নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
শান্তিতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ এবং গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে ‘বিচারিক হয়রানির’ অভিযোগের বিষয়টি খতিয়ে দেখবে জাতিসংঘ। গত সোমবার নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে নিয়মিত ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সংস্থাটির মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক এ মন্তব্য করেন।
বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচন ও ড. ইউনূসের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে স্টিফেন ডুজারিক বলেন, ‘আমরা আগেই বলেছি, বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন সবাই দেখতে চায়। আর আমি প্রফেসর ইউনূসকে হয়রানির বিষয়টি খতিয়ে দেখব। আমি তাঁর বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলা সম্পর্কে অবগত নই।’
এর আগে গত সোমবার নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে বর্তমান বিচারিক কার্যক্রম স্থগিতের আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বরাবর খোলা চিঠি পাঠিয়েছেন ১৬০ জন বিশ্বনেতা। ওই চিঠিতে ১০০ জনের বেশি নোবেল বিজয়ীসহ রাজনীতিক, কূটনীতিক, ব্যবসা, শিল্পকলা ও শিক্ষাক্ষেত্রের ব্যক্তিরা রয়েছেন।
এদিকে বিশ্বনেতাদের চিঠি দেওয়ার প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গতকাল এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, নির্দোষ হলে ড. ইউনূস বিবৃতি ভিক্ষা করতে যেতেন না। বিবৃতিদাতারা বাংলাদেশে এসে ড. ইউনূসের কাগজপত্র পরীক্ষার করুক। তখন দেখা যাবে তিনি কতটা নির্দোষ।’ শেখ হাসিনা বলেন, ‘ড. ইউনূসের জন্য যাঁরা বিবৃতি দিয়েছেন, তাঁদের আহ্বান জানাই, বিবৃতি না দিয়ে বিশেষজ্ঞ পাঠান, আইনজীবী পাঠান। দলিল-দস্তাবেজ, কাগজপত্র ঘেঁটে দেখুন অন্যায় আছে কি না। মামলা তো আমরা করিনি। এনবিআর থেকে আয়কর ফাঁকির মামলা করেছে। ক্ষতিগ্রস্ত লেবাররা মামলা করেছেন।’
অন্যদিকে ড. ইউনূসকে হেনস্তা করা বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। গতকাল এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ড. মুহাম্মদ ইউনূস হলেন এই জাতির একজন সূর্যসন্তান। এই অনিবার্য সত্যটা মেনে নিয়ে ওনাকে হেনস্তা করা বন্ধ করুন। এসব মামলাবাজি বন্ধ করুন।
মির্জা ফখরুল আরও বলেন, ড. মুহাম্মদ ইউনূস এই দেশের একজন কীর্তিমান ব্যক্তি। ওনাকে যাঁরা ছোট করতে চান, অপমান করতে চান, তাঁরা আরেকবার জন্ম নিলেও ওনার সমান উচ্চতায় যেতে পারবেন না।
এদিকে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সচিব মো. মাহবুব হোসেন বলেছেন, বিশ্বনেতাদের দেওয়া বিবৃতির কারণে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে চলমান মামলায় কোনো প্রভাব পড়বে না। সংস্থাটির করা মামলা আইন ও বিধি অনুযায়ী চলবে বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।
গতকাল সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে দুদক সচিব বলেন, দুদক আইন ২০০৪-এ যে বিষয়গুলো বলা হয়েছে, তার আলোকে অনুসন্ধান ও তদন্ত হয়ে থাকে। কোনো বিবৃতি প্রভাব ফেলার অবকাশ নেই। আইন অনুযায়ী তাঁর (ড. ইউনূসের) মামলা চলবে বলে জানিয়েছেন সচিব।
গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিক-কর্মচারীদের কল্যাণ তহবিলের ২৫ কোটি ২২ লাখ ৬ হাজার ৭৮০ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে গত ৩০ মে ড. ইউনূসকে প্রধান আসামি করে ১২ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। মামলাটি বর্তমানে তদন্ত পর্যায়ে রয়েছে।
নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদকে বিচারিক হয়রানি করা হচ্ছে দেশে-বিদেশে এমন আলোচনার মধ্যেই গত সোমবার ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে শ্রমিকদের পাওনা টাকা পরিশোধ না করায় আরও ১৮টি মামলা হয়েছে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে।
এর আগে শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে ২০২১ সালের ৯ সেপ্টেম্বর ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করে ঢাকার কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তর। ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে এ মামলা করেছিলেন কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের শ্রম পরিদর্শক আরিফুজ্জামান। ওই মামলাটি বিচারাধীন।
শান্তিতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ এবং গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে ‘বিচারিক হয়রানির’ অভিযোগের বিষয়টি খতিয়ে দেখবে জাতিসংঘ। গত সোমবার নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে নিয়মিত ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সংস্থাটির মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক এ মন্তব্য করেন।
বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচন ও ড. ইউনূসের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে স্টিফেন ডুজারিক বলেন, ‘আমরা আগেই বলেছি, বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন সবাই দেখতে চায়। আর আমি প্রফেসর ইউনূসকে হয়রানির বিষয়টি খতিয়ে দেখব। আমি তাঁর বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলা সম্পর্কে অবগত নই।’
এর আগে গত সোমবার নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে বর্তমান বিচারিক কার্যক্রম স্থগিতের আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বরাবর খোলা চিঠি পাঠিয়েছেন ১৬০ জন বিশ্বনেতা। ওই চিঠিতে ১০০ জনের বেশি নোবেল বিজয়ীসহ রাজনীতিক, কূটনীতিক, ব্যবসা, শিল্পকলা ও শিক্ষাক্ষেত্রের ব্যক্তিরা রয়েছেন।
এদিকে বিশ্বনেতাদের চিঠি দেওয়ার প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গতকাল এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, নির্দোষ হলে ড. ইউনূস বিবৃতি ভিক্ষা করতে যেতেন না। বিবৃতিদাতারা বাংলাদেশে এসে ড. ইউনূসের কাগজপত্র পরীক্ষার করুক। তখন দেখা যাবে তিনি কতটা নির্দোষ।’ শেখ হাসিনা বলেন, ‘ড. ইউনূসের জন্য যাঁরা বিবৃতি দিয়েছেন, তাঁদের আহ্বান জানাই, বিবৃতি না দিয়ে বিশেষজ্ঞ পাঠান, আইনজীবী পাঠান। দলিল-দস্তাবেজ, কাগজপত্র ঘেঁটে দেখুন অন্যায় আছে কি না। মামলা তো আমরা করিনি। এনবিআর থেকে আয়কর ফাঁকির মামলা করেছে। ক্ষতিগ্রস্ত লেবাররা মামলা করেছেন।’
অন্যদিকে ড. ইউনূসকে হেনস্তা করা বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। গতকাল এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ড. মুহাম্মদ ইউনূস হলেন এই জাতির একজন সূর্যসন্তান। এই অনিবার্য সত্যটা মেনে নিয়ে ওনাকে হেনস্তা করা বন্ধ করুন। এসব মামলাবাজি বন্ধ করুন।
মির্জা ফখরুল আরও বলেন, ড. মুহাম্মদ ইউনূস এই দেশের একজন কীর্তিমান ব্যক্তি। ওনাকে যাঁরা ছোট করতে চান, অপমান করতে চান, তাঁরা আরেকবার জন্ম নিলেও ওনার সমান উচ্চতায় যেতে পারবেন না।
এদিকে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সচিব মো. মাহবুব হোসেন বলেছেন, বিশ্বনেতাদের দেওয়া বিবৃতির কারণে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে চলমান মামলায় কোনো প্রভাব পড়বে না। সংস্থাটির করা মামলা আইন ও বিধি অনুযায়ী চলবে বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।
গতকাল সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে দুদক সচিব বলেন, দুদক আইন ২০০৪-এ যে বিষয়গুলো বলা হয়েছে, তার আলোকে অনুসন্ধান ও তদন্ত হয়ে থাকে। কোনো বিবৃতি প্রভাব ফেলার অবকাশ নেই। আইন অনুযায়ী তাঁর (ড. ইউনূসের) মামলা চলবে বলে জানিয়েছেন সচিব।
গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিক-কর্মচারীদের কল্যাণ তহবিলের ২৫ কোটি ২২ লাখ ৬ হাজার ৭৮০ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে গত ৩০ মে ড. ইউনূসকে প্রধান আসামি করে ১২ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। মামলাটি বর্তমানে তদন্ত পর্যায়ে রয়েছে।
নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদকে বিচারিক হয়রানি করা হচ্ছে দেশে-বিদেশে এমন আলোচনার মধ্যেই গত সোমবার ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে শ্রমিকদের পাওনা টাকা পরিশোধ না করায় আরও ১৮টি মামলা হয়েছে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে।
এর আগে শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে ২০২১ সালের ৯ সেপ্টেম্বর ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করে ঢাকার কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তর। ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে এ মামলা করেছিলেন কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের শ্রম পরিদর্শক আরিফুজ্জামান। ওই মামলাটি বিচারাধীন।
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪