Ajker Patrika

শিশুদের ‘শিঙাড়া দাদু’

আক্কেলপুর (জয়পুরহাট) প্রতিনিধি
আপডেট : ২৩ ডিসেম্বর ২০২১, ১৫: ০৪
শিশুদের ‘শিঙাড়া দাদু’

জয়পুরহাটের আক্কেলপুর পৌরসভার হাজীপাড়া মহল্লার একটি মাদ্রাসার সামনে প্রতিদিনই দেখা মেলে আব্দুস ছামাদের (৬০)। শিশুদের কাছে শিঙাড়া দাদু হিসেবেই পরিচিত তিনি। তাঁর শিঙাড়ার বিশেষত্ব হলো কম দামে বেশি সংখ্যক পাওয়া যায়। স্বাদেও ভালো। মাত্র পাঁচ টাকায় তিনটি শিঙাড়া বিক্রি করেন। ১০ টাকায় মেলে ৭টি। মাদ্রাসার শিশুরাই মূলত ছামাদের মূল ক্রেতা। এ ছাড়া পাড়া-মহল্লায় ফেরি করে বিক্রি করেন। প্রতিদিন ৭০০-৮০০টি শিঙাড়া বিক্রি করেন ছামাদ। পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের শ্রীকৃষ্টপুর দক্ষিণ পাড়া মহল্লার বাসিন্দা তিনি।

কথা হলে আব্দুস ছামাদ জানান, স্ত্রী মিনু বালা প্রতিদিন ভোরবেলা শিঙারা তৈরির কাজে সহযোগিতা করেন। সকালে সেগুলো নিয়ে বেরিয়ে পড়েন ছামাদ। সঙ্গে থাকে পানির পাত্র। স্বাদে ভালো আর দামে কম হওয়ায় সব বয়সী মানুষের কাছেই কদর রয়েছে এ শিঙাড়ার। সকাল থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত বিভিন্ন গ্রামে শিঙাড়া বিক্রি করেন। এর পর পৌরসভার একটি বেসরকারি মাদ্রাসার সামনে গিয়ে বসেন। সেখানে তাঁর ক্রেতা ক্ষুদে শিক্ষার্থীরা।

আবু হাসান নামের এক শিশু শিক্ষার্থী বলে, ‘ছামাদ দাদুর শিঙারা আমার খুব ভালো লাগে, তাই প্রতিদিন তাঁর কাছ থেকে কিনে খাই।’

নাসরিন সুলতানা নামে এক অভিভাবক বলেন, ‘সন্তানকে মাদ্রাসায় নিয়ে এসেছি। ২০ টাকা দিয়ে ১৪টি শিঙাড়া কিনেছি।’

আব্দুস ছামাদ বলেন, ‘আগে জিনিসপত্রের দাম কম ছিল তখন বেশি লাভ হতো। এখন তেল, ময়দা, আলুর দাম বেশি হওয়ায় লাভ কম হয়। দিনে ২০০ থেকে ২৫০ টাকা আয় হয়। এতে খুব কষ্টে সংসার চলে।’

আক্কেলপুর পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর শ্রীকৃষ্টপুর গ্রামের বাসিন্দা রফিকুল ইসলাম চপল বলেন, ‘অনেক আগে থেকেই আব্দুস ছামাদের শিঙাড়া খেয়ে আসছি। অল্প দামে তাঁর কাছে শিঙাড়া পাওয়া যায়। স্বাদেও ভালো।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘আমরা মরে গেলাম ঋণের দায়ে আর খাওয়ার অভাবে’, চিরকুটে লেখা

জ্যেষ্ঠ সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ তদন্তে উচ্চপদস্থ বোর্ড গঠন: আইএসপিআর

যুক্তরাষ্ট্রে পা রাখামাত্র পুতিনকে গ্রেপ্তারের আহ্বান

ফেসবুকে ছাত্রলীগ নেতার ‘হুমকি’, রাবিতে ১৫ আগস্টের কনসার্টে যাচ্ছে না আর্টসেল

পাবনায় প্রবাসীর স্ত্রীকে নিয়ে এএসআই উধাও, থানায় শ্বশুরের জিডি

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত