Ajker Patrika

বাজারে সুপারি সরবরাহ ভালো থাকলেও দাম কম

পঞ্চগড় প্রতিনিধি
আপডেট : ১৫ মে ২০২২, ১৫: ০৫
Thumbnail image

পঞ্চগড়ের বিভিন্ন হাটে জমে উঠেছে সুপারি বেচাকেনা। বাজারে সুপারি সরবরাহ পর্যাপ্ত থাকলেও দাম কম।জেলায় সবচেয়ে বড় সুপারির হাট বসে সদর উপজেলার টুনিরহাটে। প্রতি শুক্র ও সোমবার এ হাটে বেশি সুপারি কেনাবেচা হয়। শহরের রাজনগর হাটে জালাশি এলাকায় প্রতি রোব ও বৃহস্পতিবার বসে সুপারির হাট। এ ছাড়া জেলা সদরের চাকলাহাট, হাড়িভাসা, মডেল, জগদল ছাড়াও তেঁতুলিয়ার শালবাহান, তিরনইহাট, আটোয়ারীর ফকিরগঞ্জ হাট, বোদার ময়দানদিঘী, মাড়েয়া, সাকোয়া এবং দেবীগঞ্জেও সপ্তাহে দুই দিন সুপারির হাট বসে।

গত বৃহস্পতিবার জালাশি এলাকায় সুপারি হাটে দেখা গেছে এখানে প্রচুর সুপারির আমদানি হয়েছে। পাকা সুপারি বস্তায় ভরে বিক্রয়ের জন্য নিয়ে এসেছেন এখানে। সুপারি হাটে আসার বিভিন্ন রাস্তায় বসেছে অনেক ফড়িয়া ব্যবসায়ী। তাঁরা অপেক্ষাকৃত কম দামে সুপারি কেনেন। বেলা শেষে তারাও কেনা সুপারি বেচতে আসেন সুপারি হাটে। কারণ বাইরে থেকে আসা ব্যবসায়ীরা এখানে বসেই সুপারি কেনেন।

বাগান মালিকেরা বলছেন, গত বছরের তুলনায় এবার সুপারির দাম অনেক কম। এখানে সুপারি বিক্রয় হয় কাহন হিসেবে। ৮০টি সুপারিতে এক পণ এবং ১৬ পণে এক কাহন। বর্তমানে প্রতি কাহন সুপারি বিক্রি হচ্ছে আকার ভেদে তিন হাজার টাকা থেকে সাড়ে চার হাজার টাকা।

পঞ্চগড় সদর উপজেলার বলেয়াপাড়া গ্রামের সুপারি বাগান মালিক আব্দুল কাদের বলেন, ‘আজ আমি পাঁচ কাহন সুপারি বাজারে এনেছি। প্রতি কাহন ছোট সুপারির দাম বলছে দুই হাজার ৮০০ ও বড় সুপারি চার হাজার টাকা। এই দামে আমি সুপারি বিক্রি করব না। বাড়িতে নিয়ে মাটিতে পুতে রাখব। গত বছর বড় আকারের সুপারি প্রতি কাহন বিক্রয় করেছি ছয় হাজার টাকায়। আর ছোট সুপারি চার হাজার টাকায়। এবার সুপারির ফলন বেশি হওয়ায় দাম কমে গেছে।

পঞ্চগড় জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক শামিম হাসান জানান, জেলার কৃষি অর্থনীতিতে সুপারি চাষ বড় ধরনের ভূমিকা রেখে আসছে। চাষিদের বসতবাড়ির সঙ্গে লাগানো সুপারি বাগান এখানকার মানুষের একটা ঐতিহ্যের বিষয়। প্রতিটি বাড়িতেই সুপারির চাষ করেন স্থানীয়রা। আকার স্বাদ এবং আকর্ষণীয় হওয়ার কারণে জেলার সুপারি দেশের বিভিন্ন স্থানে সমাদৃত।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত