জয়নাল আবেদীন খান, ঢাকা
মামলায় আটকে থাকা খেলাপি ঋণের অঙ্ক বেড়েই চলেছে। ঋণসংক্রান্ত মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য অর্থঋণ আদালত চালু হলেও গত দেড় দশকেও তাতে কোনো সাফল্য নেই। ফলে খেলাপি ঋণসংক্রান্ত ৬৫ হাজার ৪৩৭টি মামলায় আটকে রয়েছে ১ লাখ ৩৫ হাজার ৮৫১ কোটি টাকা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সবশেষ তথ্য বলছে, চলতি বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত ৬টি সরকারি ব্যাংকের আওতায় ১৭ হাজার ১৩টি মামলায় ৬০ হাজার ৯৬৯ কোটি টাকা, বিশেষায়িত ব্যাংকগুলোর আওতায় ৫ হাজার ৯১৩টি মামলায় ১ হাজার ৯৭৫ কোটি টাকা, ব্যক্তিমালিকানাধীন বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর ৩৪ হাজার ৭১৫টি মামলায় ৬৯ হাজার ৯৫৬ কোটি টাকা এবং বিদেশি ব্যাংকগুলোর ৭ হাজার ৭৯৬টি মামলায় ২ হাজার ৯৪৯ কোটি টাকা আটকে আছে।
এসব তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, সরকার পরিচালিত ব্যাংকগুলোয় বিভিন্ন মামলায় ঝুলে থাকা খেলাপি ঋণের পরিমাণ সবচেয়ে বেশি। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য থেকে জানা গেছে, দেউলিয়া, সার্টিফিকেট এবং অর্থঋণ আদালতের অধীন ২ লাখ ৪৩ হাজার ৫১৫ মামলায় নিষ্পত্তির অপেক্ষায় রয়েছে ২ লাখ ২৩২ কোটি টাকা।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের তথ্য বলছে, ২০০৩ সালে অর্থঋণ আদালত গঠন হওয়ার পর এখন পর্যন্ত এ আদালতে মামলা হয়েছে প্রায় ২ লাখ। নিষ্পত্তিকৃত অর্থের সিংহভাগ আদায় করতে পারেনি সংশ্লিষ্ট ব্যাংক কর্তৃপক্ষ।
এদিকে অর্থঋণ আদালতের দীর্ঘসূত্রতা খেলাপি ঋণ আদায়ের ক্ষেত্রে প্রধান অন্তরায় হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে অভিযোগ বলে অভিযোগ ব্যাংকারদে।
এ নিয়ে ব্যাংক এশিয়ার শীর্ষ নির্বাহী আরফান আলী বলেন, ‘চাহিদার তুলনায় দেশে অর্থঋণ আদালতের সংখ্যা কম। একই সঙ্গে আদালতগুলোয় বিচারকের সংখ্যাও যথেষ্ট নয়। তাই অর্থঋণ আদালতের মামলাজট তৈরি হচ্ছে। খেলাপি ঋণ আদায়ে ব্যাংকারদের ব্যাংক পরিচালনা করতে চাপের মুখে পড়তে হচ্ছে আর গ্রাহকেরাও আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।’
অন্য এক বেসরকারি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জানিয়েছেন, গত জুন শেষে দেশের ব্যাংকিং খাতে খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৯৬ হাজার কোটি টাকা। একই সময়ে অবলোপন করা হয়েছে প্রায় ৪৫ হাজার কোটি টাকার খেলাপি ঋণ।
মামলা নিষ্পত্তিতে দীর্ঘসূত্রতার বিষয়ে ব্যারিস্টার সোলায়মান তুষার বলেন, ‘অর্থঋণ আদালত দেশের ফাস্টট্র্যাক আইন। এ বিবেচনায় দ্রুততম সময়ের মধ্যেই অর্থঋণ আদালতের মামলা নিষ্পত্তি হওয়ার কথা। কিন্তু এ আদালতের দীর্ঘসূত্রতায় আইনজীবী হিসেবে আমরাও হতাশ।’
নানা কৌশলে অর্থঋণ আদালতের মামলা নিষ্পত্তি দীর্ঘায়িত করা হচ্ছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‘খেলাপি হওয়া ঋণ বিতরণে অনিয়মের সঙ্গে ব্যাংকাররা জড়িত থাকেন। কিছু ক্ষেত্রে তাঁরাই চান না মামলা নিষ্পত্তি হোক।’
মামলায় আটকে থাকা খেলাপি ঋণের অঙ্ক বেড়েই চলেছে। ঋণসংক্রান্ত মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য অর্থঋণ আদালত চালু হলেও গত দেড় দশকেও তাতে কোনো সাফল্য নেই। ফলে খেলাপি ঋণসংক্রান্ত ৬৫ হাজার ৪৩৭টি মামলায় আটকে রয়েছে ১ লাখ ৩৫ হাজার ৮৫১ কোটি টাকা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সবশেষ তথ্য বলছে, চলতি বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত ৬টি সরকারি ব্যাংকের আওতায় ১৭ হাজার ১৩টি মামলায় ৬০ হাজার ৯৬৯ কোটি টাকা, বিশেষায়িত ব্যাংকগুলোর আওতায় ৫ হাজার ৯১৩টি মামলায় ১ হাজার ৯৭৫ কোটি টাকা, ব্যক্তিমালিকানাধীন বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর ৩৪ হাজার ৭১৫টি মামলায় ৬৯ হাজার ৯৫৬ কোটি টাকা এবং বিদেশি ব্যাংকগুলোর ৭ হাজার ৭৯৬টি মামলায় ২ হাজার ৯৪৯ কোটি টাকা আটকে আছে।
এসব তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, সরকার পরিচালিত ব্যাংকগুলোয় বিভিন্ন মামলায় ঝুলে থাকা খেলাপি ঋণের পরিমাণ সবচেয়ে বেশি। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য থেকে জানা গেছে, দেউলিয়া, সার্টিফিকেট এবং অর্থঋণ আদালতের অধীন ২ লাখ ৪৩ হাজার ৫১৫ মামলায় নিষ্পত্তির অপেক্ষায় রয়েছে ২ লাখ ২৩২ কোটি টাকা।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের তথ্য বলছে, ২০০৩ সালে অর্থঋণ আদালত গঠন হওয়ার পর এখন পর্যন্ত এ আদালতে মামলা হয়েছে প্রায় ২ লাখ। নিষ্পত্তিকৃত অর্থের সিংহভাগ আদায় করতে পারেনি সংশ্লিষ্ট ব্যাংক কর্তৃপক্ষ।
এদিকে অর্থঋণ আদালতের দীর্ঘসূত্রতা খেলাপি ঋণ আদায়ের ক্ষেত্রে প্রধান অন্তরায় হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে অভিযোগ বলে অভিযোগ ব্যাংকারদে।
এ নিয়ে ব্যাংক এশিয়ার শীর্ষ নির্বাহী আরফান আলী বলেন, ‘চাহিদার তুলনায় দেশে অর্থঋণ আদালতের সংখ্যা কম। একই সঙ্গে আদালতগুলোয় বিচারকের সংখ্যাও যথেষ্ট নয়। তাই অর্থঋণ আদালতের মামলাজট তৈরি হচ্ছে। খেলাপি ঋণ আদায়ে ব্যাংকারদের ব্যাংক পরিচালনা করতে চাপের মুখে পড়তে হচ্ছে আর গ্রাহকেরাও আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।’
অন্য এক বেসরকারি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জানিয়েছেন, গত জুন শেষে দেশের ব্যাংকিং খাতে খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৯৬ হাজার কোটি টাকা। একই সময়ে অবলোপন করা হয়েছে প্রায় ৪৫ হাজার কোটি টাকার খেলাপি ঋণ।
মামলা নিষ্পত্তিতে দীর্ঘসূত্রতার বিষয়ে ব্যারিস্টার সোলায়মান তুষার বলেন, ‘অর্থঋণ আদালত দেশের ফাস্টট্র্যাক আইন। এ বিবেচনায় দ্রুততম সময়ের মধ্যেই অর্থঋণ আদালতের মামলা নিষ্পত্তি হওয়ার কথা। কিন্তু এ আদালতের দীর্ঘসূত্রতায় আইনজীবী হিসেবে আমরাও হতাশ।’
নানা কৌশলে অর্থঋণ আদালতের মামলা নিষ্পত্তি দীর্ঘায়িত করা হচ্ছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‘খেলাপি হওয়া ঋণ বিতরণে অনিয়মের সঙ্গে ব্যাংকাররা জড়িত থাকেন। কিছু ক্ষেত্রে তাঁরাই চান না মামলা নিষ্পত্তি হোক।’
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৭ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪