সবুজ সরকার, বেলকুচি (সিরাজগঞ্জ)
সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের মধ্যে বেলকুচি ও বড়ধুল ইউনিয়নের চরাঞ্চলে ৬০ হাজার লোকের বসবাস। এই দুই চরাঞ্চলের মানুষের সবচেয়ে বড় সমস্যা যাতায়াত ব্যবস্থা। কারণ, বেলকুচি সদরে যেতে হলে এখানে সরাসরি কোনো যোগাযোগব্যবস্থা নেই। এ জন্য পারাপারে ভরসা নৌকা। সেই সঙ্গে নেই উন্নত চিকিৎসাব্যবস্থা। আবার প্রাথমিক, মাধ্যমিক শিক্ষাব্যবস্থা থাকলেও নেই উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষাব্যবস্থা। এই চরগুলোতে ঘোড়ার গাড়িই পণ্য পরিবহনের একমাত্র মাধ্যম।
বেলকুচি ইউনিয়নের চরাঞ্চল থেকে সদরে যেতে হলে শুষ্ক মৌসুমে প্রায় ১০ কিলোমিটার হেঁটে যেতে হয়। আর বর্ষা মৌসুমে নৌকা দিয়ে পারাপার হতে হয়। একইভাবে বড়ধুল ইউনিয়ন থেকে যমুনা নদীর বালুর মধ্য দিয়ে প্রায় ১৫ কিলোমিটার হেঁটে যেতে হয়। এই দুটি ইউনিয়নে বেলকুচি সদরের যাওয়ার জন্য দুটি সেতু নির্মাণ করা হলে চর অঞ্চলের মানুষের যাতায়াতের কষ্ট অনেকটাই কমে যাবে জানান চরবাসী।
পণ্য পরিবহনের ক্ষেত্রেও বিশেষ করে কৃষি পণ্য চর থেকে বেলকুচি সদরের সোহাগপুর হাটে ও মুকুন্দগাঁতী বাজারে আনতে কৃষকদের হাড় ভাঙা পরিশ্রম করতে হয়। পণ্য বিক্রিতে যে লাভ হয়, তার বড় অংশই খরচ হয় পরিবহনে।
দুটি ইউনিয়নের প্রায় ৮০ ভাগ মানুষের পেশা কৃষি। এ ছাড়া মাছ ধরে ও নৌকা চালিয়েও তাঁরা জীবিকা নির্বাহ করেন। এই ইউনিয়ন দুটিতে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় থাকলেও নেই কোনো উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। ফলে শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া করতে বিড়ম্বনায় পড়তে হয়। বর্ষাকালে তাঁদের নৌকা দিয়ে যাতায়াত করতে হয়। শীতকালে বালুর মধ্যে হেঁটে নদী পার হতে হয়।
বেলকুচি ইউনিয়নের চর আগুড়িয়া গ্রামের সেলিম ফকির বলেন, এ অঞ্চলগুলোতে সরকার যদি কলেজ করে দেয় তাহলে শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার মান বাড়াবে। শিক্ষার প্রতি বাড়বে শিক্ষার্থীদের মনোযোগ।
বড়ধুল ইউনিয়নের ষোলশত জাংগালিয়া গ্রামের আব্দুর রাজ্জাক বলেন, অসুখ হলে কবিরাজ, ঝাড়ফুঁকের ওপর নির্ভরশীল থাকতে হতো এক সময়। এখনো তেমন কোনো পরিবর্তন হয়নি। কেউ গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে নদী পার হয়ে বেলকুচি উপজেলা সদরে গিয়ে চিকিৎসা নেওয়া অসম্ভব হয়ে পড়ে। রাস্তায় মৃত্যু ছাড়া কোনো গতি থাকে না।
বেলকুচি সদর ইউনিয়নের ইউপি সদস্য নজরুল ইসলাম বলেন, বিশাল এ চরে চিকিৎসার কোনো ব্যবস্থা নেই। গর্ভবতী মায়ের প্রসূতি যন্ত্রণা হলে খুব সমস্যায় পড়তে হয়। যদি উত্তর দেলুয়ায় একটা সেতু হতো তাহলে চরবাসীর কষ্ট কিছুটা দূর হতো।
বেলকুচি সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সোলায়মান হোসেন বলেন, এই দুর্গম চরের যোগাযোগব্যবস্থার উন্নয়নে বাজেট বরাদ্দ দিতে হবে। যোগাযোগব্যবস্থা উন্নত না হওয়ার কারণে পণ্য পরিবহনে খুবই অসুবিধা হয়। এতে করে চরের কৃষকেরা উৎপাদিত পণ্যের সঠিক মূল্য পান না।
বড়ধুল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আছির উদ্দিন মোল্লা বলেন, ‘এখানে একটি ক্লিনিক থাকলেও সেটি উপকারে আসছে না চর অঞ্চলের মানুষের। বড়ধুল ইউনিয়নে আজুগড়া খেয়াঘাটে একটা সেতু নির্মাণ করে দিলে এই ইউনিয়নের মানুষের যাতায়াতের কষ্ট দূর হবে এবং চরবাসীর জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন হবে। তাই প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমাদের দাবি, দ্রুত সময়ের মধ্যে যেন একটা সেতু নির্মাণ করে দেন।’
বেলকুচি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম সাজেদুল বলেন, এই উপজেলার প্রায় ১৫ শতাংশ মানুষ (প্রায় ৬০ হাজার) চর অঞ্চলে বসবাস করেন। চরগুলোতে যাওয়ার জন্য ভালো কোনো রাস্তা নেই। শুকনো মৌসুমে বছরের ৫-৬ মাস চরের মানুষ হেঁটেই উপজেলা সদরে আসা-যাওয়া করেন। তিনি সরকারের কাছে চর এলাকার মানুষের জন্য বিশেষ উন্নয়ন পরিকল্পনা নেওয়ার জন্য অনুরোধ করেন।
সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের মধ্যে বেলকুচি ও বড়ধুল ইউনিয়নের চরাঞ্চলে ৬০ হাজার লোকের বসবাস। এই দুই চরাঞ্চলের মানুষের সবচেয়ে বড় সমস্যা যাতায়াত ব্যবস্থা। কারণ, বেলকুচি সদরে যেতে হলে এখানে সরাসরি কোনো যোগাযোগব্যবস্থা নেই। এ জন্য পারাপারে ভরসা নৌকা। সেই সঙ্গে নেই উন্নত চিকিৎসাব্যবস্থা। আবার প্রাথমিক, মাধ্যমিক শিক্ষাব্যবস্থা থাকলেও নেই উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষাব্যবস্থা। এই চরগুলোতে ঘোড়ার গাড়িই পণ্য পরিবহনের একমাত্র মাধ্যম।
বেলকুচি ইউনিয়নের চরাঞ্চল থেকে সদরে যেতে হলে শুষ্ক মৌসুমে প্রায় ১০ কিলোমিটার হেঁটে যেতে হয়। আর বর্ষা মৌসুমে নৌকা দিয়ে পারাপার হতে হয়। একইভাবে বড়ধুল ইউনিয়ন থেকে যমুনা নদীর বালুর মধ্য দিয়ে প্রায় ১৫ কিলোমিটার হেঁটে যেতে হয়। এই দুটি ইউনিয়নে বেলকুচি সদরের যাওয়ার জন্য দুটি সেতু নির্মাণ করা হলে চর অঞ্চলের মানুষের যাতায়াতের কষ্ট অনেকটাই কমে যাবে জানান চরবাসী।
পণ্য পরিবহনের ক্ষেত্রেও বিশেষ করে কৃষি পণ্য চর থেকে বেলকুচি সদরের সোহাগপুর হাটে ও মুকুন্দগাঁতী বাজারে আনতে কৃষকদের হাড় ভাঙা পরিশ্রম করতে হয়। পণ্য বিক্রিতে যে লাভ হয়, তার বড় অংশই খরচ হয় পরিবহনে।
দুটি ইউনিয়নের প্রায় ৮০ ভাগ মানুষের পেশা কৃষি। এ ছাড়া মাছ ধরে ও নৌকা চালিয়েও তাঁরা জীবিকা নির্বাহ করেন। এই ইউনিয়ন দুটিতে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় থাকলেও নেই কোনো উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। ফলে শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া করতে বিড়ম্বনায় পড়তে হয়। বর্ষাকালে তাঁদের নৌকা দিয়ে যাতায়াত করতে হয়। শীতকালে বালুর মধ্যে হেঁটে নদী পার হতে হয়।
বেলকুচি ইউনিয়নের চর আগুড়িয়া গ্রামের সেলিম ফকির বলেন, এ অঞ্চলগুলোতে সরকার যদি কলেজ করে দেয় তাহলে শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার মান বাড়াবে। শিক্ষার প্রতি বাড়বে শিক্ষার্থীদের মনোযোগ।
বড়ধুল ইউনিয়নের ষোলশত জাংগালিয়া গ্রামের আব্দুর রাজ্জাক বলেন, অসুখ হলে কবিরাজ, ঝাড়ফুঁকের ওপর নির্ভরশীল থাকতে হতো এক সময়। এখনো তেমন কোনো পরিবর্তন হয়নি। কেউ গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে নদী পার হয়ে বেলকুচি উপজেলা সদরে গিয়ে চিকিৎসা নেওয়া অসম্ভব হয়ে পড়ে। রাস্তায় মৃত্যু ছাড়া কোনো গতি থাকে না।
বেলকুচি সদর ইউনিয়নের ইউপি সদস্য নজরুল ইসলাম বলেন, বিশাল এ চরে চিকিৎসার কোনো ব্যবস্থা নেই। গর্ভবতী মায়ের প্রসূতি যন্ত্রণা হলে খুব সমস্যায় পড়তে হয়। যদি উত্তর দেলুয়ায় একটা সেতু হতো তাহলে চরবাসীর কষ্ট কিছুটা দূর হতো।
বেলকুচি সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সোলায়মান হোসেন বলেন, এই দুর্গম চরের যোগাযোগব্যবস্থার উন্নয়নে বাজেট বরাদ্দ দিতে হবে। যোগাযোগব্যবস্থা উন্নত না হওয়ার কারণে পণ্য পরিবহনে খুবই অসুবিধা হয়। এতে করে চরের কৃষকেরা উৎপাদিত পণ্যের সঠিক মূল্য পান না।
বড়ধুল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আছির উদ্দিন মোল্লা বলেন, ‘এখানে একটি ক্লিনিক থাকলেও সেটি উপকারে আসছে না চর অঞ্চলের মানুষের। বড়ধুল ইউনিয়নে আজুগড়া খেয়াঘাটে একটা সেতু নির্মাণ করে দিলে এই ইউনিয়নের মানুষের যাতায়াতের কষ্ট দূর হবে এবং চরবাসীর জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন হবে। তাই প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমাদের দাবি, দ্রুত সময়ের মধ্যে যেন একটা সেতু নির্মাণ করে দেন।’
বেলকুচি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম সাজেদুল বলেন, এই উপজেলার প্রায় ১৫ শতাংশ মানুষ (প্রায় ৬০ হাজার) চর অঞ্চলে বসবাস করেন। চরগুলোতে যাওয়ার জন্য ভালো কোনো রাস্তা নেই। শুকনো মৌসুমে বছরের ৫-৬ মাস চরের মানুষ হেঁটেই উপজেলা সদরে আসা-যাওয়া করেন। তিনি সরকারের কাছে চর এলাকার মানুষের জন্য বিশেষ উন্নয়ন পরিকল্পনা নেওয়ার জন্য অনুরোধ করেন।
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
২০ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪