Ajker Patrika

গজারিয়ায় আলুবীজ পচে যাওয়ার আশঙ্কা

গজারিয়া (মুন্সিগঞ্জ) প্রতিনিধি
আপডেট : ০৭ ডিসেম্বর ২০২১, ১৪: ০১
Thumbnail image

মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ার বিভিন্ন ইউনিয়নে বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে গেছে আলুখেত। চাষিরা বলছেন, গত দুই সপ্তাহের মধ্যে যাঁরা আলুবীজ রোপণ করেছিলেন তাঁরা বেশ ক্ষতির আশঙ্কায় রয়েছেন। পচে যেতে পারে তাঁদের খেতের আলুবীজ।

গজারিয়া উপজেলার করিম খাঁ, ইমামপুর, আঁধারমানিক, ষোলআনি, বাঘাইয়াকান্দি, দৌলতপুর ও কালীপুর, ভাটেরচর, টেঙ্গারচর, উত্তর শাহাপুর, বৈদ্যারগাঁও, ভবেরচর, বাউশিয়াসহ কয়েকটি গ্রামে বেশি ক্ষতি হয়েছে।

উপজেলার টেঙ্গারচর ইউনিয়নের আলু চাষি জামাল মিয়া জানান, তিনি ঋণ নিয়ে দুই একর জমিতে আলুর আবাদ করেছেন। পুরো খেত পানিতে তলিয়ে গেছে। এতে আলুবীজ পচে যেতে পারে।

কৃষকেরা জানান, বীজ অঙ্কুরোদ্‌গমের আগে টানা বৃষ্টি হওয়ায় বীজতলার বীজ ও চারার মূলে পচন ধরে যাবে। এতে প্রতি একর ফসলের ক্ষতি দাঁড়াবে ১০ হাজার টাকা থেকে ১ লাখ টাকা।

গজারিয়ায় কৃষি সম্প্রসারণ অফিস সূত্রে জানা গেছে, এবার উপজেলার আটটি ইউনিয়নে চলতি মৌসুমে আলুর আবাদ হয়েছে ১ হাজার ৪১০ হেক্টর ।

উপজেলার টেংগারচর ইউনিয়নের আলুচাষি মো. লুৎফর রহমান, মোহম্মদ হোসেন, শাহাআলী, মো. মীর্জা জানান, গত বছর তাঁদের কয়েক লাখ টাকা লোকসান হয়েছে। এবারও চারা নষ্ট হলে তাঁদের ক্ষতির মুখে পড়তে হবে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তৌফিক আহমেদ নুর বলেন, ‘টানা দুই দিনের বৃষ্টিতে রোপণ করা বেশ কিছু জমির বীজ নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সপ্তাহ শেষে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরি করার উদ্যোগ নেওয়া হবে।’ এ অবস্থায় খেত থেকে আলুবীজ না তুলে এমনিতেই রেখে দেওয়ার পরামর্শ দেন তিনি। তিনি বলেন, ‘আলুবীজ তুলেও কোনো লাভ হবে না। তুলে রেখে দিলেও পঁচে যাবে। বৃষ্টি কমার পর ছত্রাক ও ব্যাকটেরিয়ানাশক ব্যবহার করা যেতে পারে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত