Ajker Patrika

জয়পুরহাটে পেট্রলসংকট দুর্ভোগে যানচালকেরা

মো. আতাউর রহমান, জয়পুরহাট
আপডেট : ১৫ মার্চ ২০২২, ১৮: ৩৫
জয়পুরহাটে পেট্রলসংকট দুর্ভোগে যানচালকেরা

জয়পুরহাটে ফিলিং স্টেশনগুলোতে পেট্রলের সংকট দেখা দিয়েছে। এক সপ্তাহ ধরে এই সংকট হলেও দুই দিন ধরে চালকদের পেট্রল না পেয়ে ফিরে যেতে দেখা গেছে। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন পেট্রলনির্ভর বিভিন্ন যানবাহনের চালকেরা।

তবে ডিপো-সংশ্লিষ্টরা জানান, এই মাসে কী পরিমাণ ফিলিং স্টেশনগুলো তেল নেবে, সেটা গত বছরের এই মাসের ওপর নির্ভর করে। গত বছর তেল কম নিয়ে থাকলে সে পরিমাণই বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। তাঁরা নিয়মিত তেল দিচ্ছেন। ফিলিং স্টেশনের মালিকেরা পরবর্তী সময়ে দাম বাড়তে পারে বলেই তাঁরা তেলের কৃত্রিম সংকট দেখাচ্ছেন।

গতকাল সকালে জেলার পাকার মাথা এলাকার মামুন ফিলিং স্টেশনে দেখা যায়, সেখানে মোটরসাইকেল নিয়ে অনেকেই পেট্রল কিনতে আসছেন। কিন্তু ফিলিং স্টেশনের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হচ্ছে, পাম্পে পেট্রলের মজুত নেই। তবে একান্ত প্রয়োজনে অকটেন দেওয়া যাবে।

ওই পাম্পের ব্যবস্থাপক সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘১৩ মার্চ সকাল থেকে এই পাম্পের তেল শেষ হয়েছে। আমরা বাঘাবাড়ী ডিপো থেকে কোনো পেট্রল পাচ্ছি না। আমাদের কাছে যে পরিমাণ পেট্রল জমা ছিল, তা ইতিমধ্যে শেষ হয়ে গেছে। এখন অল্প কিছু পরিমাণ অকটেন রয়েছে, যা চাহিদার তুলনায় অনেক কম।’

জেলার আক্কেলপুর ফিলিং স্টেশনের স্বত্বাধিকারী মন্টু কবিরাজ বলেন, ‘প্রতিবছরই এই সময়ে এমন সমস্যা হয়। কিন্তু ডিপো থেকে কোনো কারণ জানানো হয় না। যাঁরা পাইকারিতে পেট্রল কেনেন, তাঁদের দেওয়া বন্ধ করা হয়েছে।’’

ক্ষেতলাল উপজেলার নিশ্চিন্তা বাজার এলাকায় অবস্থিত যমুনা ফিলিং স্টেশনের স্বত্বাধিকারী ওমর আব্দুল আজিজ তালুকদার বলেন, ‘অজ্ঞাত কারণে এক সপ্তাহ ধরে কোম্পানি থেকে হাফ গাড়ির (সাড়ে ৪ হাজার লিটারের) বেশি পেট্রল দেওয়া হচ্ছে না। এই পরিমাণ চাহিদার তুলনায় কম। তাই বাধ্য হয়ে গ্রাহকদের কম পরিমাণে পেট্রোল দিচ্ছি।’

জেলার কালাই উপজেলার মেসার্স এমআর ফিলিং স্টেশনের স্বত্বাধিকারী আব্দুল খয়ের গোলাম মওলানা বলেন, ‘আগে কোম্পানি থেকে নিজেদের চাহিদামতো পেট্রল আমদানি করতে পারতাম। কোম্পানি এখন ৯ হাজার লিটারের বেশি পেট্রল সরবরাহ করছে না। গত ফেব্রুয়ারি মাস থেকে একটু একটু করে সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছি। কিন্তু গত ৮-১০ দিনের পরিস্থিতি বিবেচনা করে মনে হচ্ছে, ধীরে ধীরে আমরা পেট্রলের সংকটের দিকে এগোচ্ছি।’

বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম ডিলারস, ডিস্ট্রিবিউটার্স, এজেন্ট অ্যান্ড পেট্রল পাম্প ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন জয়পুরহাট জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোসফেকুর চৌধুরী হান্নান বলেন, ‘আমরা পদ্মা, মেঘনা, যমুনা—এই তিন কোম্পানির জ্বালানি তেল ব্যবহার করি। আমরা ডিপোতে গিয়ে পরিমাণমতো তেল পাচ্ছি না। এ জন্য বর্তমানে এই তিন কোম্পানির পেট্রলের সংকট দেখা দিয়েছে।’

বাঘাবাড়ী ডিপোর যমুনা অয়েলের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি বলেন, ‘তেলের সংকট নেই। তবে এই মাসে কী পরিমাণ তেল ফিলিং স্টেশনগুলো নেবে, সেটা গত বছরের এই মাসের ওপর নির্ভর করে। তাঁরা গত বছর তেল কম নিয়ে থাকলে সে পরিমাণই বরাদ্দ দেওয়া হবে।’

যমুনা অয়েল কোম্পানি লিমিটেড বগুড়া অফিসের এজিএম জসিম উদ্দিন বলেন, ‘আমরা নিয়মিত ফিলিং স্টেশনগুলোকে তেল দিচ্ছি। হয়তো ফিলিং স্টেশনের মালিকেরা দাম বাড়তে পারে বলেই তাঁরা তেল স্টক করার চিন্তা করছেন। কিন্তু আমরা মনিটরিং করে গত বছরের বরাদ্দের সঙ্গে সঙ্গে তুলনা করে তেলের বরাদ্দ দিচ্ছি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘জনতার জন্য হিজাব আইন, খামেনির উপদেষ্টার মেয়ের জন্য ডানাকাটা জামা’

বিএনপি ক্ষমতায় গেলে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ বন্ধ করবে: আমীর খসরু

সিটি করপোরেশন হচ্ছে সাভার

বিএনপির ক্লাবঘরে হামলা: জিয়াউর রহমান, খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের ছবি ভাঙচুর

নির্বাচনের আগে প্রশাসনে রদবদল তাঁর তত্ত্বাবধানেই, যোগ্যদেরকে ডিসি নিয়োগ— বিএনপিকে প্রধান উপদেষ্টা

এলাকার খবর
Loading...