রৌমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি
স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলা শত্রুমুক্ত ছিল। ওই সময় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী এই অঞ্চলে প্রবেশ করতে পারেনি। তাই স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে রৌমারীকে মুক্তাঞ্চল হিসেবে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির দাবি করেছেন স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারা।
জানা গেছে, রৌমারীর দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল থেকে লক্ষাধিক শরণার্থী রৌমারীর মাটি পেরিয়ে ভারতে আশ্রয় নেন। এখানে বাংলাদেশের একমাত্র মুক্তিযোদ্ধা প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ছিল। এই কেন্দ্র থেকে ৬৫ হাজার মুক্তিযোদ্ধা প্রশিক্ষণ নিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে যুদ্ধ করেছেন। কালের সাক্ষী হিসেবে ‘৭১এ নির্মিত বাংলাদেশের একমাত্র চাঁনমারী দাঁড়িয়ে আছে রৌমারীতে।
স্থানীয় বীর মুক্তিযোদ্ধা আজিজুর রহমান বলেন, ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতের পাকিস্তানি সেনাবাহিনী হত্যাযজ্ঞ শুরুর খবর আমরা সকালে জানতে পারি। ২৬ মার্চ সন্ধ্যায় এস কে মজিদ মুকুল, নুরুল ইসলাম পাপু মিয়া, আজিজুল হক, সরুজ্জামান বকুল, হুমায়ুন কবির ও আতাউর রহমানসহ ১৫ থেকে ২০ জন একসঙ্গে বসে আলোচনা করে রৌমারীতে প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তুলি। আমাদের এ উদ্যোগে প্রত্যক্ষভাবে অস্ত্র চালানোসহ সকল প্রশিক্ষণ দেওয়ার দায়িত্ব নেন ক্যান্টনমেন্ট থেকে ছুটিতে আসা ফ্লাইট সার্জেন্ট মজিবুর রহমান, নায়েক সুবেদার আব্দুর রহিম, হাবিলদার রিয়াজুল হক, নায়েক সিরাজুল হক ভোলা, নায়েক নজরুল ইসলাম, নায়েক শাহজাহান আলী, নায়েক ফায়জুল হক, নায়েক সোলায়মান আলী, হাবিলদার বদিউজ্জামান ও হাবিলদার আবুল খায়ের।
আজিজুর আরও বলেন, প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের দুই দিন পর ২৮ মার্চ ১১ নম্বর সেক্টরের অধীনে হাবিলদার আলতাফ (আফতাব আলী) রৌমারী সিজি জামান হাইস্কুলকে মুক্তিযোদ্ধাদের প্রশিক্ষণ ক্যাম্প হিসেবে উদ্বোধন করেন। সেই থেকে বিদ্যালয়টি সামরিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র হিসেবে যাত্রা শুরু করে। পরবর্তী সময়ে ক্যাম্পটি বিশাল আকার ধারণ করে। পরে রৌমারী কেরামতিয়া মাদ্রাসা, টাপুরচর হাইস্কুল, দাঁতভাঙ্গা হাইস্কুল, যাদুরচর হাইস্কুল ও রাজীবপুর হাইস্কুলেও প্রশিক্ষণ কার্যক্রম চালানো হয়।
রৌমারী উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড সংসদের সাবেক কমান্ডার আবদুল ওয়াদুদ মণ্ডল বলেন, রৌমারীবাসীর ব্যাপক প্রতিরোধের কারণেই পাকিস্তানি বাহিনী রৌমারীর মাটিতে পা রাখতে পারেনি। জুলাই ‘৭১-এ ব্রহ্মপুত্র নদের কোদালকাটি ও কাঁচকোল পয়েন্ট দিয়ে রৌমারীতে ঢোকার চেষ্টা করেছিল পাকিস্তানি সেনারা। কিন্তু সশস্ত্র প্রতিরোধের মাধ্যমে তাদের গানবোট ধ্বংস করা হয়। কিন্তু স্বাধীনতার এত বছর পরেও সরকার থেকে রৌমারী মুক্তাঞ্চল ঘোষিত না হওয়াটা দুঃখজনক বিষয়।
বীর মুক্তিযোদ্ধা নেক্কার আলী বলেন, ‘স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এখন ক্ষমতায় অথচ বিজয়ের ৫০ বছরেও রৌমারীকে রাষ্ট্রীয়ভাবে মুক্তাঞ্চল ঘোষণা করা হয়নি। তাই মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় তথা সরকারের কাছে আমাদের আবেদন, রৌমারী উপজেলায় আমরা মোট ২৫৪ জন মুক্তিযোদ্ধা, এর মধ্যে শহীদ হয়েছেন ৯ জন, স্বাধীনের পরে মৃত্যুবরণ করেছেন ১০৫ জন এবং বেঁচে আছি ১৪০ জন। রৌমারীকে রাষ্ট্রীয়ভাবে মুক্তাঞ্চল ঘোষণা শুনে মরতে চাই।’
স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলা শত্রুমুক্ত ছিল। ওই সময় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী এই অঞ্চলে প্রবেশ করতে পারেনি। তাই স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে রৌমারীকে মুক্তাঞ্চল হিসেবে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির দাবি করেছেন স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারা।
জানা গেছে, রৌমারীর দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল থেকে লক্ষাধিক শরণার্থী রৌমারীর মাটি পেরিয়ে ভারতে আশ্রয় নেন। এখানে বাংলাদেশের একমাত্র মুক্তিযোদ্ধা প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ছিল। এই কেন্দ্র থেকে ৬৫ হাজার মুক্তিযোদ্ধা প্রশিক্ষণ নিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে যুদ্ধ করেছেন। কালের সাক্ষী হিসেবে ‘৭১এ নির্মিত বাংলাদেশের একমাত্র চাঁনমারী দাঁড়িয়ে আছে রৌমারীতে।
স্থানীয় বীর মুক্তিযোদ্ধা আজিজুর রহমান বলেন, ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতের পাকিস্তানি সেনাবাহিনী হত্যাযজ্ঞ শুরুর খবর আমরা সকালে জানতে পারি। ২৬ মার্চ সন্ধ্যায় এস কে মজিদ মুকুল, নুরুল ইসলাম পাপু মিয়া, আজিজুল হক, সরুজ্জামান বকুল, হুমায়ুন কবির ও আতাউর রহমানসহ ১৫ থেকে ২০ জন একসঙ্গে বসে আলোচনা করে রৌমারীতে প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তুলি। আমাদের এ উদ্যোগে প্রত্যক্ষভাবে অস্ত্র চালানোসহ সকল প্রশিক্ষণ দেওয়ার দায়িত্ব নেন ক্যান্টনমেন্ট থেকে ছুটিতে আসা ফ্লাইট সার্জেন্ট মজিবুর রহমান, নায়েক সুবেদার আব্দুর রহিম, হাবিলদার রিয়াজুল হক, নায়েক সিরাজুল হক ভোলা, নায়েক নজরুল ইসলাম, নায়েক শাহজাহান আলী, নায়েক ফায়জুল হক, নায়েক সোলায়মান আলী, হাবিলদার বদিউজ্জামান ও হাবিলদার আবুল খায়ের।
আজিজুর আরও বলেন, প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের দুই দিন পর ২৮ মার্চ ১১ নম্বর সেক্টরের অধীনে হাবিলদার আলতাফ (আফতাব আলী) রৌমারী সিজি জামান হাইস্কুলকে মুক্তিযোদ্ধাদের প্রশিক্ষণ ক্যাম্প হিসেবে উদ্বোধন করেন। সেই থেকে বিদ্যালয়টি সামরিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র হিসেবে যাত্রা শুরু করে। পরবর্তী সময়ে ক্যাম্পটি বিশাল আকার ধারণ করে। পরে রৌমারী কেরামতিয়া মাদ্রাসা, টাপুরচর হাইস্কুল, দাঁতভাঙ্গা হাইস্কুল, যাদুরচর হাইস্কুল ও রাজীবপুর হাইস্কুলেও প্রশিক্ষণ কার্যক্রম চালানো হয়।
রৌমারী উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড সংসদের সাবেক কমান্ডার আবদুল ওয়াদুদ মণ্ডল বলেন, রৌমারীবাসীর ব্যাপক প্রতিরোধের কারণেই পাকিস্তানি বাহিনী রৌমারীর মাটিতে পা রাখতে পারেনি। জুলাই ‘৭১-এ ব্রহ্মপুত্র নদের কোদালকাটি ও কাঁচকোল পয়েন্ট দিয়ে রৌমারীতে ঢোকার চেষ্টা করেছিল পাকিস্তানি সেনারা। কিন্তু সশস্ত্র প্রতিরোধের মাধ্যমে তাদের গানবোট ধ্বংস করা হয়। কিন্তু স্বাধীনতার এত বছর পরেও সরকার থেকে রৌমারী মুক্তাঞ্চল ঘোষিত না হওয়াটা দুঃখজনক বিষয়।
বীর মুক্তিযোদ্ধা নেক্কার আলী বলেন, ‘স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এখন ক্ষমতায় অথচ বিজয়ের ৫০ বছরেও রৌমারীকে রাষ্ট্রীয়ভাবে মুক্তাঞ্চল ঘোষণা করা হয়নি। তাই মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় তথা সরকারের কাছে আমাদের আবেদন, রৌমারী উপজেলায় আমরা মোট ২৫৪ জন মুক্তিযোদ্ধা, এর মধ্যে শহীদ হয়েছেন ৯ জন, স্বাধীনের পরে মৃত্যুবরণ করেছেন ১০৫ জন এবং বেঁচে আছি ১৪০ জন। রৌমারীকে রাষ্ট্রীয়ভাবে মুক্তাঞ্চল ঘোষণা শুনে মরতে চাই।’
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪