Ajker Patrika

সাড়ে তিন বছর পর চালু হলো সিজার

কালিয়া (নড়াইল) প্রতিনিধি
আপডেট : ২২ ডিসেম্বর ২০২১, ১৪: ১৭
সাড়ে তিন বছর পর চালু হলো সিজার

একটানা সাড়ে ৩ বছর বন্ধ থাকার পর নড়াইলের কালিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সিজারিয়ান অপারেশনশুরু হয়েছে।

গতকাল মঙ্গলবার এক প্রসূতিকে সিজার করার মধ্য দিয়ে এ বিভাগ চালু হয়। এতে উপজেলার প্রসূতি মায়েদের চিকিৎসা ও সিজার সমস্যা অনেকাংশে লাঘব হবে বলে আশা করছেন স্থানীয়রা।

কালিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সূত্রে জানা যায়, হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটার ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। এরপর অ্যানেসথেসিয়া চিকিৎসক ও গাইনি বিশেষজ্ঞের পদ শূন্য হয়ে পড়লে ২০১৮ সালের জুলাই মাসে এ বিভাগটি বন্ধ হয়ে যায়।

পরবর্তীতে অ্যানেসথেসিয়া চিকিৎসকের পদ পূরণ হলেও গাইনি বিশেষজ্ঞের পদটি এখনো শূন্য রয়েছে। তবে জনগুরুত্ব বিবেচনা করে বিশেষ ব্যবস্থায় সিজারিয়ানের কাজটি শুরু হয়েছে। সেবাটি চালু হওয়ায় স্থানীয়দের মধ্যে স্বস্তি দেখা দিয়েছে।

গতকাল মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় উপজেলার নয়নপুর গ্রামের সিজারিয়ানের মাধ্যমে সন্তানের জন্মদানকারি মা ফাতেমা বেগম (২০) ও তার স্বজনরা জানান, দীর্ঘদিন ধরে প্রসূতি মায়ের চিকিৎসা ও সিজারিয়ান সমস্যার কারণে গত ৩ বছরে প্রায় ৬ লক্ষ মানুষকে দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। চিকিৎসার জন্য প্রসূতি মাকে নিয়ে খুলনা মেডিকেল কলেজ, নড়াইল সদর হাসপাতাল ও পাশ্ববর্তী গোপালগঞ্জ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ বিভিন্ন বেসরকারি ক্লিনিকে ছুটতে হয়েছে।

তাঁরা আরও জানান, উপজেলার একমাত্র হাসপাতালটিতে সিজারিয়ানের মাধ্যমে চিকিৎসা সেবা দান চালু হওয়ায় রোগীদের ভোগান্তি যেমন কমে যাবে। তেমন চিকিৎসা ব্যয়ও অনেক কমে যাবে। সব মিলিয়ে প্রসূতি মায়েদের চিকিৎসাসহ সন্তানের জন্মদানে নিরাপদ ও স্বল্প খরচে সম্ভব হবে বলে তারা আশা প্রকাশ করেছেন।

উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. কাজল মল্লিক বলেন, ‘হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটারটি মেরামতসহ একজন অ্যানেসথেসিয়া বিশেষজ্ঞ এসেছেন। এখন উপজেলার প্রসূতি মায়েদের সিজারের জন্য নড়াইল সদর হাসপাতাল থেকে একজন গাইনি বিশেষজ্ঞ আনা হয়েছে। বর্তমানে চিকিৎসা শুরু হয়েছে।আশা করছি এতে উপজেলার মানুষ উপকৃত হবেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত