Ajker Patrika

পদপ্রত্যাশীদের দৌড়ঝাঁপ

রাজশাহী প্রতিনিধি
আপডেট : ০৫ মার্চ ২০২২, ১৮: ২৫
পদপ্রত্যাশীদের দৌড়ঝাঁপ

দীর্ঘদিন পর রাজশাহীতে উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন শুরু হয়েছে। সম্মেলনে পদ পেতে দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন পদপ্রত্যাশী নেতারা। কেউ ধরনা দিচ্ছেন জেলা আওয়ামী লীগের নেতাদের কাছে। আবার কেউ কেউ ছুটছেন কেন্দ্রে। কেউ কেউ স্থানীয় সাংসদের মন জয় করে সভাপতি কিংবা সাধারণ সম্পাদকের মতো গুরুত্বপূর্ণ পদ পাওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছেন।

চলতি মার্চ মাসের মধ্যেই রাজশাহীর ছয়টি উপজেলায় নতুন কমিটি গঠনের কথা। আওয়ামী লীগের তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা বলছেন, আগে তৃণমূলের ভোটে নেতা নির্বাচন হলেও এবার সেই লক্ষণ নেই। সম্মেলন অনুষ্ঠানের পর চাপিয়ে দেওয়া হবে উপজেলা কমিটির নতুন সভাপতি-সম্পাদক। ইতিমধ্যে পবা উপজেলার কাটাখালী পৌর আওয়ামী লীগের সম্মেলনে সে রকমই হয়েছে। আজ শনিবার পবা উপজেলা আওয়ামী লীগেরও সম্মেলন আছে। এই সম্মেলনে দলের জন্য নিবেদিত ব্যক্তিকেই দায়িত্বে আনার দাবি তাঁদের।

তবে পবায় সাধারণ সম্পাদক হওয়ার দৌড়ে আছেন ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে পর পর দুবার নৌকার বিরোধিতা করা এক নেতা। তার নাম সোহরাব আলী। তিনি পবার পারিলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি। এই ইউনিয়নে পর পর দুবার নৌকা প্রতীক পেয়ে নির্বাচন করে পরাজিত হন ইউনিয়ন মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফাহিমা বেগম। দুবারই নৌকার বিরোধিতা করেন সোহরাব। সব শেষ নির্বাচনেও সোহরাব ছিলেন দলের বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে। নির্বাচনে নৌকা পরাজিত হয়। বিদ্রোহী প্রার্থীই জয়ী হন।

এবার উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদে প্রার্থী হয়েছেন সোহরাব। এ বিষয়ে পারিলা ইউপি নির্বাচনে পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী ফাহিমা বেগম বলেন, ‘সোহরাব আলী পর পর দুবার নৌকার বিরোধিতা করেছেন। সবশেষ নির্বাচনে আমি জেলার নেতাদের নিয়ে সোহরাবের বাড়ি গিয়েছিলাম যেন তিনি নৌকার পক্ষে কাজ করেন। কিন্তু তিনি করেননি। তাঁকে যদি উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্পাদক করা হয় তাহলে এর চেয়ে লজ্জার কিছু আর হয় না।’

তবে সোহরাব আলী অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, তিনি নৌকার পক্ষেই কাজ করেছিলেন। এদিকে, তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের অভিযোগ, হাইব্রিডদের দাপটে অনেক দিন ধরে রাজশাহীর বিভিন্ন উপজেলায় কোণঠাসা হয়ে আছেন দলের ত্যাগী নেতা-কর্মীরা। এবার সম্মেলনে ওই হাইব্রিডরাই পদ পেতে বেশি দৌড়ঝাঁপ করছেন।

জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ বলেন, ‘সম্মেলনের মাধ্যমে ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন কমিটি গঠনের পর উপজেলার সম্মেলন করা উচিত ছিল। আমি দায়িত্বে থাকাকালে প্রতিটি ইউনিয়নেই কমিটি করা হয়েছিল সম্মেলনের মাধ্যমে। ভোটের মাধ্যমে উপজেলা কমিটি করা হয়েছিল। শুনছি, এবার উপজেলা কমিটিগুলোর নেতৃত্ব ঠিক করবেন কেন্দ্রীয় নেতারা। পদ বণ্টনে মোটা টাকার লেনদেনেরও আভাস পাচ্ছি। তিনি বলেন, গুরুত্বপূর্ণ কমিটিগুলোতে এভাবে ওপর থেকে নেতা বসিয়ে দিলে তৃণমূল নেতা-কর্মীরা হতাশায় ডুববেন। এভাবে পদ ও কমিটি বেচাকেনা হলে দলের অস্তিত্ব সংকটে পড়বে।’

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পবার সম্মেলনের পর হবে মোহনপুরের সম্মেলন। তারপর ১৩ মার্চ পুঠিয়া এবং ১৪ মার্চ দুর্গাপুর উপজেলায় সম্মেলন হবে। গোদাগাড়ী ও তানোরে সম্মেলন হবে মার্চের শেষে। তানোরে সাধারণ সম্পাদক হতে কেন্দ্রে ধরনা দিচ্ছেন শহরে বাস করা এক নেতা। তাঁর নাম আবুল বাসার সুজন। রাজশাহী শহরের বোয়ালিয়া থানা আওয়ামী লীগের পদে থাকা এই নেতা স্থানীয় সাংসদের মন জয় করে তানোর পৌর নির্বাচনেও মেয়র পদে দলের মনোনয়ন চেয়েছিলেন। তানোরে পৌর মেয়র হতে তিনি সেখানকার ভোটারও হয়েছেন।

জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওয়াদুদ দারা বলেন, ‘কেন্দ্রীয় নেতাদের উপস্থিতিতে সম্মেলনের মাধ্যমে উপজেলা আওয়ামী লীগের কমিটি হবে। যাঁরা দলকে নেতৃত্ব দিতে পারবেন, তাঁদেরই দায়িত্ব দেওয়া হবে। উপজেলা কমিটি হয়ে গেলে পরে ওয়ার্ড এবং ইউনিয়ন কমিটি হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

শাহজালালের তৃতীয় টার্মিনালে অবতরণ করল প্রথম ফ্লাইট

৩ আগস্ট বিমানবন্দরে বাধা পান তাপস, হাসিনাকে অনুরোধ করেন অফিসারের সঙ্গে কথা বলতে- অডিও ফাঁস

স্ত্রী রাজি নন, সাবেক সেনাপ্রধান হারুনের মরদেহের ময়নাতদন্ত হবে না: পুলিশ

বাকৃবির ৫৭ শিক্ষকসহ ১৫৪ জনের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা

সাবেক সেনাপ্রধান হারুন ছিলেন চট্টগ্রাম ক্লাবের গেস্ট হাউসে, দরজা ভেঙে বিছানায় মিলল তাঁর লাশ

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত