সনি আজাদ, চারঘাট
ঈদ আসতে বেশি দেরি নেই। কারখানায় কাজ চলবে বড়জোর ২৮ রমজান পর্যন্ত। তাই এখন ব্যস্ততায় মুখর রাজশাহীর চারঘাটের কালুহাটির পাদুকাপল্লি। ক্রেতার মনপছন্দ ঝকঝকে-চকচকে জুতা তৈরি করতে দিনরাত কাজ করে যাচ্ছেন কারিগরেরা। ব্যস্ততায় কথা বলার ফুরসত পাচ্ছেন না তাঁরা। মধ্যরাত পর্যন্ত চলছে জুতা-স্যান্ডেল তৈরির কাজ।
ঈদ সামনে রেখে উত্তরাঞ্চলসহ সারা দেশের বিভিন্ন জেলায় যাচ্ছে কালুহাটির তৈরি জুতা-স্যান্ডেল। কারিগর ও মালিকেরা করোনার কারণে গত দুই বছরে লাভের মুখ না দেখলেও এবার লাভবান হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন।
কালুহাটি গ্রামে গিয়ে মান্নান সুজ, ন্যাশনাল সুজ, রাসেল সুজ, কানিজ সুজ, কাজল সুজ, শ্রাবণী সুজ, অনন্যা সুজ, মঞ্জিল সুজ, বিজয় সুজ, পায়ে-পায়ে সুজ, মুক্তি সুজ, স্মৃতি সুজসহ বেশ কয়েকটি কারখানা ঘুরে দেখা গেছে এমনই চিত্র। ছোট ছোট খুপরি ঘরে চলছে জুতা তৈরি।
দেশ স্বাধীন হওয়ার প্রায় এক দশক পরও এ কালুহাটি গ্রামের বেশির ভাগ পরিবার ছিল নিম্ন আয়ের। গত চার দশকে এ গ্রামের একেকটি ঘর এখন একেকটি জুতা তৈরির কারখানা। অভাবী গ্রামের চেহারা পাল্টে কালুহাটি এখন দেশের সাফল্যমণ্ডিত একটি নাম। এক গ্রামেই ৬৮টি জুতা তৈরির কারখানা। তাই গ্রামটিকে পাদুকাপল্লি হিসেবে সবাই চেনে।
কালুহাটি পাদুকা সমিতির সূত্রে জানা যায়, বর্তমানে কালুহাটিতে পায় ৬৮টি কারখানা রয়েছে। ১১৭ জন ব্যবসায়ী অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য। পরিবেশ অনুকূল থাকলে বছরে প্রায় ১৫০ কোটি টাকার টার্নওভার হয়। প্রতিবছর প্রায় ২২ লাখ জুতা তৈরি হয় এখানকার কারখানায়। এ খাতে প্রত্যক্ষ-পরোক্ষভাবে প্রায় ১৫ হাজার লোকের কর্মসংস্থান জড়িত, যার ৩০ শতাংশই নারী।
মূলত ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহাকে কেন্দ্র করেই এই পল্লির পাদুকা ব্যবসা। এই দুই ঈদে বড় কারখানাগুলো ১ কোটি টাকারও বেশি মূল্যের জুতা বিক্রি করে থাকে। আর ছোট কারখানাগুলো থেকে গড়ে বিক্রি হয় ২০ লাখ টাকার জুতা।
কালুহাটি পাদুকা সমিতির সভাপতি মনজুর রহমান জানান, করোনার কারণে বেশকিছু কারখানা বন্ধ থাকলেও পবিত্র ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে প্রতিটি কারখানা এখন সচল। সমানতালে চলছে তাদের কার্যক্রম। করোনার কারণে গত দুই বছরে লাভের মুখ না দেখলেও এবার লাভবান হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন তাঁরা। ঈদ সামনে রেখে উত্তরাঞ্চলসহ সারা দেশের বিভিন্ন জেলায় যাচ্ছে কালুহাটি গ্রামে তৈরি জুতা-স্যান্ডেল। এতে তাঁরা ব্যাপক সাড়াও পাচ্ছেন।
অ্যাডভান্সড সুজ কারখানার মালিক জয়নাল হোসেন বলেন, ঈদে জুতা-স্যান্ডেলের চাহিদা যেমন বেড়েছে, তেমনি উপকরণের দামও বেড়েছে। প্রতি পিস সোলের দাম বৃদ্ধি পেয়ে ৭০ থেকে ১২০ টাকা, পেস্টিং আঠা অন্য বছরের চেয়ে এ বছর বৃদ্ধি পেয়েছে গ্যালনপ্রতি ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা।
কালুহাটি পাদুকা সমিতির সাধারণ সম্পাদক সোহেল রানা বলেন, ‘কালুহাটি পাদুকাশিল্প করোনায় বেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তারপরও সরকারের কাছ থেকে কোনো ধরনের সহযোগিতা পায়নি। মেলেনি ব্যাংকঋণ। তারপরও আমরা ঈদ সামনে রেখে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছি। তবে সরকার যদি এখানকার উদ্যোক্তাদের স্বল্পসুদে দীর্ঘমেয়াদি ঋণসুবিধা দেয়, তাহলে এ খাতে আগামী দিনে কয়েক লাখ লোকের কর্মসংস্থান হবে। শুধু ঈদ না, সারা বছরই মুখর থাকবে কালুহাটি পাদুকাপল্লি।’
ঈদ আসতে বেশি দেরি নেই। কারখানায় কাজ চলবে বড়জোর ২৮ রমজান পর্যন্ত। তাই এখন ব্যস্ততায় মুখর রাজশাহীর চারঘাটের কালুহাটির পাদুকাপল্লি। ক্রেতার মনপছন্দ ঝকঝকে-চকচকে জুতা তৈরি করতে দিনরাত কাজ করে যাচ্ছেন কারিগরেরা। ব্যস্ততায় কথা বলার ফুরসত পাচ্ছেন না তাঁরা। মধ্যরাত পর্যন্ত চলছে জুতা-স্যান্ডেল তৈরির কাজ।
ঈদ সামনে রেখে উত্তরাঞ্চলসহ সারা দেশের বিভিন্ন জেলায় যাচ্ছে কালুহাটির তৈরি জুতা-স্যান্ডেল। কারিগর ও মালিকেরা করোনার কারণে গত দুই বছরে লাভের মুখ না দেখলেও এবার লাভবান হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন।
কালুহাটি গ্রামে গিয়ে মান্নান সুজ, ন্যাশনাল সুজ, রাসেল সুজ, কানিজ সুজ, কাজল সুজ, শ্রাবণী সুজ, অনন্যা সুজ, মঞ্জিল সুজ, বিজয় সুজ, পায়ে-পায়ে সুজ, মুক্তি সুজ, স্মৃতি সুজসহ বেশ কয়েকটি কারখানা ঘুরে দেখা গেছে এমনই চিত্র। ছোট ছোট খুপরি ঘরে চলছে জুতা তৈরি।
দেশ স্বাধীন হওয়ার প্রায় এক দশক পরও এ কালুহাটি গ্রামের বেশির ভাগ পরিবার ছিল নিম্ন আয়ের। গত চার দশকে এ গ্রামের একেকটি ঘর এখন একেকটি জুতা তৈরির কারখানা। অভাবী গ্রামের চেহারা পাল্টে কালুহাটি এখন দেশের সাফল্যমণ্ডিত একটি নাম। এক গ্রামেই ৬৮টি জুতা তৈরির কারখানা। তাই গ্রামটিকে পাদুকাপল্লি হিসেবে সবাই চেনে।
কালুহাটি পাদুকা সমিতির সূত্রে জানা যায়, বর্তমানে কালুহাটিতে পায় ৬৮টি কারখানা রয়েছে। ১১৭ জন ব্যবসায়ী অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য। পরিবেশ অনুকূল থাকলে বছরে প্রায় ১৫০ কোটি টাকার টার্নওভার হয়। প্রতিবছর প্রায় ২২ লাখ জুতা তৈরি হয় এখানকার কারখানায়। এ খাতে প্রত্যক্ষ-পরোক্ষভাবে প্রায় ১৫ হাজার লোকের কর্মসংস্থান জড়িত, যার ৩০ শতাংশই নারী।
মূলত ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহাকে কেন্দ্র করেই এই পল্লির পাদুকা ব্যবসা। এই দুই ঈদে বড় কারখানাগুলো ১ কোটি টাকারও বেশি মূল্যের জুতা বিক্রি করে থাকে। আর ছোট কারখানাগুলো থেকে গড়ে বিক্রি হয় ২০ লাখ টাকার জুতা।
কালুহাটি পাদুকা সমিতির সভাপতি মনজুর রহমান জানান, করোনার কারণে বেশকিছু কারখানা বন্ধ থাকলেও পবিত্র ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে প্রতিটি কারখানা এখন সচল। সমানতালে চলছে তাদের কার্যক্রম। করোনার কারণে গত দুই বছরে লাভের মুখ না দেখলেও এবার লাভবান হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন তাঁরা। ঈদ সামনে রেখে উত্তরাঞ্চলসহ সারা দেশের বিভিন্ন জেলায় যাচ্ছে কালুহাটি গ্রামে তৈরি জুতা-স্যান্ডেল। এতে তাঁরা ব্যাপক সাড়াও পাচ্ছেন।
অ্যাডভান্সড সুজ কারখানার মালিক জয়নাল হোসেন বলেন, ঈদে জুতা-স্যান্ডেলের চাহিদা যেমন বেড়েছে, তেমনি উপকরণের দামও বেড়েছে। প্রতি পিস সোলের দাম বৃদ্ধি পেয়ে ৭০ থেকে ১২০ টাকা, পেস্টিং আঠা অন্য বছরের চেয়ে এ বছর বৃদ্ধি পেয়েছে গ্যালনপ্রতি ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা।
কালুহাটি পাদুকা সমিতির সাধারণ সম্পাদক সোহেল রানা বলেন, ‘কালুহাটি পাদুকাশিল্প করোনায় বেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তারপরও সরকারের কাছ থেকে কোনো ধরনের সহযোগিতা পায়নি। মেলেনি ব্যাংকঋণ। তারপরও আমরা ঈদ সামনে রেখে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছি। তবে সরকার যদি এখানকার উদ্যোক্তাদের স্বল্পসুদে দীর্ঘমেয়াদি ঋণসুবিধা দেয়, তাহলে এ খাতে আগামী দিনে কয়েক লাখ লোকের কর্মসংস্থান হবে। শুধু ঈদ না, সারা বছরই মুখর থাকবে কালুহাটি পাদুকাপল্লি।’
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪