রাণীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি
ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈলে নির্বাচনী সহিংসতার মামলায় গ্রেপ্তার আতঙ্কে পুরুষশূন্য হয়ে পড়েছে উপজেলার নেকমরদ ইউনিয়নের ঘনশ্যামপুর গ্রাম।
গত ১১ নভেম্বর ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে নেকমরদ ইউপির ৫ নম্বর ওয়ার্ডের ফলাফলে বিজয়ী হন রাজেন্দ্র নাথ। এই ফলাফল মেনে না নিয়ে পরাজিত প্রার্থী মতিউর রহমান পুনরায় ভোট গণনার দাবি জানান। কিন্তু প্রিসাইডিং কর্মকর্তা তাঁর দাবি মেনে নেননি। এতে প্রিসাইডিং কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্টদের অবরুদ্ধ ও প্রশাসনের গাড়িতে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন মতিউরের কর্মী সমর্থকেরা।
ওই ঘটনায় সহিংসতার অভিযোগ এনে ভোটের পরের দিন শুক্রবার সকালে উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের কনিষ্ঠ হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা ও ওই কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা প্রিসাইডিং কর্মকর্তা হেলালউদ্দিন বাদী হয়ে পরাজিত ইউপি সদস্যকে প্রধান আসামি করে ১৪ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ৩৫০ জনকে আসামি করে রাণীশংকৈল থানায় মামলা করেন।
মামলার কারণে গ্রেপ্তার আতঙ্কে রয়েছেন নেকমরদ ইউনিয়নের ঘনশ্যামপুর গ্রামের ময়মনসিংহ পাড়া, টাঙ্গাইল পাড়া ও জোতপাড়া এলাকার পুরুষেরা। এসব গ্রামে এখন থমথমে অবস্থা। গ্রেপ্তারের ভয়ে কোনো পুরুষ বাড়িতে থাকছেন না।
মামলার পর গত ১৪ নভেম্বর মধ্যরাতে ঘনশ্যামপুর গ্রামে অভিযান চালিয়ে আবুল হোসেন, শাহ আলম, আব্দুল হালিম ও মো. হানিফকে বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে ঠাকুরগাঁও আদালতে তোলে পুলিশ। আদালত তাঁদের জামিন না মুঞ্জর করে কারাগারে পাঠান।
সরেজমিনে টাঙ্গাইলপাড়া এলাকায় গেলে কথা বলার মতো কোনো পুরুষ পাওয়া যায়নি। তবে এ প্রতিবেদককে দেখে কয়েকজন নারী এসে জানান, গ্রেপ্তার আতঙ্কে পুরুষেরা বাড়িতে থাকছেন না। এ ছাড়া দিনের বেলা অপরিচিত কেউ লোক পাড়াতে ঘোরাঘুরি দেখলেই পুরুষেরা লুকিয়ে পড়ছেন।
পার্শ্ববর্তী জোতপাড়ায় যেতে রাস্তার পাশে ধান কাটা শ্রমিকদের ঘটনা সম্পর্কে জানতে চাওয়ার চেষ্টা করা হলে এ প্রতিবেদকের কাছেও তাঁরা আসতে সাহস পায়নি, কমপক্ষে ১০ গজ দূরে দাঁড়িয়ে কথা বলেছেন। তাঁদের মধ্যে আ. কাদের বলেন, ‘পুলিশ মাঝেমধ্যেই এ গ্রামে আসছে। আমরা তাদের দেখে লুকিয়ে যাই। আর রাতে বাইরে থাকি। ইতিমধ্যে যাদের গ্রেপ্তার করেছে তাঁদের মধ্যে দুজন বয়স্ক মানুষ। একজনের অপারেশন করা। তাঁরা কোনো হট্টগোলে নেই তাও তাঁদের গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।’
কাদের আরও বলেন, ‘পুলিশের নিরপেক্ষ তদন্ত চেয়ে এলাকায় শান্তিপূর্ণভাবে বসবাসের নিশ্চয়তা চাই।’
টাঙ্গাইলপাড়ার আম্বিয়া বেগম বলেন, ‘আমার স্বামী মাছ ধরে সংসার চালায়। ভোটের দিন মারামারির সময় আমরা যাইনি। পরে শুনেছি সবার নামে মামলা হয়েছে। এখন আমার স্বামী গ্রেপ্তারের ভয়ে বাসায় থাকে না।’
জোতপাড়ার রোকেয়া খাতুন বলেন, ‘কয়েকজনের ধরে নিয়ে গেছে। এই ভয়ে বাসায় কেউ থাকে না।’
এ বিষয়ে মামলার বাদী প্রিসাইডিং কর্মকর্তা হেলাল উদ্দীনের বক্তব্য নিতে চাইলে তিনি বক্তব্য দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন।
রাণীশংকৈল থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম জাহিদ ইকবাল জানান, মামলার পর ইতিমধ্যে চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মামলাটি সঠিকভাবে তদন্ত করা হবে। নিরপরাধ কাউকে হয়রানি করা হবে না।
ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈলে নির্বাচনী সহিংসতার মামলায় গ্রেপ্তার আতঙ্কে পুরুষশূন্য হয়ে পড়েছে উপজেলার নেকমরদ ইউনিয়নের ঘনশ্যামপুর গ্রাম।
গত ১১ নভেম্বর ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে নেকমরদ ইউপির ৫ নম্বর ওয়ার্ডের ফলাফলে বিজয়ী হন রাজেন্দ্র নাথ। এই ফলাফল মেনে না নিয়ে পরাজিত প্রার্থী মতিউর রহমান পুনরায় ভোট গণনার দাবি জানান। কিন্তু প্রিসাইডিং কর্মকর্তা তাঁর দাবি মেনে নেননি। এতে প্রিসাইডিং কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্টদের অবরুদ্ধ ও প্রশাসনের গাড়িতে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন মতিউরের কর্মী সমর্থকেরা।
ওই ঘটনায় সহিংসতার অভিযোগ এনে ভোটের পরের দিন শুক্রবার সকালে উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের কনিষ্ঠ হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা ও ওই কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা প্রিসাইডিং কর্মকর্তা হেলালউদ্দিন বাদী হয়ে পরাজিত ইউপি সদস্যকে প্রধান আসামি করে ১৪ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ৩৫০ জনকে আসামি করে রাণীশংকৈল থানায় মামলা করেন।
মামলার কারণে গ্রেপ্তার আতঙ্কে রয়েছেন নেকমরদ ইউনিয়নের ঘনশ্যামপুর গ্রামের ময়মনসিংহ পাড়া, টাঙ্গাইল পাড়া ও জোতপাড়া এলাকার পুরুষেরা। এসব গ্রামে এখন থমথমে অবস্থা। গ্রেপ্তারের ভয়ে কোনো পুরুষ বাড়িতে থাকছেন না।
মামলার পর গত ১৪ নভেম্বর মধ্যরাতে ঘনশ্যামপুর গ্রামে অভিযান চালিয়ে আবুল হোসেন, শাহ আলম, আব্দুল হালিম ও মো. হানিফকে বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে ঠাকুরগাঁও আদালতে তোলে পুলিশ। আদালত তাঁদের জামিন না মুঞ্জর করে কারাগারে পাঠান।
সরেজমিনে টাঙ্গাইলপাড়া এলাকায় গেলে কথা বলার মতো কোনো পুরুষ পাওয়া যায়নি। তবে এ প্রতিবেদককে দেখে কয়েকজন নারী এসে জানান, গ্রেপ্তার আতঙ্কে পুরুষেরা বাড়িতে থাকছেন না। এ ছাড়া দিনের বেলা অপরিচিত কেউ লোক পাড়াতে ঘোরাঘুরি দেখলেই পুরুষেরা লুকিয়ে পড়ছেন।
পার্শ্ববর্তী জোতপাড়ায় যেতে রাস্তার পাশে ধান কাটা শ্রমিকদের ঘটনা সম্পর্কে জানতে চাওয়ার চেষ্টা করা হলে এ প্রতিবেদকের কাছেও তাঁরা আসতে সাহস পায়নি, কমপক্ষে ১০ গজ দূরে দাঁড়িয়ে কথা বলেছেন। তাঁদের মধ্যে আ. কাদের বলেন, ‘পুলিশ মাঝেমধ্যেই এ গ্রামে আসছে। আমরা তাদের দেখে লুকিয়ে যাই। আর রাতে বাইরে থাকি। ইতিমধ্যে যাদের গ্রেপ্তার করেছে তাঁদের মধ্যে দুজন বয়স্ক মানুষ। একজনের অপারেশন করা। তাঁরা কোনো হট্টগোলে নেই তাও তাঁদের গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।’
কাদের আরও বলেন, ‘পুলিশের নিরপেক্ষ তদন্ত চেয়ে এলাকায় শান্তিপূর্ণভাবে বসবাসের নিশ্চয়তা চাই।’
টাঙ্গাইলপাড়ার আম্বিয়া বেগম বলেন, ‘আমার স্বামী মাছ ধরে সংসার চালায়। ভোটের দিন মারামারির সময় আমরা যাইনি। পরে শুনেছি সবার নামে মামলা হয়েছে। এখন আমার স্বামী গ্রেপ্তারের ভয়ে বাসায় থাকে না।’
জোতপাড়ার রোকেয়া খাতুন বলেন, ‘কয়েকজনের ধরে নিয়ে গেছে। এই ভয়ে বাসায় কেউ থাকে না।’
এ বিষয়ে মামলার বাদী প্রিসাইডিং কর্মকর্তা হেলাল উদ্দীনের বক্তব্য নিতে চাইলে তিনি বক্তব্য দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন।
রাণীশংকৈল থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম জাহিদ ইকবাল জানান, মামলার পর ইতিমধ্যে চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মামলাটি সঠিকভাবে তদন্ত করা হবে। নিরপরাধ কাউকে হয়রানি করা হবে না।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪