শ্রেণিতে পড়ুয়া রিমা আক্তারকে নিয়ে এসেছেন তার মা বেবি আক্তার। তিনি বলেন, করোনা এখন অনেকটা অন্যান্য অসুখের মতোই স্বাভাবিক হয়ে গেছে। স্কুল বন্ধ থাকলে সন্তানদের পড়ালেখায় ক্ষতি হয়। আগে দীর্ঘদিন স্কুল বন্ধ ছিল। এখন আবার প্রায় দেড় মাস স্কুল বন্ধ গেছে। এতে ছেলে-মেয়েদের পড়াশোনায় প্রভাব পড়ছে।
দত্তপাই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ছেলেকে নিয়ে এসেছেন জুঁই সরকার। তিনি বলেন, আশঙ্কা আছে। আতঙ্ক আছে। তারপরও স্কুল খোলার কারণে ভালো লাগছে। স্কুল বন্ধ থাকলে বাচ্চাদের পড়াশোনা হয় না একদম।
নেত্রকোনা সদর উপজেলার প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক দুলদুল জাহিদ বলেন, করোনা ও ওমিক্রণ বৃদ্ধির কারণে স্কুল বন্ধ করে দিয়েছিল সরকার। এটা করে সরকার বিচক্ষণতার পরিচয় দিয়েছে। তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসায় স্কুল-কলেজ খুলে দেওয়ায় ভালো হয়েছে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহমুদা আক্তার বলেন, স্কুল খুললেও কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার কথা স্কুল কর্তৃপক্ষকে বলা হয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার কোনো বিকল্প নেই।
জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ অবায়দুল্লা বলেন, করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব কমলেও সংক্রমণ শেষ হয়ে যায়নি। তাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার কোনো বিকল্প নেই।
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে ছয় সপ্তাহ বন্ধ থাকার পর গতকাল বুধবার পুনরায় খুলেছে প্রাথমিক বিদ্যালয়। স্কুল খোলার প্রথম দিন শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি ছিল কম। তবে যেসব শিশু প্রথম দিন স্কুল এসেছে তারা ছিল উৎফুল্ল। স্কুলে তারা ক্লাসের পাশাপাশি বন্ধুদের সঙ্গে আনন্দ করে দিন কাটিয়েছে।
জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা বলেছেন, করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব কমলেও শেষ হয়ে যায়নি। তাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার কোনো বিকল্প নেই। স্কুলে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার কথা স্কুল কর্তৃপক্ষকে বলা হয়েছে।
নেত্রকোনা পৌর এলাকার কয়েকটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা গেছে, স্কুলের বেঞ্চে ধুলা ময়লা পড়ে আছে। ছাত্রসংখ্যা কম। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে প্রধান শিক্ষকেরা স্কুলে আসেননি। তবে শহরের জ্ঞান দ্বীপ বেসরকারি স্কুলে গিয়ে ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা তুলনামূলকভাবে বেশি দেখা গেছে। করোনার প্রাদুর্ভাবের কারণে এ বছরের ২১ জানুয়ারি থেকে দেশের সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়। ২২ ফেব্রুয়ারি মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা হয়। গতকাল খোলা হয় প্রাথমিক বিদ্যালয়।
নেত্রকোনা পৌর এলাকার খতিব বলাইনগুড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, নাগড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, নাগড়া জ্ঞান দ্বীপ বিদ্যালয়, সাতপাই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ঘুরে দেখা গেছে, ছাত্র-ছাত্রীর উপস্থিতি কম। শিক্ষকেরাও সবাই উপস্থিত হননি। স্বাস্থ্যবিধি মেনে ক্লাস চালুর কোনো ব্যবস্থা দেখা যায়নি। জানতে চাইলে বলাইনগুড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একজন সহকারী শিক্ষক বলেন, প্রধান শিক্ষকের হৃদ্রোগে আক্রান্ত। তাই তিনি এখনো স্কুলে আসেননি। কিছুক্ষণের মধ্যেই চলে আসবেন।
নাগড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক হালিমা খাতুন বলেন, ‘স্কুল খুলেছে। অনেক ছাত্র-ছাত্রী জানেই না স্কুল খোলার খবরটি। খবর পেলে স্কুলে ছাত্র-ছাত্রী আগের মতোই আসবে।’ এই স্কুলে কিছু ছাত্র-ছাত্রীকে দেখা যায়। তবে তাদের বেশির ভাগের মুখেই মাস্ক ছিল না। স্কুল কর্তৃপক্ষেরও স্বাস্থ্যবিধি নিয়ে তেমন সচেতনতা দেখা যায়নি।
নাগড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র আসলাম মিয়ার কাছে জানতে চাইলে বলে, মাস্ক বাড়িতে রেখে এসেছি। স্কুলে আনতে মনে নেই। এ বিষয়ে হালিমা খাতুন বলেন, প্রধান শিক্ষক এলেই যারা মাস্ক আনেনি তাদের মাস্ক কিনে দেওয়া হবে।
তবে শহরের জ্ঞানদ্বীপ প্রাইভেট স্কুলে গিয়ে দেখা গেছে ভিন্ন চিত্র। এ স্কুলে সব ছাত্রই ইউনিফর্ম পড়ে ক্লাসে এসেছে। দুয়েক জন ছাড়া প্রায় সবার মুখেই মাস্ক পরিহিত ছিল। স্কুলের বেঞ্চ-টেবিলগুলোও পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন ছিল। ক্লাসে ক্লাসে শিক্ষকেরাও পাঠদানের প্রস্তুতি নেন। এ স্কুলে ছাত্রসংখ্যাও সরকারি স্কুলের তুলনায় বেশি।
সাতপাই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রথম শ্রেণিতে পড়ুয়া রিমা আক্তারকে নিয়ে এসেছেন তার মা বেবি আক্তার। তিনি বলেন, করোনা এখন অনেকটা অন্যান্য অসুখের মতোই স্বাভাবিক হয়ে গেছে। স্কুল বন্ধ থাকলে সন্তানদের পড়ালেখায় ক্ষতি হয়। আগে দীর্ঘদিন স্কুল বন্ধ ছিল। এখন আবার প্রায় দেড় মাস স্কুল বন্ধ গেছে। এতে ছেলে-মেয়েদের পড়াশোনায় প্রভাব পড়ছে।
দত্তপাই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ছেলেকে নিয়ে এসেছেন জুঁই সরকার। তিনি বলেন, আশঙ্কা আছে। আতঙ্ক আছে। তারপরও স্কুল খোলার কারণে ভালো লাগছে। স্কুল বন্ধ থাকলে বাচ্চাদের পড়াশোনা হয় না একদম।
নেত্রকোনা সদর উপজেলার প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক দুলদুল জাহিদ বলেন, করোনা ও ওমিক্রণ বৃদ্ধির কারণে স্কুল বন্ধ করে দিয়েছিল সরকার। এটা করে সরকার বিচক্ষণতার পরিচয় দিয়েছে। তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসায় স্কুল-কলেজ খুলে দেওয়ায় ভালো হয়েছে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহমুদা আক্তার বলেন, স্কুল খুললেও কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার কথা স্কুল কর্তৃপক্ষকে বলা হয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার কোনো বিকল্প নেই।
জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ অবায়দুল্লা বলেন, করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব কমলেও সংক্রমণ শেষ হয়ে যায়নি। তাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার কোনো বিকল্প নেই।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪