গুরুদাসপুর (নাটোর) প্রতিনিধি
নাটোরের গুরুদাসপুরে ২৮ জনের জায়গায় মাত্র ৫ চিকিৎসক দিয়ে চলছে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসাসেবা। শীত মৌসুমে প্রতিদিন হাজারো মানুষ এখানে আসছেন চিকিৎসা নিতে। রোগীর চাপ বাড়ায় কাঙ্ক্ষিত সেবা থেকে অনেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
গুরুদাসপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রোগীর চাপ বাড়ায় পরিস্থিতি সামাল দিতে ইউনিয়ন উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রের তিন চিকিৎসককে উপজেলা হাসপাতালে রাখা হয়েছে। এ ছাড়া হাসপাতালটিতে আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা (আরএমও) না থাকায় আন্তবিভাগের চিকিৎসাব্যবস্থা ব্যাহত হচ্ছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২০০৯ সালে এ হাসপাতালটি ৩১ থেকে ৫০ শয্যায় উন্নীত করা হয়। কিন্তু চিকিৎসক ও আধুনিক যন্ত্রপাতি সংকটে বদলায়নি সেবার মান। ভৌগোলিক কারণে গুরুদাসপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি চলনবিলের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত হওয়ায় উপজেলার তিন লাখ মানুষ ছাড়াও আশপাশের সিংড়া, বড়াইগ্রাম, তাড়াশ ও চাটমোহর উপজেলার বহু মানুষ এ হাসপাতালের ওপর নির্ভরশীল। অথচ বিশাল এ জনগোষ্ঠীর চিকিৎসাসেবায় প্রয়োজনীয় চিকিৎসক ও আধুনিক যন্ত্রপাতি দেওয়া হয়নি।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, হাসপাতালটিতে ২৮ জন চিকিৎসক থাকার কথা। এর মধ্যে আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা (আরএমও) এবং একজন করে জুনিয়র কনসালট্যান্ট শিশু, গাইনি বিশেষজ্ঞ, কার্ডিওলজি, অ্যানেসথেসিয়া, দন্ত, চক্ষু, ইউনানি, চর্ম, যৌনসহ ১০ জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পদ রয়েছে। তাঁদের মধ্যে অ্যানেসথেসিয়া চিকিৎসক থাকলেও ইউনানি চিকিৎসক ডেপুটেশনে নাটোর সদর হাসপাতালে দায়িত্ব পালন করছেন। এ ছাড়া ১৭ জন মেডিকেল কর্মকর্তা থাকার কথা থাকলেও বাস্তবে ইউনিয়ন উপস্বাস্থ্যকেন্দ্র মিলিয়ে ৮ জন মেডিকেল কর্মকর্তা চিকিৎসা দিচ্ছেন।
এদিকে ৩১ জন নার্সের মধ্যে ২৭ জন আছেন। এ ছাড়া তৃতীয় শ্রেণির ৭৩ জনের মধ্যে ৫৫ জন এবং চতুর্থ শ্রেণির ২৮ জনের মধ্যে ১৪ জন কর্মরত আছেন। জনবল কম থাকায় চিকিৎসার পাশাপাশি হাসপাতালে অন্যান্য সেবার মানও নাজুক হয়ে পড়েছে।
সরেজমিন দেখা গেছে, হাসপাতালের আন্ত ও বহির বিভাগ মিলিয়ে চারজন চিকিৎসক সেবা দিচ্ছেন। এর মধ্যে এনসিডি কর্নারে একজন ও দুজন চিকিৎসক সাধারণ রোগীদের চিকিৎসাসেবা দিচ্ছেন। এ ছাড়া জরুরি বিভাগের চিকিৎসক দিয়েই চলছে ভর্তি থাকা রোগীদের চিকিৎসাসেবা। চিকিৎসকের সংকট থাকায় এবং হাসপাতালে রোগীর চাপ বাড়ায় অনেকে চিকিৎসাসেবা পাচ্ছেন, আবার অনেকে না নিয়েই ফিরে যাচ্ছেন।
তাড়াশ থেকে চিকিৎসা নিতে আসা আকলিমা (৬০) জানান, অনেক সকালে এসেও দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন। সুবিধামতো মিলছে না চিকিৎসাসেবা। চিকিৎসক কম থাকায় তাঁদের মতো শত শত মানুষের এমন ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
উপজেলার মশিন্দা ইউনিয়নের বাবর আলী বলেন, তাঁর হাঁটুর সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে আসেন। কিন্তু চিকিৎসক না থাকায় বাড়ি ফিরে যেতে হচ্ছে তাঁকে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. মুজাহিদুল ইসলাম বলেন, সীমিত জনবল নিয়ে করোনা মহামারিসহ শীতকালীন রোগীদের নিরবচ্ছিন্ন সেবা দেওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে। তবুও সিজারিয়ান অপারেশনসহ সব ধরনের সেবা দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। এ ছাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে শূন্য পদের জন্য প্রতি মাসে চিঠি পাঠানো হয়। তাঁরা আবারও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠাবেন।
নাটোরের গুরুদাসপুরে ২৮ জনের জায়গায় মাত্র ৫ চিকিৎসক দিয়ে চলছে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসাসেবা। শীত মৌসুমে প্রতিদিন হাজারো মানুষ এখানে আসছেন চিকিৎসা নিতে। রোগীর চাপ বাড়ায় কাঙ্ক্ষিত সেবা থেকে অনেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
গুরুদাসপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রোগীর চাপ বাড়ায় পরিস্থিতি সামাল দিতে ইউনিয়ন উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রের তিন চিকিৎসককে উপজেলা হাসপাতালে রাখা হয়েছে। এ ছাড়া হাসপাতালটিতে আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা (আরএমও) না থাকায় আন্তবিভাগের চিকিৎসাব্যবস্থা ব্যাহত হচ্ছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২০০৯ সালে এ হাসপাতালটি ৩১ থেকে ৫০ শয্যায় উন্নীত করা হয়। কিন্তু চিকিৎসক ও আধুনিক যন্ত্রপাতি সংকটে বদলায়নি সেবার মান। ভৌগোলিক কারণে গুরুদাসপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি চলনবিলের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত হওয়ায় উপজেলার তিন লাখ মানুষ ছাড়াও আশপাশের সিংড়া, বড়াইগ্রাম, তাড়াশ ও চাটমোহর উপজেলার বহু মানুষ এ হাসপাতালের ওপর নির্ভরশীল। অথচ বিশাল এ জনগোষ্ঠীর চিকিৎসাসেবায় প্রয়োজনীয় চিকিৎসক ও আধুনিক যন্ত্রপাতি দেওয়া হয়নি।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, হাসপাতালটিতে ২৮ জন চিকিৎসক থাকার কথা। এর মধ্যে আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা (আরএমও) এবং একজন করে জুনিয়র কনসালট্যান্ট শিশু, গাইনি বিশেষজ্ঞ, কার্ডিওলজি, অ্যানেসথেসিয়া, দন্ত, চক্ষু, ইউনানি, চর্ম, যৌনসহ ১০ জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পদ রয়েছে। তাঁদের মধ্যে অ্যানেসথেসিয়া চিকিৎসক থাকলেও ইউনানি চিকিৎসক ডেপুটেশনে নাটোর সদর হাসপাতালে দায়িত্ব পালন করছেন। এ ছাড়া ১৭ জন মেডিকেল কর্মকর্তা থাকার কথা থাকলেও বাস্তবে ইউনিয়ন উপস্বাস্থ্যকেন্দ্র মিলিয়ে ৮ জন মেডিকেল কর্মকর্তা চিকিৎসা দিচ্ছেন।
এদিকে ৩১ জন নার্সের মধ্যে ২৭ জন আছেন। এ ছাড়া তৃতীয় শ্রেণির ৭৩ জনের মধ্যে ৫৫ জন এবং চতুর্থ শ্রেণির ২৮ জনের মধ্যে ১৪ জন কর্মরত আছেন। জনবল কম থাকায় চিকিৎসার পাশাপাশি হাসপাতালে অন্যান্য সেবার মানও নাজুক হয়ে পড়েছে।
সরেজমিন দেখা গেছে, হাসপাতালের আন্ত ও বহির বিভাগ মিলিয়ে চারজন চিকিৎসক সেবা দিচ্ছেন। এর মধ্যে এনসিডি কর্নারে একজন ও দুজন চিকিৎসক সাধারণ রোগীদের চিকিৎসাসেবা দিচ্ছেন। এ ছাড়া জরুরি বিভাগের চিকিৎসক দিয়েই চলছে ভর্তি থাকা রোগীদের চিকিৎসাসেবা। চিকিৎসকের সংকট থাকায় এবং হাসপাতালে রোগীর চাপ বাড়ায় অনেকে চিকিৎসাসেবা পাচ্ছেন, আবার অনেকে না নিয়েই ফিরে যাচ্ছেন।
তাড়াশ থেকে চিকিৎসা নিতে আসা আকলিমা (৬০) জানান, অনেক সকালে এসেও দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন। সুবিধামতো মিলছে না চিকিৎসাসেবা। চিকিৎসক কম থাকায় তাঁদের মতো শত শত মানুষের এমন ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
উপজেলার মশিন্দা ইউনিয়নের বাবর আলী বলেন, তাঁর হাঁটুর সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে আসেন। কিন্তু চিকিৎসক না থাকায় বাড়ি ফিরে যেতে হচ্ছে তাঁকে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. মুজাহিদুল ইসলাম বলেন, সীমিত জনবল নিয়ে করোনা মহামারিসহ শীতকালীন রোগীদের নিরবচ্ছিন্ন সেবা দেওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে। তবুও সিজারিয়ান অপারেশনসহ সব ধরনের সেবা দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। এ ছাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে শূন্য পদের জন্য প্রতি মাসে চিঠি পাঠানো হয়। তাঁরা আবারও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠাবেন।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
২ দিন আগেবিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪