এনামুল হক, ফুলপুর
ফুলপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দুটি এক্স-রে মেশিন। একটি সচল, অপরটি অচল। কিন্তু লোকবলের অভাবে সচলটিরও এক্স-রের কাজ দীর্ঘদিন বন্ধ রয়েছে। ফলে চিকিৎসা নিতে আসা লোকজনকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, ১৯৮২ সালের দিকে ৩১ শয্যাবিশিষ্ট ফুলপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের যাত্রা শুরু হয়। পরে ২০০৮ সালে ৩১ শয্যা থেকে ৫০ শয্যায় উন্নীত করা হয়। কিন্তু ২০০৮ সালে ৫০ শয্যায় উন্নীত হলেও পদায়ন শুরু হয় ২০১৫ সালে। অথচ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ফুলপুর ছাড়াও পার্শ্ববর্তী হালুয়াঘাট, নকলা, ধোবাউড়া এবং তারাকান্দা উপজেলার অনেকে সেবা নিতে আসেন। প্রতিদিন বহির্বিভাগে ৮০০ থেকে এক হাজার রোগী সেবা নেন। আর ২০০ থেকে ৩০০ রোগী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি থাকেন। কিন্তু এসব সংকটের কারণে তারা পাচ্ছেন না কাঙ্ক্ষিত সেবা।
সরেজমিনে দেখা গেছে, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নিচতলায় পলিথিন দিয়ে ঢাকা একটি এক্স-রে মেশিন নষ্ট অবস্থায় রয়েছে। আরেকটি ডিজিটাল এক্স-রে মেশিন নিচতলায় একটি কক্ষে স্থাপন করার প্রস্তুতি চলছে। কিন্তু সেটি চালানোর মতো টেকনিশিয়ান নেই। এক্স-রে টেকনিশিয়ান চার বছরের জন্য প্রশিক্ষণ কোর্স করতে ঢাকায় রয়েছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন সেবিকা জানান, প্রতিদিন অসংখ্য রোগী হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসেন। এর মধ্যে অনেকের এক্স-রের প্রয়োজন হয়। কিন্তু হাসপাতালে এক্স-রে টেকনিশিয়ান না থাকায় সেবা বন্ধ আছে। প্রতিদিন চিকিৎসকেরা ৩০ থেকে ৪০ জন রোগীকে এক্স-রে পরীক্ষা করার জন্য হাসপাতালের বাইরে বিভিন্ন ক্লিনিকে পাঠান। এতে হাসপাতাল রাজস্ব আয় থেকে যেমন বঞ্চিত হচ্ছে, তেমনি রোগীদেরও গুনতে হচ্ছে অতিরিক্ত টাকা।
পৌরসভার মিলন মিয়া নামে এক রোগীর অভিভাবক বলেন, ‘রোগীকে হাসপাতালে বাইরে একটি ক্লিনিক থেকে ৩০০ টাকা দিয়ে এক্স-রে করিয়েছেন। অথচ হাসপাতালের এক্স-রে চালু থাকলে এত টাকা খরচ হতো না।’
বওলা গ্রামের কাজল মিয়া বলেন, তাঁর রোগীকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক দেখে এক্স-রে করানোর পরামর্শ দেন। কিন্তু হাসপাতালে এক্স-রে মেশিন চালু না থাকায় তিনি হাসপাতালের বাইরে এক্স-রে করিয়েছেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) প্রাণেশ চন্দ্র পণ্ডিত বলেন, ‘দুঃখজনক হলেও সত্য, এক্স-রে করার ব্যবস্থা হাসপাতালে না থাকায় ভালো চিকিৎসার কথা ভেবে প্রতিদিন ৩০ থেকে ৪০ জন রোগীকে হাসপাতালে বাইরে বিভিন্ন ক্লিনিকে পাঠাতে হয়। তবে এক্স-রে করার সমস্যাটি অচিরেই দূর হবে। অস্ত্রোপচারের কাজে ব্লাড ব্যাংকের দরকার। সে ব্যবস্থাও এখানে নেই। ব্লাড ব্যাংকের বিষয়ে আমরা চিন্তাভাবনা করছি। খুব অল্প দিনের মধ্যেই এ সমস্যার সমাধান হবে।’
এ বিষয়ে ফুলপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. জায়েদ খান বলেন, ‘এক্স-রে মেশিন স্থাপনের কাজ চলছে। আপাতত টেকনিশিয়ান না থাকলেও অন্য একজনের মাধ্যমে ডিজিটাল এক্স-রে মেশিন চালানোর ব্যবস্থা করা হবে। ফলে রোগীদের এক্স-রে করার দুর্ভোগ আর থাকবে না।’
ফুলপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দুটি এক্স-রে মেশিন। একটি সচল, অপরটি অচল। কিন্তু লোকবলের অভাবে সচলটিরও এক্স-রের কাজ দীর্ঘদিন বন্ধ রয়েছে। ফলে চিকিৎসা নিতে আসা লোকজনকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, ১৯৮২ সালের দিকে ৩১ শয্যাবিশিষ্ট ফুলপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের যাত্রা শুরু হয়। পরে ২০০৮ সালে ৩১ শয্যা থেকে ৫০ শয্যায় উন্নীত করা হয়। কিন্তু ২০০৮ সালে ৫০ শয্যায় উন্নীত হলেও পদায়ন শুরু হয় ২০১৫ সালে। অথচ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ফুলপুর ছাড়াও পার্শ্ববর্তী হালুয়াঘাট, নকলা, ধোবাউড়া এবং তারাকান্দা উপজেলার অনেকে সেবা নিতে আসেন। প্রতিদিন বহির্বিভাগে ৮০০ থেকে এক হাজার রোগী সেবা নেন। আর ২০০ থেকে ৩০০ রোগী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি থাকেন। কিন্তু এসব সংকটের কারণে তারা পাচ্ছেন না কাঙ্ক্ষিত সেবা।
সরেজমিনে দেখা গেছে, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নিচতলায় পলিথিন দিয়ে ঢাকা একটি এক্স-রে মেশিন নষ্ট অবস্থায় রয়েছে। আরেকটি ডিজিটাল এক্স-রে মেশিন নিচতলায় একটি কক্ষে স্থাপন করার প্রস্তুতি চলছে। কিন্তু সেটি চালানোর মতো টেকনিশিয়ান নেই। এক্স-রে টেকনিশিয়ান চার বছরের জন্য প্রশিক্ষণ কোর্স করতে ঢাকায় রয়েছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন সেবিকা জানান, প্রতিদিন অসংখ্য রোগী হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসেন। এর মধ্যে অনেকের এক্স-রের প্রয়োজন হয়। কিন্তু হাসপাতালে এক্স-রে টেকনিশিয়ান না থাকায় সেবা বন্ধ আছে। প্রতিদিন চিকিৎসকেরা ৩০ থেকে ৪০ জন রোগীকে এক্স-রে পরীক্ষা করার জন্য হাসপাতালের বাইরে বিভিন্ন ক্লিনিকে পাঠান। এতে হাসপাতাল রাজস্ব আয় থেকে যেমন বঞ্চিত হচ্ছে, তেমনি রোগীদেরও গুনতে হচ্ছে অতিরিক্ত টাকা।
পৌরসভার মিলন মিয়া নামে এক রোগীর অভিভাবক বলেন, ‘রোগীকে হাসপাতালে বাইরে একটি ক্লিনিক থেকে ৩০০ টাকা দিয়ে এক্স-রে করিয়েছেন। অথচ হাসপাতালের এক্স-রে চালু থাকলে এত টাকা খরচ হতো না।’
বওলা গ্রামের কাজল মিয়া বলেন, তাঁর রোগীকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক দেখে এক্স-রে করানোর পরামর্শ দেন। কিন্তু হাসপাতালে এক্স-রে মেশিন চালু না থাকায় তিনি হাসপাতালের বাইরে এক্স-রে করিয়েছেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) প্রাণেশ চন্দ্র পণ্ডিত বলেন, ‘দুঃখজনক হলেও সত্য, এক্স-রে করার ব্যবস্থা হাসপাতালে না থাকায় ভালো চিকিৎসার কথা ভেবে প্রতিদিন ৩০ থেকে ৪০ জন রোগীকে হাসপাতালে বাইরে বিভিন্ন ক্লিনিকে পাঠাতে হয়। তবে এক্স-রে করার সমস্যাটি অচিরেই দূর হবে। অস্ত্রোপচারের কাজে ব্লাড ব্যাংকের দরকার। সে ব্যবস্থাও এখানে নেই। ব্লাড ব্যাংকের বিষয়ে আমরা চিন্তাভাবনা করছি। খুব অল্প দিনের মধ্যেই এ সমস্যার সমাধান হবে।’
এ বিষয়ে ফুলপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. জায়েদ খান বলেন, ‘এক্স-রে মেশিন স্থাপনের কাজ চলছে। আপাতত টেকনিশিয়ান না থাকলেও অন্য একজনের মাধ্যমে ডিজিটাল এক্স-রে মেশিন চালানোর ব্যবস্থা করা হবে। ফলে রোগীদের এক্স-রে করার দুর্ভোগ আর থাকবে না।’
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪