বিজয়ের ৫০ বছর উদ্‌যাপন

বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তী ছিল গতকাল বৃহস্পতিবার। সারা দেশের মতো ঢাকা, গাজীপুর ও মানিকগঞ্জের বিভিন্ন উপজেলায় নানা আয়োজনে ও যথাযোগ্য মর্যাদায় দিবসটি উদ্‌যাপিত হয়েছে। প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর-

ধামরাই: ধামরাইয়ের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মী, প্রেসক্লাবসহ বিভিন্ন সংগঠন গতকাল সকালে সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে। পরে ধামরাই পৌর-শহরের হার্ডিঞ্জ সরকারি স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানের আয়োজন করে উপজেলা প্রশাসন। ধামরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হোসাইন মোহাম্মদ হাই জকীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ঢাকা-২০ আসনের সাংসদ ও মুক্তিযুদ্ধকালীন উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার বেনজীর আহমদ।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন ধামরাই পৌরসভার মেয়র গোলাম কবির মোল্লা, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোয়াদ্দেস হোসেন, ভাইস চেয়ারম্যান সিরাজ উদ্দিন, উপজেলা আওয়ামী-লীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. সাখাওয়াত হোসেন প্রমুখ।

গাজীপুর: গতকাল সকাল পৌনে সাতটায় গাজীপুর মহানগরীর রাজবাড়ি মাঠসংলগ্ন শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার খন্দকার লুৎফুল কবির, জেলা প্রশাসক এস. এম তরিকুল ইসলাম, গাজীপুর জেলা পুলিশ সুপার এস এম শফিউল্লাহ।

পরে জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড, গাজীপুর সিটি করপোরেশন, গাজীপুর জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি, গাজীপুর প্রেসক্লাবসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন পুষ্পস্তবক অর্পণ করে।

গতকাল বঙ্গতাজ অডিটোরিয়ামে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা প্রদান এবং বিকেলে শহীদ বরকত স্টেডিয়ামে বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিববর্ষের শপথ অনুষ্ঠান হয়।

এ ছাড়া দিবসটি উপলক্ষে নানা কর্মসূচির আয়োজন করে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (ডুয়েট), বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু ডিজিটাল বিশ্ববিদ্যালয় এবং বিভিন্ন সামাজিক ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।

কালিয়াকৈর: কালিয়াকৈরে গোলাম নবী পাইলট উচ্চবিদ্যালয় প্রাঙ্গণে উপজেলার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গতকাল ভোরে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে। উপজেলা প্রশাসন, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, উপজেলা আওয়ামী লীগ, উপজেলা বিএনপি, উপজেলা জাতীয় পার্টি, কালিয়াকৈর প্রেসক্লাবসহ বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এ শ্রদ্ধা নিবেদন করে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাজওয়ার আকরাম সাকাপির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন কালিয়াকৈর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন সিকদার।

কালীগঞ্জ: পায়রা অবমুক্তের মধ্য দিয়ে কালীগঞ্জ শুরু হয় বিজয় দিবসের অনুষ্ঠান। আরআরএন পাইলট সরকারি উচ্চবিদ্যালয় মাঠে কুচকাওয়াজ ও ডিসপ্লে অনুষ্ঠান শুরুর আগে এ পায়রা মুক্ত করা হয়। এ ছাড়া সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে উপজেলার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে ৫০ বার তোপধ্বনি দেওয়া হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন গাজীপুর-৫ আসনের সাংসদ মেহের আফরোজ চুমকি। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আসসাদিকজামানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন কালীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন পলাশ।

মানিকগঞ্জ: গতকাল ভোর তোপধ্বনি, জাতীয় সংগীত পরিবেশনা ও জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্যে দিয়ে বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানের সূচনা করা হয়। এরপর শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আব্দুল লতিফ।

এরপর পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ পুলিশ সুপার মোহাম্মদ গোলাম আজাদ খান, পৌরসভার মেয়র মো. রমজান আলী, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মহিউদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তি যোদ্ধা আব্দুস সালাম, জেলা বিএনপি সভাপতি আফরোজা খান রিতা, সাধারণ সম্পাদক এস এ জিন্নাহ কবীর, মানিকগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি গোলাম ছারোয়ার ছানু, সাধারণ সম্পাদক বিপ্লব চক্রবর্তী, ডায়াবেটিক হাসপাতালের সাধারণ সম্পাদক সুলতানুল আজম খান আপেল প্রমুখ ফুল দিয়ে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।

হরিরামপুর: গতকাল ভোর ৬টা ৩৫ মিনিটে উপজেলা পরিষদ চত্বরের হেলিপ্যাডে ৫০ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে বিজয় দিবসের কর্মসূচি শুরু হয়। এরপর সকাল ৭টায় উপজেলা প্রশাসন, উপজেলা পরিষদ, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও বাংলাদেশ পুলিশ হরিরামপুর থানার পক্ষ থেকে উপজেলা চত্বরের মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিফলকে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।

সকাল ৯টায় উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে পাটগ্রাম অনাথবন্ধু সরকারি উচ্চবিদ্যালয় মাঠে এক জমকালো মনোজ্ঞ কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান দেওয়ান সাইদুর রহমান।