Ajker Patrika

মাসে অর্ধকোটি টাকা কেনাবেচা

সখীপুর প্রতিনিধি
আপডেট : ২৫ অক্টোবর ২০২১, ১৪: ১১
মাসে অর্ধকোটি টাকা কেনাবেচা

টাঙ্গাইল জেলার বৃহত্তম বাঁশের হাট দেওদীঘি। সপ্তাহের প্রতি সোমবার সখীপুরের দেওদীঘি বাজারে সকাল থেকে বসে এই হাট। প্রতি মাসে এই হাটে প্রায় অর্ধকোটি টাকার বাঁশ কেনাবেচা হয়। আগের দিন থেকে বিভিন্ন এলাকা থেকে পাইকারি ব্যবসায়ীরা এই হাটে বাঁশ কিনতে আসেন।

ফলে সোমবার হাট বসলেও রোববার বিকেল থেকেই বাঁশ বেচাকেনা শুরু হয়। প্রতি হাটে প্রায় ১০ থেকে ১৫ লাখ টাকার বাঁশ বিক্রি হয় বলে ইজারাদার ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে।

সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, এই উপজেলার প্রতিমা বংকী, সিলিমপুর, মৌশা, শালগ্রামপুর, বেতুয়া, কালিয়ান, গড়গোবিন্দপুর, বহেড়াতৈল, কালিদাস, পাথারপুর, ইছাদীঘি, শোলা প্রতিমা, লাঙ্গুলিয়া, রতনপুর, বেড়বাড়ি, যাদবপুর, তক্তারচালা, কালিয়ানপাড়া, কচুয়া এবং পাশের ঘাটাইলের সাগরদীঘি, মির্জাপুরের কাইতলা ও বাইটকা এলাকা থেকে সবচেয়ে বেশি বাঁশ নিয়ে এসেছেন অনেকে।

স্থানীয় ব্যবসায়ীরা সপ্তাহজুড়ে গ্রামে গ্রামে গিয়ে বাঁশ কেনেন। হাটের আগের দিন ট্রাক ও রিকশাভ্যানে করে বাঁশগুলো দেওদীঘি হাটে নিয়ে জড়ো করেন। দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আগত ব্যবসায়ীরা চাহিদা অনুযায়ী বাঁশ কিনে ট্রাকে করে নিয়ে যান।

উপজেলা উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মতিউর রহমান বলেন, লালমাটির টিলা অঞ্চল হওয়ায় সখীপুরে বাঁশ ভালো হয়। তাই অনাবাদি ও উঁচু জমিতে বাঁশের চারা পুঁতে রাখলেই কয়েক বছরের মধ্যে বাঁশঝাড় হয়ে যায়। বর্তমানে এখানে কিছু এলাকায় বাণিজ্যিক ভিত্তিতেও বাঁশের চাষ হচ্ছে।

উপজেলার প্রতিমা বংকী গ্রাম থেকে আসা বাঁশবিক্রেতা সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘কম খরচে লাভ বেশি হওয়ায় আমার কিছু অনাবাদি জমিতে বাঁশের চাষ করেছি। বাঁশ বিক্রির আয় আমার পরিবারের খরচের বড় একটি অংশের জোগান দেয়।’

লাঙ্গুলিয়া গ্রামের বাঁশ ব্যবসায়ী মো. গণি মিয়া বলেন, ‘আমি বিভিন্ন গ্রামে ঘুরে বাঁশ কিনে এই হাটে বড় ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করি। এ ছাড়া অনেক সময় ঢাকার ব্যবসায়ীরা ফোনেও বাঁশের অর্ডার দেন। আমি তাঁদের চাহিদা মোতাবেক বাঁশ কিনে ট্রাকযোগে পাঠিয়ে দিই।’

ঢাকা থেকে আগত বাঁশ ব্যবসায়ী আইয়ুব খান বলেন, ‘আমি সারা বছরই এই হাট থেকে বাঁশ কিনি। এসব বাঁশ দেশের বিভিন্ন এলাকায় পাঠাই। ওই সব এলাকার প্রায় ২৫-৩০ শতাংশ বাঁশের চাহিদা এখানকার বাঁশ থেকে মেটে।’

ইজারাদার মনির খান বলেন, দেওদীঘি বাঁশের হাট হিসেবে খ্যাত বলে এখানে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে বড় ব্যবসায়ীদের আগমন ঘটে। এই হাটে মাসে প্রায় অর্ধকোটি টাকার বাঁশ কেনাবেচা হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত