শরীয়তপুর প্রতিনিধি
শরীয়তপুরে নদীভাঙন রোধে কীর্তিনাশার ডান ও বাম তীররক্ষা বাঁধের নির্মাণকাজ শুরু করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)। গতকাল বুধবার বেলা ১১টায় নড়িয়া উপজেলার লঞ্চঘাট এলাকায় নির্মাণকাজের উদ্বোধন করেন পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীম।
বাঁধটি নির্মিত হলে কীর্তিনাশার তীরবর্তী শরীয়তপুরের ৮টি ইউনিয়ন ও ২টি পৌরসভার ১২ হাজার কোটি টাকার সম্পদ নদীভাঙনের হাত থেকে রক্ষা পাবে। পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীনে ৩১৯ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রায় ১২ কিলোমিটার দীর্ঘ কীর্তিনাশার ডান ও বাম তীর রক্ষা বাঁধ প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে পাউবো। ২০২৪ সালের জুনে প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।
পাউবো সূত্রে জানা গেছে, শরীয়তপুরের সদর ও নড়িয়া উপজেলার ওপর দিয়ে কীর্তিনাশা নদী প্রবাহিত হয়েছে। ১২০ মিটার প্রশস্ত পদ্মার শাখানদী হিসেবে নড়িয়ায় এর উৎপত্তিস্থল। ৩১ কিলোমিটার দীর্ঘ এ নদী মাদারীপুরের কালকিনির রাজারচর এলাকায় আড়িয়াল খাঁ নদে গিয়ে মিশেছে। নদীর দুই পারে জেলা সদরের ৪টি ইউনিয়ন, একটি পৌরসভা, নড়িয়া উপজেলার ৪টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভা ও মাদারীপুরের ১টি ইউনিয়ন অবস্থিত।
নদীর তীরে শরীয়তপুর ও নড়িয়া পৌরসভা, আঙ্গারিয়া বন্দর, ভোজেশ্বর বন্দর, কোটাপাড়া, আড়িগাঁও, মুন্সিরহাট, নড়িয়া বাজারসহ বহু গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ও ২ সহস্রাধিক বসতবাড়ি রয়েছে। ঢাকা-শরীয়তপুর সড়কসহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে নদীর তীর ঘেঁষে। প্রায় ২০ বছর ধরে এই জনপদের মানুষ নদীভাঙনের শিকার হচ্ছে। প্রতিবছর গড়ে ২ শতাধিক পরিবার নদীভাঙনের কবলে পড়ে গৃহহীন হয়ে পড়ে।
কীর্তিনাশা নদীর ভাঙনরোধে ২০১৯ সালে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ে প্রকল্প প্রস্তাব পাঠায় পাউবো। ৩১৯ কোটি টাকার এ প্রকল্পের আওতায় মোট ২২টি প্যাকেজে ১১ দশমিক ৯৪ কিলোমিটার বাঁধ নির্মাণ করা হবে। ইতিমধ্যে ২২টি প্যাকেজের মধ্যে ৭টির টেন্ডার প্রক্রিয়া শেষে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে কার্যাদেশ দেওয়া হয়েছে। আরও ৮টি প্যাকেজের টেন্ডার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে চূড়ান্ত মূল্যায়ন পর্যায়ে রয়েছে। বাকি ৭টি প্যাকেজের টেন্ডারপ্রক্রিয়া চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বাঁধের নির্মাণকাজ শেষ করতে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
শরীয়তপুর পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী আহসান হাবীব এ বিষয়ে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘শরীয়তপুরের নদীভাঙন ঠেকাতে কাজ করে যাচ্ছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। কীর্তিনাশা নদীর উভয় পাশে বহু গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা, পাকা সড়ক ও বসতি রয়েছে। বাঁধটি নির্মাণ করা হলে এই অঞ্চলে অন্তত ১২ হাজার কোটি টাকার সম্পদ রক্ষা করা সম্ভব হবে। আশা করছি নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই প্রকল্পের কাজ শেষ করা সম্ভব হবে।’
সকালে প্রকল্প এলাকায় আসেন পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীম। এ সময় তাঁর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন পাউবোর ফরিদপুর অঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী আব্দুল হেকিম, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ছাবেদুর রহমান সিকদার, নির্বাহী প্রকৌশলী আহসান হাবীব, নড়িয়া পৌরসভার মেয়র আবুল কালাম আজাদসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা।
প্রকল্পের কাজের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন শেষে এনামুল হক শামীম জানান, পদ্মা নদীর ভাঙন মোকাবিলায় ১ হাজার ৪০০ কোটি টাকা ব্যয়ে পদ্মার ডান তীর রক্ষা বাঁধ প্রকল্পের কাজ শেষের পথে। গত ৩ বছরে এই জনপদের একটি বসতিও নদীগর্ভে বিলীন হয়নি। এখন কীর্তিনাশা নদীর ভাঙন রোধে এই প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। কাজের গুণগত মান বজায় রেখে কাজ শেষ করতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
শরীয়তপুরে নদীভাঙন রোধে কীর্তিনাশার ডান ও বাম তীররক্ষা বাঁধের নির্মাণকাজ শুরু করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)। গতকাল বুধবার বেলা ১১টায় নড়িয়া উপজেলার লঞ্চঘাট এলাকায় নির্মাণকাজের উদ্বোধন করেন পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীম।
বাঁধটি নির্মিত হলে কীর্তিনাশার তীরবর্তী শরীয়তপুরের ৮টি ইউনিয়ন ও ২টি পৌরসভার ১২ হাজার কোটি টাকার সম্পদ নদীভাঙনের হাত থেকে রক্ষা পাবে। পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীনে ৩১৯ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রায় ১২ কিলোমিটার দীর্ঘ কীর্তিনাশার ডান ও বাম তীর রক্ষা বাঁধ প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে পাউবো। ২০২৪ সালের জুনে প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।
পাউবো সূত্রে জানা গেছে, শরীয়তপুরের সদর ও নড়িয়া উপজেলার ওপর দিয়ে কীর্তিনাশা নদী প্রবাহিত হয়েছে। ১২০ মিটার প্রশস্ত পদ্মার শাখানদী হিসেবে নড়িয়ায় এর উৎপত্তিস্থল। ৩১ কিলোমিটার দীর্ঘ এ নদী মাদারীপুরের কালকিনির রাজারচর এলাকায় আড়িয়াল খাঁ নদে গিয়ে মিশেছে। নদীর দুই পারে জেলা সদরের ৪টি ইউনিয়ন, একটি পৌরসভা, নড়িয়া উপজেলার ৪টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভা ও মাদারীপুরের ১টি ইউনিয়ন অবস্থিত।
নদীর তীরে শরীয়তপুর ও নড়িয়া পৌরসভা, আঙ্গারিয়া বন্দর, ভোজেশ্বর বন্দর, কোটাপাড়া, আড়িগাঁও, মুন্সিরহাট, নড়িয়া বাজারসহ বহু গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ও ২ সহস্রাধিক বসতবাড়ি রয়েছে। ঢাকা-শরীয়তপুর সড়কসহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে নদীর তীর ঘেঁষে। প্রায় ২০ বছর ধরে এই জনপদের মানুষ নদীভাঙনের শিকার হচ্ছে। প্রতিবছর গড়ে ২ শতাধিক পরিবার নদীভাঙনের কবলে পড়ে গৃহহীন হয়ে পড়ে।
কীর্তিনাশা নদীর ভাঙনরোধে ২০১৯ সালে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ে প্রকল্প প্রস্তাব পাঠায় পাউবো। ৩১৯ কোটি টাকার এ প্রকল্পের আওতায় মোট ২২টি প্যাকেজে ১১ দশমিক ৯৪ কিলোমিটার বাঁধ নির্মাণ করা হবে। ইতিমধ্যে ২২টি প্যাকেজের মধ্যে ৭টির টেন্ডার প্রক্রিয়া শেষে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে কার্যাদেশ দেওয়া হয়েছে। আরও ৮টি প্যাকেজের টেন্ডার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে চূড়ান্ত মূল্যায়ন পর্যায়ে রয়েছে। বাকি ৭টি প্যাকেজের টেন্ডারপ্রক্রিয়া চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বাঁধের নির্মাণকাজ শেষ করতে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
শরীয়তপুর পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী আহসান হাবীব এ বিষয়ে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘শরীয়তপুরের নদীভাঙন ঠেকাতে কাজ করে যাচ্ছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। কীর্তিনাশা নদীর উভয় পাশে বহু গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা, পাকা সড়ক ও বসতি রয়েছে। বাঁধটি নির্মাণ করা হলে এই অঞ্চলে অন্তত ১২ হাজার কোটি টাকার সম্পদ রক্ষা করা সম্ভব হবে। আশা করছি নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই প্রকল্পের কাজ শেষ করা সম্ভব হবে।’
সকালে প্রকল্প এলাকায় আসেন পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীম। এ সময় তাঁর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন পাউবোর ফরিদপুর অঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী আব্দুল হেকিম, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ছাবেদুর রহমান সিকদার, নির্বাহী প্রকৌশলী আহসান হাবীব, নড়িয়া পৌরসভার মেয়র আবুল কালাম আজাদসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা।
প্রকল্পের কাজের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন শেষে এনামুল হক শামীম জানান, পদ্মা নদীর ভাঙন মোকাবিলায় ১ হাজার ৪০০ কোটি টাকা ব্যয়ে পদ্মার ডান তীর রক্ষা বাঁধ প্রকল্পের কাজ শেষের পথে। গত ৩ বছরে এই জনপদের একটি বসতিও নদীগর্ভে বিলীন হয়নি। এখন কীর্তিনাশা নদীর ভাঙন রোধে এই প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। কাজের গুণগত মান বজায় রেখে কাজ শেষ করতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪