বরগুনা প্রতিনিধি
ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে যাত্রীবাহী অভিযান-১০ লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে মারা যাওয়া ২৩ জনকে অজ্ঞাত হিসেবে দাফন করা হয়েছে পোটকাখালী কবরস্থানে। কিছুদিন আগে যাঁদের পরিচয় জানা ছিল স্বজনদের কাছে, কিন্তু এখন তাঁরা শুধুই নম্বর।
লঞ্চে আগুনের ঘটনায় গত শুক্রবার রাতে নিহত ৩৭ জনের মরদেহ বুঝে নেয় বরগুনা জেলা প্রশাসন। গত শনিবার দুপুর পর্যন্ত ১৪ জনের পরিচয় নিশ্চিত করে মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এরপর বাকি ২৩ জনের মরদেহ অজ্ঞাত পরিচয়ে দাফন করা হয়। তবে এদের সবার ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করে রাখা হয়। স্বজনদের নমুনা সংগ্রহ করে তাঁদের পরিচয় শনাক্তের পর কবর দেখিয়ে দেওয়া হবে। তবে জেলা প্রশাসন বলছে, যেহেতু ঘটনাটি ঝালকাঠির তাই একটু সময় লাগবে নমুনা সংগ্রহের কাজে। অজ্ঞাতদের তথ্য দিতে ডিসি অফিসের কন্ট্রোল রুমে যোগাযোগের আহ্বান জানিয়েছে প্রশাসন।
এদিকে এখনো নিখোঁজ স্বজনেরা হন্যে হয়ে সুগন্ধা নদীতীর, দুর্ঘটনাস্থলের গ্রাম ও বরগুনা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে ছুটোছুটি করছেন। নাম পরিচয় জানা ছিল স্বজনদের, কিন্তু এখন শুধুই নম্বর হয়ে আছেন তাঁরা ২৩ জন। লঞ্চে আগুনে পুড়ে বিকৃত হয়ে যাওয়া চেহারা অনেক চেষ্টার পরও নিশ্চিত হওয়া যায়নি পরিচয়। যাপিত জীবনের গল্পগুলো শেষ হয়ে যাওয়ায় শেষ বিদায় দেওয়া হয়েছে অজ্ঞাত পরিচয়ে। নিহতের স্বজনেরা বলছেন, এমন দুর্ঘটনায় আর যেন কারও মৃত্যু না হয়। এর মধ্যে একটি কফিনের গায়ে লেখা ‘মা ও মেয়ের লাশ’। আগুনে পুড়ে অঙ্গার মা ও মেয়ের মরদেহ দাফনও করা হয়েছে একই কবরে। এই কবরের নামের বদলে দেওয়া হয়েছে নম্বর। মা মেয়ের নম্বর হচ্ছে মা ১০৯২/২৬ ও মেয়ে ১০৯২/৩৬।
নিখোঁজদের স্বজন বরগুনা সদর উপজেলা বাসিন্দা সুমন বলেন, এখনো আমার দুই মেয়ে সুরাইয়া আক্তার মিম (১৪) ও সুবর্না আক্তার তানিসা (৫), স্ত্রী তাসলিমা (৩৫) এবং আমার শ্যালক জনির ছেলে জুনায়েদ ইসলামকে (১১) খুঁজে পাইনি। গণকবরস্থানে এসেছি, এখানে প্রতিটি কবরেই লেখা রয়েছে নম্বর, কিন্তু নাম নেই। এখানেই মনে হয় আমার দুই মেয়ে স্ত্রী ও শ্যালকের ছেলে রয়েছে। তাই জেলা প্রশাসনের কাছে আবেদন করেছি ডিএনএ পরীক্ষার জন্য।
লঞ্চ দুর্ঘটনার দুদিন পরও বরগুনায় নিখোঁজ ও নিহতদের পরিবারে চলছে শোকের মাতম। নিখোঁজদের ফিরে পেতে আকুতি চলছে স্বজনদের।
ঘটনার পর দুদিন অতিবাহিত হলেও নিখোঁজ, নিহত ও আহতদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রস্তুতি না হওয়ায় অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন স্বজনেরা। সদর উপজেলার বুড়িরচর এলাকার হাকিম শরীফ, তাঁর স্ত্রী পাখি বেগম ও তাঁদের দেড় বছরের শিশু সন্তান নাসিরুল্লাহ এই তিনজন এখনো নিখোঁজ রয়েছেন। একই উপজেলা পরীরখাল এলাকার মা রাজিয়া ইসলাম ও মেয়ে নুসরাতের সন্ধান নেই। হেমায়েতপুরের পোশাক কারখানায় কর্মরত ছিলেন পাথরঘাটা উপজেলার চরদোয়ানি ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ছোট টেংরা গ্রামের আফজাল হোসেনের মেয়ে পপি। এখনো তাঁর কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না।
বরগুনা সার্কিট হাউসে তদন্ত কমিটির কাছে ঘটনার বিবরণ দিতে গিয়ে ভাই, ভাবি এবং ভাইয়ের ছেলেকে হারিয়ে বারবার মূর্ছা যাচ্ছেন বরগুনা সদর উপজেলার মানিকখালী এলাকার ফাহিমা বেগম। অপরদিকে বাবা-মা আর আদরের ছোট ভাইকে হারিয়ে নির্বাক হাফসা ও সুমাইয়া।
বরগুনা জেলা প্রশাসক হাবিবুর রহমান বলেন, ‘এ পর্যন্ত ২৫ জনের মতো নিখোঁজদের স্বজনেরা আবেদন করেছেন। নিখোঁজদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রস্তুত হয়নি। নিখোঁজদের তালিকা সম্পন্ন করার জন্য আমরা আরও দুই-এক দিন অপেক্ষা করব। শনাক্ত না হওয়া মরদেহগুলো শুধু নম্বর ও মরদেহের অবস্থার বিবরণ রেখে দাফন করা হয়েছে। যাঁরা নিখোঁজ রয়েছেন তাঁদের পাওয়া সব ধরনের সম্ভাবনা রয়েছে, কারণ তাঁরা জীবিত বা মৃত থাকতে পারেন। একটু সময়ের ব্যাপার, কারণ ঘটনাটি আমার জেলায় নয়, অন্য জেলায়। ঝালকাঠি জেলা প্রশাসন নিখোঁজদের বিষয়টি দেখছে।’
ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে যাত্রীবাহী অভিযান-১০ লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে মারা যাওয়া ২৩ জনকে অজ্ঞাত হিসেবে দাফন করা হয়েছে পোটকাখালী কবরস্থানে। কিছুদিন আগে যাঁদের পরিচয় জানা ছিল স্বজনদের কাছে, কিন্তু এখন তাঁরা শুধুই নম্বর।
লঞ্চে আগুনের ঘটনায় গত শুক্রবার রাতে নিহত ৩৭ জনের মরদেহ বুঝে নেয় বরগুনা জেলা প্রশাসন। গত শনিবার দুপুর পর্যন্ত ১৪ জনের পরিচয় নিশ্চিত করে মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এরপর বাকি ২৩ জনের মরদেহ অজ্ঞাত পরিচয়ে দাফন করা হয়। তবে এদের সবার ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করে রাখা হয়। স্বজনদের নমুনা সংগ্রহ করে তাঁদের পরিচয় শনাক্তের পর কবর দেখিয়ে দেওয়া হবে। তবে জেলা প্রশাসন বলছে, যেহেতু ঘটনাটি ঝালকাঠির তাই একটু সময় লাগবে নমুনা সংগ্রহের কাজে। অজ্ঞাতদের তথ্য দিতে ডিসি অফিসের কন্ট্রোল রুমে যোগাযোগের আহ্বান জানিয়েছে প্রশাসন।
এদিকে এখনো নিখোঁজ স্বজনেরা হন্যে হয়ে সুগন্ধা নদীতীর, দুর্ঘটনাস্থলের গ্রাম ও বরগুনা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে ছুটোছুটি করছেন। নাম পরিচয় জানা ছিল স্বজনদের, কিন্তু এখন শুধুই নম্বর হয়ে আছেন তাঁরা ২৩ জন। লঞ্চে আগুনে পুড়ে বিকৃত হয়ে যাওয়া চেহারা অনেক চেষ্টার পরও নিশ্চিত হওয়া যায়নি পরিচয়। যাপিত জীবনের গল্পগুলো শেষ হয়ে যাওয়ায় শেষ বিদায় দেওয়া হয়েছে অজ্ঞাত পরিচয়ে। নিহতের স্বজনেরা বলছেন, এমন দুর্ঘটনায় আর যেন কারও মৃত্যু না হয়। এর মধ্যে একটি কফিনের গায়ে লেখা ‘মা ও মেয়ের লাশ’। আগুনে পুড়ে অঙ্গার মা ও মেয়ের মরদেহ দাফনও করা হয়েছে একই কবরে। এই কবরের নামের বদলে দেওয়া হয়েছে নম্বর। মা মেয়ের নম্বর হচ্ছে মা ১০৯২/২৬ ও মেয়ে ১০৯২/৩৬।
নিখোঁজদের স্বজন বরগুনা সদর উপজেলা বাসিন্দা সুমন বলেন, এখনো আমার দুই মেয়ে সুরাইয়া আক্তার মিম (১৪) ও সুবর্না আক্তার তানিসা (৫), স্ত্রী তাসলিমা (৩৫) এবং আমার শ্যালক জনির ছেলে জুনায়েদ ইসলামকে (১১) খুঁজে পাইনি। গণকবরস্থানে এসেছি, এখানে প্রতিটি কবরেই লেখা রয়েছে নম্বর, কিন্তু নাম নেই। এখানেই মনে হয় আমার দুই মেয়ে স্ত্রী ও শ্যালকের ছেলে রয়েছে। তাই জেলা প্রশাসনের কাছে আবেদন করেছি ডিএনএ পরীক্ষার জন্য।
লঞ্চ দুর্ঘটনার দুদিন পরও বরগুনায় নিখোঁজ ও নিহতদের পরিবারে চলছে শোকের মাতম। নিখোঁজদের ফিরে পেতে আকুতি চলছে স্বজনদের।
ঘটনার পর দুদিন অতিবাহিত হলেও নিখোঁজ, নিহত ও আহতদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রস্তুতি না হওয়ায় অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন স্বজনেরা। সদর উপজেলার বুড়িরচর এলাকার হাকিম শরীফ, তাঁর স্ত্রী পাখি বেগম ও তাঁদের দেড় বছরের শিশু সন্তান নাসিরুল্লাহ এই তিনজন এখনো নিখোঁজ রয়েছেন। একই উপজেলা পরীরখাল এলাকার মা রাজিয়া ইসলাম ও মেয়ে নুসরাতের সন্ধান নেই। হেমায়েতপুরের পোশাক কারখানায় কর্মরত ছিলেন পাথরঘাটা উপজেলার চরদোয়ানি ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ছোট টেংরা গ্রামের আফজাল হোসেনের মেয়ে পপি। এখনো তাঁর কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না।
বরগুনা সার্কিট হাউসে তদন্ত কমিটির কাছে ঘটনার বিবরণ দিতে গিয়ে ভাই, ভাবি এবং ভাইয়ের ছেলেকে হারিয়ে বারবার মূর্ছা যাচ্ছেন বরগুনা সদর উপজেলার মানিকখালী এলাকার ফাহিমা বেগম। অপরদিকে বাবা-মা আর আদরের ছোট ভাইকে হারিয়ে নির্বাক হাফসা ও সুমাইয়া।
বরগুনা জেলা প্রশাসক হাবিবুর রহমান বলেন, ‘এ পর্যন্ত ২৫ জনের মতো নিখোঁজদের স্বজনেরা আবেদন করেছেন। নিখোঁজদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রস্তুত হয়নি। নিখোঁজদের তালিকা সম্পন্ন করার জন্য আমরা আরও দুই-এক দিন অপেক্ষা করব। শনাক্ত না হওয়া মরদেহগুলো শুধু নম্বর ও মরদেহের অবস্থার বিবরণ রেখে দাফন করা হয়েছে। যাঁরা নিখোঁজ রয়েছেন তাঁদের পাওয়া সব ধরনের সম্ভাবনা রয়েছে, কারণ তাঁরা জীবিত বা মৃত থাকতে পারেন। একটু সময়ের ব্যাপার, কারণ ঘটনাটি আমার জেলায় নয়, অন্য জেলায়। ঝালকাঠি জেলা প্রশাসন নিখোঁজদের বিষয়টি দেখছে।’
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪