Ajker Patrika

৪ মাসেও তদন্তে অগ্রগতি নেই

বড়লেখা (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি
আপডেট : ২৫ অক্টোবর ২০২১, ১৬: ১৬
৪ মাসেও তদন্তে অগ্রগতি নেই

বড়লেখা উপজেলার হাকালুকি হাওরের মালাম বিলের পাশের খাসজমি থেকে বৃক্ষ নিধনের ঘটনায় দায়ের করা মামলার তদন্তে অগ্রগতি নেই। মামলার চার মাস পার হলেও ঘটনাস্থলে যাননি তদন্ত কর্মকর্তা।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গাছ কাটার ঘটনায় গত ২২ জুন পরিবেশ সংরক্ষণ আইনে বড়লেখা থানায় একটি মামলা হয়। পরিবেশ অধিদপ্তর মৌলভীবাজার জেলা কার্যালয়ের পরিদর্শক মো. নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলাটি করেন। পরিবেশ সংরক্ষণ আইন এবং প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকা ব্যবস্থাপনা বিধিমালায় এ মামলা করা হয়।

মামলায় সাতজনের নাম উল্লেখ করা হয়। তাঁরা হলেন- বড়লেখা উপজেলার মনাদি গ্রামের জয়নাল উদ্দিন, কাজীরবন্দের মক্তদির আলী, মশাঈদ আলী, রিয়াজ আলী, জয়নাল উদ্দিন, কালা মিয়া ও সুরুজ আলী। এ ছাড়া অজ্ঞাতনামা আরও ১৫ থেকে ২০ জনকে আসামি করা হয়।

মামলার বিবরণে বলা হয়েছে, হাকালুকি জাগরণী ইসিএ ব্যবস্থাপনা বহুমুখী সমবায় সমিতি লিমিটেডের সদস্য ও মালাম বিল বনায়ন এলাকার পাহারাদার আবদুল মনাফ গত রোববার পরিবেশ অধিদপ্তরে একটি অভিযোগ দেন। অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, মালাম বিলের দক্ষিণ-পূর্ব পাশের খাসজমির প্রায় ১২ বিঘা জমিতে পরিবেশ অধিদপ্তরের সৃজিত বিভিন্ন প্রজাতির বৃক্ষ এবং প্রাকৃতিকভাবে জন্মানো গাছ কাটা হয়েছে। এই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে মামলার বাদী হাল্লা ফরেস্ট বিটের বিট কর্মকর্তা সুমন বিশ্বাস এবং হাকালুকি ইসিএ ব্যবস্থাপনা বহুমুখী সমবায় সমিতির সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

পরিদর্শন শেষে তাঁরা জানান, এই বিলের দক্ষিণ-পূর্ব পাশের খাসজমির প্রায় ১২ বিঘা জমিতে হিজল, করচসহ অন্যান্য প্রজাতির গাছ কাটা হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে ১০ থেকে ১৫ ফুট উচ্চতার ১৫ থেকে ২০ হাজার গাছ।

এ ঘটনায় আরেকটি অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে গত ২৭ জুন বড়লেখার দায়িত্বে থাকা সহকারী কমিশনার (ভূমি) নূসরাত লায়লা নীরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন। এতে ইজারার শর্ত ভঙ্গ করায় জলমহালের লিজ বাতিলের সুপারিশ করেন তিনি।

এদিকে বড়লেখার সহকারী কমিশনার (ভূমি) নূসরাত লায়লা নীরা ইজারাকৃত মালাম বিলে যান। তিনি খাসজমিতে বাঁধ নির্মাণের জন্য মাটি খননকালে ও খননকৃত স্থানে বেশ কিছু পরিবেশবান্ধব হিজল গাছ নষ্ট হওয়ার প্রমাণ পান। এদিকে গাছ নষ্ট করে ইজারাদার জলমহাল ইজারা নেওয়া চুক্তিপত্রের শর্ত ভঙ্গ করার কারণে মালাম বিলের ইজারা বাতিলের সুপারিশ করা হয়েছে।

মামলার তদন্তে অগ্রগতির ব্যাপারে জানতে চাইলে মৌলভীবাজার পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. বদরুল হুদা বলেন, ‘এজাহারভুক্ত আসামি ছাড়াও জলজ বৃক্ষ নিধন ও জীববৈচিত্র্য নষ্টে আরও কয়েকজন প্রভাবশালীর সম্পৃক্ততার তথ্য মিলেছে। এগুলোর যাচাই চলছে। এদের ব্যাপারে খোঁজখবর নিতে তদন্ত শেষে অভিযোগপত্র দাখিলে সময় ব্যয় হচ্ছে। তবে দ্রুত এ মামলার তদন্ত শেষে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

প্রশিক্ষণ ছাড়াই মাঠে ৪২৬ সহায়ক পুলিশ কর্মকর্তা

গ্রাহকের ২,৬৩৫ কোটি টাকা দিচ্ছে না ৪৬ বিমা কোম্পানি

‘এই টাকা দিয়ে কী হয়, আমি এত চাপ নিচ্ছি, লাখ পাঁচেক দিতে বলো’, ওসির অডিও ফাঁস

১০০ বছর পর জানা গেল ‘অপ্রয়োজনীয়’ প্রত্যঙ্গটি নারীর প্রজননের জন্য গুরুত্বপূর্ণ

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়: তিন দফা দাবিতে সোমবার মাঠে নামছেন শিক্ষার্থীরা

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত