কুমিল্লা প্রতিনিধি
কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের (কুসিক) মহানগরের ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে এখনো উন্নয়ন ও আধুনিকতার ছোঁয়া লাগেনি। ওয়ার্ড জুড়ে যত্রতত্র ময়লা-আবর্জনার ভাগাড়। নেই ভালো ড্রেনেজ ব্যবস্থা। সামন্য বৃষ্টিতেই সড়ক তলিয়ে যায়। এসব দুর্ভোগের পাশাপাশি ওয়ার্ডটিতে রয়েছে মাদকের আধিপত্য, সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজদের দৌরাত্ম্য। ওয়ার্ডটিকে যাঁরা এসব ভোগান্তি থেকে মুক্ত করবেন তাঁদেরই আসন্ন সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র ও কাউন্সিলর হিসেবে বেছে নিতে চান স্থানীয় ভোটাররা।
১৮ নম্বর ওয়ার্ডটি কুসিকের মুরাদপুর মৌজায়। মহানগরের আদি অধিবাসীদের অধিকাংশই এ ওয়ার্ডে বসবাস করেন। এখানে মোট ভোটার রয়েছেন ৮ হাজার ৭৬০ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৪ হাজার ২৩৩ জন ও মহিলা ভোটার ৪ হাজার ৬২৭ জন। কাউন্সিলর পদে এ ওয়ার্ডে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৩ জন।
গতকাল বৃহস্পতিবার সরেজমিনে দেখা যায়, ওয়ার্ডের মুরাদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনের সড়কে ময়লা-আবর্জনার ভাগাড়। এ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. ইকবাল হোসেন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘আমরা ঠিকমতো ক্লাস নিতে পারছি না, কোমলমতি শিক্ষার্থীরাও ময়লা আবর্জনার দুর্গন্ধে স্কুলে আসতে ভোগান্তিতে পড়ছে। এ নিয়ে বারবার অভিযোগ দিয়েও প্রতিকার পাইনি।’
মুরাদপুর দক্ষিণ পাড়ার বাসিন্দা মো. নাসির উদ্দিন জানান, এ ওয়ার্ডের অধিকাংশ সড়কই ভাঙাচোরা, নোংরা ও অপরিচ্ছন্ন। মুরাদপুর ভূঁইয়া বাড়ির আরেক প্রবীণ বাসিন্দা বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. হোসেন মিয়া বলেন, ‘১০ বছরেও এ ওয়ার্ডে কোনো উন্নয়ন হয়নি। বিভিন্ন ওয়ার্ডে উন্নয়ন হলেও আমরা বঞ্চিতই রয়ে গেছি।’
হজরত পাড়ার বাসিন্দা হেলাল মিয়া বলেন, ‘এ ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর নিজের স্ত্রী ও ছেলের নামে ঠিকাদারির কাজ করেছেন। তাঁর করা সড়ক ও ড্রেন অল্প দিনের মধ্যেই নষ্ট হয়ে গেছে। বরাবরের মতো এ ওয়ার্ডের বাসিন্দারা বিভিন্ন নাগরিক সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়ে আসছেন।’
এ ওয়ার্ডের সদ্য বিদায়ী কাউন্সিলর মো. সেলিম খান বলেন, ‘পুরো নগর জুড়েই জলাবদ্ধতার সমস্যা রয়েছে। আশার কথা হলো, এ ওয়ার্ডের উন্নয়নে বরাদ্দ দেওয়া ৩৭ কোটি টাকার মধ্যে ১৪ কোটি টাকার কাজ চলছে। আমি বেশ কিছু উন্নয়নকাজ করেছি। এবার নির্বাচিত হলে বাকি কাজগুলোও শেষ করব।’
কুসিক নির্বাচন সম্পর্কিত খবর জানতে - এখানে ক্লিক করুন
এ ওয়ার্ডের ঘুড়ি প্রতীকের কাউন্সিলর প্রার্থী আহাদ বিশ্বাস বলেন, ‘১৪ নম্বর ওয়ার্ডের জলাবদ্ধতা দীর্ঘ ১০ বছরেও সমাধান হয়নি। বছরের পর বছর মানুষ এ ভোগান্তির মধ্যে রয়েছে। আমি ওয়ার্ডবাসীর উন্নয়নে কাজ করতে চাই।’
এ ওয়ার্ডের আরেক কাউন্সিলর প্রার্থী আবুল কালাম আজাদ (হাসেম) বলেন, ‘এ ওয়ার্ডের বাসিন্দারা সিটি করপোরেশন গঠন হওয়ার পর থেকেই উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত হয়ে আসছেন। এ ওয়ার্ডের প্রধান সমস্যাগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো মাদক, চাঁদাবাজ, বেকারত্ব ও জলাবদ্ধতা। ড্রেনেজ ব্যবস্থাও নাজুক। তা ছাড়া পুরো ওয়ার্ড খুবই অপরিচ্ছন্ন। আমি কাউন্সিলর নির্বাচিত হলে সন্ত্রাস ও মাদকমুক্ত সমাজ গঠন করে বেকারত্ব দূরীকরণে কাজ করব। পাশাপাশি জলাবদ্ধতা দূরীকরণসহ নানা উন্নয়নকাজের পরিকল্পনা রয়েছে।’
কুসিক নির্বাচন ২০২২ সম্পর্কিত পড়ুন:
কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের (কুসিক) মহানগরের ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে এখনো উন্নয়ন ও আধুনিকতার ছোঁয়া লাগেনি। ওয়ার্ড জুড়ে যত্রতত্র ময়লা-আবর্জনার ভাগাড়। নেই ভালো ড্রেনেজ ব্যবস্থা। সামন্য বৃষ্টিতেই সড়ক তলিয়ে যায়। এসব দুর্ভোগের পাশাপাশি ওয়ার্ডটিতে রয়েছে মাদকের আধিপত্য, সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজদের দৌরাত্ম্য। ওয়ার্ডটিকে যাঁরা এসব ভোগান্তি থেকে মুক্ত করবেন তাঁদেরই আসন্ন সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র ও কাউন্সিলর হিসেবে বেছে নিতে চান স্থানীয় ভোটাররা।
১৮ নম্বর ওয়ার্ডটি কুসিকের মুরাদপুর মৌজায়। মহানগরের আদি অধিবাসীদের অধিকাংশই এ ওয়ার্ডে বসবাস করেন। এখানে মোট ভোটার রয়েছেন ৮ হাজার ৭৬০ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৪ হাজার ২৩৩ জন ও মহিলা ভোটার ৪ হাজার ৬২৭ জন। কাউন্সিলর পদে এ ওয়ার্ডে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৩ জন।
গতকাল বৃহস্পতিবার সরেজমিনে দেখা যায়, ওয়ার্ডের মুরাদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনের সড়কে ময়লা-আবর্জনার ভাগাড়। এ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. ইকবাল হোসেন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘আমরা ঠিকমতো ক্লাস নিতে পারছি না, কোমলমতি শিক্ষার্থীরাও ময়লা আবর্জনার দুর্গন্ধে স্কুলে আসতে ভোগান্তিতে পড়ছে। এ নিয়ে বারবার অভিযোগ দিয়েও প্রতিকার পাইনি।’
মুরাদপুর দক্ষিণ পাড়ার বাসিন্দা মো. নাসির উদ্দিন জানান, এ ওয়ার্ডের অধিকাংশ সড়কই ভাঙাচোরা, নোংরা ও অপরিচ্ছন্ন। মুরাদপুর ভূঁইয়া বাড়ির আরেক প্রবীণ বাসিন্দা বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. হোসেন মিয়া বলেন, ‘১০ বছরেও এ ওয়ার্ডে কোনো উন্নয়ন হয়নি। বিভিন্ন ওয়ার্ডে উন্নয়ন হলেও আমরা বঞ্চিতই রয়ে গেছি।’
হজরত পাড়ার বাসিন্দা হেলাল মিয়া বলেন, ‘এ ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর নিজের স্ত্রী ও ছেলের নামে ঠিকাদারির কাজ করেছেন। তাঁর করা সড়ক ও ড্রেন অল্প দিনের মধ্যেই নষ্ট হয়ে গেছে। বরাবরের মতো এ ওয়ার্ডের বাসিন্দারা বিভিন্ন নাগরিক সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়ে আসছেন।’
এ ওয়ার্ডের সদ্য বিদায়ী কাউন্সিলর মো. সেলিম খান বলেন, ‘পুরো নগর জুড়েই জলাবদ্ধতার সমস্যা রয়েছে। আশার কথা হলো, এ ওয়ার্ডের উন্নয়নে বরাদ্দ দেওয়া ৩৭ কোটি টাকার মধ্যে ১৪ কোটি টাকার কাজ চলছে। আমি বেশ কিছু উন্নয়নকাজ করেছি। এবার নির্বাচিত হলে বাকি কাজগুলোও শেষ করব।’
কুসিক নির্বাচন সম্পর্কিত খবর জানতে - এখানে ক্লিক করুন
এ ওয়ার্ডের ঘুড়ি প্রতীকের কাউন্সিলর প্রার্থী আহাদ বিশ্বাস বলেন, ‘১৪ নম্বর ওয়ার্ডের জলাবদ্ধতা দীর্ঘ ১০ বছরেও সমাধান হয়নি। বছরের পর বছর মানুষ এ ভোগান্তির মধ্যে রয়েছে। আমি ওয়ার্ডবাসীর উন্নয়নে কাজ করতে চাই।’
এ ওয়ার্ডের আরেক কাউন্সিলর প্রার্থী আবুল কালাম আজাদ (হাসেম) বলেন, ‘এ ওয়ার্ডের বাসিন্দারা সিটি করপোরেশন গঠন হওয়ার পর থেকেই উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত হয়ে আসছেন। এ ওয়ার্ডের প্রধান সমস্যাগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো মাদক, চাঁদাবাজ, বেকারত্ব ও জলাবদ্ধতা। ড্রেনেজ ব্যবস্থাও নাজুক। তা ছাড়া পুরো ওয়ার্ড খুবই অপরিচ্ছন্ন। আমি কাউন্সিলর নির্বাচিত হলে সন্ত্রাস ও মাদকমুক্ত সমাজ গঠন করে বেকারত্ব দূরীকরণে কাজ করব। পাশাপাশি জলাবদ্ধতা দূরীকরণসহ নানা উন্নয়নকাজের পরিকল্পনা রয়েছে।’
কুসিক নির্বাচন ২০২২ সম্পর্কিত পড়ুন:
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৭ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪