Ajker Patrika

পাকুন্দিয়ায় বীর মুক্তিযোদ্ধার জায়গা দখলের অভিযোগ

পাকুন্দিয়া (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি
Thumbnail image

কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধার পরিবারকে মারধর করে বাড়ির জায়গা দখল করার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় সাতজনকে অভিযুক্ত করে পাকুন্দিয়া থানায় লিখিত দিলেও কোনো ব্যবস্থা নেয়নি পুলিশ, এমন অভিযোগ ভুক্তভোগীদের।

আহতরা হলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাম্মেল হকের স্ত্রী মান্দারকান্দি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুলতানা জাহান ও তাঁর মেয়ে কুলিয়ারচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক তাহমিনা আক্তার সিমু (২৮)। এর মধ্যে গুরুতর আহত সুলতানা জাহান নয় দিন ধরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন।

আহুতিয়া পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের উপপরিদর্শক (এসআই) ফয়েজ বলেন, অভিযুক্ত ও তাঁর আত্মীয়স্বজন বিষয়টি বাদীপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে মীমাংসার জন্য দু-তিন দিন সময় চেয়েছেন, যদি মীমাংসা না হয় তা হলে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 
অভিযুক্তরা হলেন একই গ্রামের মো. নজরুল ইসলাম, নেছার উদ্দিন, মো. গালিব, জাকিয়া সুলতানা মেওয়া, সাহেরা খাতুন, জুবায়ের ও হাওয়া আক্তার।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, একই বাড়ির নজরুল ইসলামের সঙ্গে বীর মুক্তিযোদ্ধার পরিবারের বাড়ির সীমানা নিয়ে বিরোধ চলছে। এ নিয়ে এলাকায় একাধিক সালিসও হয়; কিন্তু কোনো সুরাহা হয়নি। এরই জেরে গত সোমবার নজরুল ইসলামের নেতৃত্বে প্রতিপক্ষের লোকজন মুক্তিযোদ্ধা মোজাম্মেল হকের বসতঘরের সামনের খোলা জায়গাটি দখল করে নেন। এতে বাধা দিতে গেলে তাঁরা সুলতানা জাহানকে মারধর করেন।

তবে অভিযুক্ত নজরুল ইসলাম মারধরের কথা অস্বীকার করে বলেন, ‘ওই ঘরের সামনে আমি জায়গা পাই। আমার জায়গায় আমি ঘর নির্মাণ করেছি।’

প্রধান শিক্ষক সুলতানা জাহান বলেন, ‘আমার বসতঘরের সামনের জায়গা দখল করে টিনের চালা নির্মাণ করে। বিষয়টি নিয়ে একাধিক সালিস হলেও নজরুল ইসলাম কোনো সিদ্ধান্তই মানেননি। আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত